নীলফামারী প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, তারা নাকি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে নেমেছেন। দেশের মানুষ যখন অশান্তিতে নিমজ্জিত ছিল, দেশ ছিল টলমলে অবস্থায়, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের হাল ধরে দেশকে বাঁচিয়েছেন। উন্নয়নের প্রতিক হলেন শেখ হাসিনা।
আজ রোববার দুপুরে সৈয়দপুর শহরের অফিসার কলোনি ফাইভষ্টার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজনীতি করেন। কাজেই আগামীতে পুনরায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালালে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথেই খেলা হবে। আপনারা দেশ ও জনগণের সঙ্গে অনেক জুলুম করেছেন,কিন্তু আর নয়। খেলা হবে যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর খেলা হবে। শেখ হাসিনার মেরামত করা সোনার বাংলাদেশকে ধ্বংসের পথে যেতে দেওয়া হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণ করে জনগণের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এছাড়া একাধিক সেতু ও শত শত রাস্তার উদ্বোধন করেছেন। শেখ হাসিনা আছেন বলেই এতটা উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় গেলে উন্নয়ন তো দুরের কথা, মানুষ পুড়িয়ে ও লুটপাট করে দেশকে অশান্ত করে ছাড়বে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ বাংলাদেশ। তিলে তিলে উন্নয়নে গড়া বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে কাউকে সুযোগ দেওয়া হবে না। আগামী নির্বাচনে যাতে বিএনপি ও জামাত ষড়যন্ত্র করতে না পারে এজন্য সকলকে সচেতন থেকে মোকাবেলা করতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খাঁনের সভাপতিত্বে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিনসহ জেলা ও উপজেলার নেতরা।