Logo
আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

ডেমরা আল-আমিন রোডে সিএনজি চালক নিখোঁজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

এ.আর হানিফঃ রূপগঞ্জ এলাকায় যাত্রীবহন করতে ট্রিপ নিয়ে রওনা হয়ে গত ৫ দিন যাবত নজরুল ইসলাম (৪১) নামে সিএনজি চালক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২৩মে মঙ্গলবার রাতে ডেমরা থানার আল-আমিন রোড এলাকায় এ নিখোঁজের ঘটনাটি ঘটে। অনেক স্থানে খোঁজাখুজি করে নিখোঁজ সিএনজি চালক ও তার সিএনজি অটোরিকশার কোন সন্ধান না পেয়ে এ ব্যাপারে তার পরিবারের সদস্যরা যাত্রাবাড়ি ও ডেমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি বা নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করতে গেলে নানা জটিলতা দেখিয়ে কোন আইনী সহায়তা পায়নি।

নিখোঁজ সিএনজি চালক নজরুল ইসলাম ডেমরা থানার ডিএসসিসি ৬৫ নং ওয়ার্ডস্থ  আল-আমিন রোড এলাকায় দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করে আসছে নিখোঁজ নজরুল ইসলামের ছেলে হাবিব গনমাধ্যমকে জানান, আমার পিতা প্রতিদিনের মত গত মঙ্গলবার র নারায়ণগঞ্জ থ-১১-১১৬২ নম্বারে একটি সিএনজি নিয়ে রূপগঞ্জ এলাকায় যাত্রীবহন করার জন্য ট্রিপ নিয়ে  রওনা হয়। কিন্তু গত কয়েক দিন পার হলেও সে বাড়িতে ফিরেনি। অনেক স্থানে খোঁজাখুজি করে আমার পিতার কোন হদিস না পেয়ে এ ব্যাপারে আমি নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করতে গেলে যাত্রাবাড়ি বা ডেমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি নেয়নি।

পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে না পেয়ে নিখোঁজ নজরুল ইসলামের পরিবার নানা উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে নিখোঁজ নজরুল ইসলামের সন্ধ্যান চেয়েছেন তার ছেলে হাবিব।নিখোঁজ সিএনজি চালক নজরুল ইসলামের সন্ধ্যান পেলে তার ছেলে হাবিব এর মোবাইল ফোন নং ০১৭৮৩-৭৬৫০৫৪ তে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন ।


আরও খবর



তানোর পৌর মেয়রের উন্নয়ন চমক মাস না যেতেই পিচ পাথর উঠা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হকের উন্নয়ন চমক মাস না যেতেই নতুন ভাবে কার্পেটিং রাস্তার পিচ পাথর উঠা শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত প্রায় একমাস আগে পৌর এলাকার তালন্দ বালিকা স্কুল মোড় থেকে সরদার পাড়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন শো মিটার রাস্তায় ঘটে রয়েছে পিচ পাথর  উঠার ঘটনাটি। মাটির রাস্তা কার্পেটিং করার প্রথম থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী যতটুকু প্রয়োজন ব্যবহার না করা এবং বিটুমিন পিচ খোয়া বালু তেমনভাবে না দেওয়ার কারনে উঠা শুরু হয়েছে। ফলে রাস্তাটি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। এতে করে মেয়রের ভাবমূর্তি নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর টু তালন্দ রাস্তার মুল সড়ক হতে বালিকা স্কুল মোড়ে কয়েক হাত রাস্তার পিচ পাথর উঠে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু এক জায়গায় না পুরো রাস্তার ১০ থেকে ১২ জায়গার এমন দশার সৃষ্টি হয়ে আছে। স্থানীয়রা জানান, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাস্তাটি মাটির ছিল। আমরা অনেক বার বলেছিলাম। সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান রাস্তাটি পাকা করে দিবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন বরাদ্দ এসেছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে করতে পারেননি।তারপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ১৪ তারিখে ভোট হয়। ভোটে নৌকার প্রার্থী ইমরুল হক উন্নয়নের ফুলঝুরি নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এমন উন্নয়নের চমক দিয়েছেন যা মাস না যেতেই পিচ পাথর উঠে যাচ্ছে। 

সুত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৭১৮ অর্থ বছরে নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তানোর পৌরসভায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু করোনা ভাইরাসসহ নানা কারনে ওই সময় কাজ করতে পারেন নি সাবেক মেয়র মিজান। তবে ইমরুল হক মেয়র নির্বাচিত হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। কিন্তু পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য লাইসেন্স নবায়ন করে দিচ্ছিল না। এজন্য পুরো কাজের উপর আদালতে মামলা করেন বিএনপি নেতা ঠিকাদার ইয়াসিন, যুবদল নেতা ঠিকাদার আতিকুর রহমান লিটন ও নজরুল ইসলাম। তারা সবাই পৌর সদর এলাকার বাসিন্দা। তাদের কে  কাজ দেওয়ার শর্তে আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। কোন ধরনের দরপত্র আহবান ছাড়াই মেয়র নিজ ক্ষমতা বলে কাজগুলো করিয়ে নিয়েছেন। সাবেক মেয়রের সময় ও বর্তমান মেয়রেরা মিলেমিশে কমিশন খেয়েছেন। যার কারনে এত নিম্মমানের কাজ। অথচ যে অর্থ বছরের কাজ সেই অর্থ বছরে করতে না পারলে সরকারি কোষাগারে টাকা ফেরত দিতে হয়। কিন্তু মেয়র ইমরুল হক কিভাবে এত সময় পর্যন্ত কাজ না করে এত টাকা কোন একাউন্টে রাখল এমন প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের।কাজ করা ঠিকাদার ইয়াসিন বলেন, তালন্দ বালিকা স্কুল থেকে তালন্দ সরদার পাড়া,বেলপুকুরিয়া ও গুবিরপাড়া থেকে সিন্দুকাই পর্যন্ত রাস্তাটি আমরা করেছি।তার সহপাঠী ঠিকাদার নজরুল ইসলাম বলেন, কাজ করার পর পিচ উঠতেই পারে। কিভাবে কাজ করলেন মাস পার হতে পিচ পাথর উঠে যাচ্ছে প্রশ্ন করা হলে ব্যস্ত আছি পরে কথা বলা হবে বলে দায় সারেন।অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী সরদার জাহাঙ্গীরের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি। অবশ্য তিনি নিয়োমিত অফিস করেন না। ফাইল পত্র সাক্ষরের দিন কার নিয়ে আসেন অফিসে।

পৌর মেয়র ইমরুল হক বলেন, কাজ না করলে টাকা ফেরত দিতে হত।এজন্য আপোষ মিমাংসা করে মামলার বাদিদের কিছু কাজ দেয়া হয়েছিল। যে সময় বরাদ্দ পায় সে সময় রাস্তার কাজের মালামালের দাম ছিল কম। কিন্তু এখন দ্বিগুন দাম। এজন্য ঠিকাদারদের বলা হয়েছিল যে ভাবে হোক রাস্তার কাজ করে উঠতে হবে। পিচ পাথর উঠার বিষয়টি আমার নজরে আছে, মেরামত করা হবে।

আরও খবর



ভবিষ্যতে এই ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখতে পেলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচন সামনে রেখে জেলা প্রশাসকের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক নির্বাচন কমিশন তা চায় না। এ কথা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখতে পেলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, তফসিল ঘোষণার আগেই জামালপুরের জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার ও অন্যদের সতর্ক করার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রয়েছে। 

সম্প্রতি জামালপুরের ডিসি এক সভায় আওয়ামী লীগকে পুনরায় সরকারে আনার জন্য বলায় তাকে প্রত্যাহার করে অন্য ডিসিদের সতর্ক করতে মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দেয় ইসি। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই কমিশন এমন চিঠি দিতে পারে কি না, সাংবাদিকরা তা জানতে চান।

সিইসি বলেন, তফসিলের আগে চিঠি দিতে বাধা নেই। পাঁচ বছরে নির্বাচনের এখতিয়ার আমাদের রয়েছে। তফসিলের আগেও আচরণ নিয়ে যদি কোনো বিতর্ক উত্থাপন হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন অতি অবশ্যই সেটা সরকারের নজরে আনতে পারে।  

কেবিনেট সচিবকে জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার ও সব ডিসিকে সতর্ক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সিইসি।  

ভোটের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ। নির্বাচনের সময় তাদেরই রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে সবকিছু দেখতে হয়। কাজেই কোনোভাবেই আমরা চাইবো না তাদের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক। ভবিষ্যতেও আমাদের কাছে যদি প্রতীয়মান হয়, আমরা এমন উদ্যোগ নেব।

সংলাপের অর্জন বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি এবং দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা আমাদের দায়িত্ব। বিশিষ্টজনরা কী বলতে চান, আমাদের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, সরকার ও রাজনীতিবিদদের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, আমার মনে হয়, এই সংলাপটা ওপেন ছিলো। মিডিয়ায় যখন এই জিনিসটা প্রচার হয়, তাহলে সকলের ওপর একটা চাপ একটা দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হতে পারে।

এ সময় সিইসি বলেন, এখন সকলেই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। বিএনপি কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে, তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি বলেন, আমাদের ছাড়া কাউকে ভোট দেবেন না, তাহলে নিশ্চয় আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারি।


আরও খবর



দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের ওপর উঠে গেলো বাস, নিহত ১১

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:তেল ফুরিয়ে গিয়েছিল বাসের।তাই বাস থেকে নেমে জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন যাত্রীরা। এসময় হঠাৎ একটি ট্রাক এসে পড়ে তাদের ওপর। চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জন বাসযাত্রীর। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২জন। ভারতের রাজস্থানের ভরতপুরে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টা দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, রাজস্থানের পুষ্কর থেকে যাত্রীবোঝাই বাসটি যাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে। জয়পুর-আগরা জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার পথে লক্ষণপুরের অন্তরা উড়ালপুলের ওপর বাসটির তেল ফুরিয়ে যায়। সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়ে বাসটি।

তেল ফুরিয়ে যাওয়ার পর বাসের চালক, সহকারী এবং বেশ কয়েক জন যাত্রী বাস থেকে নেমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের সামনে দাঁড়িয়েছিল বাসটি। এমন সময় পেছন থেকে একটি ট্রাক সজোরে ধেয়ে এসে তাদের ধাক্কা মারে। তারপর ট্রাকটি সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে থেমে থাকা বাসে।

দুর্ঘটনার জেরে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন পুরষ ও বাকি ছয়জন নারী। তারা সবাই গুজরাটের ভাবনগরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। প্রাথমিক উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

সূত্র:এনডিটিভি


আরও খবর



সময়মতো অফিসে যান না নেসকোর প্রকৌশলী,কেউ গেলেই চান ঘুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৫০জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) একজন নির্বাহী প্রকৌশলী সময়মতো অফিসে যান না। কয়েকদিন ঘুরে যখন এই প্রকৌশলীর সাক্ষাৎ মেলে, তখন যে কোন কাজের জন্য সেবাগ্রহীতাদের কাছে ঘুষ দাবি করে থাকেন। নেসকোর রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। তারা নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। এরপর তদন্ত হলেও তদন্তে কী পাওয়া গেছে তা জানতে পারেননি অভিযোগকারীরা। নেসকোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী এখনও বহাল গোদাগাড়ী কার্যালয়ে। এ কারণে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। তারা এই প্রকৌশলীকে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তা না হলে তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গত জুনে লিখিত অভিযোগ করা হয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে। এতে গোদাগাড়ী নাগরিক কমিটির সভাপতি শান্ত কুমার মজুমদার, নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন বিশ^াস, সাধারণ সম্পাদক এসএম বরজাহান আলী পিন্টু, গোদাগাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ ফজিলাতুন নেসা, প্যানেল মেয়র-৩ শহিদুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমদাদুল হক মুকুল ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর কবির তোতা স্বাক্ষর করেন। অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের গোদাগাড়ী উপজেলার দায়িত্বে থাকলেও নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদ গোদাগাড়ীতে অবস্থান করেন না। থাকেন রাজশাহী শহরের নিজ বাড়িতে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে তিনি অফিসে যান। ২-৩ ঘণ্টা অবস্থানের পর আবার শহরে চলে যায়। তাঁর কারণে গোদাগাড়ীতে বিদ্যুৎ সেবার মান তলানিতে পৌঁছেছে। নানা সমস্যা নিয়ে সেবাগ্রহীতারা অফিসে গেলে তার সাক্ষাৎ পান না। কয়েকদিন ঘুরে সাক্ষাৎ পেলেও যে কোন কাজের জন্যই এই প্রকৌশলী ঘুষ দাবি করে থাকেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, পৌর এলাকার শ্রীমন্তপুর মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তৈমুর রহমান ৫-৬ দিন ঘুরে প্রকৌশলীর সাক্ষাৎ পান। প্রকৌশলী এই শিক্ষককে গালাগাল করে অফিস থেকে বের করে দেন। একই মহল্লার বাসিন্দা সারোয়ার সবুজ সম্প্রতি বিদ্যুৎ অফিসে গেলে আনসার সদস্যরা তাকে অফিসের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। সবুজ প্রকৌশলীর সাক্ষাৎ পাননি। অভিযোগকারীরা বলেছেন, যে কোন কাজের জন্য দাপ্তরিক খরচের বাইরেও এই প্রকৌশলীকে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা অতিরিক্ত ঘুষ দিতে হয়। উপজেলা সদরের বিকাশ চন্দ্র শিং নামের এক ব্যবসায়ী নতুন সংযোগের জন্য গেলে তার কাছে ঘুষ দাবি করেন প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদ। ঘুষ না দিতে পেরে বিকাশ এখনও সংযোগ পাননি। এই বিদ্যুৎ অফিসের সার্ভেয়াররাও ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে পুনরায় নিতে গেলে ঘুষ দিতে হয় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। থ্রি ফেজের সংযোগের জন্যও লোড অনুযায়ী ঘুষ দিতে হয় বিদ্যুৎ অফিসে। এক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়।

অভিযোগকারীরা বলেছেন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে (রুয়েট) পড়াশোনার সময় ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতেন রায়হানুল ওয়াজিদ। সরকারের বদনাম করানোর জন্য নামাজের সময় তিনি ইচ্ছে করে লোডশেডিং করেন। লোডশেডিংয়ের ব্যাপারে নাগরিকদের আগাম কোন বার্তাও দেওয়া হয় না। অফিস ফাঁকি দিয়ে তিনি শহরে তাঁর বাবার হার্ডওয়্যার ব্যবসা দেখাশোনা করেন। তারা এই প্রকৌশলীকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। নেসকো বলছে, অভিযোগ পাওয়ার পর দুইদফা তদন্ত হয়েছে রায়হানুল ওয়াজিদের ব্যাপারে। তবে অভিযোগকারীরা বলছেন, তদন্তের বিষয়ে তাদের কিছু জানানোই হয়নি। তদন্তে কী পাওয়া গেছে সেটিও জানানো হয়নি। পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত হলে তো অভিযোগকারীদের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এ রকম কিছুই হয়নি। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা না বলে কীভাবে তদন্ত হয়! আসলে আমাদের অভিযোগগুলো ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’ অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদ বলেন,‘আমার অফিসের ব্যাপারে কথা বলতে হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে হবে। তা না হলে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি কোন কথা বলব না।’ এরপরই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে আবার ফোন করা হলে তিনি আর ধরেননি। জানতে চাইলে নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী জাকির হোসেন বুধবার বলেন, ‘আমি যোগদান করেছি গত জুলাই মাসে। তার আগে প্রকৌশলী রায়হানুল ওয়াজিদের ব্যাপারে একবার তদন্ত হয়েছে। আমি আসার পরেও একবার তদন্ত হয়েছে। তদন্তে কী পাওয়া গেছে সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিষয়টা ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দেখবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।


আরও খবর



চারাগাঁও সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা ও পাথর পাচাঁরের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের চারাগাঁও সীমান্তে লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিরাতে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও চুনাপাথরসহ চিনি, সুপারী ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার (২৫ সেপ্টেম্ভর) রাত ১১টা থেকে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্ভর) ভোর ৫টা পর্যন্ত জেলার চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে একযোগে কয়লা, চুনাপাথর, চিনি, সুপারী ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে অর্ধশতাধিক ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে পাটলাই নদী দিয়ে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা নিয়ে গেছে স্থানীয় চোরাকারবারীরা। পরে পাচাঁরকৃত প্রতিনৌকা (২০মেঃটন) অবৈধ মালামাল থেকে বিজিবি ক্যাম্পের নামে, সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া তার সহযোগী সাইফুল মিয়া ৫হাজার টাকা চাঁদা নেওয়াসহ থানা-পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী রফ মিয়া ২০হাজার টাকা করে চাঁদা নেয়। এই চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য করে সোর্স ও তাদের গডফাদার গত ২ বছরে কোটিকোটি টাকা মালিক হয়েগেছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক আবুল বাশার খান নয়ন বলেন- সীমান্তের যেদিকে যাই শুধু তোতলা আজাদের নাম শুনতে পাই। তার নেতৃত্বে চোরাকারবারী নেকবর আলী চোরাই কয়লার ব্যবসা করছে, আর রফ মিয়া সোর্স পরিচয় দিয়ে ওপেন চাঁদাবাজি করছে বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছে। তাই এব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগীতা প্রয়োজন। উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মার ও আমদানী কারক রাশিদ মিয়া বলেন- আমার ওয়ার্ডের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও, এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে প্রতিদিন রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও পাথর পাচাঁর করা হচ্ছে। জানতে পারছি হাবিব সারোয়ার তোতলা আজাদ মিয়া পার্টনার শিপে চোরাই কয়লার ব্যবসা করছে। সে বললে কয়লা পাচাঁর হয় আর না করলে বন্ধ থাকে। আর আমরা সরকারের রাজস্ব দিয়ে বৈধ ভাবে কয়লা আমদানী করে বিক্রি করতে পারিনা। চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার তাজুল ইসলাম বলেন- বিজিবির চোখে ফাঁকি দিয়ে এলাকার মানুষ কয়লা ও পাথর পাচাঁর করে। তবে সামনে পড়লে কাউকে ছাড়বনা। পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামাল থেকে বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন নামে চাঁদা উত্তোলনের খবর শুনতে পাই। কিন্তু সরাসরি কাউকে খোঁজে পাইনা। তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- আমি এখানে নতুন এসেছি, তাই অনেক কিছুর সম্পর্কে জানিনা। তবে লোকজনের মুখ থেকে আজাদের নাম শুনতে শুনতে মুখস্থ হয়েগেছে। সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজিসহ সকল অন্যায় কর্মকন্ডা বন্ধ করার জন্য অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর