Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দেশ ছাড়লেন শাকিবের সেই প্রযোজক

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;বর্তমান সময়ে দুই খান মাতিয়ে রেখেছে পুরো দেশ। একজন হচ্ছেন পুলিশ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান। আরেকজন হচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। এই নায়কের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রযোজক রহমত উল্লাহ। যা নিয়ে গেল ক’দিন ধরে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

আরাভ খানের কথা বাদ রেখে কথা বলা যাক, চিত্রনায়ক শাকিব খানকে নিয়ে। শীর্ষ এই নায়কের দাবি, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আর রহমত উল্লাহ একজন ‘প্রতারক ও ভূয়া প্রযোজক’।

‘কথিত’ এই প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গত শনিবার গভীর রাতে গুলশান থানায়ও যান শাকিব খান। এর পরদিন রোববার বিকেলে যান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে। দুই জায়গাতেই তিনি এই প্রযোজকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলে ধরেন। আর এই প্রযোজক যেন দেশ ত্যাগ না করতে পারে, তার জন্যও আইনের সহযোগিতা চান শাকিব খান।

শাকিব খানের বিরুদ্ধে গত ১৫ মার্চ প্রযোজক রহমত উল্লাহ লিখিত আকারে বিস্তর অভিযোগ জমা দেন প্রযোজক-পরিবেশক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতিতে। এরপর বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টায় ১৬ মার্চ ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় বসেন শাকিব খান ও রহমত উল্লাহ। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসও। কিন্তু সেখানে কোনো সমঝোতার হয়নি, বরং হয়েছে উল্টোটা। যার ফল- শাকিব খানের থানায় যাওয়া।

 অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে- এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দিয়েছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে এই প্রযোজক বলেন, ‘শাকিব বলছে, আমি ভূয়া প্রযোজক- এটা হাস্যকর। আমি যে একজন প্রযোজক এর যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে আছে। আর আমি যেসব অভিযোগ এনেছি তার বিরুদ্ধে, একটাও মিথ্যে না। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে এখানে কথা বলছি। কীভাবে কি করা যায়, সেই সিদ্ধান্তই নিচ্ছি। আমি কিছুদিনের মধ্যেই আইনিভাবে লড়তে বাংলাদেশে আসছি। অল্প কিছুদিন আপনারা অপেক্ষা করেন।’

অভিযোগ দিয়েই দেশ ত্যাগ করার কারণ কী জানতে চাইলে এই প্রযোজক বলেন, ‘আমি আপনাকে আগে জানিয়েছিলাম, আমার হাতে সময় কম। অস্ট্রেলিয়ায় আমার বেশ কিছু কাজ আছে। বিষয়টি আমি শাকিব খান ও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমিতিগুলোর কাছেও বলেছি। কারও ভয়ে আমি দেশ ত্যাগ করেনি। আমি আমার কাজের জন্যই অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আপনাদের সঙ্গে সব প্রমাণ নিয়ে দেখা হচ্ছে। এবার লড়াই হবে আইনিভাবে।’


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, এক ধর্ষক গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা প্রতিনিধি:নওগাঁর মান্দায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী (৩২)। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মান্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার একটি কলাবাগানে এ ঘটনা ঘটে।এদিকে ভিকটিমের দেওয়া তথ্যমতে আজ শনিবার(২৪ মার্চ) বেলা ১১টায় দ্রুত এক অভিযান চালিয়ে হারুন অর রশিদ (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।অভিযুক্ত হারুন অর রশিদ সাহাপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, ‘আমি নওগাঁ শহরের একটি ক্লিনিকে আয়ার কাজ করি। কাজের সুবাদে স্বামীকে নিয়ে শহরের দয়ালের মোড়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতাম। পারিবারিক বিষয় নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় কয়েক মাস আগে স্বামীর সাথে তার ছড়াছাড়ি হয়েছে।’ভুক্তভোগী ওই নারী আরও বলেন, মোবাইলফোনের সূত্র ধরে লুদু নামে মান্দা ফেরিঘাট এলাকার এক ব্যক্তির সাথে তার পরিচয় ঘটে। তিনি বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার পর আমাকে ফেরিঘাট এলাকায় নিয়ে আসেন। রাত ৮টার দিকে চার্জারভ্যানে আশপাশে ঘুরে একটি কলাবাগানে নিয়ে যান। এরপর হত্যার ভয় দেখিয়ে একে একে আটজন আমাকে ধর্ষণ করেন।’   তিনি আরও বলেন, ‘সুযোগ পেয়ে চিৎকার দিলে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে ওইসব লোকজন আমাকে উদ্ধার করে পুলিশের জিম্মায় দেয়।’মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় হারুন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



পানি নিষ্কাশনের মুখে নন্দন পার্কের বাঁধ, উৎসবেও জলবদ্ধতায় দুর্ভোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পানি নিষ্কাশনের মুখে ঈদের আগে নন্দন পার্কের মাটির বাঁধে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ঈদ ও বৈশাখী উৎসবে পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও চরম দুর্ভোগে পড়েন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। নিজেরা মেশিন দিয়ে সেচে কোনরকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবজনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো। এখান থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী। এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বড়ইছুটি গ্রামে প্রায় দেড়শতাধিক বাড়িতে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা- ময়লাযুক্ত পানি যুগের পর যুগ ধরে কৃষি জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু উপজেলার বাড়ইপাড়া ও বড়ইছুটি এলাকার পাশ^বর্তী ঢাকার সাভার উপজেলার কৃষি জমি ভরাট করে গড়ে উঠেছে নন্দন পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিই বড়ইছুটি গ্রামের মানুষের। এছাড়াও ওই পার্কের বিরুদ্ধে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের পাশে বনবিভাগের জমিও জবর-দখলের অভিযোগ রয়েছে। ওই পার্কের পশ্চিম পাশে সীমানা প্রাচীর ঘেষে অবস্থিত বড়ইছুটি গ্রামটি। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ওই পার্ক প্রতিষ্ঠা হলেও র্দীঘদিন ধরে পার্কের এক পাশ দিয়ে এসব বাসা-বাড়ির আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঈদের আগে ওই পানি নিষ্কাশনের মুখে উচু মাটির বাঁধ দেয় নন্দন পার্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। একমাত্র রাস্তাসহ বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ছে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি। ওই পানি ঠেকাতে কেউ ঘরের পাশে দেয় বাঁধ, আবার কেউ উঠানের পানি সেচে ফেলছেন বাইরে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামবাসী। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শিশু ও রোগীরা। সৃষ্টি হচ্ছে মশা, মাছিসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই। এর সমধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করা হয়নি। এর সমাধান চেয়ে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। এরই মধ্যে চলে আসে বড় দুটি উৎসব ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ। এ দুটি উৎসবে ওই পার্কে রমরমা ব্যবসা হলেও পার্কের বাধের কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন ওই গ্রামের ইফাজাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা, আফাজ উদ্দিন মোল্লা স্কুল এনড কলেজ, মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসুল্লি ও কারখানার শ্রমিকরা। তাদের ঘরে যেন নেই দুটি উৎসবের আমেজ, আছে চরম দুর্ভোগ আর হতাশা।নিজেদের উদ্যোগে মেশিন দিয়ে সেচে কোন রকমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও বৃষ্টি হলে ঘরে ঘরে আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ গুলো।স্থানীয় জালাল উদ্দিন, সিলুম উদ্দিন, ফয়সাল সরকার, লিয়াকত সরকারসহ অনেকেই বলেন, এখানে আমাগো বাপ-দাদার বাড়ি। এ পর্যন্ত ময়লাযুক্ত পানি এ দিক দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আগে এ জমি নন্দন পার্কের ছিল না, পরে কিনে নিয়েছে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না করে বাঁধ দেওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। দুটি উৎসবেও আমাদের মধ্যে কোনো আমেজ নেই। ভাড়াটে মর্জিনা বেগম বলেন, আমি এখানে ৫ বছর ধরে ভাড়া থাকি। আগে এ রকম ময়লাযুক্ত পানির কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু পার্কের বাঁধের কারণে ময়লাযুক্ত পানির জলাবদ্ধতা হচ্ছে। ওই পানি আমাদের একটি ঘরেও ঢুকে যায়। ওই পানি সেচে কোন রকমে ঘরে থাকি। আবার ভরে গেলে আবার সেচে ফেলি। এছাড়া টয়লেট ও টিউবয়েলেও যেতে পারি না। দুর্গন্ধে খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগে এই জলাবদ্ধতা থেকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী।

এব্যাপারে নন্দন পার্ক কোম্পানি সচিব খাইরুল ইসলাম জানান, আবর্জনা-ময়লাযুক্ত পানি পার্কে ঢুকে যাচ্ছে। এতে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এর সমাধানের জন্য দুই বছর ধরে চেষ্টা করতেছি। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমাদের জমি এভাবে কতদিন ফেলে রাখবো। তাই মাটি দিয়ে বাঁধ দিয়ে আমাদের জমি উন্নয়ন করতেছি। ইউএনও স্যার পরিদর্শন শেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমরাও তাদের সাথে আছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শাকিল মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সব ধরণের বজ্রপানি ঐদিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে নন্দন পার্কের বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়াল ভাবে বক্তব্য দিতে রাজি নন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ।


আরও খবর



আমতলীতে ৪৮ ঘন্টায় ৬২ জন ভর্তি,কলেরা স্যালাইন তীব্র সংকট

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীতে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ৪৮ ঘন্টায় ৬২জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফলে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডায়রিয়া ওয়ার্ডের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্যরা। বেডে ঠাই না হওয়ায় আক্রান্ত রোগীরা নিরুপায় হয়ে বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে দুর্ভোগ বাড়ছে রোগীদের।ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভর্তি রোগীদের বাহির থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। এতে গরীব রোগীরা পরেছে চরম দুর্ভোগে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর থেকে শুক্রবার সকাল ১১ টা পর্যন্তÍ ৪৮ ঘন্টায় আমতলী হাসপাতালে ৬২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন।

৬ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা সংকুলান না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে রোগীরা বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে সরকারী ভাবে এ চিত্র পাওয়া গেলেও গ্রামের চিত্র ভয়াবহ। অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে না এসে গ্রাম্য চিকিৎকের শরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী বলে এক বেসরকারী তথ্যে জানা গেছে।গুলিশাখালী ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব আকন বলেন, প্রায় ঘরে ঘরেই এখন ডায়রিয়ায় আক্রান্তের রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার সকালে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, বেডের অভাবে অনেক রোগী হাসপাতালের বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিসা নিচ্ছেন।

এসময় গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানি গ্রামের ষাটোর্ধ মজিদ হাওলাদার (৬৩) নামে এক রোগী বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে জায়গার অভাবে এখন বারান্দায় শুয়ে চকিৎসা নিচ্ছি। এখানে ফ্যান নেই গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের আরেক রোগী রুকাইয়া (১৩) নামের এক কিশোরী বলেন, বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এখান থেকে বাথ রুমে যেতে কষ্ট হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বৈঠাকাটা গ্রামের আশমান খাঁ (৯০) বলেন, বাবা খালি পানির মত পড়ে। হাসপাতালে আইছি। হেও আবার রুম পাইনাই। ওষুধ নাই। বাইরে গোনে টাহা দিয়া স্যালাইন কেনতে অয়। মোরা গরীব মানু স্যালাইন কেনার টাহা পামু কোম্মে।

আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের আবু ছালেহ বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছি। এপর্যন্ত ৩হাজার লিটার স্যালাইন বাহির থেকে কিনে চিকিৎসা নিয়েছি।

আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের দুলাল সর্দার বলেন, মোর ৯ মাসের ছেলে ইয়াছিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে এনে ভুর্তি করেছি। এপর্যন্ত খাবার স্যালাইন ছাড়া আর কিছুই হাসপাতাল থেকে পাইনি।

আমতলী হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের শরীরে পুশ করার জন্য কলেরা স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। স্যালাইন সংকট দেখা দেওয়ায় রোগীদের এখন ওষুদের দোকান থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।

আমতলী হাসপাতালের জরুররী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান খান বলেন, ডায়রয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশু এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশী। তিনি বলেন তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষ পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশী।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাওছার বলেন, শুকনো মৌসুমের কারনে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে এবং বিশুদ্ধ পানি পানের অভাবে এবং বৃষ্টি না হওয়ায় পানিতে লবনাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আজ বা কালের মধ্যে পাওয়া যাবে। স্যালাইন পাওয়া গেলে এ সংকট থাকবে না। তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা সেবায় কোন ঘাটতি নেই। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা সবাই আন্তরিক ভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




বাংলাদেশ-ভুটান তিনটি সমঝোতা স্মারক সই ও একটি চুক্তির নবায়ন

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তিনটি সমঝোতা স্মারক সই এবং একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে । সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।

সমঝোতাগুলো হচ্ছে– থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা। এছাড়া দুই দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা-সংক্রান্ত একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।

এর আগে, চারদিনের বাংলাদেশ সফরের প্রথমদিনই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক বসেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। দুপুর ১টার কিছু পরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ভুটানের রাজা। এ সময় টাইগারগেটে রাষ্ট্রীয় অতিথিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে, দুই শীর্ষ নেতা একান্ত বৈঠকে বসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভুটানের রানি জেতসুন পেমা। পরে, সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক। সবশেষ, দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা সই এবং একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের রাজা জিগমে খেসার। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তাকে লাল গালিচার অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের জোর তাগিদ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরি। তিনি আশা করেন, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা ও বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪