Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

দেশের সব বিমানবন্দর থেকে উঠল করোনা বিধিনিষেধ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক:রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দর থেকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। প্রতিষ্ঠানটির ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সদস্য এয়ার কমোডর শাহ কাওছার আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে জারি করা এক সার্কুলারে এ কথা জানানো হয়।

গত বৃহস্পতিবার সার্কুলারটি জারি করা হয়। আজ শনিবার এটি সংবাদমাধ্যমে আসে।

বেবিচকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশ ও বাংলাদেশ ছাড়ার সময় কোনো যাত্রীকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখাতে হবে না। কোনো যাত্রীকে আরটি-পিসিআর কোভিড টেস্ট বা হেলথ ডিক্লারেশন ফরমও পূরণ করতে হবে না। প্রত্যেকের জন্য মাস্ক পড়ার বিধিনিষেধও শিথিল করা হলো।

এতে বলা হয়, সর্বসাধারণের জন্য মাস্কের বিধিনিষেধ তুলে ফেলা হলেও যারা হাসপাতাল বা ক্লিনিকের মতো সংবেদনশীল জায়গায় কাজ করেন, তাদের মাস্ক পড়তে হবে। যাত্রী পরিবহনে বড় বা ছোট এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে যাত্রী আনা-নেওয়ার সংখ্যায়ও কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। তবে যাত্রীরা যেসব দেশের উদ্দেশে যাবেন তাদের সেসব দেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিধিনিষেধ মানতে হবে।

সার্কুলারে হজযাত্রীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিধিনিষেধ মানতে হবে। মার্স ভাইরাসে আক্রান্তের আশংকা থাকায় সবাইকে উট থেকে দূরে থাকতে হবে।


আরও খবর



অবিশ্বাস্য দামে দারাজে পাওয়া যাচ্ছে রিয়েলমি স্মার্টফোন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রিয়েলমি’র নতুন উন্মোচিত হওয়া অত্যাধুনিক সব স্মার্টফোন দারাজ থেকে সাশ্রয়ী দামে কেনার এখনই সুযোগ! দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দারাজে অবিশ্বাস্য দামে পাওয়া যাচ্ছে রিয়েলমি’র বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইস। গতকাল (১২ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া এ অ্যানিভার্সারি ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ ক্যাম্পেইনে রিয়েলমি’র জিটি মাস্টার এডিশন ও ৯ প্রো প্লাস সহ ব্র্যান্ডটির বিভিন্ন স্মার্টফোন কেনার সুযোগ থাকছে দুর্দান্ত দাম ও আকর্ষণীয় ডিলে। ক্যাম্পেইন চলাকালে, ক্রেতারা নির্বাচিত স্মার্টফোনে দারাজের ডিসকাউন্ট কুপন ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ২,৮০০ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন; সাথে থাকছে শূন্য শতাংশ ইএমআই ও ব্র্যান্ড ওয়্যারেন্টি সুবিধা। এছাড়াও, এসব স্মার্টফোন কেনা যাবে পেমেন্ট পার্টনারদের বিস্তৃত পরিসরের আকর্ষণীয় ডিলের মাধ্যমে। ক্যাম্পেইনে রিয়েলমি’র যেসব ডিভাইস পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে রিয়েলমি সি৩০ (২জিবি র‍্যাম/৩২জিবি রম), রিয়েলমি সি৩৩ (৪জিবি/১২৮ জিবি), রিয়েলমি সি৫৫ (৮জিবি/২৫৬ জিবি), রিয়েলমি সি৫৫ (৬জিবি/১২৮জিবি), রিয়েলমি সি৩০এস (৩জিবি/৬৪জিবি), রিয়েলমি সি৫৩ (৬জিবি/১২৮জিবি), রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন (৮জিবি/১২৮জিবি), রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস (৮জিবি/১২৮ জিবি) এবং রিয়েলমি সি৫১ (৪জিবি/৬৪জিবি)। রিয়েলমি’র মান ও সাশ্রয়ী দামের মধ্যে সমন্বয়ের কারণে তরুণ-কেন্দ্রিক এ ব্র্যান্ডটি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সবার জন্য স্মার্টফোন ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি রিয়েলমি উদ্ভাবনী, প্রতিযোগিতামূলক ফিচার সমৃদ্ধ এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের স্মার্টফোন নিয়ে আসছে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন? এ লিঙ্কে ক্লিক করে উপভোগ করুন আকর্ষণীয় ডিল।


আরও খবর



তানোরে স্কুল নৈশ প্রহরীর বছর ধরে বেতন ভাতা বন্ধ!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার আমশো মথুরাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মাহবুর মোল্লা প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বিগত এক বছর ধরে ডিউটি ও বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আংগুয়ারা বেগম তার আত্মীয় কে চাকুরী দেওয়ার জন্য মাহবুরকে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে বিগত প্রায় এক বছর ধরে কোন কিছুই করতে দেননি। বেতন ভাতা ও ডিউটি করার জন্য চলতি বছরের ৩০ আগষ্ট স্কুল কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় কাউন্সিলর এবং অর্ধশতাধিক অভিভাবকের সাক্ষর সংবলিত লিখিত আবেদন করেন জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর। আবেদনের অনুলিপি স্থানীয় সংসদ, সচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিচালক রাজশাহী শিক্ষা অফিস এবং উপজেলা নির্বাহীর বরাবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেতন ভাতা তো দূরে থাক উল্টো প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে তার নিয়োগ বাতিলের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এতে করে নৈশ প্রহরীর পরিবারে চরম হতাশা বিরাজ করছে।সেই সাথে নিয়োগ প্রক্রিয়া ও বেতন ভাতা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবক মহল। ফলে একজন এতিম অসহায় নৈশ প্রহরীর চাকুরী পুনর্বহালসহ বেতন ভাতা না হলে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নেই,কারন চাকুরীটাই তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনের উপায়।জানা গেছে বিগত প্রায় এক বছরের আগ থেকে তানোর পৌর এলাকার মথুরা পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মাহবুর মোল্লা প্রধান শিক্ষক আংগুয়ারা বেগমের প্রতি হিংসার শিকার। কারন মাহবুরকে চাকুরীচ্যুত করতে পারলে অন্য কাউকে নিয়োগ দিয়ে মোটা টাকার বানিজ্য করা যাবে। 

স্থানীয়রা জানান, মাহবুর নৈশ প্রহরীর চাকুরী করেন। সে যদি কোন অন্যায় করে থাকে তাহলে স্কুল কমিটি রয়েছে, উপজেলা প্রশাসন রয়েছে, তারাই তো সমাধান করতে পারত।আবেদনে উল্লেখ, মাহাবুর মোল্লা তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে আসছেন। প্রধান শিক্ষক নিজের আত্মীয় কে ওই পদে চাকুরী ও বিভিন্ন অজুহাতে মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করে চাকুরীচ্যুত করার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট মিথ্যা প্রতারনা মুলুক অভিযোগ দায়ের করে বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়াও তার হাজিরা খাতা পর্যন্ত গোপন রাখে। প্রতিবাদ করলেই অভিযোগ। অথচ জেলা শিক্ষা অফিসার বেতন ভাতা দিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে নির্দেশ দেন ও স্থানীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুপারিশ করার পরও রহস্য জনক কারনে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বেতন ভাতা চালু করেন নি।এদিকে চলতি মাসের ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক সাক্ষরিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল প্রসঙ্গে পত্র দেওয়া হয় তা হুবহু তুলে ধরা হল। মসপ্রবি/ তান/ রাজ- ৫৯ নম্বর স্মারক এবং ৯৮৫ নম্বর স্মারক তাং ২৩/৫/২০২৩ইং ও উশিঅ/ তান/রাজ ৩৭৭ স্মারক তাং ৯/৭/২০২৩ ইং। বিষয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী পদে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সম্পাদিত চুক্তিপত্র বাতিল/ কর্মে অবসান প্রসঙ্গে। 

উপযুক্ত বিষয় মোতাবেক আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি দপ্তর কাম প্রহরী পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের চুক্তিপত্র সম্পাদন / সাক্ষর করে বিগত ৯/৬/২০১৩ ইং তারিখে ওই পদে চুক্তিভুক্ত যোগদান করেন।পরবর্তীতে উক্ত চুক্তির মেয়াদ ১/৬/২০২২ সাল হতে তিন বছরের জন্য নবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু আপনি কর্মে যোগদানের পর হতে বিভিন্ন সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দায়িত্বে অবহেলা,অসদাচরন,মাদক সেবন,প্রতিপক্ষকে অমান্য, উশৃংখলা ইত্যাদি অভিযোগে জড়িত থাকায় গত ১৪/৮/২০২৩ ইং তারিখে ন্যায় বিচারের স্বার্থে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ০৭(সাত) দিনের মধ্যে কারন দর্শানো হয়। কারন দর্শানোর প্রেক্ষিতে আপনি যে জবাব প্রদান করেছেন তা আদৌ বিবেচনাযোগ্য নহে।এমতাবস্থায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী পদে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের নীতিমালা অনুযায়ী আপনার চুক্তিনামা বাতিল /কর্মে অবসান ঘটানো হলো।ইহা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে,

বিভাগীয় উপপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা, রাজশাহী বিভাগ, রাজশাহী। 
চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ, তানোর 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, তানোর, 
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, রাজশাহী। 
উপজেলা শিক্ষা অফিসার, তানোর।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ( সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার)  তানোর। 
সভাপতি ( এস,এম,সি)
ভুক্তভোগী নৈশ প্রহরী মাহবুর মোল্লা বলেন, আমি প্রধান শিক্ষকের প্রতিহিংসার শিকার। যে সব অপবাদ দেওয়া হয়েছে সবকিছুই মিথ্যা। যদি মিথ্যা না হত তাহলে স্কুল কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং এমপি আমার আবেদনে সুপারিশ করত না। আমি শোকজের জবাব দেওয়ার পরো আমার সাথে এমন অমানবিক আচরণ করছেন।আমি একজন এতিম, আমার পিতা মাতা কেউ নেউ, আমি অসহায় বলেই সবার সুপারিশে চাকুরী পায়। আমার পরিবারে চারজন সদস্য আছে। তারা আমার উপর নির্ভরশীল। বিগত এক বছরের অধিক সময় ধরে বেতন ভাতা না পেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছি। আমি প্রধান শিক্ষক সহ অন্য শিক্ষক দের হুকুমের গোলাম, তাদের সাথে আমি কেন বিবাদ করব। আমি তো শিক্ষকতা করবনা যে, তাদের সাথে দ্বন্দ্ব করব। আমি অনুরোধ করে বলব ভূলের উর্ধ্বে কেউ না আমার ভূল হয়ে থাকলে শাস্তি আছে, তাই বলে রিজিক কেন বন্ধ করে দিবে। আমি যদি খারাপ হতাম তাহলে অর্ধশতাধিকের বেশি অভিভাবক আমার আবেদনে সাক্ষর করত না। আমি খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছি।প্রধান শিক্ষক আংগুয়ারা বেগম বলেন, তার কৃতকর্মের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ যেভাবে বলেছেন আমি সেভাবে কাজ করছি বলে তিনি দায় সারেন ।স্কুল কমিটির সভাপতি বকুল হোসেন বলেন, একজন নৈশ প্রহরীর সাথে এসব করা সঠিক কাজ না। নিজেদের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি হলে সমাধান তো আছেই। সেটা না করে চাকুরীচ্যুত করাটা একেবারেই অমানবিক ছাড়া কিছুই না।উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরা বেগম বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার যেভাবে বলেছেন সেভাবেই কাজ হয়েছে বলে তিনিও  দায় সারেন।


আরও খবর



তাহিরপুরের ৩ চোরাকারবারী জগন্নাথপুরে গ্রেফতার: সীমান্তে নেই অভিযান

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত ভারতীয় মালামাল যাত্রীবাহী বাসে বোঝাই করে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযান চালিয়ে ১লাখ ৩৮হাজার টাকার অবৈধ মালসহ ৩ চোরাকারবারীকে আটক করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। কিন্তু তাহিরপুর সীমান্তে একাধিক মামলার আসামীরা দাপটে সাথে, লাখলাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিরাতে ভারত থেকে অবাধে কয়লা, চুনাপাথর, চিনি, সুপারী, গরু, কাঠ, গাছ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি ও মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন মালামাল ওপেন পাচাঁর করলেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না বলে খবর পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনে মতো গতকাল মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্ভর) রাত ১১টা থেকে আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্ভর) ভোর ৫টা পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের পুলিশ ফাঁড়ির পিছন দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৩০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে, বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন নিলাদ্রীর তীরে অবস্থিত অসিউর রহমানের ডিপুতে নিয়ে মজুত করে চোরাকারবারী মোক্তার মহলদার,রফিকুল ইসলাম,আক্কাছ মিয়া,ফিরোজ মিয়া,শহিদুল মিয়া ও ভোট্টো মিয়াগং। একই ভাবে এই সীমান্তের বড়ছড়া,বরুঙ্গছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে শতাধিক মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিভিন্ন ডিপুতে মজুত করাসহ বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট এলাকার পাকা সড়কের পাশে পৃথক ভাবে ৭টি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই দেড়শ মেঃটন কয়লা ও মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করে নিয়ে যায় সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কালাম,রতন মহলদার,কামরুল মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া ও নেকবর আলী। এছাড়াও চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া,রাজাই,কড়ইগড়া,বারেকটিলা,লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী,সাহিদাবাদ,শাহ-আরেফিন মোকাম,পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে কয়লা,পাথর,বিড়ি,মদ,গাঁজা,ইয়াবা, গরু ও কসমেটিকসসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করেছে স্থানীয় চোরাকারবারীরা। কিন্তু অবৈধ মালামালসহ কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাত সাড়ে ১২টায় তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়গড় গ্রামের মৃত রাজ আমিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(৪৫),একই গ্রামের আশরাফ উদ্দিনের ছেলে নজির হোসেন(২৭) ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষনশ্রী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত তজমিল আলীর ছেলে ফরহাদ আলম(২৫)কে ভারতীয় মালামালসহ গ্রেফতার করেছে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ। এছাড়া গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্ভর) রাতে চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা,জঙ্গলবাড়ি,কলাগাঁও,এলসি পয়েন্ট,বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী রফ মিয়া,আইনাল মিয়া,সাইফুল মিয়া,লেংড়া জামাল,হযরত আলী,সুহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু,খোকন মিয়া ও রুবেল মিয়াগং রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লা,চুনাপাথর,চিনি, সুপারী ও মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করে অর্ধশতাধিক ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা নিয়ে গেলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। এব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান- সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আল-শামীম পরিবহণে তল্লাশী করে ১৭বস্তা ফুসকা, হরলিক্স ও কোল্ড ড্রিংকস জব্দ করাসহ ৩ চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে  লাভরভকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এরপর রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। 

এদিকে আজ বিকেলেই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি।


আরও খবর



নবীনগরে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্  নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া  প্রতিনিধি :ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে আলোচিত ঘটনায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ  সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।২১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকালে উপজেলার শিবপুর হাইস্কুল মাঠে এই মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

প্রথমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোহাম্মদ হোসেন খাঁনের পক্ষে আবুল ফায়েজ।সেসময় সেখানে নাছিমা কর্তৃক মামলার বিবাদী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করে আবুল ফায়েজ বলেন,গত ৩১ আগষ্ট নাছিমা আক্তার দুবৃর্ত্ত দ্বারা আহত হন। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সে বাদী হয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর এজাহার নামনীয় ১৫ জন সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করে বাংলাদেশ প্যানেল কোড ১৪৩/৩৪১/৩২৫/৩০৭/৩৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় নবীনগর থানায় ১১/১৯২-২৩ইং মামলা করে।

যাহা মিথ্যা,বানোয়াট,কাল্পনিক অসত্য। এই মামলায় আমরা হাইকোট থেকে বর্তমানে জামিনে আছি। আমাদের সাথে নাছিমার কোন বিরোধ ছিল না,তাকে মেরে ফেলার মত হীন মানসিকতাও আমাদের নেই। 

সে একজন মামলাবাজ মহিলা, ১৫ থেকে ২০ টি মামলার বাদী ও আসামি। এমনকি সে মাদক কারবারী ও ব্লাকমেইল করে জীবিকা নির্বাহ করে। সে একেক জায়গায় একেক জনকে স্বামী পরিচয় দেয়, তার বহু পুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তার খপ্পর থেকে পুলিশ সদস্যও রেহাই পায়নি। এই পরিবারটিই একটি মামলাবাজ পরিবার। ওরা কখনো বাদী, কখনো মামলার সাক্ষী হয়ে মানুষকে নাজেহাল করে থাকে। বর্তমানে এই নাছিমা একটি কুচক্রী মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাদেরকে সমাজে ক্ষেয় প্রতিপন্ন করতে এই মামলা করেছেন। বহু মানুষের সাথে তার চরম বিরোধ রয়েছে, আমাদের ধারণা তার উপর হামলা সেসবক প্রতিহিংসার কারণে হতে পারে। অথচ তার উপর হামলার ঘটনায় সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেই ভিডিও সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তার সাথে এজাহারে কোন মিল নেই।

স্থানীয় রাজনীতিতে আমাদেরকে বেকায়দায় ফেলতে একটি কুচক্রী মহল ও সে মিলে আমাদেরকে এই মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছেন। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাননীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নিকট আকুল আবেদন করি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই মামলা থেকে আমাদের অব্যাহতি দেয়ার জন্য।

পরে সংবাদ সম্মেলন শেষে শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী সহ মামলার বিবাদীগণ। এতে উপস্থিত মোঃ হোসেন খাঁন,হাজী মোছা মিয়া,,মোস্তাক আহমেদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মিয়া,মোহাম্মদ শহীদ মেম্বার, মোঃ ফরিদ মিয়া,আবুল ফয়েজ,অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর মাহবুবুল আলম,আশরাফুল্লা সবুজ,মোহাম্মদ জাকির হোসেন,মোহাম্মদ শাহ আলম,মোহাম্মদ মমিন মিয়া,মোঃ আব্দুল হক,মোহাম্মদ বাসির মিয়া,মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সহ আরো অনেকেই।

উপস্থিত বক্তারা সৃষ্ট ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি এই মামলায় দায়েরকৃত আসামিদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান।

তবে এই বিষয়ে জানতে নাসিমা আক্তারের পরিবারের মতামত জানতে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী তাদের বাড়িতে গেলে নাছিমার বাড়িতে থাকা বোনেরা তাদেরকে ভর্ৎসনা করেন।

এবং বলেন,আপনারা এখানে কি চান ? আমার বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, অবস্থা অনেক খারাপ তিনি সুস্থ হয়ে এলে তখন এসে বক্তব্য নিয়েন,এখন বাড়ি থেকে যান।

উল্লেখ্য গত ৩১শে আগষ্ট সন্ধ্যায় শিবপুর বাজার সংলগ্ন রাস্তায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন স্থায়ী বাসিন্দা নাছিমা আক্তার,প্রথমে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকায় রেফার করেন,বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেসময় আহত নাছিমার মুমূর্ষু অবস্থায় নেয়া একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

পরে এই ঘটনার কিছুটা ভিন্নতা এনে গত ৭ই সেপ্টেম্বর নবীনগর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন আহত নাছিমা। সেখানে ১৬জনকে সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনকে আসামি করা হয়েছে।যার প্রেক্ষিতে এই মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর