Logo
আজঃ রবিবার ১১ জুন ২০২৩
শিরোনাম

ডিবি পুলিশের টাকা নিয়ে উধাও মাদকসেবী যুবলীগ নেতা মেম্বার সহিদুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ জুন ২০২৩ | ১২০জন দেখেছেন

Image
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি; রাজশাহীর তানোরে গাজা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গাজা দেওয়ার নাম করে  ডিবি পুলিশের নিকট থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন কলমা ইউপির মেম্বার যুবলীগ নেতা সহিদুল ইসলাম বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত ২৬ নভেম্বর সোমবার বিকেলের দিকে উপজেলার কলমা ইউপি এলাকার দরগাডাঙ্গা বাজারে ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি। মুহুর্তের মধ্যে এখবর ছড়িয়ে পড়লে টক অব দ্যা কলমায় পরিনত হয়েছে। অবশ্য সোমবার রাত থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন মেম্বার যুবলীগ নেতা সহিদুল ও ঈদুল নামের আরেক ব্যক্তি। ফলে একজন জনপ্রতিনিধিরর এমন কান্ডে চরম বিব্রত ওয়ার্ড বাসী। সেই সাথে মেম্বারের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন ইউপি বাসী। 

এদিকে মেম্বারকে বাছাতে মরিয়া তার দুলাভাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এমনকি রাব্বানীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশ উপজেলার কলমা ইউপির এক গাজা ব্যবসায়ী কে ধরতে কৌশল অবলম্বন করেন। গত মাসের ২৬ নভেম্বর সোমবার দরগাডাঙ্গা বাজারে  কৌশলে ওই ডিবি পুলিশের কাছ থেকে কলমা ইউপির ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য যুবলীগ নেতা সহিদুল ও তার সহযোগী ঈদুল ১৪ কেজি গাজা দেওয়া ও আসামী ধরিয়ে দেওয়ার নামে ৪০ হাজার টাকা বায়না হিসেবে নেই। সহিদুল ওই পুলিশকে দরগাডাংগা বাজারে রেখে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।

স্থানীয়রা জানান, সহিদুল এক মাদক সেবী। সে জনপ্রতিনিধি। আবার যুবলীগ নেতা। পুলিশের কাছ থেকে গাজা দিয়ে ব্যবসায়ীকে ধরে দিবে বলে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। তিনি পুলিশের টাকাকেও সাধারন পাবলিকের টাকা মনে করেছে। আসলে তার তো কোন চরিত্র নেই। তার মত ব্যক্তিকে কিভাবে ভোট দিল ভেবে পায়না। আজ হোক কাল হোক  আটক হতেই হবে। কারন সে পুলিশের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। তাকে আটক করে প্রচুর শাস্তি দেওয়া দরকার। আবার কিছু নেতা আশ্রয় দিতে মরিয়া। মেম্বার সহিদুল ও ঈদুলকে ধরতে অভিযান চলছে বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জেলা ডিবি পুলিশের (ওসি) জানান, তাদের নামে মামলা হয়েছে, তারা পলাতক, গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।


আরও খবর



শাকিব এক বিশাল নাম, বললেন কলকাতার নায়িকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে ‘অন্তরাত্মা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। এরপর আদর আজাদের সঙ্গেও একটি ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে শাকিবের বিপরীতে আরেক সিনেমায় অভিনয় করছেন দর্শনা। সম্প্রতি শাকিবকে নিয়ে তার প্রশংসা করায় এ গুঞ্জনে আরও হাওয়া বইছে।

কলকাতার জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়েলিটি শো ‘দিদি নম্বর ১’ প্রতিযোগিতায় সম্প্রতি অংশ নিয়েছিলেন দর্শনা বণিক। সেই অনুষ্ঠানেই বাংলাদেশের কাজের পরিবেশ, শাকিবের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন অভিনেত্রী।

ইদানীং কি টালিগঞ্জের থেকে ঢাকার চলচ্চিত্রে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে দর্শনা বলেন, ‘এখানেও অনেক কাজ করছি। টালিগঞ্জের কাজের জন্যই তো বাইরে বিভিন্ন কাজের সুযোগ আসছে। দুই বাংলাই আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।

শাকিব খানের বিপরীতে কাজের অভিজ্ঞতো কেমন ছিল, জানতে চাইলে কলকাতার এ অভিনেত্রী বলেন, ‘খুবই ভালো অভিজ্ঞতা। শাকিব ওখানে এক বিশাল নাম। তবে সেটে তেমনটা কখনো মনে হয়নি।

তবে নতুন কাজের প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি দর্শনা। এখন কলকাতাতেই রয়েছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই নাকি বাংলাদেশে আসছেন শাকিব-আদরের নায়িকা।


আরও খবর



সুইডেনের বিষয়ে এরদোয়ানের সঙ্গে ন্যাটো প্রধানের বৈঠক

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :ন্যাটোয় সুইডেনকে নেওয়া নিয়ে নতুন করে তুরস্কের পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ।

গত শনিবার (৩ জুন) তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন রেসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ উপলক্ষে একাধিক পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আঙ্কারা গেছিলেন। সেখানে ছিলেন ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গও। গতকাল রোববার (৪ জুন) এরদোয়ান ও তুরস্কের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে বৈঠক করেন ন্যাটোর প্রধান।

ন্যাটো সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও এ দিন মূলত একটি বিষয়ের ওপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন স্টলটেনবার্গ। এরদোয়ানের কাছে তার অনুরোধ, সুইডেনকে ন্যাটোয় ঢোকানোর বিষয়ে তুরস্ক আরেকটু নমনীয় হোক। তুরস্কের আপত্তির কারণেই সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া যাচ্ছে না।

বৈঠকের পর এরদোয়ান কোনো মন্তব্য না করলেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিষয়টি নিয়ে তুরস্ক অভিমত পরিবর্তন করতেও পারে।

এ দিনের বৈঠকে এরদোয়ান বলেন, সুইডেনের একটি অংশ কুর্দ যোদ্ধাদের সমর্থন করে। এর অর্থ তারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে। এই কারণেই সুইডেনের ন্যাটোয় যোগদান তুরস্ক মেনে নেবে না।

স্টলটেনবার্গ বলেন, গত কয়েক মাসে সুইডেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সন্ত্রাসবাদের সমর্থকদের জন্য নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে। ফলে তুরস্ক এবার তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।

সুইডেন ও ফিনল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় রাজনীতিতে সমদূরত্বের নীতি নিয়ে চলছিল। কিন্তু, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা পুরোনো নীতি থেকে সরে আসে এবং ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। ফিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে সমস্যা না হলেও সুইডেনকে নিয়ে আপত্তি জানায় তুরস্ক।

স্টলটেনবার্গ বলেন, সুইডেন ন্যাটোয় যোগ দিলে সুইডেনের যেমন সুবিধা হবে, তেমন তুরস্কেরও সুবিধা হবে। সামগ্রিকভাবে ন্যাটো আরও শক্তিশালী হবে।


আরও খবর



অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ই-পাসপোর্ট চালু

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ জুন ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক:অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে চালু করা হ‌লো ই-পাসপোর্ট। আজ সকালে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার।

হাইকমিশনার সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন ও ভালো কাজের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর হাতের ছাপ আছে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ই-পাসপোর্টে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের পাসপোর্টকে পৃথিবীর প্রথম সারির পাসপোর্টের মানে উন্নীত করায় প্রধনমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হাইক‌মিশনারা।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলো আরো সহজ ও নিরাপদ করা হয়েছে ।

তিনি জানান, ইতোম‌ধ্যে আরও ২৩টি মিশনে ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে এবং ২৩টি মিশনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আবু তাহের মল্লিক বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে আমরা উদ্বেলিত হই। ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের বহির্প্রকাশ। তিনি সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি, ই-পাসপোর্ট চালু উপলক্ষ্যে সফররত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

পূ‌র্বে হাইকমিশনে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চালু ছিল। ই-পাসপোর্ট আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য শিগগিরই বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



দুদকের মামলায় জামিন পেলেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন এ জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন হুমায়ুন খাদেম। প্যারালাইসজনিত অসুস্থতার জন্য তাকে স্ট্রেচারে করে বাসা থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। তারপক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী শফিকুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর রফিকুল ইসলাম জুয়েল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আগামী ৪ জুন পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর গুলশান এলাকার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি আটজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার।

মামলার অপর আসামিরা হলেন রাজউকের সাবেক পরিচালক আব্দুর রহমান ভূঞা (এ আর ভুঞা), প্লট বরাদ্দ পাওয়া আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান, সহিউজ্জামানের স্ত্রী কামরুন নেছা, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিয়ার রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান মডেল টাউনের ৮৩ নম্বর রোডে ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশের প্লটটির মালিক ছিল প্রিন্স করিম আগা খানের মালিকানাধীন পিপলস জুট মিল। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট আদেশে সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় এর মালিক হয় সরকার। ১৯৯২ সালে এখানে নতুন চারটি প্লট করা হয়, যেগুলোর হোল্ডিং নম্বর ২৮, ২৮(এ), ২৮(বি) ও ২৮(সি)। প্লটগুলো অবৈধভাবে আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান মোশাররফ হোসেন, জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমান প্লটের দখলে রয়েছেন। অপর দুটি হাতবদল হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে রাজউক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে পরবর্তীতে গুলশান মডেল টাউনের অধীনে ইমারত নির্মাণ করা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সেলিনা আখতার।  ওই বছরের ১০ মে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। হুমায়ুন খাদেম ও আমির হোসেন দেওয়ান পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।


আরও খবর



সেই টাইটানিক, যা আগে দেখেনি কেউ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত জাহাজ দুর্ঘটনায় টাইটানিক নামের যে বিলাসবহুল জাহাজটি সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল এই প্রথম তার একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া গেছে। এসব ছবি আটলান্টিকের তিন হাজার ৮০০ মিটার (১২ হাজার ৫০০ ফুট) নিচে ডুবে থাকা জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের প্রথম ডিজিটাল স্ক্যান যা ‘গভীর সমুদ্র ম্যাপিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

এর ফলে পুরো টাইটানিকের ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা! এই তিন মাত্রার দৃশ্য পাওয়া যাচ্ছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। ছবিগুলো দেখলে মনে হয় আটলান্টিক থেকে সব পানি সরিয়ে যেন সমুদ্রের তলদেশে পরিত্যক্ত বিশাল আকারের এই জাহাজটির দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।

ছবিতে টাইটানিকের খুঁটিনাটি জিনিসও দেখা যাচ্ছে

আশা করা হচ্ছে, ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিতে কী ঘটেছিল এসব দৃশ্য থেকে সে সম্পর্কে নতুন কিছু জানা যাবে। জাহাজটি তার উদ্বোধনী যাত্রায় সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকৃতির বরফ বা আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর ডুবে গিয়েছিল। এ দুর্ঘটনায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। টাইটানিক যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে যাত্রা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাচ্ছিল।

টাইটানিক বিশেষজ্ঞ পার্কস স্টিফেনসন বলেন, ‘জাহাজটির বিষয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন আছে, মৌলিক কিছু প্রশ্ন। যেসবের উত্তর জানা প্রয়োজন। টাইটানিকের বিষয়ে জল্পনা-কল্পনার ওপর ভিত্তি করে কোনো গবেষণা নয়, বরং তথ্যপ্রমাণ ভিত্তিক গবেষণাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই মডেল বড় ধরনের প্রথম কোনো পদক্ষেপ।’

শতাধিক বছর ধরে পানির নিচে পড়ে থাকার পরেও টাইটানিকের সামনের অংশ দেখলেই চেনা যায়

সমুদ্রের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৮৫ সালে। এরপর থেকে জাহাজটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। কিন্তু এটি এতো বিশাল ও সমুদ্রের গভীরে এতো অন্ধকার যে ক্যামেরা দিয়ে এতদিন এর যেসব ছবি তোলা হয়েছে সেগুলোর সবই ছিল এই ক্ষয়িষ্ণু জাহাজের কিছু অংশের ছবি বা স্ন্যাপশট। তবে কখনোই ডুবে যাওয়া পুরো জাহাজের ছবি পাওয়া যায়নি। এখন এই নতুন অনুসন্ধানে সমগ্র টাইটানিকের ছবি পাওয়া গেল।

সমুদ্রের তলায় যেভাবে পড়ে আছে

দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রের তলায় জাহাজটি দুটো অংশে ভাগ হয়ে পড়ে আছে। জাহাজের অগ্রভাগ যেখান থেকে বাঁকা হতে শুরু করে ওই অংশ এবং জাহাজের পশ্চাদভাগ। এই দুটো অংশের মধ্যে দূরত্ব ৮০০ মিটার (দুই হাজার ৬০০ ফুট)। ভেঙে যাওয়া জাহাজটির আশপাশে প্রচুর ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।

২০২২ সালের গ্রীষ্মকালে ম্যাগেলান লিমিটেড নামে একটি ডিপ-সি ম্যাপিং কোম্পানি এবং আটলান্টিক প্রোডাকশন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান যারা এ বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছে তারা যৌথভাবে এসব ছবি তুলেছে।

নিমজ্জনযোগ্য একটি বিশেষ জাহাজে করে একদল কর্মী এই জরিপ পরিচালনা করেছে যা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মিলিয়ে পুরো টাইটানিকে ছবি তুলতে তারা ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেছে।

নিমজ্জিত জাহাজের প্রত্যেকটি কোণ থেকে তারা সাত লাখেরও বেশি ছবি তুলেছে যেগুলোর সাহায্যে পুরো টাইটানিকের একটি ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি ছবি তৈরি করা হয়েছে।

জাহাজের পেছনের অংশ

এই অভিযানের পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ম্যাগেলান লিমিটেডের গেরহার্ড সেফার্ট। তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত পানির নিচে ছবি তোলার যতো প্রকল্প তিনি পরিচালনা করেছেন তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়।

তিনি আরও বলেন, ‘গভীরতা প্রায় চার হাজার মিটার। আমাদের সামনে ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে সেখানে পানির স্রোতও আছে। আমাদের কোনো কিছু স্পর্শ করার অনুমতি ছিল না, যাতে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের আরও ক্ষতি না হয়। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আপনাকে প্রত্যেক বর্গসেন্টিমিটারের ম্যাপিং করতে হবে। এমনকি জাহাজের যেসব অংশ আগ্রহ-উদ্দীপক নয় সেগুলোরও। যেমন যেখানে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে সেখানকার মাটির ছবি। কারণ জাহাজের বিভিন্ন অংশকে জোড়া দেওয়ার জন্য এগুলোও ছবি প্রয়োজন।

টাইটানিকের যা কিছু দেখা যাচ্ছে

ছবিতে টাইটানিকের বিশালত্বের পাশাপাশি এই জাহাজের একটি প্রপেলারের সিরিয়াল নম্বরের মতো ছোটখাটো বিষয়ও ধরা পড়েছে। জাহাজটির সম্মুখভাগে মরিচা ধরে ঢাকা পড়ে গেছে। তার পরেও শতাধিক বছর আগে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিকে চেনা যায়। এর ওপরেই রয়েছে জাহাজের ডেক যেখানে একটি গর্ত রয়েছে। সেখান থেকে একটা শূন্যতা দেখতে পাওয়া যায় যেখানে একসময় ছিল জাহাজের বিশাল সিঁড়ি।

আর জাহাজের পশ্চাদভাগে বিভিন্ন ধাতব পদার্থের জঞ্জাল। জাহাজের এই অংশটি সমুদ্রের তলদেশে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়ে। টাইটানিকের আশপাশে বিভিন্ন জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। এসবের মধ্যে রয়েছে জাহাজ থেকে খসে পড়া অলঙ্কৃত ধাতব বস্তু, মূর্তি এবং মুখ খোলা হয়নি এরকম শ্যাম্পেনের বোতল। সেখানে ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও রয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, সমুদ্রের তলানির ওপর অসংখ্য জুতা পড়ে আছে।

পার্কস স্টিফেনসন, যিনি বহুবছর ধরে টাইটানিকের ওপর গবেষণা করছেন। তিনি বলছেন, ‘এসব ছবি প্রথমবার দেখে তিনি ‘বিস্মিত’ হয়েছিলেন। আপনি জাহাজের এমন ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাচ্ছেন যা কখনও দেখা সম্ভব হয়নি। এবং আপনি ডুবন্ত পুরো জাহাজটিকে দেখতে পাচ্ছেন। আশপাশের পরিবেশসহ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি এটাকে দেখতে পাচ্ছেন। আপনি যা দেখতে পাচ্ছেন এটাই এখন এই জাহাজের সত্যিকারের অবস্থা।

তিনি বলেন, ‘এসব ছবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলে ১৯১২ সালের ওই ভয়াবহ রাত্রিতে টাইটানিকের ক্ষেত্রে মূলতই কী ঘটেছিল ওই বিষয়ে নতুন কিছু ধারণা পাওয়া যেতে পারে। আইসবার্গের সঙ্গে কেমন করে সংঘর্ষ হয়েছিল ওই বিষয়ে মূলত আমাদের ধারণা নেই। আমরা এও জানি না, সিনেমাতে যেমন দেখানো হয়েছে সেরকম করে জাহাজের সামনের একপাশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল কী না। জাহাজের পেছনের অংশ গবেষণা করলে টাইটানিক কিভাবে সমুদ্রের তলদেশে আঘাত হেনেছিল সে বিষয়েও ধারণা পাওয়া যেতে পারে।’

সমুদ্রের তলায় পড়ে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, পেছনের অংশ

সমুদ্রের পানিতে ডুবে যাওয়া জাহাজের ক্ষয় অব্যাহত রয়েছে। পানিতে থাকা অণুজীব বা জীবাণু ক্রমশই এটিকে খেয়ে ফেলছে। এ ছাড়া এর বিভিন্ন অংশ ক্রমশই আলাদা হয়ে খসে পড়ছে।

সমুদ্রে এ রকম একটি দুর্ঘটনার কারণ বুঝতে সময় যে ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে ইতিহাসবিদরা এ বিষয়েও সচেতন। কিন্তু এখন যেসব ছবি পাওয়া গেল, সেখান থেকে জাহাজের খুঁটিনাটি বিষয়ও বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। আশা করা হচ্ছে যে এখন হয়তো টাইটানিকের আরও অনেক গোপন বিষয় বের হয়ে আসবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা


আরও খবর