Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

দেশের জ্বালানী সংকটে দীঘিপাড়া কয়লাখনির কয়লা উত্তোলন করার এখনি সময়

প্রকাশিত:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২০২জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দেশের উত্তর অঞ্চলের আবিষ্কৃত ৫টি কয়লাখনির মধ্যে দীঘিপাড়ার কয়লাখনির কয়লা উত্তোলণ করে জ্বালানী খাতে ব্যবহার সময়। বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি নির্ভর ও অর্থ ব্যয় করে কয়লা আমদানি করা বন্ধ করে দিঘীপাড়ার কয়লাখনি কয়লা দিয়ে জ্বালানি খাতের উন্নয়ন করা এখনি সঠিক সময়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কয়লার চড়া মুল্য হওয়ায় দেশে স্থাপিত কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলি যেহেতু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেজন্য সরকারকে এখনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। ৫টি কয়লাখনির মজুদ ৩,১৯৭মিলিয়ন টন কয়লা রয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানির উৎস গ্যাস। বিশ্ব বাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে এবং গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে জ্বালানি খাতের অবস্থা লাজুক। এছাড়া দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়েকটি পাওয়ার প্লান গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। দেশের গ্যাস মজুদ যেহেতু অফুরন্ত নয়, তাই আগামী দিনে বিকল্প জ্বালানী হিসেবে কয়লার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে উত্তর অঞ্চলের ৫টি কয়লা খনি। দেশে আবিষ্কৃত কয়লা ৫৩টিসিএফ গ্যাসের মজুদ, যা দেশে এ পর্যন্ত আহরিত গ্রাসের প্রায় ৪গুন বেশি। দিনাজপুরের ৩টি আবিষ্কৃতি খনি বড়পুকুরিয়া, ফুলবাড়ী ও দিঘীপাড়া অপরদিকে আরো ৩টি খনি হচ্ছে রংপুরের খালাশপীর ও জয়পুর হাটের জামালগঞ্জ। শুধু দিনাজপুরের আবিষ্কৃত কয়লাখনিতে মজুদ রয়েছে ১ হাজার ৪শত ৬২ মিলিয়ন টন কয়লা। ১৯৮৫ সালে বিওএইচপি নামক একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠান ফুলবাড়ী,পার্বতীপুর, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে আর একটি কয়লা খনি আবিষ্কার করেন। ১৯৯৭ সালে লন্ডন ভিত্তিক একটি বহুজাতিক কোম্পানি এই এলাকায় ১০৭টি কুপ খননের মাধ্যমে উন্নতমানের কয়লা আবিষ্কার করেন। এই কয়লাখনিতে ৬.৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৫শত ৭২ মিলিয়ন টন কয়লার মজুদ নির্ধারণ করেন। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দিঘীপাড়া কয়লাখনিটি ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ ভূতাত্তিক জরিপ অধিদপ্তর এই খনিটি আবিষ্কার করেন। দীর্ঘ ১যুগ ধরে বেশ কয়েকটি কুপ খনন করে ৫শত মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের পরিমাণ যাচাই করেন। বর্তমান বাংলাদেশ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রানালয়ের আওতায় বিসিএমসিএল

এর মাধ্যমে ৩বৎসর মেয়াদী জরিপ কাজ চালানো হয়। জরিপ কাজ শেষে চীনা কোম্পানী দিঘীপাড়া কয়লাখনিটি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেন। এই খনিটির তদারকের দায়িত্বে ছিলেন প্রকল্প পরিচালক হিসেবে মোঃ জাফর সাদিক। প্রকল্প পরিচালক সমীক্ষা শেষ করে খনিটির বাস্তব চিত্র তুলে ধরে খনিটি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ে পাঠান। মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। বর্তমান সরকার দেশের ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলন করে জ্বালানী খাতে ব্যবহার করবেন না বলে জানিয়ে দিলেও বর্তমান জ্বালানী খাতের সংকটের কারণে এই খনিটি বাস্তবায়ন হবে বলে জানা গেলেও এখন পর্যন্ত সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এই খনিটি বাস্তবায়ন করা হলে মজুদ কয়লা জ্বালানী খাতে সহায়ক হবে। দেশের উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ অঞ্চলে যেসব কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশিয় অর্থে ও বিদেশি বিনিয়োগে তৈরি করা হয়েছে সেসব কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ না থাকলে এক সময় বন্ধ হয়ে যাবে। যার কারণে এখনি উত্তম সময় দিঘীপাড়ার কয়লা খনিটি বাস্তবায়ন করে কয়লা উত্তোলন করা প্রয়োজন। তেল, গ্যাস এর উপর নির্ভর করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করায় অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকার। বিদেশ থেকে আমদানি করা কয়লা আমাদের দেশের মত এত উন্নত নয়। তারা তাদের দেশের অউন্নত কয়লা বিদেশে রপ্তানি করছে। এতে একদিকে যেমন সরকার অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে অন্যদিকে বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি নির্ভর কমে যাবে। বর্তমান বড়পুুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা দিয়ে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রাখ হয়েছে। ৬.৬৮ বর্গকিলোমিটার কয়লার ক্ষেত্রে ১১৮ থেকে ৫০৬ মিটার গভীরতায় ৬টি স্থরে কয়লার মজুদ ৩৯০ মিলিয়ন টন। ২০০১ সাল থেকে শুরু করে ১৯ শে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কোটি মেট্রিকটন কয়লা উৎপাদন হয়েছে। বর্তমান বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ভূগর্ভ থেকে সুরঙ্গ পথে কয়লা উত্তোলণ অব্যাহত রয়েছে। সুরঙ্গ পথে চীনা প্রযুক্তিতে কয়লা তোলায় খনিটির অফুরন্ত ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে খনিতে ব্যয় বাড়ছে। থেকে যাচ্ছে প্রায় ৮০ভাগ কয়লা। উঠে আসছে ২০ভাগ কয়লা। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জ্বালানীর অভাবে ধুকে ধুকে চলছে। বর্তমান ২নং ও ৩নং ইউনিট চালানো হচ্ছে। যে ভাবে চালানো হচ্ছে তা বেশি দিন ধরে রাখতে পারবে না বলে জানা গেছে। এদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূগর্ভ থেকে স্বপ্ল মাত্রায় কয়লা উত্তোলন চলছে। ভূর্গভ থেকে আগের মত এখন আর কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। ২০২৭ইং সালের মধ্যে কয়লা খনিটির উৎপাদন অনেক অংশে কমে আসবে। সে ক্ষেত্রে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বলানীর অভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি পরিবর্তন করে দিঘীপাড়া কয়লাখনিটি ওপেন মাইনিং পদ্ধতিতে করলে সরকার লাভবান হবেন। এইএলাকার মানুষের নতুন নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হবে এবং জীবন জীবিকার পথ সুগম হবে। দিঘীপাড়ার কয়লাখনির মজুদ কয়লা উত্তোলনে সরকারের এখনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।


আরও খবর



চোরাই মোবাইল সহ শার্শার দুই ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:চোরাই মোবাইল সহ শার্শার নাভারন বাজারের দুই ব্যবসায়ীকে আটক করেছে যশোর ডিবি  পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, শার্শার উত্তর বরুজবাগান গ্রামের ইমরান হোসেন ও রাহাত আলী মুবিন সিয়াম ।

যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি রুপন কুমার জানান, সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় শার্শার নাভারন বাজারের আফজাল সুপার মার্কেটের ইমরান টেলিকম ও নাভারন বাজারের ব্যাংক মার্কেটস্থ প্রাইম টেলিকম এন্ড ইলেকট্রনিক্স নামের দোকান থেকে ৩৪টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। একই সাথে আটক করা হয় ইমরান ও সিয়ামকে। এ ঘটনায় (৫ মার্চ) মঙ্গলবার শার্শা থানায় মামলা হয়েছে।


আরও খবর



বিএটি বাংলাদেশের ৫১তম এজিএম অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটি বাংলাদেশ) ২০২৩ সালের জন্য শেয়ার প্রতি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার অনলাইন মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে এই সাধারণ সভায় লভ্যাংশের অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভায় শেয়ারহোল্ডাররা সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের আর্থিক বিবরণীর অনুমোদন, ২০২৩ সালের জন্য শেয়ার প্রতি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন, পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন, সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষক ও কর্পোরেট গভর্নেন্স অডিটর নিয়োগের অনুমোদন প্রদান করা হয়।

বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনলাইনে এ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। দেশ ও বিদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডাররা বিএটি বাংলাদেশের এজিএম পোর্টালের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।২০২৩ সালে বিএটি বাংলাদেশ মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য কর হিসেবে জাতীয় কোষাগারে ৩২,৮০২ কোটি টাকা রাজস্ব জমা দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের অন্যতম সেরা করদাতায় পরিণত করেছে।

সভায় প্রতিষ্ঠানটির স্বতন্ত্র পরিচালক এ. কে. এম. আফতাব উল ইসলাম, কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী ও ড. এম হারুনুর রশিদ; অ-নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া সুলতানা, সিরাজুন নূর চৌধুরী, মো. আবুল হোসেন, মনিশা আব্রাহাম, ওয়েল সাবরা, গ্যারি ট্যারান্ট, স্টুয়ার্ট কিড ও ফ্রান্সিসকো তোসো ক্যানেপা; এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহ্‌জাদ মুনীম, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর নিরালা সিং ও কোম্পানি সচিব মো. আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



নাসিরনগরে অস্ত্র মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নানঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের নরহা গ্রামের ছুর রহমানের ছেলে অস্ত্র মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ভুক্ত পলাতক আসামী মোজাম্মেল হক'কে গতকাল তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।নাসিরনগর থানার চৌকশ পুলিশ অফিার এসআই/ রুপন নাথ, সংগীয় কং/জাফর ও কং/ রানা দাসকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।এস আই রূপন নাথ জানায় আজ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




শিশুরা খেলাধুলার মধ্য দিয়েই লেখাপড়া শিখবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন আজকের শিশুরা আগামী উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে বলে। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুরা ডিজিটাল যুগের। কাজেই ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। এখন আমাদেরকে ভবিষ্যৎ দেখতে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ করার। এ শিশুরাই তো একদিন এই প্রযুক্তির ব্যবহার শিখবে।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, লেখাপড়া খুবই দরকার কিন্তু লেখাপড়ার নামে তাদের ওপর কোনোরকম চাপ সৃষ্টি করবেন না। আমরাই এখন চাচ্ছি খেলাধুলার মধ্য দিয়েই শিশুরা তাদের লেখাপড়া শিখবে, যাতে তার ভেতরের সুপ্ত মেধাবিকাশের সুযোগ পায়। সেভাবে আমরা কারিকুলাম তৈরি করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। কারণ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন তো শিশুরা বিশ্বটাকে সামনে দেখতে পায়। ক্লাসে শুধু বই পড়া না চোখে দেখে শিখতে পারে। আর এর পরে তারাই হবে এক স্মার্ট বাংলাদেশের এক স্মার্ট নাগরিক। সেটাই আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী শিশু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই বাংলাদেশটাকে একটা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন। আজকের শিশুদের কাছে আমার অনুরোধ- গুরুজনদের মানতে হবে, শিক্ষককে মানতে হবে, বাবা-মার কথা শুনে চলতে হবে। বাবা-মার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে। তাহলে কেউ বিপথে যেতে পারবে না। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি থেকে দূরে রাখার জন্য ছোটবেলা থেকেই সততার শিক্ষা দিতে হবে। সেই সঙ্গে সঙ্গে গান-বাজনা লেখাপড়া, ধর্মীয় শিক্ষা, ছবি আঁকা থেকে শুরু করে সব ধরনের কারিকুলাম এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে বিশ্বব্যাপী আমরা দেখি অনেকেই শিশু অধিকারের কথা বলে, শিশু শিক্ষার কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু আমরা এটিও দেখি যে পাশাপাশি একটি দ্বিমুখী কার্যক্রম। সেই গাজায় শিশুদের ওপর যখন বোমা ফেলা হয়, হত্যা করা হয়, হাসপাতালে বোমা ফেলা হয়, ফিলিস্তিনের ওপর যখন আক্রমণ করা হয়, তখন আমি জানি না এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে কোথায়? তাদের সেই মানবিকতাবোধ কোথায় থাকে? সেটাই আমার প্রশ্ন?

সরকারপ্রধান আরও বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। কারণ যুদ্ধের সেই ভয়াবহতা আমরা নিজেরাও দেখেছি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী যেভাবে আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে। আমরা সব সময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। তাইতো আমার প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে যখন মানুষের ওপর অত্যাচার হলো, শিশুরা আহত অবস্থায় ছিল। তারা যখন আশ্রয় চাইল আমরা মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু আজকে গাজায় শিশুদের যে অবস্থাটা দেখি, নারীদের যে অবস্থাটা দেখি আমি জানি না বিশ্বের বিবেক কেন নাড়া দেয় না। সেটাই আমার প্রশ্ন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল রোববার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন।

এই সফরকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে পুরো জেলায়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও শোভাবর্ধণ এবং জাতীয় শিশু সমাবেশ ও তিন দিনব্যাপী বইমেলা আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

তাদের আগমনকে নির্বিঘ্ন করতে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলায় নেয়া হয়েছে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষে মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে বঙ্গবন্ধু, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত শতাধিক তোরণ, ডিজিটাল পোস্টার ও ব্যানার টানিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে।

এছাড়া সরকারের দুই সর্বোচ্চ ব্যক্তির আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।

জানা গেছে, রোববার (১৭ মার্চ) সকালে হেলিকপ্টার যোগে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছাবেন তারা। এরপর প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।

এসময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেবেন তারা।

এরপর রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের ১ নম্বর গেটে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, ৩ দিনব্যাপী বইমেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান এবং অসচ্ছল-মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণসহ নানা আয়োজন।


আরও খবর