Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

দেশে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৬৯

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৩৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬৯ জন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ২২৭১ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের ১৩৪ জনই ঢাকার বাসিন্দা। আর ঢাকার বাইরের ১৩৫ জন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের ৭১৯ জন ঢাকার এবং ৫০৮ জন ঢাকার বাইরে।

প্রসঙ্গত, দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে ২০১৯ সালে। ওই বছর ১ লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ১৪৮ জন। পরের বছর ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ঘটেনি। ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে এসে উদ্বেগজনকহারে বাড়তে থাকে ডেঙ্গু রোগী।


আরও খবর



গম চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছে আত্রাইয়ের কৃষক

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৮২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: দেশের উত্তর জনপদের কৃষিপ্রধান জেলা নওগাঁ। খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে উত্তরের শস্যভান্ডার নামেও পরিচিত এ জেলা। এ জেলায় সব ধরনের ফসল ও শস্য উৎপাদন হলেও দেশের মোট উৎপাদিত ধানের সিংহভাগই হয় এ জেলায়। তবে এ জেলার আত্রাই উপজেলায় ধান, ভূট্টাসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ অধিক হলেও বর্তমানে দিন দিন গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক। ফলে কয়েক বছরে ধীরে ধীরে এ উপজেলায় কমেছে গম চাষ।

যদিও এটা লাভজনক ফসল। তবে কৃষকেরা বলছে উৎপাদন খরচের তুলনায় মুনাফা না পাওয়া এর অন্যতম কারণ। এদিকে কৃষি অধিদপ্তর বলছে, অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে ভূট্টার অধিক ফলন ও মুনাফা হওয়ায় গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক এমনটিই মনে করছেন তারা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, গত বছর উপজেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হলেও সেটা এবার বেড়ে ৪৫০ হেক্টরে। জানা গেছে, আত্রাই উপজেলায় দিন দিন গমের চাষ ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে।

মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী থাকলেও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, এমনকি ফলন কম হওয়ার কারণে গম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন কৃষকরা। নানাবিধ কারনে এ উপজেলার গম চাষ হুমকির মুখে পড়েছে। বিগত দিনে এ উপজেলায় গম চাষে কৃষকদের ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও বর্তমান সময়ে গম চাষে কৃষকরা অনাগ্রহী। এ উপজেলার কৃষকরা মনে করেন গম চাষের চেয়ে অন্য ফসল চাষ করে তুলনামূলক ভাবে অনেক লাভবান হওয়া যায়। সে জন্য গমের পরিবর্তে অন্য ফসল চাষ করছেন।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক নাইম হোসেন বলেন, আমি বিগতদিন ভ’ট্টা চাষ করতাম এবার কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী গম চাষ করেছি বর্তমানে আমার ফসলের অবস্থা খুব ভালো। আশাকরছি ফলনও ভালো পাবো।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক ওয়াজেদ আলী বলেন, আমি সাধারণত ধান ও ভূট্টার আবাদ বেশি পরিমানে করে থাকি। কিন্ত এবার গমের আবাদও করেছি। জমিতে এসে ফসল দেখলে মনটা জুড়িয়ে যায়। আগামী বছরে আমি সরকারি সহযোগিতা পেলে আরো বেশী জমিতে গমের চাষ করবো।

এছাড়া অন্যান্য উপজেলার একাধিক কৃষক বলেন, সরকারী ভাবে আমার সহযোগিতা পেলে ধান চাষের পাশাপাশি গম চাষ করতে পারবো। ধান চাষের উপর কৃষকদের আগ্রহ ও ফলন বৃদ্ধি করতে যেমন বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে একই ভাবে কৃষকদের গম চাষের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করলে গম চাষের প্রতি আগ্রহী হবেন কৃষকরা।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জনান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় গমের আবাদ অনেকটা বেশি হয়েছে। আশা করছি গমের বাম্পার ফলন হবে। কৃষকদের যেন কোন প্রকার সমস্যা না হয় তাই কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা নিয়োমিত কৃষকদের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপশ কুমার রায় জানান, সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষকরে বীজ, সার ও তেল এর জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।

তিনি আরো বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে গম চাষ কমে গেছে, প্রদর্শনী পাট করে কিছু কিছু চাষিদের সার ও গমের বীজ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া এ বছরে গম চাষের উপর কৃষকের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। সরকারি সকল সুযোগ- সুবিধা, কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হয়েছে। গম চাষের উপযোগী জমিতে উচ্চ মূল্যের সবজি চাষ ও ভূট্টা হওয়ায় গম চাষ কমে যাওয়ার একটি কারণ।


আরও খবর



২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৬জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:তরুণদের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রিয়েলমি এবার হাজির হলো ‘রমজান অফলাইন ক্যাম্পেইন’ নিয়ে। সম্প্রতি ‘ঈদের খুশি, রিয়েলমিতে বেশি’- শীর্ষক বিশেষ এই ক্যাম্পেইন চালুর ঘোষণা দিয়েছে স্মার্টফোন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।

রিয়েলমি’র সঙ্গে ঈদের খুশিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে স্মার্টফোনপ্রেমীদের জন্য ‘রমজান অফলাইন ক্যাম্পেইন’টি শুরু হয়েছে গত ২০ মার্চ থেকে, চলবে ঈদুল ফিতরের আগের দিন পর্যন্ত। এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে রিয়েলমি গ্রাহকরা পাচ্ছেন এক্সক্লুসিভ অফার গ্রহণের দারুণ সুযোগ! ক্যাম্পেইনে অংশহগ্রহণকারী প্রত্যেকে বাংলাদেশে রিয়েলমি’র সকল আউটলেটে বিশেষ এসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।

এবারের রমজানকে আরও স্মৃতিমধুর করে তুলতে, স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রিয়েলমি গ্রাহকদের দিচ্ছে ২ লাখ টাকা মূল্যের অবিস্মরণীয় ফ্যামিলি ট্রিপের সুযোগ!

এছাড়াও, ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় সি৫৫, সি৫৩, সি৫১, সি৬৭ ও নোট ৫০ সহ নির্দিষ্ট কিছু ডিভাইস কিনলেই পাচ্ছেন বোগো (একটি কিনলে একটি ফ্রি) অফার উপভোগের দারুণ সুযোগ। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাছের মানুষটিকে একটি ফোন উপহার দিয়ে গ্রাহকরা এবারের ঈদ আনন্দকে দ্বিগুণ করে তুলতে পারেন।

রমজানের স্মৃতিগুলোকে আরও বাড়িয়ে তুলতে, রিয়েলমি দিচ্ছে এক হাজার ভিডিও স্ট্রিমিং স্ট্যান্ডস। এ উদ্ভাবনী সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ফোন ব্যবহারকারীরা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তগুলোকে ভাগাভাগি করে নিতে পারেন বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে।

পবিত্র এ মাসজুড়ে স্মার্টফোনপ্রেমীরা যেন কাছের মানুষদের সঙ্গে সহজেই যুক্ত হতে পারেন, সেজন্য বিশ্বস্ত গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রিয়েলমি দিচ্ছে ফ্রি গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক ডেটা বান্ডেল অফার।

রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেন চেন বলেন, “রমজান হলো উপহার দেওয়ার, ভাগাভাগি করে নেওয়ার এবং প্রিয়জনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটি সময়। রিয়েলমি’র গ্রাহকদের মধ্যে আনন্দ ও খুশি ছড়িয়ে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রমজান অফলাইন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে, অসাধারণ উপহার ও এক্সক্লুসিভ অফার দিয়ে এই পবিত্র মাসের আনন্দকে দ্বিগুণ করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা সবাইকে আমাদের আউটলেট পরিদর্শন করতে এবং এই বিশেষ উদযাপনের অংশ হতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”

রিয়েলমি বাংলাদেশ এবং এর ‘রমজান অফলাইন ক্যাম্পেইন’ সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, গ্রাহকদের তাদের নিকটস্থ রিয়েলমি আউটলেটে যেতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।


আরও খবর



জ্বালানি তেলের দাম কমল, কাল থেকে কার্যকর

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশে দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে জ্বালানি তেলের মূল্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করেছে সরকার। এ দফায় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ২ টাকা কমানো হয়েছে। তবে পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

রোববার (৩১ মার্চ) স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত নতুন মূল্যের তথ্য জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। যা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

নতুন হিসাব অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে কেরোসিন ও ডিজেলের খুচরা মূল্য ১০৮ টাকা থেকে কমে ১০৬ টাকা, অকটেন ১২৬ ও পেট্রোল প্রতি লিটার ১২২ টাকা দরে বিক্রি হবে।

এর আগে, গত ৭ মার্চ স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ১০৮, কেরোসিন ১০৮, অকটেন ১২৬ ও পেট্রোল ১২২ টাকা দরে বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



দিনাজপুরে চপ বানাতে গিয়ে বেগুনের ভিতর আল্লাহর নাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি ;চপ বানাতে গিয়ে দিনাজপুরে বেগুনের ভিতরে দেখা মিললো আরবি হরফে লেখা মহান আল্লাহর নাম। ইফতারির জন্য চপ বানাতে বেগুন কাটার পর অলৌকিক এ ঘটনা দেখতে পান দিনাজপুর বীরগঞ্জের এক গৃহবধু।

আল্লাহ লেখা এই বেগুনটিকে এক নজর দেখতে ভীড় করছেন শত শত মানুষ ওই বাড়ীতে।বেগুনের দুই ফালিতেই আরবিতে আল্লাহ নামের হরফ। আত্মশুদ্ধির এ পবিত্র মাহে রমজানে সারাদিন রোজা শেষে ইফতারিতে বেগুনী প্রস্তুত করতে গৃহবধু বেলী আরা বেগম বাড়িতে থাকা একটি বেগুন কাটার পর আল্লাহু লেখা দেখতে পান। পরে স্বামী ইলিয়াস আহমেদকে সাথে নিয়ে স্থানীয় একটি মাদারাসার হুজুরের শরনাপন্ন হন।

বিষয়টি জানাজানি হলে বেগুনটি দেখতে এক নজর দেখতে স্থানীয় হিন্দু-মুসলিমসহ দুর দুরান্ত থেকে ছুঁটে আসা শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। কিছুক্ষন পর পর কেউ না কেউ আসছেন ঐ বাড়ীতে। এসে বেগুনটিকে কাছ থেকে দেখছেন, তুলছেন ছবিও। প্রথমবার এমন ঘটনার সাক্ষী হয়ে নিজেদের অনুভূতির কথাও জানান।

বর্তমানে বেগুনটি ফ্রীজে সংরক্ষন করে রাখা হয়েছে।স্থানীয়দের দাবী এটা মহান আল্লাহর কুদরতি ক্ষমতাবলের নিদর্শন, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য আল্লাহর প্রতি আনুগত্য বাড়াবে। সেই সাথে আল্লাহর এই নিদর্শন সেই পরিবারের জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ বলে ধারনা স্থানীয়দের।

বেগুনের গায়ে মহান সৃষ্টিকর্তার নামের এই নিদর্শন স্বচোখে দেখতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের জগদল গ্রামে। গ্রামে গিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলে বলে দিবে ওই বাড়ির ঠিকানা।


আরও খবর



দুইবার অসন্তোষ আখ্যা পেলেও তৃতীয় মূল্যায়নে সফল মারুফ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটার) এর দশম ব্যাচের  ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং  ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী মো: রবিউল আলম মারুফ আইসিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে বিশেষ অনুদান প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হন।
"ডেভেলপমেন্ট অব এন্টিগ্র্যাভেটি ডিভাইস ইউজিং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স" শীর্ষক গবেষণাটি হলো পাখা ছাড়া উড়ন্ত যন্ত্র উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা; এটি বানানোর ক্ষেত্রে এন্টিগ্র্যাভেটি ডিভাইসের জন্য প্লাজমা জেনারেটর ব্যবহার করা হয়েছে এবং ডিভাইসটি প্রাথমিকভাবে সফলভাবে উড়তে সক্ষম হয়েছে। এই উদ্ভাবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলে এটি শব্দহীন গতিবেগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। দীর্ঘ দুই-বৎসরের গবেষণালব্ধ, এ নতুনত্বপূর্ন প্রযুক্তিটি অদূর ভবিষ্যতে "স্টার ওয়ার্স" চলচ্চিত্রে দেখানো স্টারশিপ বিমান ডিজাইনের অনুকরণ হতে পারে।

গবেষণা কাজটি পরিচালনার জন্য  বরাদ্দকৃত অর্থের প্রথম ধাপের প্রাপ্ত কিস্তির পর অবশিষ্ট দ্বিতীয় কিস্তির অনুদান লাভের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন, যা একটি মঞ্জুরিপত্রের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় হতে অবগত করা হয়েছে। তবে এই গবেষণা কাজ চলমান অবস্থায়  পূর্বে ৩১ জানুয়ারী, ২০২২ ও ১১ এপ্রিল, ২০২৩ সালে দুইবার রিপোর্ট প্রেরণ করা হলেও সেগুলোর সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়নি বলে মূল্যায়িত করা হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে। এমতাবস্থায় অনেক জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ  ব্যক্তি প্রজেক্টটি অসমাপ্ত রেখেই ইতি টানার পরামর্শ দিলেও মারুফ তার প্রবল ইচ্ছেশক্তি দিয়ে গবেষণা কাজ চালিয়ে যায়।

৩১ জানুয়ারি,২০২২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এবং প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে ভার্চুয়ালি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফ জানান বর্তমানে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জনাব কামরুল আলম খান এর তত্ত্বাবধানে গবেষণা কাজ চলমান রেখেছেন এবং উক্ত গবেষণার বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি পেপার পাবলিশ করেছেন; কিন্তু হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই এর অভাবে মূল কাজটি এখনো সম্পন্ন করতে পারেননি। তবে, দেশের বাহির হতে এটি সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যেটি শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী। ভার্চুয়াল প্রেজেন্টেশন শেষে সার্বিক পর্যালোচনায় প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়নি বলে বিবেচিত হয় এবং প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পটির মূল্যায়নে সন্তোষজনক বলে বিবেচিত হলেই কেবল পরবর্তী কিস্তির অর্থ প্রদানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া, প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব  ড. এমডি শাহেদুল আলম কে উক্ত প্রকল্পের মেন্টর হিসেবে মনোনয়নের সুপারিশ করা হয়।

পুনরায় ১১ এপ্রিল,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের সভায় মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্তে প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর পুনরায় সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয় এবং  প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মারুফ মূল্যায়ন কমিটিকে জানান যে, তিনি দেশের বাহির হতে হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই নিয়ে আসলেও কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাব-সুবিধা পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে তাদের ল্যাব ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও বুয়েট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনোপ্রকার অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় এবং সার্বিক পর্যালোচনায় এবারেও প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়নি বলে বিবেচিত হয়। এমতাবস্থায়, কিছু শর্তে প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখ্যযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জনাব ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জানানো হয়।

সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফের কাজ মূল্যায়ন কমিটির দৃষ্টিভঙ্গিতে সন্তোষজনক অগ্রগতি লাভ করেছে বলে বিবেচিত হয় এবং ৩১ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে অবশিষ্ট দ্বিতীয় কিস্তি অনুদান লাভের মঞ্জুরিপত্র পায়।

শত বাঁধা উপেক্ষা করে প্রকল্পটির সাথে লেগে থাকজ জনাব মো: রবিউল আলম মারুফ তার ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, "আলহামদুলিল্লাহ প্রায় আড়াই বছরেরও অধিক সময় পরে সন্তোষজনক মূল্যায়নটি পেয়েছি, এরমধ্যে আমার সাথে যাহারা ফান্ড পেয়েছিল তাদের অনেকের ই কাজ শেষ করে প্রজেক্ট জমা দেওয়া হয়ে গেছে। খুব আফসোস আর অসহায় লাগত কিন্তু ধৈর্য ধরে ছিলাম দিনটির জন্য। ২০২২ এবং ২০২৩ এর প্রথম  দু'বারের মূল্যায়নে অসন্তোষজনক আখ্যা পেলেও আমি গবেষণাতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যই পাচ্ছিলাম না। অবশেষে, টানা দশ মাসের ৭০ এর ও অধিক পরিক্ষা নিরীক্ষার পর উড়েছে পাখা ছাড়া যন্ত্র।" মারুফ ব্যক্তিগত গবেষণা কাজ ছাড়াও দ্যা হাউজ অব ইল জিনিয়া নামে একটি রিসার্চ কমিউনিটি পরিচালনা করেন যারা সার্বক্ষণিক বিভিন্ন নতুন গবেষণা প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকেন এবং দেশব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন বিজ্ঞানভিওিক কনফারেন্স ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এই কমিউনিটির সদস্যদের জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, গবেষণায় সরকারি অনুদান লাভসহ বিভিন্ন গবেষণা কনফারেন্সে কাজের উল্লেখযোগ্য উৎসাহমূলক প্রসংশা পেয়ে আসার সুনাম রয়েছে।


আরও খবর