Logo
আজঃ শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩
শিরোনাম

ঢাকায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। আজ সোমবার সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

এ সফরে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো দূতাবাস চালু করতে পারেন। আজ বিকেলে ঢাকার বনানীর বি ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৫০ নম্বর প্লটের একটি ভবনে আর্জেন্টিনা দূতাবাস উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনা লাতিন আমেরিকার দেশটির নজর কাড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় পুনরায় মিশন খোলার বিষয়ে গুরুত্ব দেয় আর্জেন্টিনা।


সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরোর সফরে কৃষি খাতে সহযোগিতাসহ তিনটি বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি সইয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ফুটবল এবং কৃষিতে সহযোগিতাসহ চারটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। 

খসড়া সূচি অনুযায়ী, সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সান্তিয়াগো ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

এ ছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গেও বৈঠক করবেন সান্তিয়াগো। ওইদিন বিকেলে সান্তিয়াগো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর অনূর্ধ্ব–১৪ ফুটবলারদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ দেখবেন।

এর বাইরে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সঙ্গে বিজনেস টু বিজনেস বৈঠকে থাকবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী ১ মার্চ ঢাকা ছেড়ে নয়াদিল্লি যাবেন সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র বলে-কয়ে কিছু করে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর প্রায়ই হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে তারা কাউকে জানিয়ে কিছু করে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাতার সফর নিয়ে আজ সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।  

বাংলাদেশের ওপর ফের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা হবে কি না, সে বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। আমরা জানি না। ওরা (যুক্তরাষ্ট্র) বলে-কয়ে তো কোনো দিন কিছু করে না। তবে আমাদের কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, “দেশে স্যাংশনের কোনো কারণই নেই।” এটা যদি হয়, তাহলে খুব দুঃখজনক হবে।

এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘আমেরিকা তো প্রায়ই হাজার হাজার স্যাংশন দিয়েই যাচ্ছে। উই হোপ, আমেরিকার শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা এসব করবে না।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে লেখা প্রতিবেদনে দেশের একটি দৈনিক পত্রিকা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি দৈনিক পত্রিকার এক প্রতিবেদনে যে তথ্য দিয়েছে, সেটা মিথ্যা তথ্য। সেখানে বলেছে আমি মন্ত্রী হওয়ার আগে চায়নিজ প্রতিষ্ঠানে লবিস্ট হিসেবে কাজ করেছি, এটা ডাহা মিথ্যা। বরং বলতে পারেন আমি সারা জীবন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম, সেখানে কাজ করেছি।


আরও খবর



ফারুকের আসনে উপনির্বাচন ১৭ জুলাই, ব্যালটে ভোট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকপ্রয়াত চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের ঢাকা-১৭ শূন্য আসনে আগামী ১৭ জুলাই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এ উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ১৫ জুন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জুলাই।’

এ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ ব্যালটের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে করা হবে বলেও জানান তিনি।

দীর্ঘদিন রক্তে সংক্রমণজনিত রোগে ভুগে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে গত ১৫ মে মৃত্যুবরণ করেন ফারুক। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০/১৫ মে ২০২৩ তারিখ মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯০ ঢাকা-১৭ আসনটি ওই তারিখে শূন্য হয়।

সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়। এ হিসেবে আসনটিতে ১২ আগস্টের মধ্যে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

তবে আসনটিতে যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে সময় পাবেন মাত্র ছয় মাস।

কারণ একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সেই সময় থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদ ধরলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।


আরও খবর



প্রস্তাবিত বাজেট গণবিরোধী, বাস্তবায়ন অযোগ্য: ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এটি নজিরবিহীন লুটপাট ও অলীক কল্পনার অবাস্তবায়নযোগ্য গণবিরোধী বাজেট।

আজ বুধবার দলটির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ।

ফখরুল বলেন, ‘সরকার গত ০১ জুন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে তা বর্তমান ফ্যাসিস্ট লুটেরা সরকারের অর্থনৈতিক দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার এক বার্ষিক ঘোষণাপত্র মাত্র। এই বাজেট কল্পনাবিলাসী বাস্তবায়ন অযোগ্য এক উচ্চাভিলাষী বাজেট। এটা স্রেফ দুর্নীতিবাজ বর্তমান সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটের লক্ষ্যে প্রণীত ‘অর্থ লুটেরাদের বাজেট’।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে যাওয়া, বেপরোয়া অর্থপাচার, জনগণের কাঁধে রাষ্ট্রীয় ঋণের বোঝা একেবারের জন্যেও স্বীকার করা হয়নি। পরিত্রাণের উপায়ও বলা হয়নি। তেমনিভাবে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে সুশাসন ও ন্যায়বিচার এর ধারণাকে।

ফখরুল বলেন, ‘এই বাজেট পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩.৪% এবং উন্ন্য়ন ব্যয় ৩৬.৪%। বাজেটের এই অর্থের সংস্থান হবে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা আয় থেকে, আর ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা ঋনের মাধ্যমে। রাজস্ব আয়ের ৩২.৮% পরোক্ষ কর (ভ্যাট) এবং ৩০.৭% প্রত্যক্ষ কর। এরই সাথে সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭.৫% এবং মুদ্রাস্ফীতির হার ৬% প্রত্যাশা করছে! এ বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত, প্রতারণামূলক, লোক দেখানো বাজেট, জনকল্যাণের নয়।

‌বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিয়োগসহ সামষ্টিক অর্থনীতির যেসব প্রক্ষেপণ করা হয়েছে তা অর্জনযোগ্য নয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৫% লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করলেও তা কিভাবে অর্জন করা হবে তার কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা বাজেটে নেই। চলতি অর্থবছরেও ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৫%। সংশোধনী বাজেটে তা পরে ৬.৩% পুনঃনির্ধারণ করা হয়। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন- এবারও ৭.৫% টার্গেট অর্জন সম্ভব হবে না। কেননা অর্থনীতি এমনিতেই চাপের মধ্যে রয়েছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ। এ চাপ মোকাবেলায় বাজেটে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন এবং খাদ্যসহ তেল, চাল, আদা, চিনি, ডিম, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য অনেক আগেই মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

দেশের অর্থনীতি মহাবিপর্যয়ে রয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘ডলারের সংকট প্রকট। পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গেলে প্রায় সকল ব্যাংক ফিরিয়ে দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। সরকারি হিসাব মতে গত ৭ বছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে গেছে। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়ায় ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। বিশ্বস্ত সূত্র মতে, ইতিমধ্যে নতুন নোট ছাপিয়ে বাজারে ছাড়া হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার উপর। একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

‌তিনি বলেন, ‘অর্থপাচার অব্যাহতভাবে বাড়ছে। জিএফআই বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে ৪,৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়। সিআইডি বলছে, শুধু হুন্ডি প্রক্রিয়ায় দেশ থেকে গড়ে বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য মিলে প্রতিবছর কমপক্ষে দেড় লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার হচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশে চারিদিকে শুধু হাহাকার। তবে এই হাহাকার সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ও সুবিধাভোগী নব্য ধনীদের জন্য নয়।

ফখরুল আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক ব্যবস্থায় নজিরবিহীন নৈরাজ্য চলছে। ব্যাংকের অতিরিক্ত ক্যাশ লিকিউডিটি কমেছে ৫৭ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা (ঘবি অমব: ২৪-১-২৩)। ২০০৯ সালে যেখানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। তবে পুনঃ তফসিলকৃত ঋণ যোগ করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৪ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। গত বছরের প্রথম নয় মাসেই খেলাপি বেড়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। গত ৩ মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১১০০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ বাড়ার প্রধান কারণ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা।

গত ৬ বছরে বিদেশী ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে উল্লেক করে ফখরুল বলেন, ‘চীন ও রাশিয়া থেকে নেয়া কঠিন শর্তের ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ২০২৪ সন থেকেই বর্তমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। সে সময় পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের বোঝা ছিল ৩২৪ মার্কিন ডলার, টাকার অংকে যা প্রায় ৩২ হাজার ৭৪০ টাকা (প্রতি ডলার ১০১ টাকা দরে)। বর্তমানে আরও বেড়েছে। আইএমএফ চাচ্ছে সরকারি ব্যাংকগুলোতে ১০ শতাংশ এর নিচে ও বেসরকারি ব্যাংক গুলোতে ৫ শতাংশ এর নিচে থাকুক খেলাপি ঋণের পরিমাণ। কিন্তু বর্তমানে কৌশলে এক ব্যাংকের আদায়যোগ্য খেলাপি ঋণ আরেক ব্যাংকে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

ফখরুল বলেন, ‘বাজেটে আয় বৃদ্ধির জন্য কর্মসংস্থানের বিশেষ কোনো পদক্ষেপের উল্লেখ করা হয়নি। আর কর্মসংস্থান না হলে মানুষের আয় বাড়বে না। মূল্যস্ফীতির ধাক্কা তারা সামলাবে কিভাবে?’

তিনি বলেন, ‘সরকার ইতোপূর্বে করযোগ্য আয় নেই এমন ব্যক্তিদেরও ৪৪ ধরনের সেবা গ্রহণে কর দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে যা মধ্যবিত্তের উপর জুলুম। প্রশ্ন হলো যার আয় কম তিনি কি ঐ সকল রাষ্ট্রীয় সেবা পাবেন না! একদিকে ন্যূনতম আয়কর সীমা বাড়িয়ে ৩,৫০,০০০ টাকা প্রস্তাব করেছে, অপরদিকে আয় না থাকলেও মিনিমাম ২০০০ টাকা আয়কর ধার্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে যা সাংঘর্ষিক, ন্যায়নীতি বর্জিত এবং ‘আয়ের উপর কর’ নীতিরও পরিপন্থী।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের এই চরম অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে প্রয়োজন ছিল দল, মত ও ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে একটি সাহসি ও বাস্তবসম্মত বাজেট। কিন্তু মোটাদাগে এ বাজেট আইএমএফ এর শর্ত বাস্তবায়ন এবং বিগত অর্থবছরের বাজেটের ১৪-১৫% বর্ধিত অবস্থা ছাড়া কিছুই না। অথচ আইএমএফ এর সঙ্গে ঋণচুক্তির কথা উল্লেখই করেননি অর্থমন্ত্রী। এদিকে আইএমএফ এর শর্তপূরণে বাড়তি আদায় করতে হবে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড় কমানোর বড় উদ্যোগ বাজেটে নেই।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট দেশের প্রধান জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক সরকার না থাকলে সরকারের জাবাবদিহিতা থাকেনা। দেশের অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এই জাতীয় সংকট থেকে মুক্তি পেতে জবাবদিহি ও দায়বদ্ধমূলক নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটার একমাত্র পথ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান।


আরও খবর



নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দেশ থেকে কিছু কিনব না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখন আবার ওই স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেওয়ার একটা প্রবণতা, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি, তাদের ওপর স্যাংশন। আমি বলে দিয়েছি, যে দেশ স্যাংশন দেবে, তাদের কাছ থেকে আমি কিচ্ছু কিনব না।

আজ শনিবার রাজধানীর রমনায় ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬০তম কনভেনশন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার কী করবে, বাবা-মা, ভাই-বোন সব মেরে ফেলে দিয়েছে। আমার তো হারাবার কিছু নেই। কিন্তু আমি আমার দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

প্রকৌশলীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আসার পর থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করব, আগামীতে এই উন্নয়নের ধারাটা যেন চলমান রাখতে পারি। সেই বিষয়ে সবাই আন্তরিক থাকবেন। সেভাবে আপনারা কাজ করবেন।

তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে জনগণ হবে স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট উৎপাদন ব্যবস্থা থাকবে। চিকিৎসা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে দেশের মানুষ স্মার্ট হবে, সেটাই আমরা চাই। দক্ষ জনগোষ্ঠী আমরা গড়ে তুলতে চাই। কোনো জায়গা থেকে আমরা পিছিয়ে থাকব না।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, অনেক দেশ পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের সহযোগিতা চায়। তিনি বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে আমাদের সক্ষমতা শুধু দেখাইনি, আমাদের যারা সেখানে কাজ করেছেন, আমাদের প্রকৌশলী থেকে শুরু করে সবারই নিজস্ব অভিজ্ঞতা সৃষ্টি হয়েছে। এখন যেমন অনেক দেশ আমাদের কাছে আসছে, ব্রাজিল তাদের অ্যামাজনে ব্রিজ বানাতে চায়। আমরা বলেছি, আমাদের লোকজন রেডি আছে, যখনই দরকার আমরা সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।

আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন, আইইবি ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন ও সম্মানি সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি চোরাচালান: ১ টন কয়লা জব্দ

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মামলার আসামীরা। তারা নিজেকে পুলিশ ও সাংবাদিকের সোর্স পরিচয় দিয়ে, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা পাচাঁরের পাশাপাশি মদ, গাঁজা, পাথর, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, গরু, ছাগল, কাঠ, পান-সুপারী ও চিনিসহ শাড়ী-কাপড় পাচাঁর করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৫ মে) ভোর রাতে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা, লালঘাট, লাকমা, বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন, টেকেরঘাট সীমান্তে চুনাপাথর খনিপ্রকল্প, বরুঙ্গাছড়া, রজনীলাইন, চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারোছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া, বারেকটিলা ও লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা, পাথর, নাসিরউদ্দিন ও মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করে। পরে পাচাঁরকৃত মালামালের মধ্যে কয়লা বালিয়াঘাট ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত পাটলাই নদী ও লাউড়গড় ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত যাদুকাটা নদীতে নৌকা বোঝাই করে নদীপথে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। আর পাথর পাচাঁর করে প্রকাশ্যে মজুত করা হচ্ছে লাউড়গড় ক্যাম্পের আশেপাশে এবং ৩০টি অবৈধ পাথর ভাংগার মিলে। এব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করলে লাখলাখ টাকা মূল্যের অবৈধ পাথর জব্দ করা সম্ভব হতো। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। তবে এরআগে রাত ১টায় একাধিক মামলার আসামী লালঘাট গ্রামের বিশিষ্ট চোরাকারবারী খোকন মিয়া ও তার সহযোগীরা ৫টি বারকি নৌকা দিয়ে ওই গ্রামের বড় মসজিদ ও একই গ্রামের চোরাকারবারী ইয়াবা কালাম মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে কয়লা বোঝাই করে চুনখলার হাওরের নালা দিয়ে বোরাঘাট ও বৈঠাখালী বাঁধে নিয়ে যাওয়ার সময় চারাগাঁও ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে। ঐসময় চোরাকারবারী খোকন মিয়া ও তার সহযোগীরা অবৈধ কয়লা পানিতে ফেলে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পানি থেকে ৩০ বস্তা (১ মেঃটন) কয়লা উদ্ধার করে বিজিবি। কিন্তু চোরাকারবারীদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তার আগে চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি এলাকায় বিজিবি অভিযান চালিয়ে ২৩বস্তা সুপারী আটক করার ঘটনায় গত ১১ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বিজিবির বিরুদ্ধে স্থানীয় চোরাকারবারীরা মানববন্ধন করায় থানায় মামলা দেওয়া হয়। এরপর টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া এলাকায় সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর বিজিবির তৎপরতা বৃদ্ধি পেলে সীমান্ত চোরাচালান কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ যাবত চারাগাঁও, দুধেরআউটা, বড়ছড়া, লাকমা, লালঘাট ও কামড়াবন্দ গ্রামের কয়লা ও মাদক মামলার আসামীরা সিন্ডিকেডের মাধ্যমে আবারো তাদের চোরাচালান বাণিজ্য শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার খাদেমুল হক বলেন- আমার সীমান্ত এলাকার চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্য এলাকার বিষয়ে কিছু বলার নাই। তবে সীমান্ত চোরাকারবারীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।


আরও খবর