Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ড. ইউনূসের মামলা কার্যতালিকা থেকে বাদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ১১শ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগে দায়ের করা মামলা কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার কার্যতালিকা থেকে মামলাটি বাদ দেওয়া হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমির উদ্দিন।

এর আগে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০১২-১৭ এই পাঁচ বছরে ১১শ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) হাইকোর্টকে জানায়।

কর ফাঁকির বড় মামলার বিষয়ে গতকাল সোমবার উচ্চ আদালত হাইকোর্টে আদেশ দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে আজ মঙ্গলবার দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মামলাটি তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর আগে ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১শ কোটি টাকার আয়কর রিটার্নের মামলা চালুর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।


আরও খবর



বসতবাড়ির চারিপাশে গড়ে তুলুন শব্জিচাষে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের উঠান বৈঠক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

হক,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃবসতবাড়ির চারিপাশে ভরে তুলুন সব্জিচাষে,এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা মকলেছ মাষ্টারের বাড়িতে এক উঠান বৈঠক অনুষ্টিত হয়।

   কৃর্ষি সম্প্রসারণ বিভাগ সুন্দরগঞ্জের ধোপাডাঙ্গা ব্লকের উপ,-সহকারি কৃর্ষি অফিসার শামছুল হকের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃর্ষি অফিসার কৃর্ষিবীদ রাশেদুল কবীর,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার সাদেক হোসেন,আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিঃ সহ-সভাপতি ও সব্জিচাষি সাংবাদিক একেএম শামছুল হক, অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,উপ-সহকারি কৃর্ষি অফিসার আলী আজম,মুশফিকুর রহমান,সাংবাদিক,শহিদুল ইসলাম আকন্দ,হারুন অর রশিদ রাজু,কৃষাণি হোসনে আরা বেগম,প্রমুখ।আলোচনা সভা শেষে কৃষক/ কৃষানিদের  মাঝেপুষ্টিগুন সম্পর্কিত লিফলেট,প্লেট,একটি লেবু ও একটি করে লেবুর গাছ বিতারণ করেন উপজেলা কৃর্ষি অফিসার রাশেদুল কবীর।

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন সব প্রকার বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি।

২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করি কালরাতে আত্মোৎসর্গকারী সেই সব শহীদদের, যাদের তাজা রক্তের শপথ বীর বাঙালিদের অস্ত্রধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না, নর-নারী-শিশু হত্যা আমাদের তীব্রভাবে ব্যাথিত করে। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই শান্তি বিরাজমান থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তির নীতি অনুসরণ করি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছর ধরে শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার প্রয়াসে সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন। সেই থেকে ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর একুশ দফা, ’৬২-এর আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সব আন্দোলন সংগ্রামে অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এদেশটির নাম হবে পূর্ব-পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছিলেন এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পুরো জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ’৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু, পাক-সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে। বৈঠকের মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে নিরস্ত্র বাঙালি নিধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন; ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন এবং ১৫ মার্চ থেকে ৩৫ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ সারা পূর্ব-বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সব প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তার আদিষ্ট পথেই পরিচালিত হতে থাকে। বাংলাদেশে ইয়াহিয়ার শাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। ইয়াহিয়া-ভুট্টো বারবার সমঝোতার প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অটল থাকেন। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সারাদেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্য রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিচালনা করে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, বাঙালি পুলিশ ও সামরিক সদস্যদের হত্যা করতে থাকে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে। এর অব্যবহিত পূর্বেই জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান- ‘ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। —চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।’—যা প্রথমে ইপিআর এর ওয়্যারলেস মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে এই বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানিরা বন্দি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়; এমনকি তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। ১৩ জুন পাকিস্তানি সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যুক্তরাজ্যের ‘দ্য সানডে টাইমস’ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘জেনোসাইড’ শিরোনামে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম বর্বরতার বাস্তবচিত্র নির্ভর একটি বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করলে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি ত্বরান্বিত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়, ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারায় এবং গোটা দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

তিনি আরও বলেন, বাঙালি জাতির পিতা, রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের নির্জন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তার প্রাণাধিক প্রিয় স্বাধীন মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। শূন্য হাতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিয়ে ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসন করেন, অবকাঠামো পুনঃস্থাপন ও উন্নয়ন করেন এবং উৎপাদন খাত ও অর্থনীতিকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি প্রদান করে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ’৭১-এর পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাতে থাকে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট আরেক কালরাতে ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন। খুনি মোস্তাক-জিয়া ও তাদের উত্তরসূরিরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ২৫ মার্চে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কুশীলব, মানবতা বিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার খুনিদের মহান সংসদে বসিয়ে ও তাদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র পতাকা তুলে দিয়ে বাঙালি জাতির গর্বিত ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে। দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর আমরা জাতিসংঘের গণহত্যা বিরোধী কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করি। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শান্তির সংস্কৃতির ওপর রেজুল্যুশন গ্রহণের প্রস্তাব করি, যা ১৯৯৯ সালে গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তির সংস্কৃতির বর্ষ’ এবং ২০০১-২০১০ সময়কে ‘শান্তির সংস্কৃতি এবং অহিংস দশক’ ঘোষণা করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৮ সাল থেকে সবকটি নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে গত ১৫ বছরের বেশি সময় একটানা তাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত ‘দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম: নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড এ ফরগটেন জেনোসাইড’ -শীর্ষক গ্রন্থে তৎকালীন ঢাকাস্থ আমেরিকার কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাড-এর স্টেট ডিপার্টমেন্টে লেখা নিয়মিত প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিচালিত বর্বরতম গণহত্যার ভয়াল চিত্র উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছি। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা এড়াতে ভীত-সন্ত্রস্ত ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছি। বিশ্বের যেকোন স্থানে সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমরা ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি; ভবিষ্যত প্রজন্ম এই পরিকল্পনাকে সময়োপযোগী করে বাস্তবায়ন করতে পারবে।


আরও খবর



দাম কমলো জ্বালানি তেলের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে। লিটারপ্রতি কেরোসিনে ৭৫ পয়সা, অকটেনে ৪ টাকা পেট্রোলে ৩ টাকা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে ১২৬ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১২২ নির্ধারণ করেছে সরকার। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে ৭৫ পয়সা, অকটেনে ৪ টাকা ও পেট্রোলে ৩ টাকা কমেছে।

এর আগে ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট থেকে দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা কমিয়েছিল সরকার।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে জ্বালানি বিভাগ। এ নির্দেশিকা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিমাসে দেশের বাজারেও জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।


আরও খবর



হাইকোর্টে আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী ।

বুধবার (২০ মার্চ) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে যুথির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।

এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যুথির জামিন আবেদন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টে বেঞ্চে তার জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠানো হয়।

গত ১৮ মার্চ বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের এক বিচারক নাহিদ সুলতানা যুথির জামিন আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেছিলেন।

এর আগে গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় অ্যাডভোকেট যুথি এক নম্বর আসামি। তিনি ছাড়াও মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) জামিন আবেদন করেছেন। গত ৮ মার্চ রাতে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথি ও বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজহারে বলা হয়, ‘আসামিরা ১নং আসামির নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নিচ তলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তন রুমের দরজা ৩নং আসামি ১, ২, ও ৪ নং আসামির পরামর্শক্রমে সু-কৌশলে ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে অডিটোরিয়ামের দরজা খুলে দিলে অস্ত্র হাতে জোরপূর্বক বেআইনি জনতাবদ্ধে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় আমাকেসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করে। আসামিদ্বয়ের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মাঝ বরাবর আঘাত করলে আমি বাধা দিতে গেলে আমার বাম পাশের কানের উপরে মাথার অংশে সজোরে আঘাত করলে আমি মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হই। অন্যান্য আসামিরা কাঠের লাঠি, কাঠের ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে অতর্কিতভাবে এলোপাথাড়ি মারপিট করে ও পা দিয়ে আঘাত করে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং আমার পরা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। ওই আসামিরা আমার সঙ্গীয় ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবকে মারপিট করে আহত করে। একপর্যায়ে ৫নং আসামির হাতে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবকে আঘাত করে তার ডান হাতের আঙ্গুল ভেঙে ফেলে ও তার কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে ভয়াবহ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ,শিশু-নারীসহ দগ্ধ ৩৫জন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি বাসা বাড়িতে গ্যাস বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছে। এ বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশু ও নারীসহ কমপক্ষে ৩০-৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় বাসা বাড়িতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় শফিক খানের বাসা বাড়িতে বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এ গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার রাস্তার দুই পাশে সারি সারি লম্বা আকৃতির টিনসেড বাড়ি।

সেখানে ছোট ছোট ঘরে আলাদা আলাদা পরিবার বসবাস করেন। তাদের একেকজনের একেক পেশার লোকজন।সেখানকার একটি ঘরের ভাড়াটে শফিক খান নামে একজন বিকেলে রান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। এরপর সেটি সংযোগ দেওয়ার সময় সেখান থেকে লিক হয়ে প্রচুর গ্যাস বের হতে থাকে। এটা দেখে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সিলিন্ডারটি ঘরের সামনে রাস্তায় ফেলে দেন। আর পাশেই মাটির চুলায় রান্না করছিলেন আরেক পরিবার। তখন সেখান থেকে আগুনের সংস্পর্ষে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে আশপাশে থাকা শিশু, নারীসহ ৩০-৩৫ জন মানুষ দগ্ধ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালেকে নিয়ে যায়।

সেখান থেকে দগ্ধদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি পাঠানো হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এদের মধ্যে মাইদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কুটি, আরিফুল, ইয়াসিন, সোলেমান, আকাশ, নূর নবী, নিরব, জহিরুল ইসলাম, ফারহানা আক্তার, নারগিস আক্তার, শাপলা বেগম, সুমন মিয়া, মোছাম্মৎ শিল্পী, নাঈম, মাহবুব, মশিউর, মোতালেব মিয়ার নাম জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বাকী দগ্ধদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, ইফতারের আগে নতুন গ্যাস সিলিন্ডার সংযোগ দেওয়ার সময় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সিলিন্ডারে আগুন ধরে সেটি রাস্তায় ফেললে সেখানে থাকা লোকজনও দগ্ধ হন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ওই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে ৩০-৩৫ জনকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।

কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক ফাড়ি পুলিশের ইনচার্জ (এসআই) সাইফুল আলম জানান, দগ্ধদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিস্ফোরণে দগ্ধরা ঢাকা বান ইউনিটে ভর্তি রয়েছে। তবে ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ক্ষতি পুরণের ব্যবস্থা করা হবে।


আরও খবর