Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ধাক্কা দিলেই আওয়ামী লীগ পড়ে যাবে, এত সহজ নয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ধাক্কা দিলেই আওয়ামী লীগ পড়ে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুব একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল ১০ তারিখ (১০ ডিসেম্বর) নিয়ে। এত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ১০ তারিখ চলে গেল গোলাপবাগে। সেটা আমি বলতে চাই না। সেখানে যেতে হলো।’   

আগামীকাল বুধবার বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর গণঅবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন আবার বলে ১১ তারিখ থেকে তারা আন্দোলন করবে। আবার সঙ্গে জুটে গেছে অতি বাম, অতি ডান। সব অতিরা এক জায়গায় হয়ে, আতি-পাতি নেতা হয়ে, তারা নাকি একেবারে ক্ষমতা থেকে আমাদের উৎখাত করবে। 

তিনি বলেন, ‘একটা কথা আমি বলে দিতে চাই। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিল, আর আওয়ামী লীগ পড়ে গেল, এত সহজ নয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবৈধ ক্ষমতাকে বা কেউ যদি ভোট চুরি করে- তাকে ক্ষমতা থেকে হটানো সেটা আওয়ামী লীগ পারে, এটা আমরা প্রমাণ করেছি। এটা আমরা প্রমাণ করেছি বার বার। আমরা গণতন্ত্রের চর্চা নিজের দলে করি। দেশেও গণতন্ত্র চর্চা করি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই বাঙালির জন্য কিছু করে গেছেন। আমরা এ দেশকে ভালোবাসতে শিখেছি তার কাছ থেকেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাত্র পাঁচ বছর সময় পেয়েছিলেন। আর কয়েকটি বছর যদি তিনি সময় পেতেন, বাংলাদেশ ১০ বছরের মধ্যেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠত। বঙ্গবন্ধু হত্যায় পরিবারের চেয়ে দেশের মানুষের বেশি ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জন সম্পূর্ণ হয়। বাংলার মাটিতে ফিরেই বঙ্গবন্ধু ফিরে যান দেশের মানুষের কাছে।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আলী আরাফাত, তারানা হালিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ফারজানা ইসলাম, অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি প্রমুখ।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জ বন্দরে মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image
ইউসুফ আলী প্রধানঃ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের আওতায় আয়াত এডুকেশনের আয়োজনে মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার উত্তর নোয়াদ্দা কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকের কোষাধ্যক্ষ হাজী মোঃ তমিজ উদ্দিন’র সভাপতিত্বে ও কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মঞ্জুর মুর্শেদ’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. ফয়সাল কবীর। 

সভায় মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা বিষয়ক গুরুত্ব ও মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন আয়াত এডুকেশন প্রকল্প সমন্বয়কারী সুমিত বণিক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের সমাজে সাধারণত মৃত্যু এবং মৃত্যু যন্ত্রণা সম্পর্কে কথা বলা অস্বস্তিকর একটি বিষয় বলে মনে করা হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে পরিবার, কমিউনিটির মানুষ, এবং আমাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে মৃত্যু, মৃত্যু যন্ত্রণা, এবং মৃত্যু পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা আমাদের মৃত্যু বা প্রিয়জনের মৃত্যুতে নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করে থাকে। তাই এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে সকলের অংশগ্রহণ দরকার। মৃত্যু সম্পর্কে ভাবা বা কথা বলা অনেকক্ষেত্রে ভীতিকর মনে হতে পারে, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এটি মানব জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ। অবশ্য ভালো বা খারাপ মৃত্যু নিয়ে ধারণা ব্যক্তিভেদে এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে আমরা কমিউনিটির মানুষ হিসেবে একজন প্যালিয়েটিভ কেয়ারের রোগী বা মৃত্যু পথযাত্রী যেকোন মানুষের জন্য আমরা অনেক কিছু করতে পারি। তাই আমাদের সকলের উচিত, তাদের পাশে থাকা এবং তাদের এই কঠিন সময়ে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।’

সভার সভাপতি হাজী মোঃ তমিজ উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজকের আগে আমি মৃত্যু নিয়ে এমন ধরণের সভার আয়োজন দেখিনি। এটি আমার কাছে নতুন মনে হয়েছে। আমার কাছে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে কাজ করাকে সমাজসেবামূলক কাজ মনে করি। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ এসব বিষয় নিয়ে অবগত না থাকলেও, উন্নত দেশে শিশু ও বয়স্করা প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে অনেক সচেতন।’

সভার সঞ্চালক মঞ্জুর মুর্শেদ বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে একাধিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছি। আমার কাছে মনে হয়ে এ বিষয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষকে আরো বেশি সচেতন করা প্রয়োজন। আজকের সভায় সাধারণ মানুষ হিসেবে মৃত্যু বিষয়ে আপনারা যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে কথা বলেছেন, নিজেদের ভাবনাগুলো ব্যক্ত করেছেন, সেটা দেখে আমিও অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমি মনে করি, আমরা যদি সমাজে মৃত্যু নিয়ে এভাবে খোলামেলা নিজেদের ভাবনাগুলো শেয়ার করতে পারি, তাহলে এ নিয়ে আমাদের ভয়-ভীতিগুলো দূর হয়ে যাবে, সেই সাথে অন্য অসহায় মানুষের মৃত্যুযন্ত্রণাকে প্রশমিত করতে সহায়তা করতে পারবো।    

প্রধান অতিথি মো. ফয়সাল কবীর তার বক্তব্যে বলেন, ‘সমাজ সেবা বিভাগ নিরাময় অযোগ্য রোগীদের কল্যাণে কাজ করছে। আপনারা মমতাময় প্রকল্পের অধীনে যারা সেচ্ছাসেবক আছেন, তারা দুঃস্থ মানুষদেরকে সমাজ সেবা বিভাগের সেবা পেতে সহযোগিতা করার সুযোগ রয়েছে।’

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক পান্না আক্তার, সংবাদকর্মী ইউসুফ আলী প্রধান, কমিউনিটি মবিলাইজার অনন্যা রহমান প্রমুখ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও যুব স্বেচ্ছাসেবকসহবৃন্দ। সভায় আয়াত এডুকেশনে পক্ষ থেকে এ্যাসিস্ট্যান্ট ফিল্ড অফিসার সারোয়ার আলম, কমিউনিটি মবিলাইজার ফাহিম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



দুইবার অসন্তোষ আখ্যা পেলেও তৃতীয় মূল্যায়নে সফল মারুফ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটার) এর দশম ব্যাচের  ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং  ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী মো: রবিউল আলম মারুফ আইসিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে বিশেষ অনুদান প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হন।
"ডেভেলপমেন্ট অব এন্টিগ্র্যাভেটি ডিভাইস ইউজিং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স" শীর্ষক গবেষণাটি হলো পাখা ছাড়া উড়ন্ত যন্ত্র উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা; এটি বানানোর ক্ষেত্রে এন্টিগ্র্যাভেটি ডিভাইসের জন্য প্লাজমা জেনারেটর ব্যবহার করা হয়েছে এবং ডিভাইসটি প্রাথমিকভাবে সফলভাবে উড়তে সক্ষম হয়েছে। এই উদ্ভাবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলে এটি শব্দহীন গতিবেগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। দীর্ঘ দুই-বৎসরের গবেষণালব্ধ, এ নতুনত্বপূর্ন প্রযুক্তিটি অদূর ভবিষ্যতে "স্টার ওয়ার্স" চলচ্চিত্রে দেখানো স্টারশিপ বিমান ডিজাইনের অনুকরণ হতে পারে।

গবেষণা কাজটি পরিচালনার জন্য  বরাদ্দকৃত অর্থের প্রথম ধাপের প্রাপ্ত কিস্তির পর অবশিষ্ট দ্বিতীয় কিস্তির অনুদান লাভের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন, যা একটি মঞ্জুরিপত্রের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় হতে অবগত করা হয়েছে। তবে এই গবেষণা কাজ চলমান অবস্থায়  পূর্বে ৩১ জানুয়ারী, ২০২২ ও ১১ এপ্রিল, ২০২৩ সালে দুইবার রিপোর্ট প্রেরণ করা হলেও সেগুলোর সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়নি বলে মূল্যায়িত করা হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে। এমতাবস্থায় অনেক জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ  ব্যক্তি প্রজেক্টটি অসমাপ্ত রেখেই ইতি টানার পরামর্শ দিলেও মারুফ তার প্রবল ইচ্ছেশক্তি দিয়ে গবেষণা কাজ চালিয়ে যায়।

৩১ জানুয়ারি,২০২২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এবং প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে ভার্চুয়ালি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফ জানান বর্তমানে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জনাব কামরুল আলম খান এর তত্ত্বাবধানে গবেষণা কাজ চলমান রেখেছেন এবং উক্ত গবেষণার বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি পেপার পাবলিশ করেছেন; কিন্তু হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই এর অভাবে মূল কাজটি এখনো সম্পন্ন করতে পারেননি। তবে, দেশের বাহির হতে এটি সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যেটি শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী। ভার্চুয়াল প্রেজেন্টেশন শেষে সার্বিক পর্যালোচনায় প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়নি বলে বিবেচিত হয় এবং প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পটির মূল্যায়নে সন্তোষজনক বলে বিবেচিত হলেই কেবল পরবর্তী কিস্তির অর্থ প্রদানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া, প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব  ড. এমডি শাহেদুল আলম কে উক্ত প্রকল্পের মেন্টর হিসেবে মনোনয়নের সুপারিশ করা হয়।

পুনরায় ১১ এপ্রিল,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের সভায় মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্তে প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর পুনরায় সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয় এবং  প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মারুফ মূল্যায়ন কমিটিকে জানান যে, তিনি দেশের বাহির হতে হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই নিয়ে আসলেও কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাব-সুবিধা পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে তাদের ল্যাব ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও বুয়েট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনোপ্রকার অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় এবং সার্বিক পর্যালোচনায় এবারেও প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়নি বলে বিবেচিত হয়। এমতাবস্থায়, কিছু শর্তে প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখ্যযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জনাব ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জানানো হয়।

সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফের কাজ মূল্যায়ন কমিটির দৃষ্টিভঙ্গিতে সন্তোষজনক অগ্রগতি লাভ করেছে বলে বিবেচিত হয় এবং ৩১ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে অবশিষ্ট দ্বিতীয় কিস্তি অনুদান লাভের মঞ্জুরিপত্র পায়।

শত বাঁধা উপেক্ষা করে প্রকল্পটির সাথে লেগে থাকজ জনাব মো: রবিউল আলম মারুফ তার ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, "আলহামদুলিল্লাহ প্রায় আড়াই বছরেরও অধিক সময় পরে সন্তোষজনক মূল্যায়নটি পেয়েছি, এরমধ্যে আমার সাথে যাহারা ফান্ড পেয়েছিল তাদের অনেকের ই কাজ শেষ করে প্রজেক্ট জমা দেওয়া হয়ে গেছে। খুব আফসোস আর অসহায় লাগত কিন্তু ধৈর্য ধরে ছিলাম দিনটির জন্য। ২০২২ এবং ২০২৩ এর প্রথম  দু'বারের মূল্যায়নে অসন্তোষজনক আখ্যা পেলেও আমি গবেষণাতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যই পাচ্ছিলাম না। অবশেষে, টানা দশ মাসের ৭০ এর ও অধিক পরিক্ষা নিরীক্ষার পর উড়েছে পাখা ছাড়া যন্ত্র।" মারুফ ব্যক্তিগত গবেষণা কাজ ছাড়াও দ্যা হাউজ অব ইল জিনিয়া নামে একটি রিসার্চ কমিউনিটি পরিচালনা করেন যারা সার্বক্ষণিক বিভিন্ন নতুন গবেষণা প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকেন এবং দেশব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন বিজ্ঞানভিওিক কনফারেন্স ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এই কমিউনিটির সদস্যদের জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, গবেষণায় সরকারি অনুদান লাভসহ বিভিন্ন গবেষণা কনফারেন্সে কাজের উল্লেখযোগ্য উৎসাহমূলক প্রসংশা পেয়ে আসার সুনাম রয়েছে।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে জমিনিয়ে বিরোধে নিহত-১,আহত-১

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

একেএম,শামছুল হক,সুন্দরগঞ্জ,(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃসুন্দরগঞ্জ উপজেলার  ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত মিয়া ছেলে আজিজুল ইসলাম (৫৩),সাং-বজরা হলদিয়া চৌধুরী বাজার,ওয়ার্ড নং ০১,থানা সুন্দরগঞ্জ, জেলা গাইবান্ধা  এর সহিতএকই গ্রামের মৃত মোসলেম ক্বারীর ছেলে অপরাধী ফারুক মিয়া(২৮), মৃত জহুরুলের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০)মৃত আব্দুলের ছেলে সিদ্দিক এর দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক ৪৫ শতক জমি নিয়ে ঝুট ঝামেলা চলে আসিতেছিল।

আজ সকাল আনুমানিক ১১:৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম  আজিজল ইসলাম নিজ বাড়িতে কাজ  করিতেছিলেন, ভিকটিমের বাড়ির গলিতে আসিয়া অপরাধী ব্যক্তিগণ ভিকটিম আজিজল ইসলামকে  ডাকাডাকি করিলে ভিকটিম আজিজুল ইসলাম গলির মধ্যে গেলে উক্ত অপরাধীর ব্যক্তিগণ আজিজুল ইসলামের মাথা,শরীর ও  পায়ের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করিলে ভিকটিম আজিজল ইসলাম গুরুতব আঘাত পাইয়া মাটিতে পড়িয়া যান, পরিবর্তীতে সোহেল মিয়া (৩০),পিতা মৃত আব্দুল আজিজ এর ছেলে আগাইয়া আসলে অপরাধী ব্যক্তিগণ সোহেল মিয়ার মাথায় ও পাছায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করিলে স্থানীয় লোকজন দেখিতে পাইয়া চিৎকার চেঁচামেচি করলে পরিবারের লোকজন ভিকটিম আজিজুল ইসলামকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লইয়া আসলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কর্তব্যরত চিকিৎসক আজিজুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।   

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হইয়া প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। থানা এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। বর্তমানে থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রহিয়াছে।


আরও খবর



শার্শায় মাদকাসক্ত ছেলের ইটের আঘাতে বাবা নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের শার্শায় মাদকাসক্ত ছেলের ইটের আঘাতে মহিউদ্দিন (৬২) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। নিহত মহি উদ্দিন কাজিরবেড় গ্রামের মৃত দূর্লভ সরদারের ছেলে। রবিবার রাতে নিজ বাড়ীতে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। সোমবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে এবং মাদকাসক্ত ছেলে জনিকে আটক করেছে।

নিহত মহি উদ্দিনের বড় ছেলে জাহিদ জানান, গত ১৭ মার্চ রোববার আমার বাবার কাছে ছোট ভাই জনি নেশা করার জন্য টাকা চাই কিন্তু সে টাকা না দিলে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জনি ইট দিয়ে আমার বাবার মাথায় আঘাত করে। গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে ভর্তি করি। এক সপ্তাহ হাসপাতালে রাখার পর বাড়ীতে নিয়ে এলে গতকাল রবিবার  গভীর রাতে বাবা মারা যায়।

এ ব্যাপারে শার্শা থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল বলেন, এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নিহত ব্যক্তির মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মাদকাসক্ত ছেলে জনিকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



নিটারে "দ্যা হাউজ অব ইল জিনিয়া" পরিবারের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭২জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও টেক্সটাইল গবেষণা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এ ২৪ই মার্চ, ২০২৪ রোজ রবিবার বাদ আসর "দ্যা হাউজ অব ইল জিনিয়া" রিসার্চ কমিউনিটির   আয়োজনে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করা হয়।

পবিত্র রমজানুল মোবারক উপলক্ষে গতকাল রবিবার ১৩ ই রমজান "দ্যা হাউজ অব ইল জেনিয়া" রিসার্চ কমিউনিটি ও জার্মান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত নিটারের সম্মানিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল নিটারের একাডেমিক ভবনের একটি কক্ষে এই আয়োজন করা হয়।

"দ্যা হাউজ অব ইল জিনিয়া" মূলত নিটারের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং  ডিপার্টমেন্টের ছাত্র মো: রবিউল আলম মারুফের দ্বারা পরিচালিত একটি রিসার্চ কমিউনিটি  যারা সার্বক্ষণিক বিভিন্ন নতুন গবেষণা প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকেন এবং দেশব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন বিজ্ঞানভিওিক কনফারেন্স ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এই কমিউনিটির সদস্যদের জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, গবেষণায় সরকারি অনুদান লাভসহ বিভিন্ন গবেষণা কনফারেন্সে কাজের উল্লেখযোগ্য উৎসাহমূলক প্রসংশা পেয়ে আসছেন।

"দ্যা হাউজ অব ইল জেনিয়া" রিসার্চ কমিউনিটির এ আয়োজনে রিসার্চ কমিউনিটির সদস্যরা ছাড়াও আমন্ত্রিত ছিলেন নিটার ডিবেটিং সোসাইটি, নিটার সায়েন্স সোসাইটি, নিটার ক্যারিয়ার ক্লাব, নিটার কালচারাল ক্লাব, নিটার সাংবাদিক সমিতি, মাস্তুল, নিটার বিজনেস এন্ড ইনোভেশন ক্লাব, নিটার গেইমস এন্ড স্পোর্টস ক্লাব, নিটার ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, নিটার ইসলামিক সোসাইটি এর সম্মানিত প্রতিনিধিত্বগন।

সরেজমিনে দেখা যায়,  বাদ আসর থেকে "দ্যা হাউজ অব ইল জিনিয়া" এর প্রায় সকল মেম্বার ও আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হতে থাকে এবং সকলে আসন গ্রহণ করলে নিটার কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মো: আব্দুল ওয়াহিদ ইফতারের গুরুত্ব ও বিধান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। পরবর্তীতে আয়োজকরা সম্মিলিতভাবে সকলে মিলে ইফতার গ্রহণ করেন। ইফতার পর্ব শেষে বাদ মাগরিবের পর অনুষ্ঠান স্থলে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও রাতের ভোজের আয়োজন করা হয়। সংক্ষিপ্ত এই আলোচনা সভায় "দ্যা হাউজ অব ইল জেনিয়া" এর প্রতিষ্ঠাতা মো: রবিউল আলম মারুফ সকলের মাঝে সংগঠনটির কার্যক্রম সম্পর্কে তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে ব্যক্ত করেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের পক্ষ  থেকে দশম ব্যাচের আইপিই ডিপার্টমেন্টের  জাওয়াদ আবরার এরকম সুন্দর ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং পাশাপাশি রিসার্চের গুরুত্ব সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন।

এভাবেই, সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে  প্রায় অর্ধশত অতিথিদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে দ্যা হাউজ অব ইল জেনিয়া পরিবারের ইফতার ও দোয়া মাহফিলের সমাপ্তি ঘটে।


আরও খবর