Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দেশে অস্থিরতা চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৩০৭জন দেখেছেন

Image

বাসস: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির সাম্প্রতিক সময়ের কর্মসূচিই প্রমাণ করে যে, তারা দেশে একটা অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। তারা ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরেও আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছে। আগামী ১১ জানুয়ারি তারা আবার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেখানেও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা তারা চালাবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।তার আগে তিনি টেলিভিশন নাট্যশিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরের ১০ তারিখ যেমন সতর্ক পাহারায় ছিলাম এবং গত ৩০ তারিখ তারা ঢাকায় গণমিছিল ডেকেছিল, সে দিনও আমরা সতর্ক পাহারায় ছিলাম। ভবিষ্যতেও তারা এই কর্মসূচির নামে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা উচিত জবাব দেব।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। সরকার সেই ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে এবং করবে। কিন্তু তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতা করার অপচেষ্টা চালালে জনগণ প্রতিহত করবে, জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা থাকবে।

সরকারের বিদায় চায় বিএনপি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি সাড়ে ১৩ বছর ধরেই সরকারের বিদায় চাচ্ছে। বিডিআর বিদ্রোহ, সেখানে তো তাদের ইন্ধন ছিল, তখন থেকেই তারা সরকারের বিদায় চাচ্ছে। সরকারকে বিদায় দিতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে এবং তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে হবে। অন্য কোনো পথে সরকারের বিদায় দেওয়া তো সম্ভব নয়, এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। কিন্তু তারা সেটিতে বিশ্বাস করে না, তারা পানি ঘোলা করে মাছ শিকার করতে চায়, সে সুযোগ তারা পাবে না।


আরও খবর



ঈদ উৎসবে ডিএমএস চমক

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:ঈদকে ঘিরে শ্রোতা-দর্শকদের জন্য বিভিন্ন ঘরনার গান ভিডিও নিয়ে হাজির হচ্ছে দেশের অন্যতম অডিও ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস)।

২৯ মার্চ থেকে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) এর ঈদ উৎসবকে ঘিরে তাদের আয়োজনের গানগুলো।প্রতিষ্ঠানটির বর্ণিল ঈদ আয়োজনে এবার থাকছে বাংলা সঙ্গীতের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র শওকত আলী ইমন ও আঁখি আলমগীরের কন্ঠে ‘কফির পেয়ালা’। আশিক মাহমুদের কথায় গানটির সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ। সঙ্গীতায়োজন করেছেন শওকত আলী ইমন নিজেই। গানের ভিডিও নির্মাণ করেছেন শিথিল রহমান।

এই প্রজন্মের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী জিসান খান শুভ’র কন্ঠে শ্রোতারা শুনতে পাবেন ‘মেঘ ২’ শিরোনামের নতুন গান। শুভ’র কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। সুনামগঞ্জের মনোরম লোকেশনে চিত্রায়ন করে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।

নাহিদ হাসানের কন্ঠে আসছে ‘তোমার ভেজাচুল’ শিরোনামের নতুন গান। মাহমুদ শাওনের অনবদ্য কাব্যমালায় সুর দিয়েছেন নাহিদ নিজেই। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত। সামজ ভাই গেয়েছন ‘আঘাত’ শিরোনামের নতুন গান। জিসান খান শুভ’র কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। সুনামগঞ্জের মনোরম লোকেশনে চিত্রায়ন করে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।কন্ঠশিল্পী খালেদ মুন্না গেয়েছেন ‘তোমার নিষ্ঠুর আচরণে বুকে ধাক্কা লাগে’। প্রিন্স রুবেলের কথা ‍ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন রোজেন রহমান। ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।

আলোচিত কন্ঠশিল্পী সাথী খানের কন্ঠে প্রকাশ পাবে ‘বেশি কথা না বলিয়া’ শিরোনামের গান। সচল পাগল সুজনের কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আদিব কবীর। ভিডিও নির্মাণ করেছেন রাজ বিশ্বাস শংকর।জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ঐশী দ্বৈত কন্ঠ দিয়েছেন এই প্রজন্মের কন্ঠশিল্পী জনি খানের সাথে। তাদের দু’জনের নতুন গান ‘বেসামাল’। মাহতাব হোসেনের গীতিকবিতায় সুর দিয়েছেন জনি খান। সঙ্গীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন রাহাত বাপ্পী।

প্রতিবারে মত এবারও ধ্রুব মিউজিক স্টেশন সুযোগ করে দিয়েছে নতুন প্রতিভাবানদের। নতুন একটি ব্যান্ডকে তারা তুলে এনেছে। নতুন এই ব্যান্ডের নাম ফড়িং ব্যান্ড। তাদের নতুন গান ‘সোনার ফড়িং’ প্রকাশ পাচ্ছে এবারের ঈদে। শেখ মোঃ পলাশের কথা ‍ও সুরে গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন ব্যান্ডের ভোকাল রাছেল সিকদার।সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন তরিক। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।

এই প্রজন্মের কন্ঠশিল্পী এ আর টুটুলের কন্ঠে ‘নীলচে খামে’ প্রকাশ পাবে এবারের ঈদে। সালেহ আকরাম মেরিনের কাব্য মালায় সুর দিয়েছেন এ আর টুটুল নিজেই। সঙ্গীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু ।

নিজের কথা, সুর ও কন্ঠে শ্রোতাদের জন্য নতুন গান নিয়ে আসছেন কন্ঠশিল্পী এহসান কবির। গানের শিরোনাম ‘মনটা আমার ভাড়া দেবো’। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন তমাল হাসান। ভিডিও নির্মাণ করেছেন মামুন রনি। ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) জানায়, ২৯ মার্চ থেকে প্রকাশ শুরু হওয়া এই ঈদ উৎসব চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। গানগুলো তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশের পাশাপাশি গানগুলো শুনতে পাওয়া যাবে দেশি ও আর্ন্তজাতিক একাধিক অ্যাপ এ।


আরও খবর



পোরশায় একটি “মিনি পুকুর” বদলে দিয়েছে শিক্ষিত বেকার যুবকের ভাগ্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২০৮জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ):শিক্ষিত বেকার যুবকের নাম নাইমুল ইসলাম নাঈম, তিনি এইচএসসি পাস করে নওগাঁর পোরশা সরকারি কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন, কিন্তু গত করোনা মহামারির সময় পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়েন। বাড়িতে বেকার বসে থাকা এবং পারিবারিক আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাকে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে হয় বাপ-দাদার পেশা কৃষি কাজে। বরেন্দ্র অঞ্চল এখন আমের জন্য বিখ্যাত হওয়ায় তিনি আম চাষ করার পরিকল্পনা করেন। গত বছর তার গ্রামের পাশের মাঠে স্থানীয় এক ব্যক্তির নিকট থেকে ১২বছরের জন্য সোয়া ২বিঘা জমি লিজ নিয়ে তৈরি করেন আম্ব্রপালী জাতের আম বাগান। আর সেই বাগানের মধ্যে থাকা ছোট গর্তকে একটি বেসরকারি সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় পুনঃখনন করে তৈরি করেন একটি মিনি পুকুর। ঐ পুকুরের পানি ব্যবহার করে, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করে শিক্ষিত এই বেকার যুবকের ভাগ্যের চাকা ঘোরা শুরু করেছে।

নাইমুল ইসলাম নাঈম নওগাঁর পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের ছাওড় দক্ষিনপাড়া গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে, তার এই বাগানটি ছাওড়ের বরেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন।

তরুণ চাষি নাইমুল ইসলাম নাঈম জানান, জমিতে আম বাগান তৈরি করার পরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট তীব্র খরা প্রবন এলাকা হওয়ায় পানির অভাবে তার আম বাগানের গাছ মরতে শুরু করে। বাগানটি রাস্তার সাথে হওয়ায় মরা গাছগুলি ঐ এলাকায় কাজ করা বেসরকারি সংস্থা সিসিডিবি’র কর্মকর্তাদের নজরে আসে। সংস্থার পক্ষ হতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে ঐ বাগানে থাকা একটি ছোট গর্তকে পুনঃখনন করে আনুমানিক ১শতাংশ জমির উপর একটি মিনি পুকুর তৈরি করা হয়। এই মিনি পুকুর মূলত আকাশের বৃষ্টির পানি ধরে রেখে প্রয়োজন ও পরিমাণমতো গাছে পানি সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ঐ পুকুর থেকে বাগানের গাছ বাঁচিয়েও সিসিডিবি’র সহযোগিতায় পুকুর পাড়ে বেগুন, লাউ, টমেটো, সিম, করলা, পটল, গাজরসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজি চাষ করেন নাঈম। এর পরেও ঐ মিনি পুকুরে পানি অবশিষ্ট থাকায় সিসিডিবি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আম বাগানের সাথি ফসল হিসাবে তিনি চাষ করেন মিষ্টি কুমড়া। বিনামূল্যে উন্নতমানের মিষ্টি কুমড়ার বীজ, ফেরোমেন ফাঁদ, হলুদ আঠাঁলো ফাঁদ, ২/৩জি কাটিং পদ্ধত্তি, কেঁচো সারের ব্যবহার, মালচিং ইত্যাদি জৈব পদ্ধত্তি চর্চা করার জন্য সহায়তা করে আসছে সিসিডিবি।

চাষি নাঈম আরও জানান, আম বাগান বাদে শুধু মিষ্টি কুমড়া পরিচর্যায় এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ১০হাজার টাকা। বাগানে মিষ্টি কুমড়ার গাছ রয়েছে ৮৫০টি, প্রতি গাছে ফল রয়েছে ৩-৪টি, তবে গাছে পর্যায়ক্রমে ফল ধরা চলমান রয়েছে। বর্তমান স্থানীয় বাজারে এই ফল বিক্রি হচ্ছে সাইজ ভেদে ৫০-৬০ টাকা প্রতিটি। শুধু মিষ্টি কুমড়া বিক্রয় করে দেড় লক্ষাধিক টাকা আয় করবেন বলে তিনি আশা করছেন। এছাড়াও তিনি তার পুকুরপাড় থেকে বিভিন্ন জাতের শাকসবজি বিক্রি করে প্রতি মাসে ২-৩ হাজার টাকা আয় করছেন। এর সবগুলো ঐ মিনি পুকুরের সংরক্ষিত বৃষ্টির পানির কারণে সম্ভপর হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বেসরকারি সংস্থা খ্রিস্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) এর প্রোমোটিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট কমিউনিটিস ইন বাংলাদেশ-২ প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী স্টিভ রায় রুপন বলেন, আমরা প্রকল্পের কাজের জন্য ঐ বাগান সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। পানির অভাবে বাগানের গাছগুলো মরে যাচ্ছে দেখে আমাদের প্রকল্প থেকে উক্ত উপকারভোগী সদস্যকে “জলবায়ু অভিযোজিত কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রসারের জন্য” ঐ বাগানে থাকা একটি ছোট গর্তকে পুনঃখনন করে একটি মিনি পুকুর তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। তীব্র খরা প্রবণ এলাকা হওয়ায় খরা মৌসুমে এই এলাকার অনেক পুকুরই পানিশূন্য হয়ে যায়। আমরা ঐ মিনি পুকুরে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য ত্রিপল বিছিয়ে দিয়েছি, এখানে পানিতে কচুরিপানা এবং তালপাতা রাখা হয়েছে যাতে পানি কম বাষ্প হয় এবং বেশি দিন পানি ব্যবহার করা সম্ভব হয়। তিনি আরও জানান, তীব্র খরা প্রবণ এই এলাকার বিভিন্ন জমিতে বিশেষ করে নতুন ফল বাগানগুলোতে এমন মিনি পুকুর খনন করলে কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বেশ অবদান রাখা যাবে। একই সাথে বৃষ্টির পানি ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে ভূমিকা রাখবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, আমরা আম চাষি কৃষকদের আম বাগানে সাথি ফসল হিসাবে এই জাতীয় শাকসবজি ও মসলার মধ্যে পেঁয়াজ রসুন চাষ করতে বলছি। এতে আম গাছের পরিচর্যায় যে খরচ হবে তা এখান থেকেই উঠে আসবে। সিসিডিবির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এমন মিনি পুকুর এই এলাকার বাগানগুলোতে তৈরি করতে পারলে জমিতে সেচের পানির সংকট নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। 


আরও খবর



তাহসান-মিথিলা বিচ্ছেদের পর ফের ‘একসঙ্গে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি: ২০০৭ সালে বিয়ের করেন শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। এরপর ২০১৭ সালের মে মাসে আচমকা  বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ। তারপর দুজন দুদিকে। তবে সন্তানের কারণে দুজনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এখনও অটুট।

অবশ্য বছর দুয়েক আগে একটি ই-কমার্স সাইটের লাইভ অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল। তবে কখনও পর্দা ভাগাভাগি করতে দেখা যায়নি। তবে তাহসান মিথিলা ভক্তদের জন্য সুখবর হল- সাত পর্বের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন এই জুটি। ‘বাজি’ শিরোনামে এটি নির্মাণ করছেন ‘মাটির প্রজার দেশ’ খ্যাত নির্মাতা আরিফুর রহমান।

জানা গেছে, ওয়েব সিরিজটির কিছু ধাপের শুটিং হয়ে গেছে। একটি ফোরস্টার মানের হোটেলে মাস দুয়েক আগে হয়েছে শুটিং। তাহসান মিথিলা ছাড়াও সিরিজে অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকজন তারকা অভিনয়শিল্পী। সিরিজটিতে তাহসান অভিনয় করছেন একজন ক্রিকেটারের চরিত্রে। আর মিথিলাকে দেখা যাবে সাংবাদিকের চরিত্রে।


আরও খবর



সিরাজদিখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী শেখ মনির হোসেন মিলন প্রচার-প্রচারণায় শীর্ষে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণায় মাঠে নেমে পড়েছেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ভোটারদের সমর্থন ও দোয়া কামনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আসন্ন সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ ও চায়ের স্টল গুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে।

আসন্ন সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে গরীব-দুঃখী ও মেহনতি মানুষের পাশে সেবক হয়ে থাকতে চান সমাজসেবক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পরোপকারী ও জনগণের বন্ধুখ্যাত শেখ মনির হোসেন মিলন। মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থেকে সবসময় নিজের সর্বোচ্চটা বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। সমাজের কল্যাণমূলক কাজ বিয়ে থেকে শুরু করে অসহায় গরিব ও অসুস্থ মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে তিনি সমাজে বিশেষ অবদান রেখেছেন। গরিব অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা, বিয়ে-শাদী সামর্থ্য মত সাহায্য করে থাকেন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অসহায় ও দুর্বলের পক্ষে কথা বলেন। তিনি সবসময় সাধারণ মানুষের আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে কাছে টেনে আপন করে নিয়েছেন। অল্প সময়ে সকলের কাছে বিপদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন।

আগামী ১৮-০৫-২০২৪ ইং সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন লতব্দী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আনোয়ার হোসেনের ছেলে শেখ মনির হোসেন মিলন বিএ। তার পিতা সিরাজদিখান থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২১ বছর একটানা দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে দলকে সুসংগঠিত করেছেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তারপর সিরজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বার্ধক্যের কারণে জীবনের শেষ মুহুর্তে সিরাজদিখানের জননন্দিত নেতা মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদকে সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বভার অর্পণ করে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।

শেখ মনির হোসেন বিএ সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ- সভাপতি, বিক্রমপুর কে.বি ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, লতব্দী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও লতব্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

তিনি ১৯৭০ সালের ১৪ আগস্ট সম্ভান্ত মুসলিম ও রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি সাধারণ ভোটারদের ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি বিভিন্ন ইউনিয়ন, হাট-বাজার ও মসজিদ-মন্দিরে গিয়ে কুশল বিনিময় করছেন ভোটারদের সাথে। সিরাজদিখান উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭-৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তার মধ্যে জনপ্রিয়তায় ও প্রচার-প্রচারণায় শীর্ষে রয়েছেন শেখ মনির হোসেন মিলন বলে স্থানীয় ভোটারদের মাঝ থেকে জানা যায়।

আরও খবর



২৫ মার্চ ভয়াল, গণহত্যা দিবস আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২৫ মার্চ ভয়াল, গণহত্যা দিবস আজ।বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কিভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ‘১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’ পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তার কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার করা হল আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। এরপর সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয় , ‘১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন ‘নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রাত ১১ থেকে ১১টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দেবেন। এদিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে। বাসস


আরও খবর