অনলাইন ডেস্ক:কয়েক দিন ধরে উন্নতি হলেও আজ শনিবার বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য ঢাকার বায়ুমান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে। সকাল ৯টা ৪০মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ১০৫ নিয়ে অবস্থান ছিল সপ্তম। বাতাসের এ মান বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’। গতকাল শুক্রবার একই সময় এ তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল ১৭তম।
একিউআই স্কোর ১৫৫ নিয়ে শীর্ষে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। ১৫৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। তৃতীয় স্থানে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১২৭। চতুর্থ স্থানে ব্রাজিলের সাও পাওলো শহর, স্কোর ১১৭। পঞ্চমে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, স্কোর ১০৭।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।
ঢাকায় বায়ুদূষণের মূল কারণ- অকারণে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, ভবন নির্মাণ ও ভাঙা, ইটের ভাটা। আগের থেকে ঢাকায় কনস্ট্রাকশন কাজ অনেক বেড়েছে। ইট-বালু সুরকির কাজ চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিধিবিধান না মেনে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এসব থেকে দূষণ হচ্ছে। এছাড়া গাড়ির কালো ধোঁয়া মারাত্মক দূষণ সৃষ্টি করছে।