
আবু কাওছার মিঠু স্টাফ রিপোর্টার: সফলতার সাথে শেষ হলো শিল্পযোগ তৃতীয় ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং ২০২৩ এক্সিবিশন । উদ্ভোদনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলার ডি জি লিয়াকত আলী লাকি সাহেব। বাংলাদেশের ক্যালিগ্রাফির কিংবদন্তি শিল্পী মাহবুব মুর্শিদ স্যারের প্রযোজনায় এই আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রদর্শনী সারা দেশের ক্যালিগ্রাফাদের অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।২০১৮সালের এই পথ চলা যেনো ২০২৩শে এসে সফলতার মুখ দেখেছে। এবারের প্রদর্শনীতে মাহবুব মুর্শিদি স্যারের স্টুডেন্ট সহ ১৭০ জনের প্রায় ২৫০ টি পেইন্টিং প্রদর্শিত হয়েছে। সিনিয়র স্টুডেন্টদের মধ্যে ছিলেন মাহমুদুল হাসান সহ উসামা হক, সাইদুল ইসলাম, সাজু তাউহিদ, শহিদুল ইসলাম, ইসমাইল হোসাইন আরো অনেকে।
যাদের কাজ এখন দর্শকের চোখের শান্তি এনে দেয়, দর্শকদের প্রাণবন্ত রিভিউ ও গ্রহণ শীলতা তাদের সিক্ত করে।এ ব্যাপারে সিনিয়র ক্যালিগ্রাফার মাহমুদুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি পুরো প্রোগ্রামের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে, উত্তরে তিনি বললেন ক্যালিগ্রাফি শিল্প তার স্বপ্ন, নিজে বিচিত্র রঙে ক্যালিগ্রাফি করেন এবং তিনিও এখন অনলাইনে এবং অফলাইনে ক্যালিগ্রাফি শিখিয়ে থাকেন। তিনি বলেন ক্যালিগ্রাফি শিল্প এটি একটি ইসলামিক সাংস্কৃতি ও শিল্পের চর্চা এবং যত্ন করতে পারলে অচিরে ভবিষ্যতে বাংলাদশের মুখ উজ্জ্বল করা সম্ভব ক্যালিগ্রাফি শিল্প দ্বারা।
একটি ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং করতে গেলে অনেক মেধা খাটিয়ে ভেবে চিন্তে বের করতে হয় একটা ইউনিয়ন আইডিয়া। সাথে রঙের মিশ্রণ, লেখার কম্পোজিশন। পরিশেষে তৈরি হয় একটি নজরকাড়া নান্দনিক শিল্পকর্ম। মাহমুদুল হাসান জানায় এই শিল্পের মাধ্যমে বেশ ভালো একটি উপার্জন করা সম্ভব।তার নিজস্ব একটি অনলাইন পেজ আছে Image.com (ইমেজ ডট কম) নামে। যেখানে তিনি তার সকল কার্যক্রম করে থাকেন। পেইন্টিং বিক্রি, অনলাইন ও অফলাইন কোর্সের বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। তার পেইন্টার এর মধ্যে কাপল নেইম ক্যালিগ্রাফি ( দম্পতিদের যৌথ নাম সুন্দর কম্পোজিশনে পেইন্টিং করা) খুব পরিচিত।
এছাড়াও তিনি প্রি অর্ডার নিয়ে গ্রাহকের মনের মত করে ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং করে দেন। দেশ বরেণ্য শিল্প মাহবুব মুর্শিদি সাহেবের এই প্রদর্শনীতে শিল্পী মাহমুদুল হাসানের দুইটি পেইন্টিং প্রদর্শিত হয়েছে, তার মধ্যে একটি পেইন্টিং প্রথম এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। প্রথম এ্যাওয়ার্ড পাওয়ার অভিব্যক্তি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন ক্যালিগ্রাফির অঙ্গনে এতদূর আসার গল্পে মাহবুব মুর্শিদি স্যারের অবদান সব থেকে বেশি, বিনম্র শ্রদ্ধা স্যারের প্রতি। এই সম্ভাবনাময় শিল্প আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ চিন্তা বিকাশে সহযোগিতা করে। সুতরাং এই শিল্পের প্রতি আমাদের সকলের এগিয়ে আশা প্রয়োজন।
-খবর প্রতিদিন/ সি.বা