Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৩

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫১ জন।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের ২২ জনই ঢাকার বাসিন্দা। আর ঢাকার বাইরের ১১ জন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের ১২৫ জন ঢাকার এবং ২৬ জন ঢাকার বাইরে।

প্রসঙ্গত, দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে ২০১৯ সালে। ওই বছর ১ লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ১৪৮ জন। পরের বছর ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ঘটেনি। ২০২১ সালের মাঝামাঝি ও ২০২২ সালে এসে উদ্বেগজনকহারে বাড়তে থাকে ডেঙ্গু রোগী।


আরও খবর



৫টি চোরাই মোটরসাইকেল সহ চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোর জেলা ডিবি পুলিশের অভিযানে আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৫ সদস্যকে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়েছে। (২৫শে মার্চ) রোববার দিবাগত গভীর রাতে, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে, মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর নেপালের মোড় এলাকায়, সেলিম মোল্যা (২৮) এর বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ৩টি মোটরসাইকেলসহ তাকে গ্রেফতার করেন। সে ওই এলাকার মাইজপাড়া গ্রামের মৃত হাবিল মোল্লার ছেলে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে আরো চারজনকে দু’টি মোটরসাইকেল সহ আটক করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মাগুরা যশপুর গ্রামের আজিজার রহমান সর্দারের ছেলের আঃ রহমান সরদার(২৫), মাগুরা মোহাম্মদপুর উপজেলার আউনাড়া মধ্যপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আল -আমিন(২৩), মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার মৃত চাঁদ আলী মোল্লার ছেলে শিবলু মোল্যা (৪২), কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার গড়দাহ খালপাড়া এলাকা অভিযান চালিয়ে মৃত মইনুদ্দিন ফকিরের ছেলে হাসান ফকির(৪২) কে গ্রেপ্তার করেন।

যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপণ কুমার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিলো। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত দুই দিনে মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



সড়ক সংস্কারে ধীরগতি, গোজামিলে ড্রেনেজ গাংনী কাথুলী সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী সড়কের বেহাল দশা বিরাজ করছে। গাংনীর কাথুলী থেকে মেহেরপুর শহর পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের বেশির ভাগ স্থানে ইট-খোয়া ওঠে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পয়নিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ১৮ গ্রামের মানুষসহ পন্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট যানবাহন। সকল কর্মকা-ে পড়ছে ভাটা। সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ৯ কোটি ৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সড়ক সংস্কার ও বাজার এলাকায় পয়নিস্কানের জন্য ড্রেন তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে পয়নিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণ ব্যায় ধরা হয় ৬৪ লক্ষ টাকা। যার কার্যাদেশ পান ঢাকার আবেদ মনসুর কনষ্টাকশন। কাজ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে কুষ্টিয়া এলাকার শহিদুল ইসলাম। কাজ শেষ হবার কথা চলতি বছরের মে মাসে।

স্থানীয়রা জানান, কায়েমকাটা মোড়ে থেকে দুটি সড়ক দু’দিকে গেছে। একটি সড়ক শোলমারি, শোভরাজপুর, তেরঘরিয়া গ্রামের দিকে গেছে। অন্যাটি কাথুলী ইউনিয়নের সহগলপুর, হাটপাড়া, গাড়াবাড়িয়া, কাথুলী বাজারে গিয়ে ঠেকেছে। এই সড়কটি দির্ঘ ১২ বছর ধরে খানাখন্দে ভরে থাকে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ বছরে একবার করে খানাখন্দগুলো ভরাট করে চলে যায়। কিন্তু নতুন করে কার্পেটিং করার অভাবে পুনরায় নতুন নতুন খানা খন্দ সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষের।

গত ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতে ওই সড়কের খানাখন্দ ভরাট করেছে সওজ। শুরু হয়েছে ড্রেন নির্মাণ কাজ। কাথুলী সড়কের কুলবাড়িয়া(যে অংশটি সদর উপজেলাধীন) ও হাটপাড়া বাজার এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই ড্রেন নির্মাণ নিয়ে এলাকার মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের মতে, যেখানে ড্রেন নির্মাণ করা জরুরী সেখানে না করে অন্যস্থানে ড্রেন করছে।

কাথুলী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর জিনারুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে সড়কের গাড়াবাড়িয়া দারুস সালাম মসজিদ এলাকার সামনে সব চেয়ে বেশি পানি জমে। ওই সময়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসিকে। মাঝে মাঝে যানবাহন উল্টে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেখানে ড্রেন করা গুরুত্বপূর্ণ সেখানে না করে উচু স্থানে ড্রেন করছে। যা সাধারণ মানুষের কোন কাজে আসবে না।

গাড়াবাড়িয়ার কম্পিউটার দোকানি আলি হোসেন জানান, গত একযুগেও সড়কটিতে মানুষ আরামে চলাচল করতে পারেনি। বেশিরভাগ স্থানে খানাখন্দ। এবারে নতুন করে আরো একটি ঝামেলা তৈরি করেছে তারা।যেখানে ড্রেনের দরকার সেখানে না করে উচু যায়গায় ড্রেন নির্মাণ করছে। আগামী বর্ষায় এই সড়কদিয়ে মানুষ কেন কোন পরিববহনও চলাচল করতে পারবে না। একই অভিযোগ কাথুলী গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত হোসেনের। তিনি আরো জানান, এই সড়কে কোন কাজের ঠিক নেই। এমনিতে কয়েকস্থানে কার্পেটিং তুলে ফেলার কারণে চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। তার উপর উঁচু স্থানে ড্রেন নির্মাণ।

কাথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, কাথুলী সড়কে যেখানে ড্রেন নির্মাণের জন্য এলাকাবাসি দির্ঘ দিন থেকে দাবি জানাচ্ছিল। সেই জলাবদ্ধ স্থানে সড়ক বিভাগ ড্রেন নির্মাণ না করে একটি উচু স্থানে ড্রেনটি নির্মাণ করছেন। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে উন্নয়নকে ম্লান করে দিচ্ছেন এসব কর্মকর্তারা। কয়েকদফা তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পরও তারা সেখানেই ড্রেনটি নির্মাণ করছে।জানতে চাইলে আবেদ মুনসুর কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম জানান, কাজ চলমান রয়েছে।

সড়কের উপরিভাগ তুলে ফেলে নতুন করে কার্পেটিং করা হবে। সওজের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুয়ায়ী ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। কোন কোন স্থানে ড্রেন হবে তা আগে থেকে সওজ কর্তৃপক্ষ নির্ধারন করে রেখেছে। এখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন গাফলতি নেই।

কোন অনিয়ম হয়নি মর্মে দাবি করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী (এসডি) মুহাম্মদ মনজুরুল করিম জানান, ড্রেন হওয়ার কথা বাজার এলাকায়। সওজ সব সময় তদারকি করে কাথুলী সড়কের তিন স্থানে ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে। এর আগে সওজ কয়েকদফা এলাকায় ড্রেন নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচন করেছে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি।


আরও খবর



যশোরে বিপুল পরিমান অস্ত্র সহ কিশোর গ্যাং চক্রের ৯ জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২৪২জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাং চক্রের ৯ সদস্যকে বিপুল পরিমান অস্ত্র সহ আটক করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি বার্মিজ চাকু, ৪টি গাছি দা, ১টি চাপট, ১টি রাম দা, ১টি সাবল, ১টি স্লাই রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়। শনিবার (২ মার্চ) যশোর শহরের রায়পাড়া রেলস্টেশন পুকুরের দক্ষিণ পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়।আটককৃতরা হলেন, যশোর শহরতলীর বারান্দিনাথপাড়ার কপিল চন্দ্র সাহা চয়ন (২৯), বেজপাড়ার আনছার ক্যাম্প এলাকার ইমন মোল্লা (১৯), শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার অয়ন (১৯), বারান্দি কদমতলা এলাকার মুন্না ইসলাম সাগর (২১) বারান্দিপাড়া কদমতলা এলাকার আমিন (৪৪), মুড়লী জোড়া মন্দিও এলাকার হাসিবুর রহমান রাতুল (১৯), শহরের কাজীপাড়া গোলামপট্টির রাফিদুল ইসলাম রোহান (১৯), (৮) শার্শা শিকারপুর গ্রামের নয়ন শেখ (১৯) ও ঝিকরগাছার বাঁকড়া এলাকার রিফাতুল ইসলাম নিভা (১৯)।

ডিবি পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, মাদকসহ যশোর শহরে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। গোপন সংবাদের সূত্র ধরে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. নুর ইসলাম ও এসআই মো. শামীম হোসেন এর সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিম যশোর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের রায়পাড়া রেলস্টেশন পুকুরের দক্ষিণ পার্শ্বে সুমনের দোকানের পিছন থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বিপুল পরিমান অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করে। অভিযানে আরো অংশ নেন এসআই শফি আহমেদ রিয়েল, এসআই মো. সাদ্দাম হোসেন, এএসআই সৈয়দ শাহিন ফরহাদ, এএসআই রঞ্জন কুমার বসু, মো. আব্দুল বাতেন। এই ঘটনায় এসআই মো. নুর ইসলাম বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় পৃথক ২টি মামলা করেছে।


আরও খবর



মান্দায় শয়ন ঘর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার: স্বামী আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মান্দায় শয়ন ঘর থেকে মল্লিকা বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । এ ঘটনায় বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করার সময় তার স্বামী মহসীন আলী মন্ডলকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। আটক মহসিন আলী প্রসাদপুর ইউনিয়নের চকখোপা গ্রামের মৃত আহম্মদ আলী মন্ডলের ছেলে। অপরদিকে নিহত মল্লিকা বেগম পাশ্ববর্তী গণেশপুর ইউনিয়নের ভেবড়া গ্রামের মফের আলীর মেয়ে। তাদের এক ছেলে এবং এক মেয়ে সন্তান আছে।

স্থানীয়রা জানান, মল্লিকা বেগম দীর্ঘদিন যাবত কিডনি রোগ, পাইলস, পেট ব্যথা, দাঁতসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। কিছু দিন আগে তার একটি অপারেশনও করা হয়েছিল। 

মহসিন আলীর ভাই মোজাম্মেল বলেন ভোর রাতে আমার মা সেহরী খাওয়ার জন্য আমার ভাই মহসিনকে ডাকতে যায়। এসময় বাড়ির পাশের একটি ধানক্ষেতে তাকে পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ঘরে গিয়ে দেখা যায় আমার ভাবির লাশ পড়ে রয়েছে। 

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী এ ঘটনায়বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় গৃহবধূ মল্লিকা বেগমের গলায় আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মহসিন আলীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ  মর্গে পাঠানোসহ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


আরও খবর



মেহেরপুরে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ দানাদার বালাইনাশক

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃসরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও মেহেরপুরে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে দানাদার বালাইনাশক কার্বোফুরান। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর বালাইনাশক অবাধে বিক্রি হলেও সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। এসিআই কোম্পানীর বিভিন্ন ডিলারদের কাছে এই বালাইনাশক রয়েছে বলে বেশ কয়েকটি সুত্র জানিয়েছেন। অন্যদিকে ওই ডিলারগন দানাদার বালাইনাশক বিক্রি করেন না মর্মে দাবী করেছেন। আর কৃষি অফিস বলছে, প্রত্যেক ডিলারকে এ ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে গাংনী কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজন গাংনীর করমদি গ্রামের আশ্রাফ ট্রেডার্সের একটি ঘর থেকে ১১ প্যাকেট দানাদার বালাইনাশক কার্বোফুরান বিনষ্ট করেন। সোমবার সকালে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিংকু এ অভিযান চালায়। আশ্রাফ আলী এ বালাইনাশক এসিআই কোম্পানীর প্রতিনিধির কাছ থেকে নিয়েছেন এবং অনেকেই এ বালাইনাশক বিক্রি করছেন বলেও স্বীকার করেন।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর বালাইনাশকের একটি তালিকা করে। তাতে কার্বোফুরান বা কার্বোমেট-জাতীয় বালাইনাশককে মারাত্মক ক্ষতিকর (এক্সট্রিমলি হেজারডাস) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ’৯০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও নিউজিল্যান্ড বালাইনাশকটি নিষিদ্ধ করে। তবে দামে কম হওয়ায় ও পোকা দমনে ভালো কাজ করায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর ব্যবহার চলতে থাকে। ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন প্রকাশের পর এসব দেশ বালাইনাশকটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

২০২৩ সালে জুন মাসে বিশ্বের ৮৮তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কার্বোফুরান নামের বালাইনাশক নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর চিহ্নিত করে ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি এটি নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি হওয়া ওই গেজেট জুন মাস থেকে এটির আমদানি, ব্যবহার ও উৎপাদন বন্ধ করার আদেশ দেয়া হয়। আদেশে বলা হয়, অবিক্রিত কীটনাশক সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর কাছে ফেরত প্রদান অথবা নিজ দায়িত্বে ধ্বংস করতে হবে।

কৃষিবীদ আব্দুর রউফের মতে, কার্বোফুরান জাতীয় দানাদার বালাইনাশক মানুষের জন্য ক্ষতিকর তো বটেই, গাছের পরাগায়ণের ভূমিকা রাখা বিভিন্ন জাতের মাছি, প্রজাপতি থেকে শুরু করে ক্ষতিকর পোকা খেয়ে প্রকৃতির ভারসাম্য রেখে চলা লেডি বিটল ও টাইগার বিটলের মতো পোকা এর কারণে মারা যায়। এটি মাটির উপকারী ব্যাকটেরিয়া ও কেঁচো এবং মাছের ক্ষতি করে।

একটি সুত্র জানায়, কৃষি অফিসের একটি চক্রকে ম্যানেজ করেই তারা এ ধরনের কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। সুত্রটি আরো জানায়, তরল বালাই নাশকের ৭ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১৫ দিন পর্যন্ত কার্যকরী ক্ষমতা থাকে। আর কার্বোফুরান কার্বোমেট দানাদার বালাইনাশকের কার্যকরী ক্ষমতা থাকে ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত। ফলে প্রত্যেকেই অজ্ঞাতসারে এ কীটনাশকের ছোবল গ্রহন করছেন।

বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবসায়িরা চাষিদেরকে নানাভাবে এসব দানাদার বালাইনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে করে চাষিরা ভাল ফলাফলের আশায় এসব ব্যবহার করছেন। অনেকেই সন্ধ্যায় বালাইনাশক ব্যবহার করে সকালে সবজিসহ অন্যান্য ফসল তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। শুধু ভোক্তা বা ক্রেতা নয়, উৎপাদন কাজে নিয়জিত কৃষকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন নানা ধরনের রোগে। প্রকাশ্য ও গোপনে এসব দানাদার বালাইনাশক বিক্রি হলেও কৃষি অফিস তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সুপ্রভা রাণী জানান, এমন কতগুলো বালাইনাশক বা রাসায়নিক পদার্থ আছে যা শাক সবজিতে স্প্রে করার পর ভালো করে ধুলেও সবজি শতভাগ পরিষ্কার ও নিরাপদ হয় না। ওই সবজি খেলে কিডনি, লিভার, স্তন, ফুসফুস, পাকস্থলী, প্রস্টেট, অগ্নাশয় ও ব্লাড ক্যানসারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের রাসায়নিক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক নিয়ে সচেতন করতে হবে। অর্গানিক উপায়ে খাবার উৎপাদনে গুরুত্ব দিতে হবে। ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, কার্বোফুরান মানব দেহ শুধু নয়, পশু পাখি এমন কি গাছ ও মাটির উপকারী কীটেরও ক্ষতি করে। এ জন্য এ বালাই নাশককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কৃষকদেরকে এ বালাইনাশক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার পরও অনেক ক্ষেত্রে কৃষক তা যথাযথভাবে মানেন না। বিভিন্ন বালাইনাশক বিক্রয়কারীকে এটি বিক্রির জন্য নিষেধ করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে একজন বিক্রয়কারীর দোকানে অভিযান চালিয়ে কিছু বালাইনাশক কার্বোফুরান বিনষ্ট করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। কৃষি অফিসের যোগ সাজশে এ ধরনের বালাইনাশক বিক্রি হচ্ছে মর্মে অভিযোগে ব্যাপারে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হন নি।


আরও খবর