Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

দীপ্ত টিভিতে বাংলায় ডাবিংকৃত তুরস্কের জনপ্রিয়

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ২৬৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক ;ধারাবাহিক “আমাদের গল্প” ;প্রচারিত হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ৩০মিনিটে ও রাত ৯টায় এবং আরো দেখা যাবে দীপ্ত প্লে ও দীপ্ত ইউটিউব চ্যানেলে

(এই সপ্তাহের কাহিনী সংক্ষেপ)

এলিবোল পরিবারের হাসিমুখে দারিদ্রকে মেনে নেবার গল্প নিয়েই

নির্মিত তুরস্কের বহুল আলোচিত এই সিরিয়াল। হাস্যরসে ভরপুর

বাস্তবধর্মী এই গল্পে দেখা যায় মাতৃহীন পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে

বড় বোন ফিলিয সবাইকে আগলে রেখেছে। নিজের সৌন্দর্য কিংবা

ব্যক্তিগত হাসি- আনন্দ নিয়ে যার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। মূলত সংসার চালাতে

গিয়ে ফিলিযের নিত্যদিনের যে সংগ্রাম, তা নিয়েই এ ধারাবাহিকের

গল্প এগিয়ে যায়। সুখে দুঃখে কাছের বান্ধবী তুলায়কে ফিলিযের পাশে

এসে দাঁড়াতে দেখা যায়। মদ্যপ বাবার দায়িত্বহীনতা, নিত্যদিনের

আর্থিক টানাপোড়েন, সর্বোপরি জীবন বাস্তবতা বয়সের চেয়ে অনেক

বেশি পরিপক্ক করে তুলেছে এলিবোল পরিবারের ছেলেমেয়েদের। রাহমেত,

হিকমেত, কিরায, ফিকরেত ও ইসমেত বড় বোনকে যেমন ভালোবাসে,

তেমনি পারিবারিক যে কোন প্রয়োজনে বোনের পাশে এসে দাঁড়ায়।

মদ্যপ বাবা ফিকরি’র অদ্ভুত সব কর্মকান্ড আর ভাই বোনদের মধুর

খুনসুটিতে ভরা এই ধারাবাহিকের প্রতিটি পর্ব। কিছু মানুষের

রোজকার জীবন যুদ্ধ জয়ের হাস্যোজ্জ্বল আর সম্মিলিত প্রয়াসের, এক

প্রাণবন্ত উপ¯’াপন - “আমাদের গল্প”।

চরিত্র ও কন্ঠাভিনেতার তালিকা: ফিলিয (জয়শ্রী মজুমদার লতা), বারিশ

(শফিকুল ইসলাম), ফিকরি (রফিকুল সেলিম), তুলায় (নাহিদ আখতার ইমু),

তুফান (মরু ভাস্কর), রাহমেত (খায়রুল আলম হিমু), হিকমেত (এন কে

মাসুক), কিরায (নাদিয়া ইকবাল ইকরা), ফিকরেত (মেরিনা আফরোজ

শিপু), ইসমেত (আনিরা মিশেল রিভা), চিচেক (রুবাইয়া মতিন গীতি),

জেমিল (সজিব রায়) ও অন্যান্য।

ধারাবাহিকটির অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন দীপ্ত

টিভির নিজস্ব সংলাপ রচয়িতার দল।

“আমাদের গল্প” ধারাবাহিকটির ডাবিং প্রজেক্ট ডিরেক্টর রুবাইয়া

মতিন গীতি এবং প্রযোজনা করেছেন রোমানা হোসেন।


দীপ্ত টিভির ধারাবাহিক নাটক‘‌জবা‘‌ ;প্রচারিত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিটে এবং আরো দেখা যাবে দীপ্ত প্লে ও দীপ্ত ইউটিউব চ্যানেলে।

মোহনপুর গ্রামের সবাই একটা বিষয়ে পরিস্কার, বয়স যাই হোক জবার

মধ্যে আসলে একটা দুরন্ত শিশুই লুকিয়ে আছে। এই সে খোলা মাঠে...তো

এই ফসলের ক্ষেতে, কখনও কাকতাড়ুয়া সেজে... আবার কখনো কানে শাপলা

গুঁজে রঙ্গিন ঘুড়ি উড়িয়ে তার উত্তাল বিচরণ পুরো গ্রামজুড়ে। ফুলের

নামে নাম হলে কী হবে, সবাই ডাকে তাকে জ্বিনে ধরা জবা বলে। গাছের

সাথেও নাকি কথা বলতে পারে সে। একদিন উ”ছ¡সল সেই জবার প্রেমে পড়ে

যায় পুরান ঢাকার মিঠু। স্বভাবে মিঠু নম্র-ভদ্র হলে কী হবে, তার মা

বিলকিস বেগমের যে ভীষণ মেজাজ। তালুকদার বাড়িতে পান থেকে চুন

খসতে পারে না বিলকিস বেগমের অনুমতি ছাড়া। বাড়ির সবচেয়ে ছোট

ছেলে মিঠুর জন্য বিলকিস চেয়েছিলেন নিখুঁত এক সংসারী মেয়ে।

কিš‘ মিঠুর মন রাখতে বাড়িতে বৌ করে আনতে হয় গ্রামের চঞ্চল জবাকে।

বিলকিস নিজের মত করে জবাকে গড়ে নিতে পারবে? নাকি উল্টো জবা-ই

যেন বদলে দিতে থাকে তার পুরো সংসারকে।

সম্পর্কের এমনই এক সমীকরণ নিয়ে দীপ্ত টিভির নতুন ধারাবাহিক নাটক

্#৩৯;জব্#া৩৯;। নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন ফাহমিদুর রহমান, সংলাপ কলিন

রড্রিক এবং চিত্রনাট্য সম্পাদনায় আছেন নাসিমুল হাসান।ধারাবাহিকটির লাইন প্রোডিওসার হিসেবে আছেন জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, প্রধান চিত্রগ্রাহক সবুজ হাওলাদার এবং চিত্র সম্পাদক মুক্তাদির রহমান তুষার। আশিস্ধসঢ়; রায়ের নির্দেশনায় ধারাবাহিটিতে অভিনয় করেছেন রেজমিন সেতু, সোহান খান, শিল্পী সরকার অপু, শাহ আলম দুলাল, আইনুন পুতুল, সায়েম সামাদ, নুর এ আলম নয়ন, নরেশ ভূঁইয়া সহ অনেকে।


দীপ্ত টিভিতে তারকা সমৃদ্ধ ধারাবাহিক নাটক ‘‌বকুলপুর সিজন ২‘‌ প্রচারিত হ”েছ প্রতিদিন রাত ৮টায় এবং আরো দেখা যাবে দীপ্ত প্লে ও দীপ্ত ইউটিউব চ্যানেলে।বিনোদনের বিপুল সম্ভার নিয়ে এবার আরো টান টান গল্পে নির্মিত হয়েছে ধারাবাহিকটি। নাটকটি রচনা করেছেন আহমেদ শাহাবুদ্দীন।

কায়সার আহমেদের পরিচালনায় তারকা সমৃদ্ধ এ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন সুজাতা, আজিজুল হাকিম, আ খ ম হাসান, আনিসুর রহমান মিলন, নাদিয়া আহমেদ, আরফান আহমেদ, সাজু খাদেম, তাহমিনা সুলতানা মৌ, নাবিলা ইসলাম, শামীমা তুষ্টি, ফারজানা ছবি,হোমায়ারা হিমু, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, ওয়ালিউল হক রুমি, প্রমুখ।

প্রতিদিন টিভিতে প্রচারের পরপরই নাটকটি দেখা যাবে দীপ্ত টিভির

ইউটিউব ও ফেসবুকে।


ধারাবাহিক নাটক ‘মাশরাফি জুনিয়র’ প্রচারিত হ”েছ প্রতিদিন রাত ৮টা ৩০মিনিটে এবং আরো দেখা যাবে দীপ্ত প্লে ও দীপ্ত ইউটিউব চ্যানেলে।

প্রত্যন্ত এক গ্রামে মায়া আর ভালবাসায় জড়িয়ে থাকা ভাইবোন মণি আর

মন্ডা নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে আবার ফিরে এসেছে ভিন্ন এক গ্রামে,

যেখানে বদলে গেছে তাদের স্বপ্ন। শহরে হারানো মন্ডাকে খুঁজতে গিয়ে

মণি পেয়েছিলো রুনার ভালবাসা, আয়ানের বন্ধুত্ব আর নামকরা ক্রিকেটার

হবার সুযোগ। তবে জীবনযুদ্ধের জটিলতায় একসময় পরাজিত মণি আর

মন্ডাকে ফিরে আসতে হয় গ্রামে। এরপর আটবছর সময়ের ব্যবধানে বয়সের

সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে ক্রিকেটার মাশরাফি জুনিয়রের জীবন ও

চারপাশ। তবে পুরনো বন্ধুকে খুঁজে পেতে মরিয়া আয়ান। আয়ান মণিকে

কি খুঁজে পাবে, বাড়ি ছেড়ে আসা মণি আবার রুনার কাছে ফিরবে কী

না কিংবা ফেলে আসা ক্রিকেটার হবার স্বপ্ন মণি আবার জাগিয়ে

তুলবে কী না - সেসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে নাটকের আগামী পর্বগুলোতে।

আহমেদ খান হীরকের গল্পে ‘মাশরাফি জুনিয়র’ এর চিত্রনাট্য করেছেন

আসফিদুল হক আর সংলাপ লিখেছেন মোঃ মারুফ হাসান। সাজ্জাদ সুমনের

পরিচালনায় এই ধারাবাহিকের লাইন প্রডিউসার কিশোর খন্দকার। অভিনয়ে

সাফানা নমনি, শতাব্দী ওয়াদুদ, গোলাম ফরিদা ছন্দা, চিত্রলেখা গুহ, সমু

চৌধুরী, মিতুল রহমান, মাইশা মাশফিকা তানিশা। সাথে যোগ

হয়েছেন শহিদুল আলম সা”চু, রোজি সিদ্দিকী, আফ্রি সেলিনা, জুয়েল

জহুর, সোমা, শেহজাদ সহ আরো অনেকে। প্রতিদিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে

দীপ্ত টিভিতে প্রচারের আগেই ্#৩৯;মাশরাফি জুনির্য়#৩৯; দেখা যা”েছ দীপ্ত

প্লেতে, সাথে ইউটিউব আর ফেসবুকে তো আছেই।


আরও খবর

১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24




আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। যা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একযোগে সম্প্রচার করা হয়।

তার ১৭ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে তার সরকার কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসসহ দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান অর্থনীতির দেশে’ রূপান্তরিত করেছে।

‘সুতরাং, এক সময়ের দারিদ্র্য-জ্বরাক্লিষ্ট বাংলাদেশ আজ সক্ষম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে,’ বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছে। আশা করা হচ্ছে ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হবে।

তিনি বলেন, “আজকে ২০২৪ সালে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনো অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়।

‘১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এ দেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাৎপদ দেশের তকমা পরিয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এ দেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। তথাপি ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা শুরু করে এবং সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন তাদেরও সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

তিনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিগত ১৫ বছরের কিছু অধিক সময়ের দেশপরিচালনাকালে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি দেশি-বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। সে ধকল কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ আরোপের ফলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো চরম সংকটের মুখে পড়েছে। নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরসঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা।

২০১৩-১৪ সময়ে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ, অগ্নি-সন্ত্রাস, অগণিত মানুষ হত্যার মতো নৃশংসতাকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা এবারও হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে এবার তারা পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। তবুও তাদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও দেশকে আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ায় তার সরকারের সাফল্যের খণ্ডচিত্র ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৮.৭ শতাংশে এবং হতদরিদ্রের হার ২৫.১ হতে ৫.৬ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। আজ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ং-সম্পূর্ণ। বর্তমানে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯৩ লাখ মেট্রিক টন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, বিভাগীয় শহরগুলোর সঙ্গে চার বা তারও বেশি লেনের মহাসড়ক চালু, ইত্যাদি অবকাঠামো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

চলমান রমজানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাধারণ জনগণের কল্যাণে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা - এই ৫টি পণ্য বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর - এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সম্পর্কে আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।

রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

“জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের,” যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসররা এখনও তৎপর রয়েছে পরাজয়ের বদলা নিতে। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত হানবে। তাদের সামনে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ। হাজারও শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনই ভুলুণ্ঠিত হতে দেবে না। আওয়ামী লীগকে ছলে-বলে-কৌশলে নিচিহ্ন বা দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য। কাজেই কাণ্ডারি হুঁশিয়ার।

তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। যুদ্ধ করে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় - জাতির পিতা নির্দেশিত এই বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেই আমরা দেশ পরিচালনা করি। আমাদের কোন প্রভু নেই, আছে বন্ধু। তাই কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে জাতির পিতার কন্যা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের উপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে এবং জাতীয় সংসদকে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের যে উন্নয়ন সাধন করেছি তা থেকে থেকে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।


আরও খবর



ওশেন মেরিটাইম একাডেমি’র সাথে ইউসিবি’র চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বনামধন্য মেরিটাইম (সমুদ্রবিষয়ক) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওশেন মেরিটাইম একাডেমির সাথে সম্প্রতি এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। এই চুক্তির আওতায় টিউশন ফি সংগ্রহ, পে-রোল (বেতন) ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং সহ ব্যাংকিং সেবার বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত। দুই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কৌশলগত সহযোগিতার লক্ষ্যে ইউসিবি’র করপোরেট অফিসে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ইউসিবি ও ওশেন মেরিটাইম একাডেমির মধ্যে আয়োজিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে ওশেন মেরিটাইম একাডেমির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মারুফ মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, হেড অব মার্কেটিং আব্দুল মান্নান ও প্রজেক্ট ম্যানেজার নূর মোহাম্মদ। এছাড়া, ইউসিবি’র পক্ষ থেকে এর এসইভিপি ও হেড অব ট্রানজেকশন ব্যাংকিং মো. সেকান্দার-ই-আজম এবং ইভিপি ও হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

শিক্ষাখাতে যুগোপযোগী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও কর্মদক্ষতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই চুক্তি করা হয়।


আরও খবর



গম চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছে আত্রাইয়ের কৃষক

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৮৩জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: দেশের উত্তর জনপদের কৃষিপ্রধান জেলা নওগাঁ। খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে উত্তরের শস্যভান্ডার নামেও পরিচিত এ জেলা। এ জেলায় সব ধরনের ফসল ও শস্য উৎপাদন হলেও দেশের মোট উৎপাদিত ধানের সিংহভাগই হয় এ জেলায়। তবে এ জেলার আত্রাই উপজেলায় ধান, ভূট্টাসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ অধিক হলেও বর্তমানে দিন দিন গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক। ফলে কয়েক বছরে ধীরে ধীরে এ উপজেলায় কমেছে গম চাষ।

যদিও এটা লাভজনক ফসল। তবে কৃষকেরা বলছে উৎপাদন খরচের তুলনায় মুনাফা না পাওয়া এর অন্যতম কারণ। এদিকে কৃষি অধিদপ্তর বলছে, অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে ভূট্টার অধিক ফলন ও মুনাফা হওয়ায় গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক এমনটিই মনে করছেন তারা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, গত বছর উপজেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হলেও সেটা এবার বেড়ে ৪৫০ হেক্টরে। জানা গেছে, আত্রাই উপজেলায় দিন দিন গমের চাষ ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে।

মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী থাকলেও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, এমনকি ফলন কম হওয়ার কারণে গম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন কৃষকরা। নানাবিধ কারনে এ উপজেলার গম চাষ হুমকির মুখে পড়েছে। বিগত দিনে এ উপজেলায় গম চাষে কৃষকদের ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও বর্তমান সময়ে গম চাষে কৃষকরা অনাগ্রহী। এ উপজেলার কৃষকরা মনে করেন গম চাষের চেয়ে অন্য ফসল চাষ করে তুলনামূলক ভাবে অনেক লাভবান হওয়া যায়। সে জন্য গমের পরিবর্তে অন্য ফসল চাষ করছেন।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক নাইম হোসেন বলেন, আমি বিগতদিন ভ’ট্টা চাষ করতাম এবার কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী গম চাষ করেছি বর্তমানে আমার ফসলের অবস্থা খুব ভালো। আশাকরছি ফলনও ভালো পাবো।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক ওয়াজেদ আলী বলেন, আমি সাধারণত ধান ও ভূট্টার আবাদ বেশি পরিমানে করে থাকি। কিন্ত এবার গমের আবাদও করেছি। জমিতে এসে ফসল দেখলে মনটা জুড়িয়ে যায়। আগামী বছরে আমি সরকারি সহযোগিতা পেলে আরো বেশী জমিতে গমের চাষ করবো।

এছাড়া অন্যান্য উপজেলার একাধিক কৃষক বলেন, সরকারী ভাবে আমার সহযোগিতা পেলে ধান চাষের পাশাপাশি গম চাষ করতে পারবো। ধান চাষের উপর কৃষকদের আগ্রহ ও ফলন বৃদ্ধি করতে যেমন বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে একই ভাবে কৃষকদের গম চাষের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করলে গম চাষের প্রতি আগ্রহী হবেন কৃষকরা।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জনান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় গমের আবাদ অনেকটা বেশি হয়েছে। আশা করছি গমের বাম্পার ফলন হবে। কৃষকদের যেন কোন প্রকার সমস্যা না হয় তাই কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা নিয়োমিত কৃষকদের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপশ কুমার রায় জানান, সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষকরে বীজ, সার ও তেল এর জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।

তিনি আরো বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে গম চাষ কমে গেছে, প্রদর্শনী পাট করে কিছু কিছু চাষিদের সার ও গমের বীজ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া এ বছরে গম চাষের উপর কৃষকের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। সরকারি সকল সুযোগ- সুবিধা, কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হয়েছে। গম চাষের উপযোগী জমিতে উচ্চ মূল্যের সবজি চাষ ও ভূট্টা হওয়ায় গম চাষ কমে যাওয়ার একটি কারণ।


আরও খবর



নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে দর্জি ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা,প্রতিনিধি:নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে এরশাদ আলী (৩০) নামে এক দর্জি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পরানপুর ইউপির গোপালপুর বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ  দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

নিহত এরশাদ আলী উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের বান্দাইপুর গ্রামের নওসাদ আলীর ছেলে। গোপালপুর বাজারে ফয়সাল টেইলার্স নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী বুলবুল হোসেন বলেন, দর্জি এরশাদ আলী নিজেই কাপড় কেটে ও সেলাই করে পোষাক তৈরি করেন। তার দোকানে কোনো কর্মচারী নেই। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তৈরি পোষাকে ক্যালেন্ডার করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন। 

এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



মাগুরার মহম্মদপুরে বজ্রপাতে কোরআনে হাফেজসহ দুইজন নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার মহম্মদপুরে বজ্রপাতে কোরআনের হাফেজ দুই যুবক মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮মার্চ) বিকালে বৃষ্টির সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কানুটিয়া গ্রামের জামান মির্জার ছেলে তন্ময় মির্জা (২২) ও একই এলাকার চরপাড়া গ্রামের বাক-প্রতিবন্ধী উমেদ শেখ (২০)।

পরিবারের স্বজনেরা জানায়, তন্ময় একজন কোরআনে হাফেজ। বাড়ির পাশে রাস্তায় থাকা অবস্থায় বজ্রপাতে আহত হলে তাকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

অন্যদিকে উমেদ শেখের  স্বজনেরা জানায়, মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হয় উমেদ শেখ। এসময় মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। আফরান মোল্যার বড় ছেলে উমেদ।

একই এলাকার দুইজনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


আরও খবর