Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ডেঙ্গু টিকার অনুমোদন দিলো ডব্লিউএইচও

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩৫৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :ডেঙ্গু প্রতিরোধে জরুরি প্রয়োজনে একটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার (২ অক্টোবর) এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস।

সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ডব্লিউএইচওর সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গেব্রেয়াসুস বলেন, কিউডেঙ্গা নামের টিকাটি তৈরি করেছে জাপানের ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি এমন অঞ্চলগুলোতে ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই টিকা ব্যবহার করা যাবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

ডব্লিউএইচওর আগেই জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য কিউডেঙ্গাকে ছাড়পত্র দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিল। মূলত শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এদিন ডেঙ্গু টিকার পাশাপাশি ম্যালেরিয়ারিএকটি টিকাও অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

প্রাণঘাতী ডেঙ্গু ভাইরাসের একমাত্র বাহক এডিস মশা। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা বাড়ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টিপাত।

আবহাওয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে এডিস মশার বংশবিস্তার। ফলে মৌসুমি জলবায়ুর দেশগুলোর পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে ইউরোপের অনেক দেশেও এই রোগের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।

তবে বাংলাদেশের মতো মৌসুমি জলবায়ুর দেশগুলোতে এই রোগের মাত্রা বহুগুণ বেশি। চলতি ২০২৩ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২ লাখেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজারেরও বেশি মানুষের।

সূত্র: এএফপি।


আরও খবর



তানোরে তামান্না হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ মজুদ ভারতীয় আলু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার কালিগঞ্জ বাজারে অবস্থিত তামান্না হিমাগারে রাখা কৃষকের আলুতে গাছ গজিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেই সাথে ভারত থেকে আমদানি করা আলু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মজুদ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আমদানি করা আলু রাতের আধারে ঢুকানো ও বাহির করার কারনে গ্যাস সংকট। মুলত একারনেই আলুতে গাছ বের হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন কৃষকরা । এতে করে অধিক টাকা খরচে কৃষকের রক্ত ঘামের আলু নষ্ট হওয়ায় মাথায় পড়েছে হাত। ফলে হিমাগার কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ শতশত কৃষকরা। যার কারনে কৃষি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন কৃষকরা।

কৃষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরের পরে সরেজমিনে হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, আলু রাখা সেটে বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে আলু রাখা একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, আলুতে ট্যাক বা গাছ গজানো দেখতে হলে সকালের দিকে আসতে হত। আলু সেটে ঢালার পর প্রায় আলুতেই এক ইঞ্চি থেকে দেড় ইঞ্চি করে গাছ গজিয়েছে। প্রায় আলুর গাছ পরিস্কার করা হয়েছে। এজন্য এখন কম দেখা যাচ্ছে। গাছ গজানো আলু বিক্রি করা কষ্টকর এবং বাজার দামও কম হবে। কি কারনে গাজ গজিয়েছে জানতে চাইলে তারা জানান ভারত থেকে আমদানি করা আলু হিমাগারে রাখছে আবার সেই আলু বাহির করছে। যার কারনে ঠিকমত গ্যাস দিতে পারেনি। মুলত একারনেই আলুতে গাছ গজিয়েছে। এটার জন্য দায় হিমাগার কর্তৃপক্ষ।  তারা আমদানি করা আলুতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে  অধিক লাভের কারনে সাধারণ কৃষকের আলুর এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেন । তালন্দ ইউনিয়ন ইউপির আলু রাখা এক কৃষক সেখানেই ছিলেন, তিনি বলেন হিমাগার কর্তৃপক্ষই আলু নিয়ে মহা সিন্ডিকেট করে থাকেন প্রতিনিয়তই। আলু বিক্রি করার জন্য সকালের দিকে  সেটে ফেলার পর প্রতিটি আলুতে গাছ গজিয়ে পড়েছে। দেখে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে পড়েছে। আলু ভালো থাকার জন্য হিমাগারে রাখা হয় অথচ ভালো থাকার পরিবর্তে গাছ গজাচ্ছে। ঈদুল ফিতরের পর ও গত সপ্তাহের দিকে ভারত থেকে আমদানি করা আলু হিমাগারে রাখার কারনে গ্যাস সংকট, সে কারনেই আলুতে গাছ গজিয়েছে। তিনি আরো জানান, তামান্নাতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বস্তা ভারতীয় আলু রাখা আছে এবং বায়ার হিমালয় ও রাজেও রাখা আছে ভারতীয় আলু। 
আলু রাখা সেট থেকে যাওয়া হয় ম্যানেজারের চেম্বারে। সেখানে ম্যানেজার আব্দুল মান্নান ও  তার পাশে আরেকজন বসে ছিলেন। ম্যানেজার আব্দুল মান্নানের কাছে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ গজানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এসব বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই।  ভারত থেকে আমদানি করা আলু আপনার হিমাগারে মজুদ আছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। তার পাশে থাকা আরেক ব্যক্তি বলেন, হিমাগারের বিষয়ে কিছু জানতে হলে তামান্নার হেড অফিসে চলে যেতে হবে।

সেখান থেকে বের হয়ে সেটে আসলে কালিগঞ্জ এলাকার এক কৃষক জানান সকালের দিকে শুনতে পেয়েছি হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ গজিয়েছে, আলু বিক্রি করব। কিন্তু গাছ গজালেতো দাম কম হবে। হিমাগার গুলো মহা সিন্ডিকেট শুরু করেছে। এহিমাগারে নাকি ভারত থেকে আমদানি করা আলু মজুদ আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ট্রাকের ট্রাক ভারতীয় আলু মজুদ রাখা আছে। তিনি আরেক বেপারিকে ডেকে বলেন ভারতীয় আলু কত বস্তা হতে পারে তিনি জানান নিম্মে হলেও ১০ হাজার বস্তা ভারতীয় আলু রাখা আছে। স্থানীয় ওই কৃষক আরো জানান, আমাদের  গ্রামের শ্রমিকরাই ভারতীয় আলু বাছাই করেছে।

তানোর পৌর এলাকার এক কৃষক মোবাইলে জানান, আলু বিক্রি করার জন্য সকালের দিকে তামান্না হিমাগারে যায়। গিয়ে দেখি যে সব আলু বের করে সেটে ঢেলেছে প্রায় আলুতে গাছ গজিয়েছে। গাছ গজানো আলু বাজার দর থেকে কম।  আমি বীজের আলুও রেখেছি, সে সবেও গাছ গজিয়েছে।

বেশকিছু প্রান্তিক আলু চাষীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে সব আলু গাছ গজিয়েছে ওই সব আলু সেটে ঢালার পর বাছাই করে বিক্রি করতে হবে। এজন্য গুনতে হবে বাড়তি টাকা।  
হিমাগারে ভাড়া লুজ, প্রতি বস্তা ৩২৫ টাকা,  কন্ট্রাক বুকিং প্রতি বস্তা ২৫০-৬০ টাকা, পেট বুকিং ২৩০-৪০ টাকা, লেবার খরচ প্লাটল বাবদ প্রতি বস্তা ২৫ টাকা, সেট খরচ প্রতি বস্তায়  ৩০ টাকা, লোড প্রতি বস্তায়  ৬ টাকা, ওজন প্রতি বস্তায় ৫ টাকা,কৃষক কে ঋন দিলে হিমাগার ২৮% সুদ নেয়, বাজার দর থেকে বাকিতে কৃষকের কাছ বস্তা প্রতি ৩০ টাকা বাড়তি নেয়।

এছাড়াও যে সব কৃষকরা একজনের নামে বুকিং কেটে ১০ জন মিলে হিমাগারে ৫ হাজার বস্তা আলু রাখলে মজুদদার হিসেবে হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কাছে তাদের তালিকা দিয়েছে । অথচ যারা ফড়িয়া ব্যবসায়ী হাজার হাজার বস্তা আলু মজুদ করে রেখেছে তাদের তালিকা দেয়নি হিমাগার কর্তৃপক্ষ। 

সুত্র জানায়, আলুর বাজার লাগামহীন হওয়ার কারনে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ভারত থেকে আলু আমদানি করেছেন সরকার । কিন্তু তামান্না হিমাগারের ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার অস্থির করার কারনে ভারতীয় আলু মজুদ করেছে বলে মনে করছেন প্রান্তিক আলু চাষীরা। 

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, আমরা তামান্না হিমাগার কে একাধিক বার সতর্ক করেছি। কিন্তু আমাদের তো অভিযান দেয়ার ক্ষমতা নেই। বিষয় টি নিয়ে নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



সিরাজদিখানে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে হেভিওয়েট প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃআসন্ন সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিককে ঘিরে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে।আগামী ২৯মে সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের নির্বাচন । আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে তার পক্ষে প্রতিদিনই নির্বাচনী সংযোগ করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার ২রা মে উপজেলার নিমতলা এলাকায় আবু বকর সিদ্দিক এর পক্ষে গণসংযোগ করেন তার সমর্থকরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবু বক্কর সিদ্দিক এর সহোদর ভাই আনিসুর রহমান খোকন, সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন সুরুজ ,বালুচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান মাস্টার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সিরাজদিখান উপজেলার সন্তান আবু বকর সিদ্দিক বালুচরের তিনবারের স্বর্নপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।সাধারণ ভোটারদের অভিমত তিনি একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজ সেবক পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, এবং দানবীর।বালুচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আবু বক্কর সিদ্দিক ইতোমধ্যেই মন জয় করেছেন সাধারণ মানুষের।সিরাজদিখান উপজেলাকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে আবু বক্কর সিদ্দিক এর বিকল্প নাই। আবু বকর সিদ্দিক এর নির্বাচিত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। 

 তিনি সিরাজদিখান তথা সমগ্র মুন্সিগঞ্জ জেলার অত্যন্ত জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। জনপ্রতিনিধি হিসেবে একজন পরিচ্ছন্ন, দুর্নীতিমুক্ত ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি। সিরাজদিখান উপজেলায় আওয়ামী লীগ কে শক্তিশালী করতে বছরে পর বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন ।এলাকার মানুষের বিপদে আপদে প্রয়োজনের সময় ছায়ার মতোই পাশে থাকেন। তার মতো ব্যক্তি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা পৌঁছবে।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে ৫দিনব্যাপী বৈসাবী উৎসবের উদ্বোধন করলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করতেই পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সাথে আমাদের পার্বত্য মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তুলে ধরতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই, সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করা।

 শুত্রুবার (৫এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আয়োজিত ৫দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈসাবী উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এসব কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর সভাপতিত্বে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড  খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলার ডিজিএফআই কমান্ডার কর্ণেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. নাজমুল হক,  খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো.শানে আলম, খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

 প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন সম্প্রদায় আছেন যারা সংস্কৃতিমনস্ক সৃজনশীল কাজের প্রতি অনুরাগী। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের ফলেই পার্বত্য অঞ্চলের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

জানিয়ে তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও এর ধারা অব্যাহত রাখতেই রাজধানী ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। বিগত সময়গুলোতে আমাদের যে বৈষম্য বিরাজমান ছিল তা দুর করতে চাই। আগামিতে সাহস নিয়ে, শক্তি নিয়ে অদম্য গতিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, সম্প্রীতির বন্ধনে সকলে মিলে পাহাড়ে শান্তিপূণ সহাবস্থান ও সুসম বন্টন নিশ্চিত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের উন্নয়ন কাজে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

 পাহাড়ীরা বর্ষবরণ উৎসব পালন করে বিভিন্ন নামে। কেউ বৈসু, কেউ সাংগ্রাই আবার কেউ বিজু। বর্ষবরণ উৎসবকে ত্রিপুরারা বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই ও চাকমারা বিজু বলে অভিহিত করে এবং এগুলি বৈসাবি নামে পরিচিত। নতুন বছরের প্রথম দিন বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি পালিত হয় খাগড়াছড়ি, রাংগামাটি ও বান্দরবান জেলায়।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বর্ণিল সাজে সজ্জিত বৈসাবী আনন্দ র‌্যালিতে যোগ দেন। বৈসাবি  বাংলাদেশের  তিন পাহাড়ী জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব। বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু এই তিন নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে বৈসাবি নামের উৎপত্তি। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করে বাংলা নববর্ষ।

আরও খবর



সিরাজগঞ্জে নিরাপদ অভিবাসন দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image
রাকিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ থেকে:"প্রবাসী কল্যাণ, মর্যাদা আমাদের অঙ্গীকার,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার তারাও সম্মান অংশীদার, "দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে অর্থ সম্মান দুই-ই মেলে" এই প্রতিপাদকে সামনে রেখে এবং সিরাজগঞ্জ ইনস্টিটিউ অব মেরিন টেকনোলজি আয়োজনে প্রতিষ্ঠানের হলরুমে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো: সিরাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত।  

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টিটিসি অধ্যক্ষ মো: আনোয়ার হোসেন, সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম,রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর প্রমুখ। 

বৃহস্পতিবার (২ মে ) সকাল থেকে দিন ব্যাপী সিরাজগঞ্জ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি সম্মেলন কক্ষে জনপ্রতিনিধি,সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ,গণমাধ্যমকর্মী,বিভিন্ন যানবাহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ ১০০  জন প্রতিনিধি কর্মশালা অংশগ্রহণ করেন।

আরও খবর



সৈয়দপুরে হিট ষ্ট্রোকে বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর সৈয়দপুরে হিট ষ্ট্রোকে জামিল হোসেন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল আনুমানিক বিকাল সারে ৫ টায় গরমের তাপমাত্রা সহ্য করতে না পেরে হিট ষ্ট্রোকে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।জামিল হোসেন শহরের নতুন বাবু পাড়ার তিল খাজা রোর্ডের মরহুম মন্জুর হোসের ছেলে বলে জানা যায়। 


স্হানীয়রা জানান,জামিল হোসেন ওইদিন বিকাল আনুমানিক সারে ৫ টায় তার বাড়ি সংলগ্ন এক দোকানে যান সওদা কেনার জন্য। সওদা কিনে বাড়ি ফেরার সময় পথেই হিট ষ্ট্রোক করেন। দোকানী আলী হোসেন সহ বাড়ির লোকজন অসুস্থ বৃদ্ধাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানে কর্মরত চিকিৎসক আফরোজা বেগম সুমি তাঁকে মৃত্যু বলে ঘোষণা দেন।

জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন,হিট ষ্ট্রোকে মারা যাওয়ার কথা শুনে ঘটনাস্থল যাই।তবে মৃত্যুের শরীরে আঘাতের কোন দাগ ছিল না। 

এবিষয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসে কর্মরত লোকমান হোসেন বলেন, বেশ কয়েক দিন থেকে ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করেছে।প্রচন্ড তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। 

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, প্রচন্ড গরমে হিট ষ্ট্রোক থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রচন্ড গরমে অস্থির অস্থির লাগলে ১/২ ঘন্টা পরপর ঘাড় ও মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। পানি খেতে হবে সবসময়। এরপরেও অস্বস্তি বোধ করলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি। 

আরও খবর