Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ডিবি অফিস থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান তিশা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অভিনেত্রী তানজিন তিশা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তিনি ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছান। তবে সেখান থেকে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান।

এ সময় ডিবি অফিসে আসার কারণ সম্পর্কে অভিনেত্রী তানজিন তিশা বলেন, আমার মনে হয় ডিবি অফিস একটা আস্থার জায়গা। আমরা যখন বিপদে পড়ি, বিশেষত আমাদের অনেক তারকাই সাইবার বুলিং এবং হেরেজমেন্টের শিকার হয়ে এখানে আসেন। হারুন স্যারের হেল্প নিতে আসে, আমিও তার ব্যতিক্রম নই।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি লাস্ট কিছুদিন ধরে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি, আমি স্ট্যাটাস দিয়ে যদি কিছু ক্লিয়ার করতে চাই সেখানেও হেরেজম্যান্টের শিকার হচ্ছি। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে হারুন স্যারের কাছে আসলে বা ডিবি অফিসে আসলে আমি তাদের একটা হেল্প পাব।

এসময় সাংবাদিককে ‘উড়িয়ে দেওয়া’ প্রসঙ্গে তানজিন তিশা বলেন, একজন স্পেসেফিক সাংবাদিককে আমি একটা কথা বলেছি। সবাইকে বলিনি।

তিনি দাবি করেন, ওই সাংবাদিক তাকে এমন টেক্সট করেছেন যা সাংবাদিকতার নীতিবিরোধী। তখন উপস্থিত সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে তিনি তর্কে জড়িয়ে যান।

এদিকে ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট ডিলিট করার কারণ সম্পর্কে তিশা বলেন, আমি যেটা নিয়ে লিখেছিলাম সেটা নিয়েও অনেক বুলিং হচ্ছিল। তখন আমার কাছে মনে হযেছে এই একট স্ট্যাটাসই আসরে এনাফ না।

এদিন বিকেল রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিশা।

সম্প্রতি অভিনেত্রী তিশার আত্মহত্যার চেষ্টা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সময় গুঞ্জন উঠে, অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জটিলতা থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এ অভিনেত্রী। পরে অবশ্য এ কথা অস্বীকার করেন তিনি।


আরও খবর



পবিত্র শবে কদর আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পবিত্র লাইলাতুল শবে কদর আজ ।শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সারাদেশে শবে কদর পালিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনি পালন করবেন।

মহান আল্লাহ লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র রাতটিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল শুরু হয়েছিল। এরপর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নবুওয়াতের ২৩ বছর ধরে কোরআন নাজিল সম্পন্ন হয়। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ-মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনি কাটাবেন।

লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটি থাকবে।


আরও খবর



মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃচলতি মৌসুমে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুরের জনপদ। এমন অবস্থায় খরার কবলে পড়েছে বোরো ধানের আবাদ। সেচ দিতে দিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের জমি।

একদিকে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে আবার মাটি শুকনা থাকায় দ্রুত শুষে নিচ্ছে পানি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্পুরক সেচ দিয়ে বোরো ধান টিকিয়ে রাখার পরামর্শ কৃষি বিভাগের। তবে এতে চাষ খরচ বেড়ে যাচ্ছে দিগুন থেকে তিনগুণ। অনেকেই ধান ক্ষেত পরিপক্ক হবার আগেই কেটে ফেলছেন।

কৃষি বিভাগের হিসেবে মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে। তবে চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর। বর্তমানে ধানে থোড় থেকে শীষে রুপ নিয়েছে। আবার অনেক এলাকায় ধানক্ষেত অর্ধ পরিপক্ক। এমন এক সময় খরার কবলে পড়েছে বোরো আবাদ। তীব্র তাপদাহে ধানের জমির মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।

কৃষকরা জানান, জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দেওয়া লাগছে। এদিকে অতি তাপদাহের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শ্যালো ম্যাশিনে পানি উঠছে কম। ফলে সময় বেশি লাগায় এক লিটার ডিজেলের পরিবর্তে কোন কোন জমিতে প্রতিদিন দুই লিটার করে ডিজেল খরচ হচ্ছে। এতে বোরো ধান চাষের উৎপাদন খরচ বেড়ে হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। ফলে এবার বোরো চাষে লোকসানের আশঙ্কা করছে চাষীরা। তাই ক্ষেতের ধান পরিপক্ক হবার আগেই অনেকেই কেটে ধানক্ষেত কেটে ফেরছেন।

সহড়াবাড়িয়া গ্রামের ধানচাষি গোলাম কিবরিয়া জানান, প্রচ- খরায় একদিকে যেমন ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে দেখা দিয়েছে পোঁকার আক্রমন। বালাইনাশক ব্যবহারেও কোন কাজ হচ্ছে না। মাস খানেক আগে যে জমিতে সপ্তাহে দুদিন সেচ দিতে হতো, সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়ছে অনেক গুন। চাষীদের দাবী লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেনো মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬শ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।

বালিয়াঘাট গ্রামের চাষি নাহারুল জানান, রোদে ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়ে টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। কাচা ধান কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখিন।

গাংনীর জুগির গোফা গ্রামের কৃষক আবুল হাসেম জানান, ধান আবাদ করে এবার লোকসান গুনতে হবে। সেচের পানিতে এবার উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরোপুরি ধান পাকতে আরো ১৫/২০ দিন সময় লাগবে। প্রতিদিন পানি দেয়া সম্ভব না তাই অপরিপক্ক ধান কেটে নিচ্ছেন তিনি। একই কথা জানালেন বাথানপাড়ার আব্দুল মান্নান। তার আড়াই বিঘা জমির ধান বাধ্য হয়ে কেটে ফেলেছেন।

সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের চাষী আলামিন জানান, খরাতে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের শীষ পাশাপাশি বেড়েছে পোকার আক্রমন। বিষ দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছেনা। যে জমিতে সপ্তাহে তিনদিন সেচ দিয়েই চলতো সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে এবার। চাষীদের দাবী লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেনো মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬শ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, এবার দীর্ঘদিন খরার চলছে। ফলে জমির মাঝে মাঝে কিছু শীষ মরে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জমিতে সেচ দিয়ে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি জমিয়ে রাখার এবং পোকামাকড় দমনে কীটানাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



মাগুরার শালিখায় এক দারোগা পত্নীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার শালিখায় রুনা খাতুন (৩৬) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নতুন বাজার রোড এলাকার কাজী গোলাম মোস্তফা টুকুর মেয়ে। তার স্বামী সাইফুল ইসলাম মাগুরা সদর থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন।

শনিবার সকালে শালিখা থানা পুলিশ ভাড়াবাড়ির শয়ন কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত রুনার লাশ উদ্ধার করে। লাশের  সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে রুনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত প্যাথেডিন নেওয়ার অসংখ্য চিহ্ন দেখতে পেলেও মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

নিহত রুনা খাতুনের স্বামী এসআই সাইফুল এবং তার সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যা বলে জানালেও সন্তানদের কেউ মাকে হত্যা করতে পারে বলে দাবি করেছেন নিহত রুনার ভাই-বোন সহ বাবার বাড়ির লোকেরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর থানায় কর্মরত এসআই সাইফুল ইসলাম শালিখা উপজেলার গোপালগ্রামে প্রবাসী তাহের উদ্দিনের দ্বিতল বাসায় স্ত্রী রুনা এবং দুই সন্তান রাতুল (২০), মহম্মদ আলি (১৫) ও রাতুলের স্ত্রী হৃদরি (১৮) কে নিয়ে বসবাস করতেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে তিনি মাগুরা সদর থানা এলাকায় ডিউটিরত ছিলেন। এ অবস্থায় শনিবার ভোর ৫টার দিকে বড় ছেলে রাতুল থানায় খবর দেয় তার মা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে শালিখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় ঘরের মধ্যে লাশের অবস্থা এবং পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা থাকায় নিহতের ছেলে রাতুল, মহম্মদ আলি এবং রাতুলের স্ত্রী হৃদরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে স্বামী এসআই সাইফুলের সাথে বারবার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে রুনার বড় বোন সারমিন সুলাতানা সীমা জানান, সপ্তাহ খানেক আগে বোন বাবার বাড়ি থেকে কোটি টাকার জমি বিক্রি করেছে। এর আগেও ৫-৭ কোটি টাকার জমি বিক্রি করে ছেলেদের দিয়েছে। তারপরও বোনকে তারা মেরে ফেলেছে।নিহতের ভাই কাজী মেহেদি হাসান বলেন, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়েই গোপালগঞ্জ থেকে এসেছি। এর আগে অনেকদিনই এদের কারো সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই। বোনের ছেলেরা মাদকাসক্ত। টাকা পয়সা ছাড়াও নানা কারণে ছেলেরা মায়ের উপর অত্যাচার করতো। এসব বিষয়ে বোন জামাই সাইফুলকে জানানো হলেও তিনি আমলে নেননি। শেষ পর্যন্ত তারা পরিকল্পিতভাবে বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে রাতের বেলা মিজানুর রহমান নামে এক প্রতিবেশি ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে নারী কণ্ঠের চিৎকার শুনতে পেলেও সেখানে গিয়ে বাড়ির গেট বন্ধ দেখেন এবং কারো কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ফিরে আসেন বলে জানান তিনি।

পুলিশ পরিবারের সদস্য গৃহবধূ রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, নিহতের স্বামী এবং সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানালেও লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তে জানা যাবে। 


আরও খবর



জলঢাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সংবাদকর্মী লাঞ্ছিতের শিকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৩৭জন দেখেছেন

Image
জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার  ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে স্বপ্ন প্রকল্পের মাটিকাটা কাজের লটারিকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যকে মারপিটের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সংবাদকর্মী লাঞ্ছিতের শিকার হয়েছে।এ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত দ্বি-মূখি উচ্চ বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, ঘটনারদিন দুপুরে ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে সুবিধাভোগী মহিলাদের কর্ম নিয়োগে যাচাই-বাছাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। তা না করে এই প্রক্রিয়াটি বাজার সংলগ্ন হাইস্কুলের গেট বন্ধ করে (তালা লাগিয়ে) লটারী করতে গেলে নির্ধারণ ইউনিয়ন পরিষদে লটারি না করায় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুলকে বাধা দেন একই পরিষদের ৬নং ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। 

এতে ক্ষিপ্ত হন চেয়ারম্যান। চৌকিদারদের পিটুনীতে আহত হন ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর। 
এখবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। 
খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ছুটে গেলে সেখানে ২ঘণ্টা বন্ধ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সংবাদ কর্মীদের।দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বন্ধ গেট খুলতে বলায় দৈনিক মুক্ত বাংলার জলঢাকা প্রতিনিধি আল আমিন নামে এক সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিত করেন চেয়ারম্যান সমর্থকরা। এ ঘটনায় ওই সংবাদ কর্মী আহত হলে প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় প্রদীপ বানিয়াকে ১নং বিবাদী করে অজ্ঞাত ১৫ জনের নামে জলঢাকা থানায় অভিযোগ করা হয়।এ ঘটনায় লাঞ্ছিত ও আহত সংবাদকর্মী ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানায়, 
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চেয়ারম্যান সমর্থকরা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। 
এ বিষয়ে ওসি মুক্তারুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



ঈদে প্রকাশিত হয়েছে হাসান মুহতারিমের ‘অকুল দরিয়া’

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:এবার ঈদে প্রকাশিত হয়েছে হাসান মুহতারিমের কথা, সুর ও কণ্ঠে ‘অকুল দরিয়া’ শিরোনামে ফোক ঘরাণার একটি গান। গানের কথা ও সুর লেখার পাশাপাশি গানটির গল্পও তিনি লিখেছেন।

হাসান মুহতারিম পেশায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন।

হাসান মুহতারিম জানান, আমি এই প্রথম কোনো ফোক ঘরানার গান গাইলাম নিজের লেখা ও সুরে। স্রোতারা মূলত আমাকে বরাবরই রক ঘরানার গানে পেয়ে থাকে, এবারই প্রথম ফোক গানে আমাকে পাবে। আমি ব্যাপারটা নিয়ে খুবই এক্সাইটেড। আমি বরাবরই গানপাগল মানুষ। আমি আমার প্রতিটি গানই খুব যত্ন নিয়ে করি। এ গানটাতেও যত্নের কোনো কমতি ছিল না। এমএমপি রনি খুব সুন্দর সংগীতায়োজন করেছেন।

তিনি জানান, বেশ কিছুদিন আগেও আমার ‘কুয়াশা’ শিরোনামের একটি গান রিলিজ পেয়েছিল। মানুষ গানটি বেশ সাদরে গ্রহণ করেছিল। গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় কুয়াশা-২ এর গান অলরেডি তৈরি করেছি। আমরা এখন ভিডিও তৈরি নিয়ে প্রিপ্রোডাকশন করছি। এটাও হয়তো কিছুদিন পর রিলিজ করব।

গানটিতে ক্যামেরায় ছিলেন ইয়াসিন বিন আরিয়ান এবং সম্পাদনায় ছিলেন এস এম তুসার। কলাকুশলীরা অনেক কষ্ট করেছেন ভিডিওটি নির্মাণ করতে।

গানটির মিউজিক অ্যারেঞ্জার এম এমপি রনি বলেন, হাসান মুহতারিম ভাইয়ার সঙ্গে এর আগেও অনেক কাজ হয়েছে। উনার সুরে মিউজিক অ্যারেজ্ঞ করতে বরাবরই খুব ভালো লাগে। কিন্তু এ গানটি গতানুগতিক ধারার বাইরের গান। হাসান মোহতারিম ভাইয়ার সুরে এই গানটিতে মিউজিক অ্যারেজ্ঞ করে আমি খুবি আনন্দ পেয়েছি।

উল্লেখ্য, হাসান মুহতারিমের প্রকাশিত অন্য গানগুলো হলো- কুয়াশা, গাঙচিল, দেয়াল, অসুস্থ শহর। এসব গান ইতোমধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়েও হাসান মুহতারিমের সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

আরও খবর