Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩১১জন দেখেছেন

Image

ক্রীড়া প্রতিবেদক: শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে সফল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। গতকাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে পরাজিত করেন ইমরুল কায়েসরা। এ নিয়ে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে কুমিল্লা। এতে শিরোপা জয়ের অপেক্ষা বাড়ল সিলেটের। মাশরাফির নেতৃত্বে প্রথমবার বিপিএলের ফাইনালে উঠেছিল চায়ের শহরের দলটি। তবে অধিনায়ক হিসেবে এবার আর দলকে চ্যাম্পিয়ন করার অতীত রেকর্ড ধরে রাখতে পারলেন না ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে সিলেট স্ট্রাইকার্স ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করে। রান তাড়ায় লিটন দাসের ফিফটি (৫৫) আর জনসন চার্লস (৭৯*) ও মঈন আলির (২৫*) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় কুমিল্লা। অধিনায়ক হিসেবে নিজের রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখলেন ইমরুল কায়েস। এর আগে তার নেতৃত্বেই দুবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিল কুমিল্লা। এ নিয়ে তৃতীয়বার দলকে ফাইনালে তোলার পাশাপাশি শিরোপাও জিতলেন তারা।

সিলেটের ১৭৫ রান অনায়াসেই টপকে যায় কুমিল্লা। ৩৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর লিটন ও চার্লসের ব্যাটে রানের চাকা সচল রাখেন তারা। ৩৬ বলে ফিফটি করেন লিটন। দলীয় ১০৪ রানে আউট হন তিনি। তার ৩৯ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ১ ছক্কা। এরপর চার্লস ও মঈন জুটি দলকে জয়ী করে মাঠ ছাড়েন। জয়ের জন্য শেষ ২৪ বলে ৫২ রান দরকার ছিল তাদের। তবে রুবেলের ১৭তম ওভার ও উডের ১৯তম ওভারে তাণ্ডব চালান চার্লস। আর তাতেই জয়ের খুব কাছে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। শেষ ওভারে ৩ রান তাড়ায় ৪ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্য টপকে যান তারা। তবে চার্লসকে ব্যক্তিগত ৮ রানে জীবন দেন রুবেল। সে সময় ক্যাচটি মুঠোবন্দি করতে পারলে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারত! সেই চার্লসই কুমিল্লার জয়ের নায়ক।

সিলেটের ১৭৫ রানে বড় অবদান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের। তৌহিদ হৃদয় রান পাননি। শূন্য রানে সাজঘরে
ফিরেছেন তিনি। তবে দারুণ ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত আপন আলোয় উজ্জ্বল ছিলেন। ফাইনাল ম্যাচেও নজরকাড়া পারপরম্যান্স করেছেন। ইনিংসের শুরুই করেছিলেন আন্দ্রে রাসেলকে বাউন্ডারি মেরে। শান্তর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহিমও। দলীয় ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর এই জুটির কল্যাণেই ৭ উইকেটে ১৭৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।

অবশ্য কুমিল্লার ফিল্ডিংও ভালো ছিল না। একাধিক ক্যাচ হাতছাড়া না হলে সিলেটের দলীয় সংগ্রহটা আরও কম হতো। তবে ক্যাচ মিস তো খেলারই একটা অংশ! মঈন আলির বলে শান্ত বোল্ড হলে ভাঙে তৃতীয় জুটি। তবে সাজঘরে ফেরার আগে ঝলমলে ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি। ৩৮ বলে ফিফটি করা শান্ত ফেরেন ৪৫ বলে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে। আর মুশফিক হার না মানা ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন।

১০৫ রানে ৩ উইকেট হারায় সিলেট। এরপর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে বেশ কটি উইকেট হারাতে হয়েছে তাদের। তবে মুশফিকের দাপুটে ব্যাটিংয়ের কারণে অপর পাশের উইকেট হারালেও রানের চাকায় লাগাম পরাতে পারেননি কুমিল্লার বোলাররা। ১৬৪ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর মুশফিক আর তানজিম সাকিব জুটি মিলে ইনিংস শেষ করে মাঠ ছাড়ে সিলেট। মুশফিকের ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ চার ও ৩ ছক্কায়। শেষ চার ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান স্কোরকার্ডে জমা করতে পারেন সিলেটের ব্যাটসম্যানরা। কুমিল্লার হয়ে মোস্তাফিজ ৩১ রানে ২ উইকেট নেন।


আরও খবর



মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ইয়াবা সহ গ্রেফতার দুই

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার  (৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৩টার দিকে  মাটিরাঙ্গা থানার একটি চৌকস আভিযানিক দল মাটিরাঙ্গা থানা এলাকায় মাদক দ্রব্য/অবৈধ অস্ত্র/চোরাচালান উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল ডিউটি কারাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ড রসুলপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আসামী  মো. মকবুল হোসেন (৬০), সৈয়দ রাশেদ(৪০)কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী -মো. মকবুল হোসেন (৬০), মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ০৯নং ওয়ার্ড রসুল পুর এলাকার মৃত জাহের মিয়ার ছেলে।সৈয়দ রাশেদ(৪০)মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ০৯নং ওয়ার্ড রসুল পুর এলাকার শামসুল হক এর ছেলে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। আসামীকে যথা সময়ে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম(বার) বলেন, জেলার সামাজিক পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে   মাদক ও চোরাকারবারির সাথে জড়িত অপরাধীদের দমনে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ আন্তরিকতার সহিত কাজ করে যাচ্ছে। 

আরও খবর



অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে প্রথমবারের মতো ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি আনল ইনফিনিক্স

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স তাদের নতুন স্মার্টফোন লাইনআপে যুক্ত করেছে যুগান্তকারী নতুন ফিচার ‘ম্যাগচার্জ’। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার এফ-ওয়ান ইন্টারন্যাশনাল সার্কিটে অনুষ্ঠিত এক বৈশ্বিক আয়োজনে নতুন নোট ৪০ সিরিজ লঞ্চ করে ব্র্যান্ডটি। সেই আয়োজনেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিং ফিচারের যাত্রা শুরুর কথা জানায় ইনফিনিক্স।

ম্যাগচার্জ-এর মতো চার্জিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বাজারে এই প্রথম। ফলে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে  অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে এই চার্জিং প্রযুক্তি। ম্যাগনেটিক চার্জিংয়ের সুবিধাজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে নোট ৪০ সিরিজের সাথে আছে ইনফিনিক্সের ম্যাগকিট। এই কিটে ফোনের ব্যাককাভার হিসেবে দেওয়া হয়েছে ম্যাগকেস। সাথে আরও আছে ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড ম্যাগপ্যাড এবং ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংক ম্যাগপাওয়ার।

ইনফিনিক্সের নতুন নোট ৪০ সিরিজের নোট ৪০, নোট ৪০ প্রো, নোট ৪০ প্রো ৫জি এবং অত্যাধুনিক নোট ৪০ প্রো+ ৫জি স্মার্টফোনগুলোতে পাওয়া যাবে এই ম্যাগচার্জ ফিচারটি। এবারের এই সিরিজটিতে দেওয়া হয়েছে ইনফিনিক্সের অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০ প্রযুক্তি, ১০০ ওয়াট পর্যন্ত মাল্টি-স্পিড ফাস্টচার্জ, এবং ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের চার্জিং মোড ব্যবহার করতে একটি কাস্টম চিপ দেওয়া হয়েছে এই সিরিজের ফোনগুলোতে।

উন্নত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতার জন্য নোট ৪০ সিরিজে আছে ১২০ হার্জের প্রাণবন্ত থ্রিডি-কার্ভড অ্যামোলেড ডিসপ্লে। প্রধান ক্যামেরা হিসেবে সিরিজটিতে আছে ওআইএস সাপোর্টসহ শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা সিস্টেম। এছাড়াও ফোনের পেছনের অংশ থেকে বিশেষ ধরনের লাইটিংয়ের জন্য এতে  যুক্ত করা হয়েছে অ্যাকটিভ হ্যালো লাইটিংয়ের মতো এআই প্রযুক্তি।

ইনফিনিক্সের নতুন এই স্মার্টফোন সিরিজ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাক্ট ডিরেক্টর উইকি নিইয়ে বলেন, “ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ বাজারে আনার মাধ্যমে চার্জিং প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। চার্জিংয়ের অভিজ্ঞতাকেই বদলে দেবে এই সিরিজ। এছাড়াও, আমাদের নিজস্ব চিপ চিতা এক্স১ এর মাধ্যমে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে অলরাউন্ড ফাস্টচার্জ। এখন এতে আছে মাল্টি-স্পিড চার্জিং এবং এক্সট্রিম টেম্পারেচার চার্জিংয়ের মতো ফিচার।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের উদ্ভাবনী ম্যাগচার্জ অ্যাক্সেসরি কিট ফোন ব্যবহারকারীদের দেবে নিরবচ্ছিন্ন চার্জিং ইকোসিস্টেম। এসব অগ্রগতির ফলে ব্যবহারকারীরা সারাদিন, যেকোনো পরিস্থিতি ও আবহাওয়ায় পাওয়ারড-আপ থাকতে পারবেন।”

গত বছর অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ প্রযুক্তিসহ নোট ৩০ সিরিজ বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে আসে ইনফিনিক্স। এই সিরিজটিতে আছে ৬৮ ওয়াটের ওয়্যারড চার্জিং এং ১৫ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাদারবোর্ডে সরাসরি চার্জ নেওয়ার জন্য এতে আছে বাইপাস চার্জিং এবং আইফোন সেভার হিসেবে পরিচিত ওয়্যারলেস রিভার্স চার্জিং প্রযুক্তি।

চার্জিং, লুক ও পারফরম্যান্সে অভূতপূর্ব আপডেট নিয়ে এখন বাংলাদেশের বাজারে আসার অপেক্ষায় আছে নোট ৪০ সিরিজ। নতুন এই নোট সিরিজের জন্য শুরু হয়ে গেছে প্রি-বুকিংও।


আরও খবর



পলাশপুর আইডিয়াল স্কুলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দী:রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকার পলাশপুর আইডিয়াল স্কুলে শিক্ষকের অবহেলায় বিদ্যূৎস্পৃষ্ট হয়ে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুল শিক্ষার্থীর নাম রিয়ান। এ ঘটনায় ওই স্কুলের এক শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। নিহত স্কুল শিক্ষার্থী রিয়ানের বাবা ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার বাসিন্দা মোঃ ফারুক। তার মায়ের নাম আসমা বেগম। শনিআখরা পলাশপুর এলাকার পাঁচ নং রোডের ৪/১৯ নং হোল্ডিং এর আব্দুল মতিন এর বাড়ির ভাড়াটিয়া।

নিহত রিয়ানের বড় বোন একই স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রত্যক্ষদর্শী রিয়ানের বড় বোন সাদিয়া আক্তার জানান, স্কুলে কোন অনুষ্ঠান ছিল না এমনকি ঠিকমত ক্লাস হচ্ছিল না, জাকির স্যার নামক এক শিক্ষক আমার ভাইকে জাতীয় পতাকা টানানোর জন্য একটি লোহার রড দিয়ে বারান্দায় পাঠান, কিছুক্ষণ পর বিকট একটি শব্দ আসে এবং সেই সময় আমার ভাই জাকির স্যার জাকির স্যার বলে চিৎকার করে, কিন্তু এ সময় কোন শিক্ষক তারা সাহায্যে এগিয়ে আসেনি, কিছুক্ষণ পর  কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায়  আশেপাশের লোকজন এসে আমার ভাইকে  উদ্ধার করে, প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে পরবর্তী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কদমতলী থানার ইন্সপেক্টর (ওসি তদন্ত ) হিরন্ময় বাঢ়ঢ়ী এ ঘটনায় স্কুলের দুজন শিক্ষক কে বিষয়টি তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।



আরও খবর



মেহেরপুরে প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে চাষীদের সর্বনাশ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুরঃমেহেরপুরে সরকারি প্রণোদনার পেঁয়াজ আবাদ করে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা।পেঁয়াজ চাষের যাবতীয় খরচ করে পেঁয়াজের গুটির বদলে মিলছে শুধুই শেকড়। পেঁয়াজের ঘাটতির বছরে যা দেশের জন্য বড় ধরনের দুঃসংবাদ। অমৌসূমের বীজ জেনেও অদৃশ্য কারণে চাষীদেরকে দিয়ে আবাদ করানো হলো সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি। যার খেশারত দিতে দিচ্ছে ৫২০ জন চাষীকে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি প্রণোদনার আওতায় পেঁয়াজ আবাদ বৃদ্ধির জন্য চলতি মৌসূমে মেহেরপুরের তিনটি উপজেলায় প্রান্তিক চাষীকে বীজ ও সার সহায়তা দেয় কৃষি অফিস। প্রত্যেক চাষী এক বিঘা করে জমি পেঁয়াজ আবাদ করেন। সরকারি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএডিসি ভারত থেকে আমদানি করে নাসিক রেড এন ৫৩ জাতের পেঁয়াজ বীজ। যা প্রণোদন হিসেবে বিনামূল্যে এইসব প্রান্তিক চাষীর মাঝে বিতরণ করে কৃষি অফিস।

চাষীরা জানান, সরকারি এ বীজে ভরসা করে চাষীরা কেউ বীজ বপণ করেন আবার কেউ চারা তৈরী করে পেঁয়াজ চারা রোপণ করেছিলেন। নভেম্বর মাসে ক্ষেতে পেঁয়াজ চারা রোপণ করলেও আজ পর্যন্ত মিলছে না পেঁয়াজের গুটি। ক্ষেতগুলোতে পুষ্ট পেঁয়াজ গাছ থাকলেও তার গোড়ায় কোন পেঁয়াজ পাচ্ছেন না চাষীরা। গুটি বাঁধবে এ আশায় চাষীরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করে প্রয়োজনীয় সার কীটনাশকে ব্যয় করে যাচ্ছেন। কিন্তু গাছ তুললে গোড়াতে শুধু শেকড় ছাড়া কোন গুটির দেখা মিলছে না। কৃষি অফিসের কাছ থেকে কোন সদুত্তোর না পেয়ে পেঁয়াজের আশা ছেড়ে দিয়েছেন অনেক কৃষক।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভারতীয় নাসিক রেড এন ৫৩ পেঁয়াজ বীজ দিয়ে মূলত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করা হয়।

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বেশ ভাল ফলন ও দাম পেয়েছেন চাষীরা। গ্রীষ্মকালীন এ জাতটি শীতকালে আবাদ করলে পেঁয়াজের গুটি হবে না এটা জানতেন কৃষি কর্মকর্তারা। কিন্তু উপর মহলের চাপে তারা শীতকালে এ বীজ বিতরণ করেছেন। কোন অদৃশ্য কারণে বড় কর্তারা এ জাতের বীজ আবাদে কৃষকদের বাধ্য করেছেন সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি কারও কাছ থেকে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষী সাহারবাটি গ্রামের তোহিদুল ইসলাম জানান, এক বিঘা পেঁয়াজ আবাদের তার এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩০/৩৫ হাজার টাকার উপরে। পেঁয়াজ তোলার সময় পেরিয়ে গেলেও পেঁয়াজের গুটি বাঁধেনি। এখন ক্ষেত পরিস্কার করতে আরও ‍কিছু টাকা খরচ হবে। কৃষি অফিসে বারবার যোগাযোগ করেও কোন নির্দেশনা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী চাষীরা। চাষি জুরাইস ইসলামসহ কয়েকজন পেঁয়াজ চাষী, সরকারি বীজ তাই ভাল ফলনের আশায় পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন তারা। কিন্তু তাদের জানা ছিল না গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ শীতকালে আবাদ করলে তাতে গুটি হবে না। ফলে পুরো আবাদের লোকসানে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছন এসব চাষীরা।

পেঁয়াজ আবাদের সর্বনিম্ন আর্থিক ক্ষতি হিসেবে করলে দেখা যায়, প্রতি বিঘায় যদি ৩০/৩৫ হাজার টাকা খরচ হলে ৫২০ জন চাষীর খরচের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা। চলতি মৌসূমে পেঁয়াজের বড় সংকটের বছরে একদিকে যেমনি পেঁয়াজ উৎপাদন কমে গেছে অন্যদিকে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন চাষীরা। যে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে কৃষি অফিসে ভুক্তভোগী চাষীরা বার বার ধর্ণা দিলেও মিলছে কোন কোন আশ্বাস কিংবা প্রতিকার।

কেন অমৌসূমের বীজ জেনেও চাষীদের মাঝে তা বিতরণ করা হল? এমন প্রশ্ন রাখা হয় মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের কাছে। তবে তিনি সদুত্তোর না দিয়ে জানান, এ জাতের পেঁয়াজ বীজ দিয়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ভাল ফলন হয়েছে।


আরও খবর



নিজ নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ একরামুজ্জামান এমপি'

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নানঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-সংসদীয় ২৪৩ নাসিরনগর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এস এ কে একরামুজ্জামান(সুখন) এমপি' তার প্রতিশ্রুতিকৃত নিজ নির্বাচনী এলাকার ১৩-টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন গ্রামে উন্নয়ন মূলক কাজকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে,বর্তমান বরাদ্ধ টিআর ও কাবিটা সহ প্রায় ২ কোটি টাকার সরকারী অনুদান বিতরণ করেছেন। ১১৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে  এ সকল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।উন্নয়ন মূলক কাজের মধ্যে রয়েছে- কবর স্থান,শশ্মান এবং মসজিদে আসা-যাওয়ার রাস্তা  মাটি ভরাট ও ইট সলিং।


অল্প কিছু দিনের মধ্যেই স্বপ্নের নাসরিনগরে উন্নয়নের মাইলফলক হিসেবে দেখতে পাবে জনগণ।এ আশা করেন এমপি।উন্নয়নের জন্য এল,জি,ই,ডির রাস্তা ২৫ কোটি টাকা স্কীমের কাজ অল্প কিছু দিনের ভেতর শুরু হবে। ইতিমধ্যেই নাসিরনগর টু চাতলপাড় ৯-টি ব্রীজ প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।একটি টিম সার্বক্ষণিক এ কাজ গুলো মনিটরিং করছেন।নাসিরনগর টু মাধবপুর রাস্তার কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে।ফান্দাউক  ছাতিয়াইন রাস্তা সহ আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন রাস্তা মেরামতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।


কিছু দিনের মধ্যেই নাসিরনগরে আন্তর্জাতিক মানের  একটি অত্যাধুনিক হাসপাতালের কাজ শুরু হবে।কুন্ডা  মহিষবের রাস্তার কাজ চলমান।রয়েছে গোয়ালনগর ইউনিয়নের রাস্তার কাজ চলমান। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিস সহ বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নের কাজে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এবং একটি সুন্দর স্বপ্নের আধুনিক নাসিরনগর গড়ার জন্য,মাননীয় সংসদ সদস্য,আলহাজ্ব এস এ কে একরামুজ্জামান (সুখন) এমপি, নাসিরনগরের জনগণের জন্য নির্লস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।ইতিমধ্যেই মাননীয় এমপি মহোদয়,উনার ব্যক্তিগত অর্থায়নে একজন অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব উপদেষ্টা।


একজন অবসরপ্রাপ্ত ইন্জিনিয়ার, একজন কম্পিউটার অপারেটর,একজন সমন্বয়কারী নিয়োগ দিয়েছেন।এমপি মহোদয়ের পরামর্শ ক্রমে,নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিস ও দাপ্তরিক উন্নয়নমূলক কাজ কর্মকর্মের খোঁজখবর  নিচ্ছেন। এমপি মহোদয়ের ব্যক্তিগত সহকারীগণ  ইতি মধ্যেই নাসিরনগরের কি কি চ্যালেঞ্জ আছে সে বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন।সংসদ সদস্য,আলহাজ্ব এস এ কে একরামুজ্জামান এমপি'র  প্রতিশ্রুতি আধুনিক,  নিরাপদ ও বেকারমুক্ত নাসিরনগর গড়তে উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ থেকে শুরু করে,উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ ধর্ম বর্ণ এবং দল মতের ঊর্ধ্বে সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর