রনি ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক কিশোরী ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগের ঘটনায় জেলাজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কিশোরী নিযাতনের ঘটনার ছয় দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কিশোরী সন্ধান মিলছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ করেছেন। গত ১১ এপ্রিল রাতে দোয়ারবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউপির মৌলার পাড় আপনের টিলা নিয়ে পালাত্রুমে কিশোরী্র উপর অমানবিক নিয়াতনের ঘটনা ঘটে।
এলাবাসীর সুত্রে জানা যায় ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয়ে বাঘমাড়া বাজারে
চলে যায়। পরে কিশোরীকে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কালামের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে কালাম মেম্বার কিশোরীর ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে এ সময় কিশোরী জানায় তার বাড়ি বাঁশতলা শহীদ মিনার কলোনীর মৃত- সাইফুল ইসলামের কন্যা ।
তখন কালাম মেম্বারের পাশে বাড়ির ছেলে আব্দুল কুদ্দুছ ওরফে মটোকে মোবাইল ফোনে মেয়ের বিষয়টি অবগত করেন।
আব্দুল কুদ্দুছ ঐ কিশোরীর পরিচয় নিশ্চিত করে ১১ এপ্রিল কিশোরীকে আব্দুল কুদ্দুছের মাধ্যমে তার বাড়িতে পৌছিয়ে দেয়ার দায়িত্ব দেন ইউপি সদস্য।
আব্দুল কুদ্দুছ এ কিশোরীকে বাড়ি না দিয়ে এলাকার কুখ্যাত চোরাকারবারি বখাটে জনৈক জুটনের কাছে তোলে দেন।
এরপর জুটন মেয়েটাকে তার বাড়ি না দিয়ে মৌলারপাড়স্ত আপনের টিলার উপরে নিয়ে জোরপু্বক ঐ কিশোরীকে সন্ধ্যা থেকে রাত ভর পালাত্রুমে ধর্ষন করেন জুটন সহ তার দুই সহযোগিরা।
সেখান থেকে রাত ৩টার দিকে মেয়েটা পালিয়ে পুনরায় সাবেক কালাম মেম্বার বাড়িতে এসে অবস্থান নেন। এরপর কালাম মেম্বারেকে তার সঙ্গে সব কিছু খুলে বলেন কিশোরী। তাৎক্ষনিক সাবেক কালাম মেম্বার স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের খবর দিলে সে কয়েকজন সংবাদ কর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে এ কিশোরীর জবানবন্দী রেকর্ড করেছিলেন।
পরে তাদের মাধ্যমে দোয়ারবাজার থানায় নিয়ে যান। থানায় যাওয়ার পর আসামির পক্ষ নেন পুলিশ। থানার ওসির সঙ্গে আসামীদের বড় অংকের টাকার বিনিময় রফা দফার মাধ্যমেই অলিখিত চুক্তি হয়। পুলিশ ঘটনাটি চাপা দিয়ে নিযাতিত কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে তার চাচার জিন্মায় দেয়া হয়। এরপর থেকে ঐ ধর্ষিতা কিশোরীকে আড়াল করে রাখা হচ্ছে। এলাকাাসীর ধারনা করা হচ্ছে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি থানায় পুলিশ ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ করেন। ধর্ষনের মত এ ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে ডাক্তারী পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া মা বাবা বিহিন অসহায় কিশোরীকে গুম করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী লোকজন।
এব্যাপারে ছাতক দোয়ারবাজার সাকেল সহকারি পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক, জানান,এঘটনার খোজ খবর নিয়ে ভিকটিম উদ্ধার করে আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।