Logo
আজঃ রবিবার ১১ জুন ২০২৩
শিরোনাম

ঢাকা বার নির্বাচনে সব পদে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ জুন ২০২৩ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: বিএনপির ভোট বর্জনে ঢাকা আইনজীবী সমিতির (২০২৩-২৪) কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সবগুলো পদেই জয়লাভ করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল। ভোট গণনা শেষে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ আবু এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গণনা শুরু হয়।

তবে এ নির্বাচনকে কারচুপির নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের প্রথম দিনে ভোট কারচুপির কারণে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের আইনজীবীরা ভোট বর্জন করেছেন। ভোট কারচুপি করে নির্বাচনকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। আমরা আগামী রোববার এর প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করব।

এর আগে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। দুদিনে মোট ১৯ হাজার ৬১৮ ভোটারের মধ্যে নয় হাজার ২৪৩ জন আইনজীবী ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

নির্বাচনে ২৩টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৬ জন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সাদা প্যানেল এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য নীল প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

তবে প্রথম দিনের ভোট গ্রহণ শেষে কারচুপির অভিযোগ এনে রাতেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন নীল প্যানেলের মনোনীত সভাপতি প্রার্থী খোরশেদ মিয়া আলম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। পরে বৃহস্পতিবার ভোট বর্জন করেন এবং গণনা থেকেও বিরত ছিলেন।

নির্বাচনে জয়ীরা হলেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলে সভাপতি পদে মিজানুর রহমান মামুন ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জুবায়ের, সিনিয়র সহসভাপতি পদে রুমানা জামান রীতু, সহসভাপতি শ্রী প্রাণ নাথ, ট্রেজারার বিবি ফাতেমা (মুন্নী), সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক ফাহিম শরীফ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব হোসেন (জয়), লাইব্রেরি সম্পাদক মো. রেজাউল হক মিয়া (রিপন), সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিখা ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া (সুমন), ক্রীড়া সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মো. আবুল হাসনাত (জিহাদ)। সদস্য পদে গাজী ইমরুল,জহির উদ্দিন,আশিফুল ইসলাম (মুরাদ),আসলাম হোসেন, মো. কামাল হোসেন, তানজির হোসেন (রবিন), মোছা. ইসমত আরা শারমিন (রীমু), নাসির উদ্দিন, সঞ্জয় কুমার কর্মকার, শারমিন সুলতানা টুম্পা ও ইয়াসিন জাহান (নিশান)।

নীল প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন- সভাপতি পদে খোরশেদ মিয়া আলম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি পদে আব্দুর রাজ্জাক, সহসভাপতি পদে মো. সহিদুজ্জামান, ট্রেজারার আব্দুর রশীদ মোল্লা, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হাসান মুকুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. মইনুল হোসেন (অপু) , লাইব্রেরি সম্পাদক নার্গিস পারভীন (মুক্তি) , সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূরজাহান বেগম (বিউটি), দপ্তর সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম , ক্রীড়া সম্পাদক মোবারক হোসেন ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মাহবুব হাসান (রানা)। সদস্য পদে আলী মর্তুজা, মাহফুজুর রহমান ইলিয়াস, আনোয়ার হোসেন (চাদ), মো আরিফ, সোহেল উদ্দিন রানা, ইয়াকুব আলী, মোহাম্মদ আলী (বাবু), মুক্তা বেগম, মোজ্জাম্মেল হক, রেজাউল হক রিয়াজ ও রুবিনা আক্তার (রুবা)।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নোমানের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:খাগড়াছড়িতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহসভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজাসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।

খাগড়াছড়ি জেলার বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া অভিযোগ করেন, জেলা বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে আব্দুল্লাহ আল নোমানের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় জেলা বিএনপির সহসভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজাসহ ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম ইসমাইল হোসেন পাল্টা অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে হামলা চালান। পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা জবাব দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার নাইমুল হক জানান, পুলিশ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে উভয়পক্ষের কাছে সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

এ দিকে ঘটনার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করেন। অপর দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।


আরও খবর



কমতেই আছে ধানের দাম লোকসানে কৃষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে সিন্ডিকেটে দিনের দিন ধানের দাম ব্যাপকহারে কমতেই আছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষকরা। বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়লেও রহস্য জনক কারনে কমছে ধানের দাম। প্রতি কেজি ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৯ টাকা বা এক মন ধানের দাম ৭৫০ টাকা, আবার ২ কেজি করে ঢলন, মনে ৭ টাকা করে খাজনা আদায়। এতে করে কৃষকরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন। ফলে উঠছেনা খরচ, বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে নিজস্ব জমিতে ১৫০০-২০০০ টাকা লোকসান। অথচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিপনন বিভাগ একেবারেই নিরব।উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামের কৃষক মিজান জানান, আলু উত্তোলন করে ২২ বিঘা জমিতে ৭৬ জাতের ধান রোপন করেছিলাম। এর মধ্যে ২০ বিঘা জমি টেন্ডারে আর ২ বিঘা নিজের। প্রায় ১৫ বিঘা জমির ধান কাটা মাড়ায় হয়েছে। এক বস্তা ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৪৫০ টাকায়। বিঘায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।  টেন্ডারের এক বিঘা জমি রোপন থেকে উত্তোলন পর্যন্ত ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ। আর বিঘায় ১৮ মন করে ফলন হলে মনে ৭৫০ টাকা দাম হলে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা আসে। উর্ধ্বে বিঘায় ২০ মন হলে ১৫ হাজার টাকা হয়।একই এলাকার কৃষক মশিউর জানান, কোন জিনিসের দাম কমছে না। ধানের দাম কমলেও চালের দাম তো কমছেনা। আলু তোলার পর ৩২ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়ে ২০ বিঘা কাটা মাড়াই হয়েছে, এক বস্তায় ২ মন ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকায়।

ব্যবসায়ী হাজী সেলিম জানান, গত সোমবার ও রবিবারে প্রতি বস্তা ধান কিনেছি ১৪৫০ টাকায়। কিন্তু মঙ্গলবারে দাম কমে নেমেছে প্রকার ভেদে ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা করে। কিন্তু চালের বাজর কমেনি।কৃষক চিমনা গ্রামের লুৎফর রহমান জানান, আলুর জমিতে যারাই ধান করেছেন তাদেরকেই লোকসান গুনতে হচ্ছে। প্রচন্ড খরতাপ তারপরও কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান উৎপাদন করে খাদ্য ঘাটতি মিটাচ্ছেন। সে অনুযায়ী কৃষকের পরিশ্রমের কোন মূল্য নেই। প্রতি দিন কমছে ধানের দাম, অথচ চালের দাম কমছে না। চাষের জন্য সার কীটনশকের দাম বাড়তি। আমি টেন্ডারে ৪৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ১৭ বিঘা জমির ধান কাটা মাড়াই করেছি। এক বস্তায় ২ মন ধান গত পাঁচ দিন আগে ১৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি। গত সোমবারে ১৫৫০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হঠাৎ করে মঙ্গলবারে বস্তা প্রতি ১০০-১৫০ ও ২০০ টাকা করে কমে গেল। কোন কারন ছাড়ায় মিলার ও আড়তদারদের মহা সিন্ডিকেটেই কমছে দাম। কারা এই সিন্ডিকেট করছে,প্রতি নিয়ত বাজার মনিটরিং করলে সিন্ডিকেট ধরতে পারত। কৃষি দপ্তরের বিপনন বিভাগও নিরব। কিন্তু তাদেরকে প্রতি দিন বাজার ধর কেন কমছে, কি কারনে বাড়ছে সে রিপোর্ট দিতে হয়। তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ঘরে থেকে ইচ্ছেমত রিপোর্ট দিচ্ছেন। যদি হাট বাজারে এসে কৃষকের সাথে কথা বলত তাহলে সঠিক রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পারত। এক মন ধান বিক্রি করে এক কেজি গরুর মাংস কোন রকমে মিলছে। তিনি আরো জানান, সাবেক মেম্বার পলাশের ১৫ বিঘা, সাহাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ৩৫ বিঘা, মাজহারুলের ২০ বিঘা ও নোনাপুকুর গ্রামের কাদেরের ৫০ বিঘা, সাবেক মেম্বার বনকেশর গ্রামের জয়নালের ২০ বিঘা ধান কাটা মড়াই করে লোকসান হয়েছে, এদের  দু চার বিঘা জমি নিজের, বাকি সব টেন্ডারে। আর রফিকুল নামের কৃষকের ২০ বিঘা নিজস্ব জমি।

স্বর্ন পদকপ্রাপ্ত নুর মোহাম্মাদ বলেন, প্রতিদিন ধানের দাম কমছে। ধানের দাম নিয়ে মহা সিন্ডিকেট চলছে। আবার সরকারি ভাবে ৩০ টাকা কেজি ধরে ধান সংগ্রহ করছেন। কিন্তু প্রচুর হয়রানির জন্য গুদামে ধান দিতে চায় না কৃষকরা। এসিন্ডিকেট দূর করতে না পারলে কৃষকদের পথে বসতে হবে। কারন আলু তোলার পর ধান চাষ হয় সেচ নির্ভরে। সেখানেও অরাজকতা, বিঘায় নানা অজুহাতে নিম্মে ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত  সেচ হার আদায় করা হয়। আর মটরে ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। অথচ সেচ কার্ডের মাধ্যমে হলে নির্ধারিত হারের অর্ধেকের কম খরচ হবে। এসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন মাথা ব্যাথা নেই।সম্প্রতি বাজার মনিটরিং বিষয়ে সভা করেন বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব ওয়াদুদ হোসেন, ধানের দাম কেন কমছে কারা সিন্ডিকেট করছে তাদের বিরুদ্ধে বাজার মনিটরিং কমিটিকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এমন নির্দেশনার পরও বাজার মনিটরিং কমিটির দেখা মিলছেনা বলেও কৃষকদের অহরহ অভিযোগ।

আরও খবর



রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিতে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা কঠিন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;ঢাকা মহানগরীর পর দেশের সবচেয়ে বেশি রোগী চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারে। জেলার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরও সহস্রাধিক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে সেখানে। তবে ভাইরাসটি প্রতিরোধে ব্যবস্থাপনা কঠিন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাদের কালচার আলাদা হওয়ায় এ ব্যাপারে কাজও সেভাবে করা যায় না।

আজ রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নাজমুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় ওয়াসার পানি ধরে রাখতে হলেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পানি সরবরাহের ব্যবস্থা খুব কম। ফলে তারা বিভিন্ন গর্ত থেকে পানি সংগ্রহ এবং অনেক সময় পানি খোলা পাত্রে রেখে দেয়। এ ছাড়া তাদের সচেতনতার বিষয়টি আরও কম।


অধিদপ্তরের এই পরিচালক বলেন, ঢাকায় জনগোষ্ঠী বেশি হলেও সেখানে জায়গা রয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জায়গায় কম মানুষ বেশি। ফলে সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত সেখানে ১ হাজার ৬৬ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।

এদিক, ঢাকা মহানগরীতে রোগী বাড়লেও কোন এলাকায় বেশি সে সম্পর্তে জানতে চাইলে কোনো তথ্য দিতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ ব্যাপারে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় যেখানে ঘনবসতি বেশি সেখানে মশার উপদ্রব বেশি। তবে নির্দিষ্ট করে কোন এলাকায় সবচেয়ে বেশি সেটি বলা এই মুহূর্তে কঠিন। রোগীদের তথ্য যাচাই করে তারপর বলা যাবে। আমরা পুরো ঢাকা শহরকেই বিবেচনায় নিচ্ছি। আমাদের কাজ রোগী ব্যবস্থাপনা। ডেঙ্গু কোথায় বেশি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের।’

রোগী জটিলতার ব্যাপারে অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, ‘ঢাকা শহরে অপরিকল্পিত নগরী গড়ে উঠছে। ঠিক ব্রাজিলের মতোই। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেই আমরা প্লাটিলেটকে সামনে আনি। অথচ এটি সেভাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের উচিত সচেতনতায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।’

এ সময় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় পরীক্ষা বেড়েছে। এজন্য গত বছরের ন্যায় এবারও সরকারিতে ১০০ টাকা এবং বেসরকারিতে ৫০০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।


আরও খবর



বৃষ্টিপাত বাড়বে কাল থেকে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানী ঢাকায় গত দুদিন যাবত পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। আজ সোমবার সকাল থেকে একদিকে তাপপ্রবাহ থাকলেও আবার অন্যদিকে বৃষ্টির প্রবণতা খানিকটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, প্রাক্‌-মৌসুমি আবহাওয়ার এ এক বৈশিষ্ট্য। এর প্রভাব আরও দু-এক দিন থাকতে পারে। এ ছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও খানিকটা বাড়তে পারে।

চলতি মে মাস শুরুই হয়েছিল প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে। ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে ১৪ মে। এর দুই দিন পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় বৃষ্টি। তাপমাত্রাও যায় কমে। তবে দিন চারেক বৃষ্টির পর আবার গরম বাড়তে থাকে। তাপমাত্রা বেড়েছে রাজধানীতেও। 

গতকাল রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন এ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৪টি স্টেশনের মধ্যে মাত্র ৩টি স্টেশনে বৃষ্টি হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ স্টেশনে বৃষ্টি হয়েছিল। অবশ্য দিনভর গরমের পর রাজধানীতে রাতে নামে বৃষ্টি, সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া।

গতকাল সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি খুলনা বিভাগসহ রাজশাহী, পাবনা ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত হতে পারে।


আরও খবর



স্বর্ণের দাম কমল দেশের বাজারে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের বাজারে স্বর্ণের দা‌ম কমা‌নোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। প্রতি ভরি ভালো মানের স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে ১ হাজার ৭৪৯ টাকা। নতুন দাম নির্ধারণ করা হ‌য়ে‌ছে ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা।

আগামীকাল সোমবার থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর করা হবে। আজ রোববার এ তথ্য জানায় বাজুস।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ২৯ মে থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা কমিয়ে ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা করা হয়েছে।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৩২১ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৬ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। তার আগে ১১ এপ্রিল দাম কিছুটা কমানো হয়। তবে ২ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৯ হাজার ১৪৪ টাকা করা হয়েছে।

এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের গয়নার দাম লাখ টাকা ছাড়ি যায়। কারণ, বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গয়না বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গয়না কিনতে ১ লাখ ৭ হাজার ৭৭৫ টাকা গুনতে হয় ক্রেতাদের। দেশের বাজারে এটিই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।

রেকর্ড ওই দাম নির্ধারণের পর ১১ এপ্রিল সব থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৯৮৩ টাকা কমানো হয়। সেই সঙ্গে কমানো হয় অন্যান্য স্বর্ণের দামও। তবে পাঁচ দিনের মাথায় ১৬ এপ্রিল আবার স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়।

দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পর আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে এখন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানোর ঘোষণা এলো।


আরও খবর