Logo
আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

দেশে ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ২৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৭৬৪ জন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৯ হাজার ৩৪৭ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১৩ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের ১ হাজার ৭৮ জন ঢাকার বাসিন্দা। আর ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৬৮৬ জন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের ৪ হাজার ৬০৫ জন ঢাকার এবং ৪ হাজার ৭৪২ জন ঢাকার বাইরে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১৯৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃবঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী দাগনভূঞা উপজেলা আ'লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি কাশেদুল হক বাবর ছিলেন একসময়ের বিএনপির দূর্ধর্ষ ক্যাড়ার পরে আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর হলেন ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আর বর্তমানে উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি। আ'লীগের মনোনয়নে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হয়েছিলেন দলছুট বাবর। বাবর ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বএনপিতে যোগদেন। বাবর বিএনপিতে যোগদানের পরই তার নির্দেশেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত  রাজাপুর ও সিন্দুরপুরে আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালানো হয় নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার। ঘর-বাড়ী ছাড়তে হয় অনেক নেতাকর্মীকে। বাবরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আ'লীগের নেতাকর্মীরা।

তৎকালীন সময়ে সরাসরি তার নির্দেশে নির্যাতনের শিকার হওয়া আ'লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সময়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একটি সভায় তৎকালীন ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অত্র আসনের সাংসদ জয়নাল আবেদীন ভিপির গলায়দ ফুলের মালা দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সে বিএনপিতে যোগদানের পরপরই রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালাতে থাকে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে শত শত নেতাকর্মী।

বাবরের নির্যাতনের শিকার তৎকালীণ রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জানান, আমি রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে বসে রইছি তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করে। আমি কোনমতে বেঁচে ফিরি। পরে বাবর আমার বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে যায় যে আমি যেন বাড়ী থেকে চলে যাই। তারপর আমার পরিবার রাতের আঁধারে আমাকে বাড়ী থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যার হাতে আ'লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে আছে সেই বাবর আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার আ'লীগের পদ বাগিয়ে নিল এবং আ'লীগের নৌকা নিয়ে সে চেয়ারম্যান ও হল।

কামাল ছাড়াও বাবরের হাতে বিএনপি সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয় আ'লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।  আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে  মুন্সী নুরের জামান, লোকমান, শেখ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন, বেলাল, শাহ জালাল, নুর উদ্দিন, নুর আলম, জাহাঙ্গীর, মিয়া, হুমায়ুন, মান্নান, জাহের, মহিউদ্দিন ও মৃত আহছান উল্যাহকে ডেকে এনে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল বাবর। পরে তখনকার বিএনপির সভাপতির হাতে পায়ে ধরে এদের অভিভাবকরা তাদের জীবন রক্ষা করেন। বিএনপির আমলে বাবরের দূর্ধর্ষতার কাহিনী শুনলে এখনো আঁতকে উঠে রাজাপুরে বাবরের হাতে নির্যাতিত হওয়া আ'লীগ পরিবারের ওইসকল সদস্যরা।

বাবরের হাতে নির্যাতিত হন আ'লীগ নেতা আব্দুল মন্নান জানান, (বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী) সে জানা, বিএনপির আমলে আমি দোকানে চা খাইতেছিলাম তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা  এলজির মাথা দিয়ে চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে আমাদের  দোকানে আসার অনুমতি কে দিয়েছে বলে মারধর করে। এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে।

আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর (বর্তমান সৌদি প্রবাসী) সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে বিএনপির আমলে বাবরের নেতৃত্ব বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমার চায়ের দোকানে এসে মাঘ মাসের শীতের মধ্যে শত শত মানুষের সামনে আমাকে তিন ঘন্টা গলা সমান পানিতে দাড়িয়ে রেখেছিল। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসে।

আ'লীগ সমর্থক বেলাল হোসেন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী) তিনি জানান, আ'লীগ সমর্থন করার কারনে এ বাবর আমাকে এমন নির্মমভাবে মেরেছে তা কখনো ভুলতে পারবোনা। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার পিতাকেও মারধর করে বাবর। তার সেই মাইরের যন্ত্রনা নিয়ে বাবা কবরে চলে গেছে।আর আমি এখনও মাসে মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।

নুর উদ্দীন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী)  সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করি শুধু এ অপরাধে আমাকে বাবর ধরে এনে প্রচন্ড মারধর শুরু করে। আমার চিৎকারে একজন বয়স্ক মহিলা(সোনিয়া ডেকোরেটরের মা) ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার প্রাণ রক্ষা করেন।

এতদিন বাবরের অতিতের দূর্ধর্ষতা নিয়ে ভূক্তভোগীরা ভয়ে মুখ খুলেনি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটূক্তি করার পর আ'লীগ পরিবারের সদস্যরা তার অতিতের দূর্ধর্ষতার লোমহর্ষক বর্ণনা সামনে এনেছেন। তারা মনে করেন বাবর কখনোই মুজিবের আদর্শ লালন করে আ'লীগ করেনি সে ক্ষমতা ভোগদখলের জন্যই আ'লীগে যোগ দিয়েছে। এখন দল তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না দেয়ায় সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে মন্তব্য করেছেন। যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে পারে সে কখনোই আ'লীগের সমর্থক হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাশেদুল হক বাবর জানান, আমরা পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে আসছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই আজ এ পর্যায়ে এসেছি। আমি কখনোই বিএনপিতে যোগদান করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমি দেশের বাহিরে চলে যাই। আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবর ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগদেন এটা শতভাগ সত্য। তিনি বিএনপিতে যোগদানের পর অনেক আ'লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। এবং তার নেতৃত্বেই রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করা হয়েছিল।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অসীম জাওয়াদ নামে এক পাইলট চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত কো-পাইলট।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড় ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) পাইলট জাওয়াদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা।

তিনি বলেন, ‘বিমান বাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে এলে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেলা ১২টার দিকে তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অসীম জাওয়াদ নামে একজনের মৃত্যু হয়

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর ওয়াইএকে১৩০ নামক যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় বিমানটির পেছন দিকে আগুন লেগে যায় এবং চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে।


আরও খবর



ব্যাংকান্স্যুরেন্স ব্যবসা শুরুর অনুমতি পেল প্রাইম ব্যাংক পিএলসি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকান্স্যুরেন্স ব্যবসা শুরুর অনুমতি পেল বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী প্রাইম ব্যাংকের কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরীর হাতে অনুমোদনের এ চিঠি হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিআরপিডি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক আশরাফুল আলম। এছাড়াও প্রাইম ব্যাংকের চিফ ব্যাংকান্স্যুরেন্স অফিসার মিয়া মোহাম্মদ রবিউল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকাস্যুরেন্স মূলত ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির মধ্যে একটি অংশীদারিত্ব, যেখানে ব্যাংক কর্পোরেট এজেন্ট হিসেবে বীমা কোম্পানীর পণ্যগুলো তাদের নিজস্ব ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মাধ্যমে বিক্রয় করবে। গ্রাহকদের বিস্তর পরিসরে বিভিন্ন সেবা সরবরাহ এবং সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড-এর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে প্রাইম ব্যাংক।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক হিসেবে প্রাইম ব্যাংক ব্যাংকান্স্যুরেন্স সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্রাহকদের ইন্স্যুরেন্সের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আরও খবর



হুয়াওয়ের ক্লাউড সেবা ব্যবহার করবে উৎকর্ষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হুয়াওয়ের ক্লাউড সেবা ব্যবহার করবে অন্যরকম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান উৎকর্ষ। এর মাধ্যমে কনটেইনার টেকনোলজির সাহায্যে দ্রুত ও দক্ষতার সাথে ব্যাকএন্ড সিস্টেমের কাজকে ত্বরান্বিত করবে প্রতিষ্ঠানটি। এ লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যতম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে অন্যরকম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান উৎকর্ষ ও কর্পোরেট প্রযুক্তি লিমিটেড।  

ঢাকায় হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া ক্লাউড বিজনেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট লি ঝিফ্যাং ও উৎকর্ষের হেড অব ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলিজ আব্দুল হাদি। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই চুক্তির আওতায়, ক্লাউড কনটেইনার ইঞ্জিন (সিসিই ক্লাস্টার), ইলাস্টিক ক্লাউড সার্ভার (ইসিএস), ইলাস্টিক আইপি (ইআইপি) ও রিলেশন ডাটাবেসেস সার্ভিস (আরডিএস)-সহ উন্নতমানের ক্লাউড সেবা সরবরাহ করবে হুয়াওয়ে। এই সেবা উৎকর্ষের পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির ডেটা বিশ্লেষণে সহযোগিতা করবে। এর ফলে কার্যকর কৌশলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা আরও সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। 

হুয়াওয়ের এই সলিউশন সিস্টেমের সক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবার নিশ্চয়তা দেবে। উন্নত ক্লাউড প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎকর্ষ পরিচালন সক্ষমতা বৃদ্ধি, দ্রুত গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী অফারের জন্য তথ্য বিশ্লেষণ করে গ্রাহক সেবার অভিজ্ঞতাকে পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে। 

সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া ক্লাউড বিজনেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট লি ঝিফ্যাং বলেন, “বাংলাদেশের বাজারে ক্লাউড প্রযুক্তির ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে এই সেবা প্রদানে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। স্থানীয় ও বহুজাতিক কোম্পানির পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের ক্লাউড সেবা ব্যবহার হচ্ছে। আমার বিশ্বাস, এই চুক্তির ফলে উৎকর্ষ তাদের প্রতিষ্ঠানের সেবায় নতুন মাত্রা যোগ করার পাশাপাশি সহজ পরিচালন ও  দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবে। আর গ্রাহক-বান্ধব মনোভাব নিয়ে হুয়াওয়ে তাদেরকে সর্বোচ্চ সেবার নিশ্চয়তা দেবে।”

উৎকর্ষের হেড অব ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলিজ আব্দুল হাদি বলেন, “বাংলাদেশের এডটেক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের সুনাম রয়েছে। আমরা সব সময় আমাদের সেবার মান বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছি।  বর্তমান ব্যবসায়িক বাস্তবতায় ক্লাউড সলিউশন আমাদের পরিচালন সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। সে কারণেই আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য হুয়াওয়ের মতো বিশ্বখ্যাত ক্লাউড সলিউশনকে বেছে নিয়েছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সলিউশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের এডটেক প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে উৎকর্ষ প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে। একইসঙ্গে আমার বিশ্বাস, হুয়াওয়ের ক্লাউড ডিপার্টমেন্টের স্থানীয় টিম সর্বোচ্চ দক্ষতার সাথে আমাদেরকে নিয়মিত সেবা প্রদান করবে।“

ক্লাউড সেবা প্রদান করার জন্য উৎকর্ষ ছাড়াও এর আগে হুয়াওয়ে অন্যরকম গ্রুপ, রকমারি, টেকশপ ও প্রহরির সাথে সমঝোতা চুক্তি করেছে। বর্তমানে দেশের ১০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানকে ক্লাউড সেবা দিচ্ছে হুয়াওয়ে। এছাড়াও সরকারি, টেলকো ও বিভিন্ন বড় গ্রুপের চাহিদা অনুযায়ী হাইব্রিড ক্লাউড সলিউশন দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

ফ্রস্ট অ্যান্ড সালিভ্যান’স এমারজিং এশিয়া-প্যাসিফিক হাইব্রিড ক্লাউড মার্কেট রিপোর্ট ২০২২ অনুযায়ী, ক্লাউড সলিউশন প্রদানের দিক থেকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে হুয়াওয়ে এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও হংকংয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার বাজারে রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে।


আরও খবর



বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না, বলেছেন মিয়ানমার ইস্যুতে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত প্রতিরক্ষা কূটনীতিবিষয়ক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেছেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু আপনারা জানেন, মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সব দেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। এই বাস্তবতা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে সরকারের সব সংস্থাই দেশের স্বার্থের জন্য কাজ করে। সুযোগ খুঁজে বের করা এবং সহায়ক পরিবেশে কাজ করা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো বিষয়। একা একা সফলতা অর্জন করা অসম্ভব। কীভাবে সবার সঙ্গে সহযোগিতা করা যায়, সেটি হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের স্বার্থ ও কৌশলের জন্য সামরিক কৌশল দরকার এবং এটির মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের অবস্থান ঠিক করি। বিচ্ছিন্নভাবে এটি অর্জন করার সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে আমাদের তাই ভাবনা আসে, কে নেতৃত্ব দেবে বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে। এটি কখনও কখনও সমস্যার তৈরি করে।

সরকারি কাজ সমন্বয়ের জন্য একটি সংস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেটি আমরা শুরু করেছিলাম কিন্তু শেষ করতে পারিনি। কারণ, পরবর্তীতে সেটি আমাদের হাতে থাকেনি। যখনই আমি ব্যবসা খাতের জন্য একটি সম্ভাবনা খুঁজে বের করলাম, সেটি পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, কাজেই এখানে যে প্রস্তাব এসেছে, সেটি আমি সমর্থন করি এবং মনে করি, একটি সংস্থা দরকার, যেটি সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করবে যার মাধ্যমে যেটি অর্জন করা হয়েছে, সেটি হারিয়ে যাবে না এবং এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ঠিক করবে।

নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন বলেন, অভিপ্রায় হঠাৎ করে বদলে যেতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা হঠাৎ করে বদলায় না। আজ একজন বন্ধু আছে কিন্তু কাল সে বন্ধু না–ও থাকতে পারে। জাতীয় স্বার্থ ও মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়” এবং সামরিক বাহিনী পররাষ্ট্র নীতির উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সবকিছু করছে।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, সামরিক বাহিনীর মূল কাজ হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং আমরা এটি কখনো ভুলি না। আমরা সব সময় এর জন্য তৈরি।


আরও খবর