Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ডেমরায় দ্রুতগামী কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৪৮জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃরাজধানীর ডেমরা কোনাপাড়ায় দ্রুতগামী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মাসুদ হাসান  (২৭) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বার (৬জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ডেমরা কোনাপাড়া সড়কে সিটি মিলের সামনে দক্ষিণ সাইট রাস্তার উপরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল আরোহী রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া উপজেলার আব্দুর রহমানের পুত্র। সে কোনাপাড়া শাহরিয়ার স্টিল মিল এর সামনে ইউনিটি ভ্যালী নামক ভবনে বসবাস করত। এবং মোবাইল ফোন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইটেল কোম্পানিতে কর্মরত ছিল। 

ডেমরা থানার অফিসার্স ইনচার্জ শফিকুর রহমান পিপিএম ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়,সিএস ট্রান্সপোর্ট ট্রেডিং কভার ভ্যান নাম্বার ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৬৬৮৩ নিয়ে ডেমরা হতে যাত্রাবাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে কোনাপাড়া সিটি মিলের দক্ষিণ সাইডে  ব্রিজের ঢালে রাস্তার ওপর আসা মাত্রই মোটর সাইকেল আহরী মাসুদ হাসান আল কারামরী, পিতা- আব্দুর রহমান আল কামারী,সাং- হাতেম খাঁ ,থানা -বোয়ালিয়া ,জেলা- রাজশাহী । মোটরসাইকেল নং- স-৪৪-০৮০০ নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় দুতগামীকভার ভ্যানের ধাক্কায় নিচে পড়ে যায় ।এবং ঘটনা স্থলে সে মৃত্যুবরণ করেন।

দুর্ঘটনা কবলিতমোটরসাইকেল, ঘাতক কভার্ডভ্যান, ও দুর্ঘটনায় নিহতের লাশ,ডেমরা থানা পুলিশের হেফাজতে আছে ।এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। দুর্ঘটনার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে রাস্তার যানচলাচল স্বাভাবিক আছে। ওসি জানান, দুর্ঘটনার পরপর কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হলেও এর চালক পালিয়ে গেছেন। তবে তাকে সনাক্ত করার পাশাপাশি নিহত মাসুদ এর বিস্তারিত পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ নির্দেশনা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ হয়েছে। রুটিন অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন শুরু হবে এ পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট; আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাশারের স্বাক্ষর করা রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।‌

রুটিন অনুযায়ী, অধিকাংশ বিষয়ের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। তবে কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হবে। রুটিন প্রকাশের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে কিছু বিশেষ নির্দেশনা।

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।

২. প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

৩. ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ব্যবহারিক বিষয় সম্বলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ এবং সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

৪. প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।

৫. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।

৬. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহ করা উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।

৭. পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আলাদাভাবে পাস করতে হবে। ৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয় বা বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে। ১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। ১১. পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না।

তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আলাদাভাবে পাস করতে হবে।

৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয় বা বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।

১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

১১. পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না।





আরও খবর



সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার হুমকির প্রতিবাদে সৈয়দপুর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় এর দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সৈয়দপুর উপজেলা সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার সংবাদ প্রতিনিধি নুর মোহাম্মদ ওয়ালীউর রহমান রতন। 

বক্তব্য রাখেন, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি জিকরুল হক, সকালের সময় প্রতিনিধি মোতালেব হোসেন হক, প্রভাতের আলোর সাংবাদিক মাসুদুর রহমান লেলিন, সমকালের জেলা প্রতিনিধি আমিরুল হক আরমান, নাগরিক টিভির জেলা প্রতিনিধি সাদিকুল ইসলাম, তৃতীয় মাত্রা প্রতিনিধি তামিম রহমান, নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন, ভোরের পাতার জয়নাল আবেদীন হিরো, যুগের আলোর রাজু আহমেদ প্রমুখ। 

সাংবাদিক বক্তারা বলেন, সংবাদ কর্মীরা সমাজের বিবেক। তারা অনিয়ম দূর্নীতি তুলে ধরে জাতিকে সচেতন করে। যে কারণে অন্যায়কারী ও দূর্নীতিকারীরা সতর্ক থাকে এবং সরকার দেশকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে দিক নির্দেশনা পায়। ফলে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, দেশ ও জাতি উন্নতি করে।  

তারা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করে অবাধ তথ্য প্রবাহের পথ অবারিত করেছে। অথচ সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় এই তথ্য প্রদানের পরিবর্তে সংবাদ কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে সরকার প্রধানের নির্দেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন। যা প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী করতে পারেন না।

বক্তারা আরও বলেন সম্প্রতি সৈয়দপুর শহরের ফাইভষ্টার মাঠে প্রানী সম্পদ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় ৫০ ষ্টল বানানো হলেও ২৬ টি ষ্টলই ফাঁকা দেখা যায়। দিনব্যাপী মেলাটি প্রদর্শীত হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘন্টায় তা শেষ হয়ে যায়। এনিয়ে সত্য তথ্য উপাত্ত নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় সংবাদ কর্মীকে হলুদ সাংবাদিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।একই সাথে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করার হুমকি প্রদান করেন প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ।

একারনে আমরা এর তীব্র প্রডিবাদ জানিয়ে বিচার দাবী করছি। সেই সাথে সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ্যে ও ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে ক্ষমা চাইবেন। নয়তো ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে সৈয়দপুর থেকে অপসারণ করতে হবে। আর যদি তা না করা হয় তাহলে ওই কর্মকর্তার অপকর্মের পেছনে তার খুটির জোর কোথায় তা অনুসন্ধান করে জনসম্মুখে মুখোশ উন্মোচন করা হবে । পাশাপাশি আন্দোলন জোরদার করার হুশিয়ারি সংকেত দেন তাঁরা।এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলার প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার সাংবাদিকদের সাথে কোন কথাই বলবেন বলে জানান তিনি। 

আরও খবর



মেহেরপুরে সীমেন্ট বোঝায় ট্রাকের চাপায় কলেজ ছাত্রসহ দু’জন নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ মেহেরপুর প্রতিনিধিঃমেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের চাঁদবিল নামক স্থানে ফ্রেস কোম্পানির সিমেন্ট বোঝায় ট্রাক চাপায় এক কলেজ ছাত্রসহ দুই বাইসাইকেল আরোহীর নিহত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি হচ্ছেন- সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের লিটন আলীর ছেলে মেহেরপুর সরকারী কলেজের হাসান আলী (২১)। অপরজনের পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় ট্রাক চালক বাবুল আলীকে (৩৭) আটক করা হয়েছে। সে মাগুরা জেলার শালিকা গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে।

মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল করিম জানান, সকালে দুই যুবক বাইসাইকেল নিয়ে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের চাঁদবিল গ্রাম থেকে মেহেরপুরের দিকে আসছিলেন। এ সময় ফ্রেস কোম্পানির সিমেন্ট বোঝায় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঐ দুই বাইসাইকের আরোহীকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ওই দুইজন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ঘটনাস্থলে পৌছায়। সেখান থেকে ট্রাক চালক বাবুলকে আটক করে পুলিশ। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে সড়ক পরিবহন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।


আরও খবর



নওগাঁয় মাদকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত, স্বামী জেলহাজতে

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁ মহাদেবপুরে মাদকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করেছে মাদকসেবী স্বামী ফজলে রাব্বী (৩৬)। মাদকসেবী স্বামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় তাদের ভাড়া বাসায়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর ছোট ভাই সৌরভ হোসেন বাদি হয়ে মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করেন। 

মামলা সূত্রে জানায়, প্রায় ১৩ বছর পুর্বে এনায়েতপুর ইউপির কালুশহর মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত তজিবর রহমানের ছেলে ফজলে রাব্বীর সাথে নওগাঁ সদর উপজেলার বাছাড়ীগ্রাম পুর্বপাড়ার রেজাউল ইসলামের মেয়ে রিপা বানুর (৩০) বিয়ে হয়। তাদের ঘরে রাফিয়া জান্নাত (৯) ও সামিউল ইসলাম রোহান নামের চার বছরের ছেলে রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাব্বী ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন এবং ওই দোকানের পাশেই ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। স্বামী ফজলে রাব্বী অধিক মাত্রাই মাদকাশক্ত হয়ে পড়ায় প্রায় তিন মাস পূর্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেন স্ত্রী রিপা বানু। ঘটনার দিন রাতে মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে স্ত্রীর কানের দুল ও গলার চেইন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রীর মাথায়, কপালে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে রেফার্ড করেন। পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ফজলে রাব্বীকে আটক করে। 

সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ফজলে রাব্বীকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



পেঁয়াজের সাদা ফুলে সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ‘কালো সোনা’

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:সবুজ কান্ডের ডগায় কদমের মতো দেখতে সাদা সাদা ফুলে ভরে গেছে উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মিরাপুর ফসলের মাঠ। যা প্রকৃতির মায়াজালে আবৃত্ত এক অনন্য দৃশ্য, যেখানে সাদা ফুলের সমারোহ নয়, বরং এক অপার সম্পদের আহ্ধসঢ়;বান। এই ফুলের প্রশান্ত সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ‘কালো সোনা’, যা বাংলাদেশের কৃষকদের অর্থনীতিতে এক অপূর্ব সংযোজন। পেঁয়াজের বীজের উচ্চ বাজার মূল্যের কারণে কৃষি জগতে ‘কালো সোনা’ নামে পরিচিত। যেখানে কৃষকের পরিশ্রম ও প্রকৃতির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় এই অমূল্য ‘কালো সোনা’।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের পূর্বমিরাপুর, মিরাপুর, হাতিয়াপাড়া ও তারাটিয়া গ্রামে চাষ করা হয়েছে পেঁয়াজের বীজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর পেঁয়াজ বীজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।চাষিরা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় খরচ বাদে এই পেয়াজের বীজ চাষে লাভ হবে দ্বিগুণেরও বেশি, তাই এগুলো ‘কালো সোনা’ নামে খ্যাতি পেয়েছে।   

সরেজমিনে উপজেলার মিরাপুর, হাতিয়াপাড়া ও তারাটিয়া মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুল।শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। অনেকে আবার পেঁয়াজ বীজের গাছে শক্তি যোগানোর জন্য কীটনাশক স্প্রে করছেন। মৌমাছি সংকট থাকায় অনেক কৃষক আবার হাত দিয়েই পেঁয়াজ ফুলের ‘মধু ফেলা’র কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত রোপন করা পেঁয়াজ বীজ গাছের ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন বুনছেন তারা। 

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের পূর্বমিরাপুর গ্রামের কৃষক সাদ্দাম হোসেন জানান, গত বছর পেঁয়াজ বীজের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর আগ্রহ নিয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছি। তিনি আরো বলেন, “এই এলাকায় আমিই প্রথম দানা চাষ শুরু করি। এই ফসল চাষে যা খরচ হয় তার থেকে দ্বিগুণ লাভ থাকে। বর্তমানে আমার দেখাদেখি এলাকার অনেক কৃষকই এই ফসলের চাষ করছে।” ছেলে-মেয়েকে লেখা-পড়ার খরচ চালাচ্ছি, আল্লাহর রহমতে এই ক্ষেত করে আমি ভালো আছি।” 

ফুলবাড়ি গ্রামের কৃষক মো. আব্দুর রহিম বলেন, আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ পেঁয়াজ বীজের আবাদ করে থাকি। এই ফসল চাষ করে লাভবান হয়েছি। এ বছর ১বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছি। 

শাহাগোলা ইউনিয়নের হাতিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মো. উজ্জল হোসেন বলেন, এ বছর দেড় বিঘা জমিতে আমি পেঁয়াজ বীজ চাষ করেছি। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। বিভিন্ন রোগবালাইয়ের জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেড় লাখ টাকার ওপরে বীজ বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জনান, উপজেলায় চলতি অর্থবছওে ২১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ বছর পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা যাতে বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করতে পারেন, এজন্য উপজেলা কৃষি অফিস বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত পরামর্শের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, পিঁয়াজের বীজ চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন পিঁয়াজ চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পিঁয়াজ চাষে যুক্ত উপজেলার কৃষকরা এবার বেশ উৎফুল্ল।কারণ তারা প্রাকৃতিক অনুকূল পরিবেশের জন্য এবার উৎপাদিত ফসলের ফলন ও দাম বেশ ভালো পাবেন বলে তিনি মনে করছেন।


আরও খবর