Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল কাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল বুধবার দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। কাল কমিশন সভা শেষে নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সিইসি।

আজ দুপুরে সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠক করেন সিইসি। এ সময় সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আব্দুস সালাম ও নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন অনুযায়ী নির্বাচনের আগে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতের বিধান রয়েছে। সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন সংসদের বৈঠক নিশ্চিতকরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বৈঠকের পর সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে আইনের একটি বিধান আছে। তফসিল ঘোষণার আগে স্পিকারের সঙ্গে কমিশন সাক্ষাৎ করতে হবে। সেই সাক্ষাতের জন্য আমরা গিয়েছিলাম। স্পিকারের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করেছি।

সিইসি বলেন, ‘আগামীকাল বেলা ১১টায় কমিশন সভা করে তফসিলটা উন্মুক্ত করব। তখন আপনারা সব জানতে পারবেন। এর বেশি আজকে অবহিত করার কিছু নেই।

জাতীয় সংসদের ছয়টি আসন শূন্য রেখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। ছয়টি আসন বা ১০০টি আসন কোনো বিষয় নয়। বর্তমানে যারা বিদ্যমান জাতীয় সংসদ সদস্য তাদের পাঁচজন বিদেশে থাকতে পারে সেটা নির্বাচনে কোনো হ্যাম্পার করবে না।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদের শপথগ্রহণ করেন। আগামী ২৩ এপ্রিল তার দ্বিতীয় মেয়াদের পাঁচ বছরের মেয়াদকাল শেষ হচ্ছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃবঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী দাগনভূঞা উপজেলা আ'লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি কাশেদুল হক বাবর ছিলেন একসময়ের বিএনপির দূর্ধর্ষ ক্যাড়ার পরে আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর হলেন ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আর বর্তমানে উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি। আ'লীগের মনোনয়নে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হয়েছিলেন দলছুট বাবর। বাবর ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বএনপিতে যোগদেন। বাবর বিএনপিতে যোগদানের পরই তার নির্দেশেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত  রাজাপুর ও সিন্দুরপুরে আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালানো হয় নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার। ঘর-বাড়ী ছাড়তে হয় অনেক নেতাকর্মীকে। বাবরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আ'লীগের নেতাকর্মীরা।

তৎকালীন সময়ে সরাসরি তার নির্দেশে নির্যাতনের শিকার হওয়া আ'লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সময়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একটি সভায় তৎকালীন ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অত্র আসনের সাংসদ জয়নাল আবেদীন ভিপির গলায়দ ফুলের মালা দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সে বিএনপিতে যোগদানের পরপরই রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালাতে থাকে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে শত শত নেতাকর্মী।

বাবরের নির্যাতনের শিকার তৎকালীণ রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জানান, আমি রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে বসে রইছি তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করে। আমি কোনমতে বেঁচে ফিরি। পরে বাবর আমার বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে যায় যে আমি যেন বাড়ী থেকে চলে যাই। তারপর আমার পরিবার রাতের আঁধারে আমাকে বাড়ী থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যার হাতে আ'লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে আছে সেই বাবর আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার আ'লীগের পদ বাগিয়ে নিল এবং আ'লীগের নৌকা নিয়ে সে চেয়ারম্যান ও হল।

কামাল ছাড়াও বাবরের হাতে বিএনপি সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয় আ'লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।  আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে  মুন্সী নুরের জামান, লোকমান, শেখ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন, বেলাল, শাহ জালাল, নুর উদ্দিন, নুর আলম, জাহাঙ্গীর, মিয়া, হুমায়ুন, মান্নান, জাহের, মহিউদ্দিন ও মৃত আহছান উল্যাহকে ডেকে এনে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল বাবর। পরে তখনকার বিএনপির সভাপতির হাতে পায়ে ধরে এদের অভিভাবকরা তাদের জীবন রক্ষা করেন। বিএনপির আমলে বাবরের দূর্ধর্ষতার কাহিনী শুনলে এখনো আঁতকে উঠে রাজাপুরে বাবরের হাতে নির্যাতিত হওয়া আ'লীগ পরিবারের ওইসকল সদস্যরা।

বাবরের হাতে নির্যাতিত হন আ'লীগ নেতা আব্দুল মন্নান জানান, (বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী) সে জানা, বিএনপির আমলে আমি দোকানে চা খাইতেছিলাম তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা  এলজির মাথা দিয়ে চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে আমাদের  দোকানে আসার অনুমতি কে দিয়েছে বলে মারধর করে। এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে।

আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর (বর্তমান সৌদি প্রবাসী) সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে বিএনপির আমলে বাবরের নেতৃত্ব বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমার চায়ের দোকানে এসে মাঘ মাসের শীতের মধ্যে শত শত মানুষের সামনে আমাকে তিন ঘন্টা গলা সমান পানিতে দাড়িয়ে রেখেছিল। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসে।

আ'লীগ সমর্থক বেলাল হোসেন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী) তিনি জানান, আ'লীগ সমর্থন করার কারনে এ বাবর আমাকে এমন নির্মমভাবে মেরেছে তা কখনো ভুলতে পারবোনা। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার পিতাকেও মারধর করে বাবর। তার সেই মাইরের যন্ত্রনা নিয়ে বাবা কবরে চলে গেছে।আর আমি এখনও মাসে মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।

নুর উদ্দীন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী)  সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করি শুধু এ অপরাধে আমাকে বাবর ধরে এনে প্রচন্ড মারধর শুরু করে। আমার চিৎকারে একজন বয়স্ক মহিলা(সোনিয়া ডেকোরেটরের মা) ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার প্রাণ রক্ষা করেন।

এতদিন বাবরের অতিতের দূর্ধর্ষতা নিয়ে ভূক্তভোগীরা ভয়ে মুখ খুলেনি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটূক্তি করার পর আ'লীগ পরিবারের সদস্যরা তার অতিতের দূর্ধর্ষতার লোমহর্ষক বর্ণনা সামনে এনেছেন। তারা মনে করেন বাবর কখনোই মুজিবের আদর্শ লালন করে আ'লীগ করেনি সে ক্ষমতা ভোগদখলের জন্যই আ'লীগে যোগ দিয়েছে। এখন দল তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না দেয়ায় সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে মন্তব্য করেছেন। যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে পারে সে কখনোই আ'লীগের সমর্থক হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাশেদুল হক বাবর জানান, আমরা পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে আসছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই আজ এ পর্যায়ে এসেছি। আমি কখনোই বিএনপিতে যোগদান করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমি দেশের বাহিরে চলে যাই। আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবর ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগদেন এটা শতভাগ সত্য। তিনি বিএনপিতে যোগদানের পর অনেক আ'লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। এবং তার নেতৃত্বেই রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করা হয়েছিল।


আরও খবর



জলঢাকায় সামাজিক সংগঠন "বন্ধন" এর বাংলা নববর্ষ উদযাপন

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image
শাহাজাহান কবির লেলিন,জলঢাকা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকায় আনন্দ শোভাযাত্রাসহ নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে সামাজিক সংগঠন "বন্ধন"।রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে "বন্ধন" সামাজিক সংগঠন এর  উদ্যোগে পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বর্ণিল সাজেঁ আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে  প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে জলঢাকা পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ড দুন্দিবাড়ী সাইটের পাড়ে আলোচনা সভা ও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা ভাত, নৌকা ভ্রমণসহ নানান আয়োজন করেন সংগঠনটি।সভায় সামাজিক সংগঠন "বন্ধন" এর সভাপতি সাংবাদিক শাহাজাহান কবির লেলিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন , উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,  শিক্ষাবীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর গাফফার, জাসদ জেলা সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সাদের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, সামাজিক সংগঠন বন্ধন এর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবেদ আলী,সাবেক বালাগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিপন,পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আনিছুর রহমান যাদু,১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশার মিন্টু। আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্ধন এর সদস্য সাংবাদিক এরশাদ আলম,মাহাদী হাসান মানিক,জাহিনুর ইসলাম জীবন, আজম বাদশা সাবু,গোলাম রব্বানী, মশিয়ার রহমান,তহমিদার রহমান মিলন,সাহিন ইসলাম, রাজু ইসলাম, সহ সকল সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বন্ধন এর সদস্য ও সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান।পরে তিস্তার সেচ ক্যানেলে নৌকা  ভ্রমণে সকল বয়সী মানুষ আনন্দ উল্লাস উপভোগ করেন। 

আরও খবর



যথাযোগ্য মর্যাদায় মাগুরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসটির সুচনারকরা হয়। পরবর্তীতে সকাল ৭:০০ টায় নোমানী ময়দানে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার  মো: মশিউদ্দৌলা রেজা, পিপিএম (বার),সিভিল সার্জন  ডা. মো: শামীম কবির প্রমুখ।
 
সকাল ৮.০০ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক, মাগুরা এর সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ  অমিত কুমার দে; পুলিশ সুপার,  মো: মশিউদ্দৌলা রেজা পিপিএম (বার), সিভিল সার্জন  ডা. শামীম কবির; সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগ  আ.ফ.ম. আবুল ফাত্তাহ, চেয়ারম্যান,  মাগুরা সদর উপজেলা  মো: আবু নাসির বাবলু প্রমুখ। এ সময় অনুষ্ঠান শেষে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী সকল দলের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।

সকাল ১০.৩০ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন' শীর্ষক আলোচনা সভা,  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিশু একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাগুরার জেলা জেলা প্রশাসক  মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।

পরবর্তীতে দুপুর ২.০০ টায় একই স্থানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক  মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মো: আব্দুর রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ড, মাগুরা জেলা; পুলিশ সুপার; সিভিল সার্জন; সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগ; চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, মাগুরা সদর, মাগুরা,মেয়র প্রমুখ।

বিকাল ৫.০০ টায় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়  মাগুরা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা এর আয়োজনে সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) এ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।  কাবেরী মজুমদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। 

উক্ত অনুষ্ঠানমালায় প্রদত্ত ভাষণে জেলা প্রশাসক, মাগুরা বলেন , স্বাধীনতা দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করছি বাঙালির মুক্তির পথপ্রদর্শক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের আত্মত্যাগ ও অবিচল দেশপ্রেম আমাদের এই দেশকে উপহার দিয়েছে।  তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করলে  মাগুরাকে একটি স্মার্ট জেলায় পরিণত সম্ভব হবে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ পৃথক কর্মসুচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে।

আরও খবর



রানা প্লাজা ধস: সাক্ষ্যগ্রহণেই পার ১১ বছর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১১ বছর ধরে সাক্ষ্যগ্রহণেই ঘুরপাক খাচ্ছে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির অবহেলাজনিত হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় । এ মামলায় মোট ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে সর্বোচ্চ আদালতের বেঁধে দেওয়া ৬ মাসের মধ্যে মামলা শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় আইনজীবীদের।

রানা প্লাজার দুর্ঘটনা পুরো বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর কারখানার কর্মপরিবেশ ঠিক করতে চাপ পড়ে দেশের পোশাক শিল্পের ওপর।

এ ঘটনায় অবহেলায় হত্যার অভিযোগের প্রমাণ মেলে। ২০১৫ সালে সিআইডি ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। বিচার শুরু হয় পরের বছর। এরপর একের পর এক আসামি হাইকোর্টে যাওয়ায় মামলাটির বিচার থমকে থাকে ২০২২ সাল পর্যন্ত।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার জানান, মূল আসামি রানা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকেন। আবার তাকে জেলখানা থেকে আনলে তার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে চিৎকার-হট্টেগোল করেন।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাক্ষী করা হয় ৫৯৪ জনকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিয়েছে। কবে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে কেউ জানে না।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার আরও জানান, সাক্ষী যদি না আসে তাহলে বিচারকের কিছু করার থাকে না। এখানে আদালত নিরূপায়। তারপরও আমরা সবরকম চেষ্টা করছি, যতো দ্রুত সম্ভব মামলা শেষ করতে।

এদিকে গেলো ১৫ জানুয়ারি রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার পক্ষে আপিল বিভাগে জামিন চান তার আইনজীবী। সেখানে আপিল বিভাগ সাফ জানিয়ে দেন জামিন হবে না রানার। তবে এ মামলা ৬ মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

সঠিক বিচারে সবার সাজা হবে জানিয়ে অবস্থায় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, এখানে জড়িত মালিক থেকে শুরু করে দেখভালের দায়িত্বে থাকা পৌরসভা সবার বিচার হবে। কেউ ছাড় পাবে না। তাদের গাফিলতিতে এতো মানুষের প্রাণ গেছে।

রানা প্লাজা মামলায় আসামিদের পক্ষে কথা বলতে রাজি হয়নি কোনো আইনজীবী। গেলো ২১ এপ্রিল এ মামলায় সবশেষ ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়। ২৮ জুন এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ১৬৯ জন গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে যান। এ ঘটনায় মোট মামলা হয় ২০টি। এর মধ্যে তিনটি হচ্ছে ফৌজদারি মামলা। শ্রমিক নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করে পুলিশ। অন্যদিকে ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খুনের মামলা ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। ইমারত আইনের মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে। এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে।


আরও খবর



তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চলমান দেশের ৬ বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ এবং এটি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে যা অব্যাহত থাকবে আগামী ৭২ ঘণ্টা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ খবর জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক।

তিনি বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর ফলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

একই সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগেরর উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর