Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

ধানের দাম বেশী থাকায় বোরো ধান চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৪৬৮জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলীতে বোরো ধান চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। ধানের দাম বেশী থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশী বোরো চাষ করছেন তারা। উপজেলা কৃষি বিভাগ বোরো আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করতে দুই হাজার ৯’শ কৃষককে উ”চ ফলনশীল ধানের বীজ সরবরাহ করছে। এতে বোরো চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

জানাগেছে, গত বছর আমতলীতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়ছিল দুই হাজার ৫’শ হেক্টর। এ বছর লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ১’শ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৬’শ হেক্টর জমিতে বেশী চাষ হয়েছে।  বোরো ধান চাষের উপযুক্ত সময় মধ্য কার্তিক থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। উচ্চ ফলনশীল জাতের বিরি-২৮, বিরি-২৯,বিরি-৪৭ ও বিরি-৫৮ ধান চাষ করছে কৃষকরা। বীজতলা থেকে শুরু করে পাঁচ মাসের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফলন আসে। আমতলীর কৃষকরা এখন বোরো চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এদিকে বোরো ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে উপজেলা কৃষি বিভাগ দুই হাজার ৯’শ জন কৃষককে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের বীজ সরবরাহ করেছে।এতে কৃষকরা বোরো ধান চাষে আরো বেশী ঝুঁকে পড়েছেন। অপরদিকে তালতলী উপজেলার গত বছর দুই হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছিল । এ বছর চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার হেক্টর। বোরো ধান চাষে উৎসাহী করতে দুই হাজার দুই’শ কৃষককে সার ও বীজ দেয়া হয়েছে বলে জানান তালতলী উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান। গত বছরের তুলনায় তালতলীতে এ বছর এক হাজার হেক্টর জমিতে বেশী বোরো ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। 

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার গুলিশাখালী, আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী সদর ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা বোরো চাষ করছে। কৃষকরা জমি চাষ, সেচ, বোরো ধানের চারা উত্তোলন ও বপন কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। 

চাওড়া কাউনিয়া গ্রামের রিপন ও আল আমিন বলেন, ধানের দাম ভালো তাই বোরো চাষ করছি।

আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন,  এ বছর ধানের দাম ভালো। তাই কৃষক বোরো ধান চাষে ঝুঁকছে। গত বছর দুই এক একর জমিতে বোরো চাষ করেছিলাম এ বছর তিন একর জমিতে বোরো চাষ করেছি।

আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের আফজাল শরীফ বলেন, গত বছর এক একর জমিতে বোরো চাষ করেছিলাম কিš‘ দাম ভালো পাইনি। এ বছর ধানের দাম ভালো তাই ৬ একর জমিতে বোরো চাষ করেছি। 

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। গত বছর বোরো চাষের লক্ষমাত্রা ছিল দুই হাজার ৫’শ হেক্টর। এ বছর গত বছরের তুলনায় ৬’শ হেক্টর জমিতে কৃষকরা বোরো আবাদ করছে। তিনি আরও বলেন, এ বছর দুই হাজার ৯’শ কৃষককে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের বীজ সরকরাহ করেছি। সরকার দক্ষিনাঞ্চলে বোরো ধান চাষে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ওই অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে  উপজেলা কৃষি বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে।





আরও খবর



আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আফতাব নগরের কুরবানির পশুর হাটের ইজারা নিয়ে চলছে নানান নাটকিয়তা। এছাড়াও রয়েছে অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ। গত কয়েক বছর ধরেই সিটি কর্পোরেশনের কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ও প্রভাব খাটিয়ে হাট বাগিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া আফতাব নগরের গরুর হাটের টেন্ডার দেওয়ার কিছুদিন আগ থেকেই সম্পত্তি বিভাগের সামনে এবং আঞ্চলিক অফিসে প্রতিদিন ক্ষমতা দেখিয়ে ‘মহড়া’দেয় মেহেদীর ক্যাডারবাহিনী বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে যাদের ক্যাডারবাহিনী নেই সেসব ইজারা প্রার্থীর পক্ষে নির্বিঘ্নে দরপত্র জমা দেয়া সম্ভব হয় না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গরুর হাটগুলো ইজারার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদের আয়ত্বে রাখতে সব সময়ই নেওয়া হয় নানা কৌশল। ঘুরে ফিরে একই সিন্ডিকেটের সদস্যরা পশুরহাটের ইজারা পাচ্ছেন। কারণ একই ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন নামে-বেনামে নামমাত্র মূল্য দিয়ে দরপত্র জমা দিয়ে থাকেন। যে কারণে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত দামে ইজারা পেতে সহজ হয়ে যায়। এতে প্রতি বছর সিটি কর্পোরেশন কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারায়।

এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা-২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুর হাট বসাতে দেওয়া পৃথক ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৮মে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ দেন।

গত ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার সই করা এক ইজারা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই থেকে এইচ পর্যন্ত এবং সেকশন ১ ও ২–এর খালি জায়গাসহ ১১টি স্থানে অস্থায়ীভাবে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য ইজারা আহ্বান করা হয়। ঈদুল আজহার দিনসহ পাঁচ দিন হাট বসার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জানা গেছে, গত বছর সিটি কর্পোরেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীনদের সিন্ডিকেটের কারণে রাজধানী ঢাকার অস্থায়ী ২৬টি কুরবানি পশুর হাট থেকে শত কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে ডিএনসিসি-ডিএসসিসি। হাটগুলো থেকে কমপক্ষে ১৫০ কোটি টাকা হাসিল উত্তোলন করেছে ইজারাদাররা। অথচ হাটগুলোর ইজারা থেকে পেয়েছে মাত্র সাড়ে ১৭ কোটি টাকা। এছাড়াও হাট নিয়ে রয়েছে দুই সিটির মধ্যে টানাপড়েন। আফতাব নগরে অস্থায়ী পশুর হাটও রয়েছে।

দুই সিটি কর্পোরেশনের দাবি- হাটের এলাকা তাদের সীমানায় পড়েছে। মূলত জায়গাটি দুই সিটি কর্পোরেশনের সীমান্ত এলাকায় পড়েছে। সামনের জায়গা ডিএনসিসির এবং পেছনের জায়গা ডিএসসিসির।

এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো.মাহে আলম বলেন, সীমানা নির্ধারণী গেজেট অনুযায়ী যেখানে আফতাব নগর হাট বসানো হয়, তার বেশির ভাগ অংশ ডিএসসিসির আওতাভুক্ত। এজন্য আমরা এবার ডিএনসিসিকে ওই স্থানে হাট ইজারা না দেয়ার অনুরোধ করেছি।ডিএনসিসি যদি আমাদের অনুরোধ না শোনে তাহলে ওই এলাকার দুটি হাট ব্যবস্থাপনা কঠিন হবে। 

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহে আলম বলেন, আফতাব নগর হাট বহু বছর ধরে ডিএনসিসি ইজারা দিচ্ছে। গত বছর বিশেষ কারণে ডিএনসিসি বরাদ্দ দেয়নি, তবে এবার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১২টি হাটের জন্য প্রথম দফার ইজারা কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলেও দক্ষিণ সিটির ১৪টি হাটের ইজারা নিয়ে এখনো চলছে ইঁদুর-বিড়াল খেলা। এ হাটগুলোর জন্য টেন্ডার আহ্বানের পর থেকেই আগ্রহী প্রার্থীরা চালান কাটা শুরু করলেও তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সিডিউল সংগ্রহ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, দক্ষিণ সিটির ১৪ হাটের জন্য ৩০ এপ্রিল টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে উত্তর সিটির ১২টির অস্থায়ী হাটের টেন্ডার বাক্স খোলা হয়েছে গত ৩০ এপ্রিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, গত তিন বছর ধরেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী হাট ইজারা নিয়ে চলছে অনিয়ম আর দুর্নীতি।

ইজারা মূল্যের চেয়ে সে বছর ওই পশুর হাট থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকা বেশি হাসিল আদায় হয়। ডিএসসিসি গত বছর এ হাটের ইজারামূল্য নির্ধারণ করে মাত্র ১০ লাখ ৩ হাজার টাকা। এবারো হাট ইজারা একই প্রক্রিয়ায় শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। যাতে করে সরকার বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এর কাছে জানতে তার ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।

আরও খবর



ঢাকায় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্লেটন মিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনীত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তি‌নি বর্তমা‌নে বেইজিংয়ে মা‌র্কিন দূতাবা‌সে ডেপুটি চিফ অব মিশনের দায়িত্ব পালন কর‌ছেন।

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম ঘোষণা ক‌রেন।

বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক মিলের মনোনয়ন এরই মধ্যে সি‌নেটে পাঠানো হয়েছে। সিনেটে শুনানির পর মিলকে যোগ্য মনে হলে তবেই মনোনয়ন চূড়ান্ত ক‌রে রাষ্ট্রদূত করে তাকে ঢাকায় পাঠানো হ‌বে। মিল ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হলে বর্তমান রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের স্থলা‌ভি‌ষিক্ত হ‌বেন।

জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক মিল বেইজিংয়ে দা‌য়ি‌ত্ব পাল‌নের আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইকোনমিক ব্যুরোর ট্রেড পলিসি অ্যান্ড নেগোসিয়েশন বিভাগের উপ-সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নীতি ও বাস্তবায়ন বিভাগের পরিচালক ছিলেন তিনি।

মিনিস্টার কাউন্সেলর হিসেবে ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটনের ফরেইন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড স্লেটন মিল।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অসীম জাওয়াদ নামে এক পাইলট চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত কো-পাইলট।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড় ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) পাইলট জাওয়াদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা।

তিনি বলেন, ‘বিমান বাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে এলে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেলা ১২টার দিকে তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অসীম জাওয়াদ নামে একজনের মৃত্যু হয়

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর ওয়াইএকে১৩০ নামক যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় বিমানটির পেছন দিকে আগুন লেগে যায় এবং চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে।


আরও খবর



ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২০০জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:ভোলায় বৃষ্টির জন্য জাতীয় উলামায়ে মশায়েখ আম্মা পরিষদের পক্ষ থেকে সালাতুল ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ভোলা বাংলা স্কুল মাঠে খোলা আকাশের নিচে ইস্তিস্কা(বৃষ্টির জন্য যে নামাজ পড়া হয়) এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়। নামাজে ইমামতি করেন কাবিল মসজিদের খতিব মাওলানা রফিকুল ইসলাম। আগামী শুক্রবার ও শনিবার একই স্থানে সকালে এ নামাজ আদায় করা হবে। তীব্র গরমে সূর্যের তাপ উপেক্ষা করে এ নামাজে মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উওর সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোনতাজী বলেন, আমরা এই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করে এই নামাজ আদায় করেছি।

ওলামা মাসায়েক আয়েম্মা পরিষদ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তাজউদ্দীন ফারুকী বলেন, সারাদেশে যেভাবে প্রচ- গরম পড়তেছে সেজন্য আমরা সকলকে নিয়ে বৃষ্টির জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করেছি যাতে করে আল্লাহ তাআলা আমাদের উপর রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করে।

ওলামা মাসকয়েক পরিষধ ভোলা জেলা উত্তর এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আকতার হোসেন ভুইয়া জানান, সরকারি দপ্তর থেকে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।জনজীবনে দুর্বিষহ অবস্থা এমত অবস্থায় নবীজির সুন্নত অনুসারে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইস্তেস্কার আয়োজন করা হয়েছে। নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়েছে, যেনো এই অবস্থার পরিবর্তন করেন। কয়েক দিনের টানা তাপদাহে পুড়ছে রাজধানীসহ সারাদেশ। আর এই তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, আমরা সালাতুল ইস্তেস্কা নামাজ আদায় করেছি। ইনশাল্লাহ আল্লাহ তালার পক্ষ থেকে ভালো একটি ফয়সালা হবে। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা কওে মোনাজাত করা হয়।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




তানোরে সেচ অরাজকতা ও প্রচন্ড তাপমাত্রায় কমেছে ধানের ফলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে কৃষি ভান্ডার খ্যাত, খরা প্রবন এলাকা রাজশাহীর তানোর উপজেলাটি। এবারে চলতি বোরো মৌসুমে গভীর অগভীর নলকূপের সেচ অরাজকতা এবং প্রচন্ড তাপমাত্রার কারনে বিঘায় ৬ থেকে ৭ মন করে ধানের ফলন কমেছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষকরা। গত মৌসুমে বিঘায় যদি ২৬ মন ফলন হয়েছে,  এবার কমে প্রকার ভেদে ১৮ থেকে ২০ মন করে ফলন হয়েছে। অথচ গত মৌসুমেের চেয়ে এবারে দ্বিগুণ খরচ হয়েছে প্রতি বিঘায়। অতিরিক্ত সেচ, সার কীটনাশকের বাড়তি দাম এবং শ্রমিক সংকটের জন্য  উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রচুর পরিমানে। যাদের নিজস্ব জমি তাদের কোন রকমে খরচের টাকা উঠেছে, তবে যারা টেন্ডার নিয়ে  জমি চাষ করেছেন  তাদের বিঘায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হয়েছে।তানোর পৌর সদর এলাকার কৃষক সাহেব আলী বলেন বিল কুমারী বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেছিলাম। কিন্তু সঠিক সময়ে সেচ না পাওয়া এবং তীব্র তাপদহের কারনে বিঘায় ৬ থেকে -৭ মন ধান কম ফলন হয়েছে। গত মৌসুমে ৬ বিঘায় রোপন করে বিঘায় ৩০ থেকে- ৩২ মন করে ফলন হয়েছিল।  এবার বিঘায়  ২৪-২৫ মন করে ফলন হয়েছে। তিনি আরো বলেন শাওন বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করে তারও একই অবস্থা। আব্দুস সালাম সাড়ে তিন বিঘা জমিতে রোপন করে ফলন কম পেয়েছে । প্রতি বিঘায়  রোপন থেকে মাড়ায় পর্যন্ত ১৯ হাজার টাকা  থেকে ২০ হাজার টাকা  আবার যাদের জমি দূরে তাদের ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। কোন রকমে উৎপাদন খরচ উঠে আসছে।তানোর পৌর সদর এলাকায় সাড়ে ২৮ কেজিতে এক মন হিসেব ধরা হয়। আর পৌর এলাকার বাহিরে ৩৮ কেজিতে এক মন হিসাবে সবকিছু হয়।সাহেব জানান, গত সপ্তাহে এক মন ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে। গত দুদিন ধরে কমে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘায় ২২ মন ফলন হলে ৯০০ টাকা মন ধরা হলে ১৯ হাজার  ৮০০ টাকা আসে। আবার যাদের বিঘায় উর্ধ্বে ২৫ ফলন হয়েছে ৯০০ টাকা মনে ২২ হাজার ৫০০ টাকা আসে।

কৃষক মফিজ জানান, ধান কাটার সময় তীব্র তাপমাত্রার সাথে ছিল প্রচন্ড খরতাপ। কোনভাবেই জমিতে টিকে থাকা যেত না। খাবার স্যালাইন পানি খেয়ে কোন কাজ হত না। কিন্তু জমিতে পাকা ধান কাটতেই হবে। এত কষ্ট করার পর যদি দিনের দিন সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমে যায় তাহলে কৃষকরা যাবে কোথায়। মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারনে ধানের দাম কমছে। অথচ প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তি। তাহলে যে কৃষক ফসল উৎপাদন করে দেশকে খাদ্যে ভরপুর করছে সেই কৃষকদের সাথে কেন এমন প্রতারনা করা হচ্ছে। কার ইশারায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। একদিকে সেচের অভাবে কমেছে ফলন অন্যদিকে দিনের দিন কমতেই আছে ধানের দাম। আর কৃষি দপ্তর ঠান্ডা রুমে বসে রিপোর্ট দিচ্ছেন। যত মরন পা ফাটা কৃষকের। কৃষকের কথা কেউ ভাবেনা। তাহলে সেচ পানি সার কীটনাশক নিয়ে ইচ্ছে মত সিন্ডিকেট হত না।তবে কৃষি অফিসের এমন কাল্পনিক তথ্য মানতে নারাজ কৃষক রা। কারন উপজেলায় দুভাগে মনের হিসাব চলমান। ৩৮ কেজিতে একমন আবার সাড়ে ২৮ কেজি তে একমন হিসেবে ফলন কেনা বেচা হয়ে থাকে। আর কৃষি অফিস ৪০ কেজিতে এক মনের হিসাব করে থাকে। সুতরাং স্থানীয় হিসেবের সাথে কৃষি অফিসের হিসেবে অনেক ফারাক দেখছেন কৃষকরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক ব্যক্তি জানান এবার সেচ এবং প্রচন্ড খরতাপ, অতিরিক্ত তাপদহের কারনে বিঘায় ফলন কম হয়েছে এমন হিসেব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গত মৌসুমের হিসেব বলবত রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,  এবারে উপজেলায় ১৪ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এপর্যন্ত  ৭ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। ফলন ধরা হয়েছে বিঘায় হাইব্রিড সাড়ে ২৬ মন এবং উপশী বিঘায় ২৩ মন করে।স্বর্ন প্রদক প্রাপ্ত আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, বোরো মৌসুমে সেচ নিয়ে ব্যাপক অরাজকতা চলে। সময় মত সেচ দিতে চায় না। আবার অতিরিক্ত সেচ হার। আবার ছিল রেকর্ড পরিমাণ  তাপমাত্রা একারনে ফলন কম হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

আরও খবর