
আদালত প্রতিবেদক: বিএনপির ভোট বর্জনে ঢাকা আইনজীবী সমিতির (২০২৩-২৪) কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সবগুলো পদেই জয়লাভ করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল। ভোট গণনা শেষে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ আবু এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গণনা শুরু হয়।
তবে এ নির্বাচনকে কারচুপির নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের প্রথম দিনে ভোট কারচুপির কারণে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের আইনজীবীরা ভোট বর্জন করেছেন। ভোট কারচুপি করে নির্বাচনকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। আমরা আগামী রোববার এর প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করব।
এর আগে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। দুদিনে মোট ১৯ হাজার ৬১৮ ভোটারের মধ্যে নয় হাজার ২৪৩ জন আইনজীবী ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচনে ২৩টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৬ জন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সাদা প্যানেল এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য নীল প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
তবে প্রথম দিনের ভোট গ্রহণ শেষে কারচুপির অভিযোগ এনে রাতেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন নীল প্যানেলের মনোনীত সভাপতি প্রার্থী খোরশেদ মিয়া আলম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। পরে বৃহস্পতিবার ভোট বর্জন করেন এবং গণনা থেকেও বিরত ছিলেন।
নির্বাচনে জয়ীরা হলেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলে সভাপতি পদে মিজানুর রহমান মামুন ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জুবায়ের, সিনিয়র সহসভাপতি পদে রুমানা জামান রীতু, সহসভাপতি শ্রী প্রাণ নাথ, ট্রেজারার বিবি ফাতেমা (মুন্নী), সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক ফাহিম শরীফ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব হোসেন (জয়), লাইব্রেরি সম্পাদক মো. রেজাউল হক মিয়া (রিপন), সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিখা ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া (সুমন), ক্রীড়া সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মো. আবুল হাসনাত (জিহাদ)। সদস্য পদে গাজী ইমরুল,জহির উদ্দিন,আশিফুল ইসলাম (মুরাদ),আসলাম হোসেন, মো. কামাল হোসেন, তানজির হোসেন (রবিন), মোছা. ইসমত আরা শারমিন (রীমু), নাসির উদ্দিন, সঞ্জয় কুমার কর্মকার, শারমিন সুলতানা টুম্পা ও ইয়াসিন জাহান (নিশান)।
নীল প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন- সভাপতি পদে খোরশেদ মিয়া আলম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি পদে আব্দুর রাজ্জাক, সহসভাপতি পদে মো. সহিদুজ্জামান, ট্রেজারার আব্দুর রশীদ মোল্লা, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হাসান মুকুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. মইনুল হোসেন (অপু) , লাইব্রেরি সম্পাদক নার্গিস পারভীন (মুক্তি) , সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূরজাহান বেগম (বিউটি), দপ্তর সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম , ক্রীড়া সম্পাদক মোবারক হোসেন ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মাহবুব হাসান (রানা)। সদস্য পদে আলী মর্তুজা, মাহফুজুর রহমান ইলিয়াস, আনোয়ার হোসেন (চাদ), মো আরিফ, সোহেল উদ্দিন রানা, ইয়াকুব আলী, মোহাম্মদ আলী (বাবু), মুক্তা বেগম, মোজ্জাম্মেল হক, রেজাউল হক রিয়াজ ও রুবিনা আক্তার (রুবা)।