Logo
আজঃ রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

দেশের সব শিল্পাঞ্চলে ৫জি সেবা নিশ্চিত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের সব শিল্পাঞ্চলে ফাইভজি সেবা নিশ্চিত করা হবে।’ আজ বৃহস্পতিবার ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিন দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায় সরকার। এ জন্য দেশের সব শিল্পাঞ্চলে ফাইভজি সেবা নিশ্চিত করা হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে ডিজিটালাইজেশনের একটা বিপ্লব ঘটে গেছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন রচিত হচ্ছে। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ২০২৪ সালের মধ্যেই স্থাপিত হলে তখন ইন্টারনেট ক্যাপাসিটি বেড়ে ১৩ হাজার ২শ‘ জিবিপিএসে উন্নীত হবে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সরকারপ্রধান। এবার মেলার মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সংযুক্তির মহাসড়ক।

জানা গেছে, মেলায় ৫২টি প‌্যাভিলিয়নে বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ‌্য প্রদর্শন করবে। এর মধ‌্যে রয়েছে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক ক্যাবলে ল্যান্ডফোনের লাইন, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ), মোবাইল অ্যাপস, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জেডটিই ও হুয়াওয়ে তাদের উদ্ভাবিত পণ্য প্রদর্শন করবে। পাশাপাশি দেশি সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো হাজির হবে তাদের তৈরি সফটওয়্যার ও সেবা নিয়ে। টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের ভয়েস, ইন্টারনেট ও মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) দেখাবে।

মেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রয়েছে পৃথক কর্নার। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনী তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া ৮টি সেমিনারের মাধ্যমে সরকারের মন্ত্রী এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বর্তমানের প্রযুক্তি ও আগামী দিনে প্রযুক্তির গন্তব্য নিয়ে কথা বলবেন।


আরও খবর



বিএনপি বাস্তবে যত গর্জে ততটা বর্ষে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির আন্দোলন বাস্তবে যত গর্জে ততটা বর্ষে না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের আন্দোলনের গতি দেখলে বোঝা যায় তারা যতটুকু জনগণের অংশগ্রহণ আশা করেছিল তা হয়নি। কারণ তারা ছিল একটি গণঅভ্যুত্থানের আশায়, সেখান থেকে নেমে এলো নীরব পদযাত্রা। এখন তারা সেখান থেকে নিঃশব্দ মানববন্ধনে নেমে এসেছে। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনো গণআন্দোলন সম্ভব না। তাদের নেতাকর্মীদের দিয়ে মূলত আন্দোলন ছিল, সেটিও এখন কমে গেছে। তাদের আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না। তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো।’

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কোনো আলোচনা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা যা করি প্রকাশ্যে করি। গণতন্ত্র ব্যাকডোরে আলোচনা না। আলোচনা হলে প্রকাশ্যেই হবে। তবে সেই সুযোগ এখনো দেখছি না। আমরা কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না।’

ফখরুল বলেছেন কথা বললেই মামলা দেয়, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কথা বললেই মামলা দেয়, প্রমাণ কী? তারা তো দেশে ৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, সেই স্লোগানও দিচ্ছে। প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রীসহ সবাইকে নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আক্রমণ করছে। তারপরও কি তাদের নেতারা জেলে আছে? যার যা খুশি বলে যাচ্ছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র আছে, নির্বাচন আছে। সরকার আছে, বিরোধীদল আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি যার জন্য যে সংবিধান আছে, সেই সংবিধান পরিবর্তন করে কোনো প্রকার বিকল্প প্রস্তাব, কারো অনুকূল সমর্থন করার সুযোগ নেই। আমরা কোনো পরিস্থিতিতে সংবিধানের প্রশ্নে ছাড় দেবো না। সংবিধানের মধ্যেই সমাধান খুঁজতে হবে। এর বাইরে কোনো প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করবো না। পৃথিবীর অন্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবে এখানেও হবে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালিত হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচন করতে হবে, সেই সংকটে আমরা পড়িনি।

তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকট আছে। এটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগির থেমে যাওয়ার লক্ষণ নেই। সেই যুদ্ধে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা এখনো চলছে। এর ফলে সারা দুনিয়ায় সংকট আছে। জনজীবন, তেলের দাম, ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ অনেক সংকট আছে। বাংলাদেশেও সংকট আছে। সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই একটি চ্যালেঞ্জ। আমাদের জনগণ অনেক ধৈর্যশীল। সরকারের সদিচ্ছার প্রতি জনগণের আস্থা আছে। বিরোধীদল উস্কে দিলেও মানুষ তাতে অংশগ্রহণ করেনি। মানুষের জানমাল রক্ষায় সরকারের আন্তরিক প্রয়াসে জনগণের আস্থা আছে, তাই কোনো গণঅভ্যুত্থানের আশঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, ‘তারা ৭১-এর চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। বিএনপির আন্দোলন মানেই আগুন সন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে মারা, ভূমি অফিস পুড়িয়ে ফেলা। এসব বিএনপির আন্দোলন। আমরা মাঠে না থাকলে তারা এটা করবে না, তার গ্যারান্টি নেই। আমরা ক্ষমতায়, আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। তারা ক্ষমতায় থাকতে আমাদের দাঁড়াতেই দেয়নি। আর রাস্তায় ফখরুল সাহেবরা বের হচ্ছেন, কর্মসূচি পালন করছেন। কেউ তো কিছু বলছে না। আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তো তাদের হচ্ছে না।


আরও খবর



অনূর্ধ-২০ নারী ফুটবলে ইরানের কাছে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

আজাদ হোসেন: এএফসি অনূর্ধ-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম পর্বে ইরানের কাছে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। রোববার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইরানের কাছে হেরে বিদায় নেয় স্বাগতিকরা।

৮৫ মিনিটে গোল করে ১-০ ব্যবধানে জিতে বাছাইয়ের পরের রাউন্ডে উঠে গেছে ইরান। দলটির পক্ষে গোল করেন জানদি। বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথম অর্ধে একাধিক গোল করার সুযোগ নষ্ট করে খেসারত দিয়েছে ম্যাচ হেরে। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি প্রথম ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে জোড়া গোল করা আকলিমা খাতুন। তার নেওয়া দুর্বল শট জমা পড়ে ইরানের গোলরক্ষকের হাতে।

১৭ মিনিটে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। ইরানের গানদি বিপদ সীমানায় ঢুকে পড়লে তার পা থেকে বল কেড়ে নেন রূপনা চাকমা।৩২ মিনিটে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। সে যাত্রায়ও ভাগ্য খোলেনি। আইরিনের নেওয়া শট বাইরে চলে যায় পোস্ট গেছে।

প্রথমার্ধে ইরান আরও একবার গোলের সহজ সুযোগ পেয়েছিল। সেবারও বাংলাদেশের ত্রাতার ভূমিকায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

বাংলাদেশ একাদশ

রুপনা চাকমা (অধিনায়ক), নাসরিন আক্তার (উন্নতি), সুরমা জান্নাত, আফিদা খন্দকার, সোহাগি কিসকু, স্বপ্না রানি, মাহফুজা খাতুন (হালিমা আক্তার), শাহেদা আক্তার রিপা, আকলিমা খাতুন, আইরিন খাতুন, ইতি খাতুন।


আরও খবর

বাংলাদেশ ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিতল

বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩

১০১ রানে শেষ আয়ারল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩




নির্বাচনী ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছে আ. লীগ সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এ আহ্বান জানান। বিএনপি ঘোষিত ‘আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে: ২৭ দফা রূপরেখার গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে যে নির্বাচন হয় সেটা ঐতিহাসিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। সেই নির্বাচনকে সবাই সম্মানের চোখে দেখে। কিন্তু বুধবার নির্বাচনকে ঘিরে যা ঘটেছে তা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা। আমরা ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি।

‘এটা ঘটা প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। এখন মনে হয় যে সরকারও নেই। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ব্যবস্থা তারা ভেঙে দিয়েছেন,’ যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। 

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে ৭৩ দিন হরতাল করেছিল। আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। আজকে তারা সেটা বাতিল করে ফেলেছে। এখন দেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আগে প্রেসক্লাবের নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করেছে। তারা এভাবে দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।

বিএনপির আন্দোলন চলছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের আন্দোলনে ১৭ জন ভাই প্রাণ দিয়েছে। আসুন, আমরা সবাই মিলে কঠোর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের ‘সংবিধান বিতর্ক’ বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাহাত্তর সালের সংবিধান প্রণয়নের আগে ১৯৭১ সালের আগে দুটো নির্বাচন হয়েছিল। একটি পাকিস্তান জাতীয় সংসদের আরেকটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। এরপর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যদের দিয়ে সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ গঠন করেছিলেন। যারা দেশের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় সংবিধান রচনা করেছিলেন। যেখানে গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কিন্তু তার কোনটা আজকে আছে

তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন। আর বলেন গণতন্ত্রের কথা। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানও বলেছিলেন, গণতন্ত্রের কথা। আজকে কোন রাষ্ট্রে বাস করছি আমরা। সত্য কথা বললে বলা হয় আমরা নাকি সমস্যা তৈরি করতে যাচ্ছি। তারা দেশের ভোট ও নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করেছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়টি তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। যা শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ও হয়েছিল। তিনিও বাকশাল কায়েম করেছিলেন। আসলে আওয়ামী লীগ হলো চোর। সব ক্ষেত্রে তারা চুরি করে। এর চেয়ে বড় চোর বিশ্বে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখন তারা যমুনা নদী সংকুচিত করতে প্রকল্প নিয়েছে। আসলে এখন কিছু নেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে কষ্ট হয় যে, যখন দেখি কিছু বুদ্ধিজীবী এই নেত্রীকে সাপোর্ট করে। তার অন্যায়গুলোকে সমর্থন করেন। এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম? চিৎকার দিয়ে বলতে পারি আমরা এই বাংলাদেশ চাইনি। আজকে দেশের মানুষ ভাত পায় না, চাল পায় না। একজন শ্রমিক তার ছেলেকে প্রোটিন হিসেবে ডিমও খাওয়াতে পারে না।

আলোচনা সভায় ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান আব্দুল করিম আব্বাসী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল ) চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম সহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাব। ২৭ দফা রুপরেখা বাস্তবায়ন ও দেশ জাতিকে রক্ষার জন্য যুগপৎ আন্দোলনে আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনারা সবাই শরিক হবেন এই প্রত্যাশা করি।’

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন নেতারা।


আরও খবর



ঈদের আগেই পদ্মা সেতুতে চলতে পারে মোটরসাইকেল

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেতু কর্তৃপক্ষের এক প্রকৌশলী এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত বছরের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। এর পরদিন সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পরে সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হয়। এরপর সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

এতে মোটরসাইকেল চালকেরা বিকল্প হিসেবে ট্রাক বা পিকআপে মোটরসাইকেল পারাপার করছেন। সেতুতে মোটরসাইকেলের নির্ধারিত টোল ১০০ টাকা হলেও ট্রাক বা পিকআপে একটি মোটরসাইকেল পার করতে খরচ হচ্ছে ৪০০ থেকে এক হাজার টাকা। এতে আর্থিক ক্ষতিসহ দুর্ভোরে শিকার হচ্ছেন মোটরসাইকেলচালকরা।

অন্যদিকে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ থাকায় বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। তবে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকলেও সেতু দিয়ে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেতু কর্তৃপক্ষের এক প্রকৌশলী জানান, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ সংক্রান্ত নথিপত্র প্রস্তুত করে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। অনুমতি পেলে ঈদুল ফিতরের আগেই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলতে পারে। আলাদা দুটি লেন দিয়ে মোটরসাইকেল  চলাচল করবে বলেও জানান ওই প্রকৌশলী।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ৬ মার্চ সচিবালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আপাতত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলতে দেওয়া নিয়ে কোনো ভাবনা নেই।

সেতু কর্তৃপক্ষের ওই প্রকৌশলী আরও জানান, গত সপ্তাহে সেতুর নিরাপত্তা নিয়ে জাজিরার শেখ রাসেল সেনানিবাসে একটি সভা হয়েছে। ওই সভায় সেতু কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সবদিক ভেবে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যাপারে লিখিতভাবে সরকারের উচ্চপর্যায়ে তুলে ধরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের টোল প্লাজা ও সংযোগ সড়কের (সংরক্ষণ ও সার্ভিস) নির্বাহী প্রকৌশলী লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস জানান, সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। সিদ্ধান্তটি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসবে। তারা এ–সংক্রান্ত নথিপত্র প্রস্তুত করেছেন। অনুমতির জন্য আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।


আরও খবর



অবশেষে ইন্টারপোলের তালিকায় আরাভ খান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল বাংলাদেশের পুলিশ পরিদর্শক হত্যার মামলার অন্যতম আসামি ও দুবাইয়ে আলোচিত সোনা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান আটক হতে পারেন। এর আগে আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন) চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানায় বাংলাদেশ পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইন্টারপোল ওয়েবসাইটের রেড নোটিশের তালিকায় তার নাম পাওয়া গেছে।

ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, বাংলাদেশি অপরাধী হিসেবে মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রবিউল ইসলাম রবিউল এর নাম যুক্ত হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সী রবিউলের জন্মস্থান বাংলাদেশের বাগেরহাটে। জাতীয়তা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি।

রবিউল ইসলামের নাম যুক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারপোলের তালিকায় ৬৩ জন বাংলাদেশি অপরাধী সংস্থাটির রেড নোটিশের আওতায় রয়েছে। যারা বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে।

এর আগে, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছিলেন, ‘আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

রবিউল ইসলামের নাম যুক্ত হওয়ায় ইন্টারপোলের তালিকায় এখন ৬৩ জন বাংলাদেশি অপরাধী সংস্থাটির রেড নোটিশের আওতায় রয়েছেন। যারা বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন।

পুলিশ বলছে, আরাভ খানই মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এছাড়া তিনি কিভাবে দেশত্যাগ করলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।


আরও খবর