
নিজস্ব প্রতিনিধিঃঢাকা ওয়াসার চাকরী নিয়ে অবৈধ ভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।রাজধানীর মিরপুরে ১০ নম্বর জোনের ওয়াসার রাজস্ব পরিদর্শক হিসেবে দীর্ঘ দিন যাবত চাকরীতে কর্মরত আছেন। তিনি চাকরী পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কাজে অজুহাত দেখিয়ে ওয়াসার গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। অন্য ঘুষখোর ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাল্লাদিয়ে নিপু তার কর্মস্হল থেকে ঘুষ ও দূর্নীতি মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
তিনি চাকরী পাওয়ার পর যেন আলাউদ্দিনের আশ্চর্য চেরাগ পেয়ে গেছেন!ভাষাণটেক ও মাটিকাটা এলাকার অনেক ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন,ঘুষখোর,দূর্নীতিবাজ নিপু আবার ঢাকা ওয়াসার শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করিতেছেন। ওয়াসা চাকরী করে ও দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন কাজের অজুহাত দেখিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। গ্রাহকরা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মাসের পর মাস, বছরে পর বছর বিভিন্ন কাজের ছুতা দিয়ে ঘুরাতে থাকে। আবার যদি তার চাহিদা মত টাকা দেওয়া হয় তা হলে কাজটা তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।
এই ভাবেই ওয়াসার গ্রাহকদেরকে জিম্মি করে নিপুসহ তার অফিসের অনেক অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।ভুক্তভোগীরা আরও অভিযোগ করেন, ঘুষখোর ও দূর্নীতিবাজ নিপুর অবৈধ সম্পদের ফিলিস্তি দেখে তার অফিসের সাধারন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবং তার এলাকার বাসিন্দারা হতভাগ হয়েছেন। এত সম্পদের মালিক কি ভাবে হলো বিষয়টি খুব আশ্চর্য লাগছে। সে কি আলাউদ্দিনে চেরাগ পেয়েছে না কি ! হঠাৎ করে এত সম্পদের মালিক হলো কি ভাবে? এদিকে ২০২৩ সালের ১০ আগস্টে আতিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তি সেগুনবাগিচাস্হ দূর্নীতি দমন কমিশন কার্যলয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
সেই অভিযোগে জানা যায়, নিপুর সম্পদের বিবরন গুলো, মিরপুরস্হ আহম্মেদ নগরে ১১৮/বি নম্বরে একটি ৫ কাটার প্লট রয়েছে। সেখানে ২০/২৫ টি টিনসেট রুম তৈরী করে ভাড়া দিয়েছে। সেই জায়গাটি ২০০৯ সালে নিপু ক্রয় করেন বলে ওই এলাকা বাসিন্দাদের মাধ্যমে জানা গেছে। এছাড়াও মিরপুরস্হ আহম্মেদ নগরস্হ ১৮৩/৩/এ নম্বর বাসায় তার একটি আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাটটির বর্তমানে বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। দুদকের অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টর ৮ নম্বর রোডের ৮০ নম্বরে তার এবং তার স্ত্রীর নামের একটি বাড়ী রয়েছে।
ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় তার নামে একটি প্লট রয়েছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। বরিশালে তার স্ত্রীর নামে একটি আলিশান বাড়ী রয়েছে। নিপুর আয়কর নর্থি সূত্রে জানা যায়, তিনি -৭৬,০২,১৩৬ টাকার মালিক এবং তার স্ত্রীর রাজিয়া সুলতানা করদাত্রী বলে তার আয়কর নর্থিতে তিনি উল্লেখ করেছেন।তিনি একজন ওয়াসার মিটার -রিডার থেকে রাজস্ব পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেয়ে হঠাৎ করে কি ভাবে আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়ে গেলেন।
তা সাধারণ মানুষ ও ওয়াসার সেবা গ্রহীতা এবং ভূক্তভোগীদের মাঝে আলোচনা - সমআলোচনার ঝড় উঠেছে। তাদের অভিযোগ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে নিপু। আমরা প্রধান মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট পরিচালকের কাছে আহবান জানাই ঘুষখোর, দূর্নীতিবাজ নিপুসহ অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্হা নিতে জোর দাবী জানায়। চলবে পর্ব-১।
-খবর প্রতিদিন/ সি.ব