
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
করোনার কারণে দুই বছর হয়নি শতবছরের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা। এবার স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে আয়োজিত হচ্ছে এ মেলা। যেখান থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষ এক বছরের গৃহস্থালি টুকিটাকি সংগ্রহ করেন। বলা হয়ে থাকে সুঁই থেকে ফুলশয্যার খাটও মেলে জব্বারের বলীখেলায়।
জীবন বলী চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে জব্বারের বলীখেলা। খেলাকে ঘিরে আগের দিন ও পরের দিন বৈশাখী মেলা।তিন দিনের এ মেলার শেষ দিন মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল)। দূরদূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা কম লাভে, কেনা দামেই ছেড়ে দিচ্ছেন পণ্যসামগ্রী। এ সুযোগে কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, মাটির তৈরি ছোট-বড় ব্যাংক, ফুলদানি, কাপ-পিরিচ, জগ-গ্লাস, ধর্মীয় নানা স্মারক বিক্রি হচ্ছে বেশি। হাতপাখা, মুড়ি-মুড়কি, বাঁশি, শিশুদের খেলনা, টমটম গাড়ি, নারীদের ইমিটেশনের গহনা, শীতলপাটি, ফুল ও ফলের চারা, বাঁশের শলার তৈরি মাছ ধরার চাই (ফাঁদ), ডালা, কুলা, দা-বঁটি, প্লাস্টিকের ফুলসহ বাহারি সব জিনিস কিনতে আসছেন মানুষ।
আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম জামাল হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টায় জব্বারের বলীখেলাকে ঘিরে তিন দিনের বৈশাখী মেলা শেষ হবে। ভোরের মধ্যে সড়কের আশপাশ থেকে সব দোকানপাট উঠে যাবে।
ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা ও মেলাকে ঘিরে বলীখেলা কমিটি, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।