Logo
আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

ডিএনসিসির সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে: মেয়র আতিকুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ২২৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মেয়র আনিসুল হক সড়কে ডিএনসিসি এলাকায় ২ লাখ গাছ লাগানোর কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে শুরুতেই মেয়র আতিকুল ইসলাম অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে গাছের চারা রোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, নগর পরিকল্পনাবিদ আখতার হামিদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।

উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে। কোনো জায়গা খালি রাখতে চাই না। ফুটপাতে ছাতিম, বকুল, কাঠবাদাম, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, সড়কের মিডিয়ানে কাঁটা মেহেদী, রঙ্গন, করবী ও বাগান বিলাস, বামন জারুল, রসকাউ লাগানো হবে। আর আমাদের খালের পাশে বিভিন্ন ধরনের ফলজ গাছ, আম, জাম, কাঁঠাল ও ওষুধি গাছ লাগাব।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নগরে কোনোপাখি নাই। আমরা বন বিভাগের সাথে আলাপ আলোচনা করে রসকাউ লাগাচ্ছি। রসকাউ ফলটা পাখিদের খুবই প্রিয়। ক্লিনিং, গ্রিনিং ও ফিডিং এই তিনটিকে বিবেচনায় নিয়ে গাছ লাগানো হবে।

তিনি বলেন, ‘সবুজে বাস, বারো মাস এই স্লোগানের মাধ্যমে আমারা আজকে বৃক্ষরোপণ শুরু করলাম। আমি নগরবাসীকে আহ্বান করছি যার যার বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগাবেন। আমি রাজউকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই- ‘‘প্রতিটি বাড়িতে এক কাঠায় অন্তত একটি গাছ’’ এটি যেন রাজউক অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাছ লাগানো অনেক সহজ কিন্তু গাছ বাঁচানো অনেক কঠিন। গাছকে লালন-পালন করা অনেক কঠিন। তাই গাছকে আমরা লালনের জন্য এই প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ১০০ জন মালি নিয়োগ দিবে। একেক জন মালিকে ১ কিলোমিটারের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এক কিলোমিটারের মধ্যে যত গাছ আছে সেসব গাছের রিপোর্ট তারা আমাদেরকে দেবেন। আমরা একটি জিআইএস ম্যাপ তৈরি করেছি। যেটির মাধ্যমে জায়গা নির্বাচন, গাছ মনিটরিং এগুলো করা হবে।

মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নিজেদের ইচ্ছা মতো কোন গাছ লাগাচ্ছে না। প্রত্যেকটি গাছ বন বিভাগ, পরিবেশবাদী ও নগর পরিকল্পনাবিদের পরামর্শ নিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে। আমরা যে গাছগুলো লাগাচ্ছি সেই গাছগুলোর মাধ্যমে বায়ুদূষণ কমে যাবে, এক্সট্রিম হিট কমবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ঢাকা সামাজিক বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক আর এস এম মনিরুল ইসলাম, উপপ্রধান বন সংরক্ষক মঈনুদ্দিন খান প্রমুখ।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩০২৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩০২৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪৯ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১৭৪ জন।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ১০২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৮১৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ২৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৪ হাজার ৯৭৬ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৮ হাজার ৮১৯ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৪৭ জন। ঢাকায় ৭০ হাজার ৫৮৪ এবং ঢাকার বাইরে ৯২ হাজার ২৬৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মধ্য দিয়ে এ সংকটের একটি টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায় তথা আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের পাশাপাশি তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়ানোরও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে উদ্ভূত এই (রোহিঙ্গা) সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে হবে, সব বিকল্পের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই সবচেয়ে কার্যকর।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সদরদপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘তারা কি আমাদের ভুলে গেছে?’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক ইভেন্ট আয়োজন করে। ইভেন্টটি সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শেখ হাসিনা তার প্রথম ও দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন, আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন বিষয়টি সমাধান করে এবং এই দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের জীবনধারণের জন্য আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এই বিষয়টিকে তাদের এজেন্ডার শীর্ষে রাখে।

তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত, নিয়মে পরিণত করা এবং ঘৃণ্য নৃশংসতাকারী অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য চলমান এবং প্রচলিত আইনি এবং বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ছয় বছর ধরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের মর্মান্তিক বিতাড়নের ঘটনা দেখে আসা বিশ্বকে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের স্থায়ী দুর্ভোগের কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে আমরা সমবেত হয়েছি। রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এরপর থেকে আমরা আমাদের মাটিতে তাদের আশ্রয় এবং তাদের মৌলিক ও মানবিক সেবা দিয়ে আসছি।

তিনি বলেন, আমি আমাদের সব অংশীজন এবং বন্ধুদের তাদের সংহতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। ইস্যুটি এখন স্থবিরতার পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ তিনি বলেন, গত ছয় বছরে একজন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেনি। বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘ উপস্থিতি কেবল তাদের আরও হতাশার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে না, এটি কক্সবাজারের পরিস্থিতিকেও অনিশ্চিত করে তুলছে। আশ্রয়দাতা সম্প্রদায় আজ তাদের উদারতার শিকারে পরিণত হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের চাহিদার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের অভাব স্পষ্ট।

তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য অনেক কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা যে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় পৌঁছেছে সে বিষয়ে আমরা অবগত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব রোহিঙ্গাদের ভুলে যেতে পারে না। কেননা ২০১৭ সালে তাদের দেশত্যাগ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না এবং তারা কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে নিপীড়ন ও বিতারণের শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিকারে এগিয়ে আসতে সবারই দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য মানবিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটিই সবকিছু নয়।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা মিয়ানমারে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিশ্চিত জীবনযাপন করতে পারবে। এর জন্য আমাদের সমস্যাটির মূলে গিয়ে সমাধান করতে হবে, যা মিয়ানমারেই রয়েছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দরকার। যেন বাড়িঘর থেকে তাদের পালাতে না হয়। এখানে উপস্থিত অনেক দেশ আছে, যারা কয়েক দশক ধরে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। আমার বিশ্বাস মালয়েশিয়া এবং সৌদি আরব বাংলাদেশের সঙ্গে একমত হবে।

এক মিলিয়নেরও বেশি বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আশ্রয় দেওয়া কখনও বাংলাদেশের জন্য একটি বিকল্প ছিল না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ, যেখানে জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি। এটি এরই মধ্যেই জলবায়ু-প্ররোচিত অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার দ্বারা অতিরিক্ত চাপে পড়েছে।

তিনি বলেন, এর পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ উপস্থিতি আমাদের জনগণের জন্য গুরুতর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত প্রভাব ফেলেছে। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির হিসেবে পরিচিত এই আশ্রয় শিবিরের কারণে ৬ হাজার ৮০০ একর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের ফলে কক্সবাজারের জীব বৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আশা করি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনকারীদের রাখাইনে পুনরায় একত্রিত হতে সহায়তা করতে এগিয়ে আসবে। রাখাইনে মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থার উপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আস্থা তৈরির ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলো, বিশেষ করে আসিয়ান সদস্যরা, মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক নিয়ে, নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে পারে। এএইচএ কেন্দ্রের ব্যাপক প্রয়োজন মূল্যায়নের ভিত্তিতে, প্রত্যাবর্তনকারী রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করে ছোট সম্প্রদায় ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।


আরও খবর



শেষ মুহূর্তে শাটডাউন এড়ালো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :শাটডাউন এড়াতে দ্বিদলীয় বিল পাস করেছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। মার্কিন সরকার শাটডাউন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে প্রতিনিধি পরিষদ মূলত একটি স্বল্পমেয়াদী তহবিল চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।

এর মাধ্যমে অল্পের জন্য শাটডাউন এড়ালো যুক্তরাষ্ট্র। এটি পাস না হলে স্থানীয় সময় শনিবারের পর (১ অক্টোবর মধ্যরাত) বন্ধ হয়ে যেতে পারত যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম। যা মূলত শাটডাউন হিসেবে পরিচিত।

রোববার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার শাটডাউন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ একটি স্বল্পমেয়াদী তহবিল চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এই বিলের মাধ্যমে আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সরকারকে অর্থায়ন করা যাবে। কিন্তু এই বিলে ইউক্রেনের জন্য কোনও নতুন সহায়তা অন্তর্ভুক্ত নেই।

প্রতিনিধি পরিষদে ৩৩৫-৯১ ভোটে এটি অনুমোদিত হয়। মূলত বিরোধী রিপাবলিকানদের চেয়ে ডেমোক্র্যাট সদস্যরা এটিকে বেশি সমর্থন করেছেন।

বিবিসি বলছে, প্রতিনিধি পরিষদে অনুমোদিত এই বিলটি এখন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের চেম্বারেও অনুমোদিত হতে হবে। তবে এটি সেখানে সহজেই পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এরপর এটিতে স্বাক্ষর করে একবার আইনে পরিণত করলে তা মার্কিন সরকারের ফেডারেল পরিষেবাগুলোতে সম্ভাব্য ব্যাঘাত এড়াতে সহায়তা করবে।

এদিকে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটরা শাটডাউন এড়ানোকে জয় বলে অভিহিত করেছেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, প্রায় ২০৯ জন ডেমোক্র্যাট এই বিলটিকে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে এই বিলটি সমর্থনকারী রিপাবলিকানদের সংখ্যা ১২৬ জন।

পরে ডেমোক্র্যাটরা শাটডাউন এড়ানোর এই ফলাফলটিকে জয় বলে বর্ণনা করেন। অবশ্য বিল পাস হওয়ায় নিজের দলের কট্টরপন্থিদের কাছ থেকে চাপের মুখে পড়েছেন রিপাবলিকান হাউস সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা কেভিন ম্যাকার্থি।

মূলত কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের একটি বিল পাস হওয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এটি পাস না হলে শনিবারের পর (স্থানীয় সময় ১ অক্টোবর মধ্যরাত) বন্ধ হয়ে যেতে পারত যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম। যা দেশটিতে ‘শাটডাউন’ হিসেবে পরিচিত।

সরকারি ব্যয় মেটানোর জন্য প্রতিবছর ১ অক্টোবর নতুন অর্থবছরের জন্য অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের আইন পরিষদের উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ কংগ্রেস। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির নিয়ন্ত্রণে থাকা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি আটকে রেখেছিল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কাছে তারা সরকারি ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস করার দাবি জানায়। তবেই নতুন অর্থবছরের অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা।

অন্যদিকে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে মাত্র ১ আসনের ব্যবধানে এগিয়ে আছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। আর কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রিপাবলিকানদের দখলে। ফলে সরকারকে সচল রাখতে হলে দুই দলকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হতো। সেই মতো সরকারের শাটডাউন এড়াতে শেষ মুহূর্তে দ্বিদলীয় বিল পাস করল হাউস।

অবশ্য আপাতত শাটডাউন এড়ানো গেলেও রিপাবলিকানদের একটি অংশের দাবি, সরকারি ব্যয় অনেক কমাতে হবে। এমনকি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ইউক্রেনকে সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার দাবিও করেছেন তারা।


আরও খবর



স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকাকে আবারও বিজয়ী করতে হবে- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image
লিয়াকত হোসাইন লায়ন,ইসলামপুর(জামালপুর) প্রতিনিধি:ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন,স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকাকে আবারও বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করার পর একটি শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে হত্যার মধ্যে দিয়ে সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিল ঘাতকেরা। এখন জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন। 

প্রতিমন্ত্রী জামালপুরের ইসলামপুরে আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার পার্থশী ইউনিয়নের ১.২ ও ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে মলমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে এসব কথা বলেন।তিনি বলেন-এখন কীভাবে দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে; এটা আগে সম্ভব হয়নি কেন? সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশ পরিচালনা করায় মানুষের আর্থিক অবস্থা ক্রমেই ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন হচ্ছে৷ উচ্চ সুদের ঋণ বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে পারেনি৷ যতটুকু হয়েছে, তা আওয়ামী লীগের সময়েই৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বলেই আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দেখতে চাইলে নৌকার বিকল্প নেই।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইফতেখার আলম বাবলুর সভাপতিত্বে এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আঃ সালাম,সহ সভাপতি আঃ রাজ্জাক লাল মিয়া, যুবলীগ সভাপতি হারুনুন রশিদ,সাধারণ সম্পাদক মোহন মিয়া প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

আরও খবর



নতুন জঙ্গি সংগঠনের বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নামে নতুন আরও একটি জঙ্গি সংগঠন প্রকাশ্যে এসেছে ‘তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল-জিহাদী)’। দুই থেকে তিন মাস ধরে এ জঙ্গি সংগঠনটি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ২০২৪ সালে দেশে বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল এর কর্মীদের।

গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানার পর নতুন জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা মো. জুয়েল মোল্লাসহসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেপ্তার বাকি দুইজন হলেন-মো. রাহুল হোসেন ও মো. গাজিউল ইসলাম।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বারিধারায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট হেডকোয়ার্টার্স কনফারেন্স রুমে দুপুর ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এটিইউর ডিআইজি (অপারেশন্স) মো. আলীম মাহমুদ।

তিনি বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান পরিচালনা করে জুয়েলকে বাগেরহাট থেকে, জয়পুরহাট থেকে রাহুলকে ও রাজধানীর ভাসানটেক এলাকা থেকে গাজীউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের মধ্যে জুয়েল এই সংগঠনের প্রধান। বাকি দুইজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। সংগঠনটি ২ থেকে ৩ মাস ধরে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ সালে দেশে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা করা।


আরও খবর