Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকার কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুনে প্রান গেলো যশোরের রকি’র

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:ঢাকার বেইলী রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের আগুনে প্রান গেলো যশোরের রকি’র। তিনি গত দুই মাস আগে রেস্টুরেন্টে চাকরি নেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে আগুন লাগে। আগুনের মধ্যে আটকা পড়ে মারা যান রকি। দুই মাস পর তিনি বাড়ি ফিরলেন লাশ হয়ে। শোকের মাতম চলছে যশোর সদর উপজেলার ধোপাখোলা গ্রামের বাড়িতে।

শুক্রবার বেলা ১২ টায় গ্রামের বাড়িতে তার লাশ পৌঁছায়। তার মৃত্যুর সংবাদে স্বজন, প্রতিবেশীরা ভিড় করে তাকে একনজর দেখার জন্য। তাদের আহাজারি, কান্নায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত রকি'র ভাই কামরান হোসেন সাজিম বলেন, তার ভাই মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করে গত ডিসেম্বর মাসে কাচ্চিভাই রেস্টুরেন্টে ক্যাশিয়ার পদে চাকরি নেন। বৃহস্পতিবার সেখানে কর্মরত অবস্থায় ভবনটিতে আগুন লাগে। তিনি ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান। আগুনের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই রকির মৃত্য হয়েছে। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ বাড়িতে এসেছে।

কামরান হোসেন সাজিম বলেন, আমাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে রকি সবার বড়। পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে চাকরি করে সংসারের হাল ধরেছিল। বাবা ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালান। তাদের দুজনের আয়ে আমাদের সংসার চলত। ভাইকে এভাবে হারাতে হবে কখনো কল্পনাই করিনি।

রকি'র মামা বলেন, আমি রকিকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। ওর চাকরি হওয়ার পর আমিই তাকে ঢাকা চিনিয়েছি। গত ডিসেম্বরে রকি চাকরিতে ঢুকেছে। আজ ওর লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।

এদিকে নিহত রকির বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। স্বজনদের আহাজারিতে চারপাশ ভারি
হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরাও রকি স্মৃতিচারণ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন। সবাই সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। রকির মা রিপা বেগম ও বাবা কবির হোসেন সন্তানের শোক বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছেন। শুধু সন্তানের জন্য মাতম করছেন তারা।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে নিরাপদ অভিবাসন দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image
রাকিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ থেকে:"প্রবাসী কল্যাণ, মর্যাদা আমাদের অঙ্গীকার,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার তারাও সম্মান অংশীদার, "দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে অর্থ সম্মান দুই-ই মেলে" এই প্রতিপাদকে সামনে রেখে এবং সিরাজগঞ্জ ইনস্টিটিউ অব মেরিন টেকনোলজি আয়োজনে প্রতিষ্ঠানের হলরুমে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো: সিরাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত।  

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টিটিসি অধ্যক্ষ মো: আনোয়ার হোসেন, সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম,রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর প্রমুখ। 

বৃহস্পতিবার (২ মে ) সকাল থেকে দিন ব্যাপী সিরাজগঞ্জ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি সম্মেলন কক্ষে জনপ্রতিনিধি,সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ,গণমাধ্যমকর্মী,বিভিন্ন যানবাহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ ১০০  জন প্রতিনিধি কর্মশালা অংশগ্রহণ করেন।

আরও খবর



রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



মধুপুরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা (বিশেষ প্রতিনিধি) মধুপুর টাঙ্গাইলঃসারাদেশ ব্যাপী প্রখর রোদ ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।পাশাপাশি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাতেও তীব্র তাপদাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। 

হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে বাড়ছে জ্বর, সর্দিকাশি জনিত রোগীর সংখ্যা। 

রোদে পুড়ছে প্রকৃতি, বইছে তাপদাহ, স্বস্তি নেই কোথাও। দুপুরের রোদে খোলা আকাশের নিচে হাঁটলে গরম বাতাসে মুখমন্ডল পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। একটু প্রশান্তি ও শরীরকে সতেজ রাখার জন্য মানুষ ছুটছেন গাছের ছায়ায়। এছাড়াও গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা পুকুর কিংবা নদীর পানিতে সাতার কাটছে দিনভর। শুধু দিনের বেলাতেই নয়, রাতেও গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছে না কারন প্রচুর লোডশেডিং আর বৈদ্যুতিক পাখাও হার মানছে এই তীব্র গরমের কাছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মধুপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভ্যাপসা গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কর্মজীবী ও বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আর এই তীব্র রোদে লোকজন ঘর থেকে কম বের হওয়ার কারণে মধুপুর পৌর শহরে রিকশা, অটোরিকশা ও সিএনজির সংখ্যাও ছিলো অনেক কম। মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা ছিলো প্রায় ফাঁকা। 

এই অতিরিক্ত গরমে মধুপুরের জনজীবন যেন গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছে ফলে দেখা দিচ্ছে জ্বর,সর্দি-কাশির প্রাদুর্ভাব।

মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শিশু সহ বয়স্ক রোগীদের উপচে পড়া ভীড়।এদের অধিকাংশই অতিরিক্ত গরমের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।  

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার  ডা. মো. ইমরান হোসেন  জানান, বিগত কয়েকদিনে তীব্র  গরমের কারণে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে ।

তিনি আরও জানান, আগে দেড়শো'র মতো রোগী প্রতিদিন ইমারজেন্সিতে চিকিৎসা নিতে আসতো কিন্তু এখন তীব্র তাপদাহের কারণে প্রতিদিন দু’শোর বেশি রোগী চিকিৎসার জন্য ইমারজেন্সিতে আসছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই হচ্ছে শিশু। 

আমাদের হাসপাতালে জনবল কম থাকার পরেও আমরা দিনরাত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তীব্র গরমে ঘরের বাহিরে গেলে সাদা ছাতা বা ক্যাপ, ঢিলেঢালা পাতলা সূতি কাপড়ের পোশাক পরিধান এবং শরীরে পানিশূন্যতায় খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি সহ প্রচুর তরল খাবার গ্রহনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। 

এদিকে তাপদাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে চাহিদা বেড়েছে ঠান্ডা পানীয় খাবারের। ফুটপাতে প্রচুর পরিমানে বিক্রি হচ্ছে আখেঁর রস, ডাব এবং প্রচন্ড গরমে ক্লান্তি মেটাতে পথচারীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায় বিভিন্ন শরবতের দোকানে। 

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাংগাইল সহ দেশের বিভিন্ন জেলা, বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে যা আগামী কয়েকদিন এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আবারও ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩দিনের  সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

এতে বলা হয়- দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে বইছে তীব্র তাপদাহ ও খরা। তীব্র তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবনসহ ফসলে। ফসলি জমির মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। মাটি থেকে উঠছে গরম হাওয়া উঠছে। নওগাঁয় গত কয়েকদিন থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ থেকে ৩৮ ও ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুল। ফসলি জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল বহুলাংশে কমে গেছে। রোদ থেকে বাঁচতে মোটা কাপড় পরিধান করছেন। কেউ কেউ রোদে চশমা ও ছাতা ব্যবহার করছেন। স্বস্থি পেতে বার বার পানি করতে হচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সুখকর কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এ মাসে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা ও নেই। তাই আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৃহত্তর কৃষি প্রধান  নওগাঁ জেলার সদর,রাণীনগর,সাপাহার ও পত্মীতলা সহ ৪ উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়  এ দিন সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর দাখিল মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নজিবর রহমান এবং দুবলহাটি ইউনিয়নের মাতাসাগর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হুসাইন আহমেদ।

পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতের আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মুকিম।

সাপাহারের সাপাহার সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসার আয়োজনে মাদ্রাসা মাঠে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশ গ্রহণে বিশেষ এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নামাজের জামাতে ইমামতি করেছেন ওই মাদরাসার হিফযু বিভাগের পরিচালক ও উক্ত মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মোঃ ওমর ফারুক।

রাণীনগর উপজেলা সদরের পূর্ব বালুভরা পাবলিক ঈদগাহ মাঠের আয়োজনে রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। এ নামাযে ইমামতি করেন, ঐতিহাসিক কুসুম্বা শাহী মসজিদের খতিব ও বেলঘরিয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মোস্তফা আল আমিন।

এছাড়াও মহাদেবপুর উপজেলার পাহাড়পুর বাজার মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়। 

সাপাহার সরফতুল্লা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, চলমান আবহাওয়া থেকে কিছুটা স্বস্থি পেতে গরমের তাপমাত্রা কমে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়েছে। 


আরও খবর



যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে: সিইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল মন্তব্য করেছেন, উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধানসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। এই ধাপে বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল, নিষ্পত্তি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।


আরও খবর