Logo
আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

ঢাকা আজ বায়ুদূষণে ষষ্ঠ স্থানে

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক:বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আজ ষষ্ঠ। আজ শনিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকার স্কোর ১২৪। বায়ুর এ মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’। গতকাল শুক্রবার এ তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল চতুর্থ।      

এদিকে ১৬৮ স্কোর নিয়ে আজ বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে চীনের বেইজিং শহর। ১৫৪ এবং ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৪৪। ১৩৪ স্কোর নিয়ে পঞ্চমে রয়েছে চীনের আরেক শহর চংকিং।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।


আরও খবর



দিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জোট জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দিল্লি পৌঁছান তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। 

এর আগে বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। বিমানবন্দরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান ও কূটনৈতিকগণসহ সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

জি ২০তে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আজ সন্ধ্যায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনা। 

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখা হতে পারে। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হবে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শনিবার সরকারপ্রধান সম্মেলনের সাইডলাইনে একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রাথমিকভাবে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। 


আরও খবর



দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ইন্দোনেশিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর ও সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন। শনিবার (১৬ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও তিন বাহিনী প্রধানসহ সরকারি বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।

এর আগে আসিয়ানের চেয়ার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর বিশেষ আমন্ত্রণে আসিয়ান এবং ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগ দিতে ৪ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়া যান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আসিয়ান ও ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগদানের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

পরে আসিয়ানের ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগদান শেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর যান রাষ্ট্রপতি।


আরও খবর



বিয়ে না করেই মা হচ্ছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:মা হতে চলেছেন ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’খ্যাত অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। সামাজিক মাধ্যমে নিজেই তথ্যটি জানিয়ে তিনি লিখেছেন আমি এবং আমার স্বামী যৌথভাবে ঘোষণা করছি যে, আমি মা হতে চলেছি। আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসা একান্ত কাম্য।

ঋতাভরীর এই ঘোষণায় তাজ্জব নেটাগরিকরা! কারণ, এই অভিনেত্রীর যে এখনও বিয়ে হয়নি।  সবার প্রশ্ন, কখন-কাকে বিয়ে করেছেন তিনি? 

শোনা গিয়েছিল, চিকিৎসক তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রেম করছিলেন ঋতাভরী। সেই সম্পর্ক আদৌ আছে কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কয়েকদিন আগে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছিল, সম্পর্কের ইতি টেনেছেন তারা।

তবে নায়িকাদের ব্যাপার-স্যাপার আলাদা। সম্পর্ক এই আছে, এই নেই। তথাগতর সঙ্গে যদি সম্পর্ক না থাকে, তাহলে কার সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন ঋতাভরী? নাকি তাকে গোপনে বিয়ে করেছেন? এসব তো টলিউডে স্বাভাবিক বিষয়। এ রকম নানা প্রশ্ন ঘুরছে অনুরাগীদের মাথার ভেতর। 

যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি। হতে পারে, নতুন কোনো ছবির প্রচারণার কৌশল এটা। আবার সত্যিও হতে পারে। 


আরও খবর



যশোরেই পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র চালু হলো

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা, যশোর প্রতিনিধি:এখন আর পরমাণুচিকিৎসার জন্য খুলনা কিংবা ঢাকা নয়, যশোরেই সরকারি ব্যবস্থাপনায় শুরু হয়েছে ক্যান্সার সহ বিভিন্ন জটিল রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা কার্যক্রম। যশোর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে স্থাপিত নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যায়েলেন্ড সায়েন্সেস (ইনমাস) বা পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্রে গত ১২ সেপ্টেম্বর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর ফলে সরকার নির্ধারিত স্বল্পমূল্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় হওয়ায় সঠিক সময়ে সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দ্বার উন্মোচন হলো। কেন্দ্রের পরিচালক ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেছেন। ইনমাস বা পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র যশোরের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার জামিউল হোসাইন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ছয়টি ক্যাটাগরিতে ২৯টি টেস্ট শুরু করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে, থাইরয়েডর ল্যাব টেস্ট টি-৩, টি-৪, টিএসএইচ, এফটি-৩, এফটি-৪, বিএমডি, ক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েড, হাইপারথাইরোয়েড, পোস্ট সার্জারি সিএ থাইরয়েড প্যাসেন্ট ফলোআপ, ফোরডি এবং হাইরেজুলেশন আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ডুপ্লেক্স স্টাডি টেস্ট। খুব শীঘ্রই আরও ১৬ প্রকার টেস্ট করানোর কার্যক্রম শুরু হবে বলেও ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে। চিঠিপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার পার্থ প্রতীম চক্রবর্তী আমাদের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, পরামানু আনন্দের খবর।

হাসপাতালের সকল ডাক্তারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এর ফলে রোগ নির্ণয় করে দ্রুত সময়ে রোগীর সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদেও নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় যশোরসহ দেশের ৮টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। পুরোপুরি সরকারি ব্যয়ে ২০২০ সালের মধ্যেই কেন্দ্র গুলো স্থাপনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। করোনা মহামারিসহ নানা সংকট সমস্যা কাটিয়ে কেন্দ্রগুলোর ভবন নির্মাণ, রোগ নির্ণয়ের সর্বাধুনিক মেশিন প্লান ও জনবল পদায়ন সম্পনড়ব হয়েছে চলতি বছর। এরপরই শুরু হলো রোগ নির্ণয় কার্যক্রম। ইনমাস বা পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র যশোরের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার জামিউল হোসাইন গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রটি থেকে মানুষ কম খরচে থাইরয়েড, কিডনি, লিভার ও বোন ক্যান্সারসহ নানা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পাবেন। পরামানু শক্তি কমিশনের নির্দেশনায় গত ১২ সেপ্টেম্বর একযোগে যশোরসহ খুলনা বিভাগের আরও দু’টি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে স্থাপিত কেন্দ্রে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকার শহীদ সোহ্ওয়ারদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় বহ্মব্যাধি ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে স্থাপিত কেন্দ্র গুলো রোগ নির্ণয়ের কার্যক্রম হয়েছে।

ডাক্তার জামিউল হোসাইন আরও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শীঘ্রই কেন্দ্রগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এ ব্যাপারে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের তথ্যানুযায়ী, যশোর সহ নতুন ৮টি ইনমাস স্থাপনের আগে দেশের ১৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ইনমাস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপিত ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যায়েলেন্ড সায়েন্সেসের (নিনমাস) মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরমাণু চিকিৎসা সেবা দেয়া হতো।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে বিএসএফের তাড়া খেয়ে আবারো বৃদ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে বিএসএফের তাড়া খেয়ে নদীতে ডুবে আবারো এক বৃদ্ধ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তার নাম- কাছম আলী (৬০)। তিনি জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মাহারাম-গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্ভর) সাড়ে ৭টায় সীমান্তের যাদুকাটা নদী থেকে ওই বৃদ্ধ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- চোরাচালান ও চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তের সোর্স পরিচয়ধারীরা প্রতি বারকি নৌকা থেকে ৩শ টাকা করে চাঁদা নিয়ে, প্রতিদিনের মতো আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্ভব) ভোরে প্রায় ৫শতাধিক শ্রমিককে বারকি নৌকা দিয়ে যাদুকাটা নদীপথে ভারতের অভ্যন্তরে পাঠায় কয়লা, পাথর ও বালি আনার জন্য। ওই সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শ্রমিকদের তাড়া করে। তখন শ্রমিকরা তাদের নৌকা ও মালামাল নিয়ে পালানোর সময় যাদুকাটা নদীতে ডুবে বৃদ্ধ কাছম আলী নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর ওই শ্রমিকের মৃতদেহ পর্যটন স্পর্ট বারেকটিলা সংলগ্ন যাদুকাটা নদীর তীরে ভেসে আসলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। গত দুইদিন আগে একই ভাবে কয়লা, পাথর ও বালি পাচাঁর করার সময় বিএসএফ সদস্যরা নৌকা আটক করে নিয়ে যায়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ভোরে যাদুকাটা নদী দিয়ে ভারত থেকে পাথর পাচাঁরের সময় নৌকা ডুবে আব্দুল হাসিম (৩৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আর আগে গত শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমাছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে আক্তার হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। এছাড়া তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর, চারাগাঁও, বালিয়াঘাট, টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে নদীতে ডুবে ও চোরাই কয়লার গর্তে মাটি চাপা পড়ে গত এপর্যন্ত শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে বেশি মৃত্যু হয়েছে সীমান্তের লাকমা, লালঘাট, বরুঙ্গাছড়া ও যাদুকাটা নদীতে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য সীমান্ত চোরাচালান নিয়ন্ত্রণকারী সোর্স ও তাদের গডফাদারের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে দিনদিন সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে।

এরফলে একদিকে লাখলাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার, অন্যদিকে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর ঘটনা। তাই সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ করার জন্য সোর্স পরিচয়ধারী ও তাদের গডফাদারকে গ্রেফতার করতে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ ও র‌্যাব প্রশাসনের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ৩ শুল্কস্টেশনের সচেতন বৈধ ব্যবসায়ীরা। এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান- সীমান্ত এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছে তার খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর