Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

চট্টগ্রামের ইউনাইটেড আইগ্যাস এলপিজি এর রিটেইলার মিট এর আয়োজন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সম্প্রতি চট্টগ্রামের রেডিসন হোটেলে হয়ে গেলো ইউনাইটেড আইগ্যাস এলপিজি লিঃ আয়োজিত ডিস্ট্রিবিউটর এবং রিটেইলার মিট প্রোগ্রাম। চট্টগ্রামের বিভিন্ন টেরিটরি থেকে আগত রিটেইলার দের নিয়ে সারাদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে ব্যাবসা কেন্দ্রিক আলোচনা, পরামর্শ, ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা, মেজবানি খাবার, সঙ্গীত এর আয়োজন এবং র‍্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে সমাপ্তি হয় অনুষ্ঠানের।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইগ্যাস ইউনাইটেড এর সিইও জনাব আহমেত আর্যুমান্ত পোলাট, প্লান্ট মহাব্যাবস্থাপক জনাব মোস্তাফিজুর রহমান জিন্নাহ, হেড অফ সেলস জনাব শওকত ওসমান জামিল সহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং ডিস্ট্রিবিউটর বৃন্দ।

পবিত্র কুর’আন তেলাওয়াত এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং সদ্য প্রয়াত ইউনাইটেড গ্রুপের সম্মানিত পরিচালক নাসিরুদ্দিন আকতার রশীদ এর বিদেহী আত্মার স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

হেড অফ সেলস জনাব শওকত ওসমান জামিল রিটেইলারদের নিয়ে তার ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা বর্ণনা করেন এবং সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য। তিনি চট্টগ্রামের সেলস টিম কে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন যারা সবসময় রিটেইলারদের সাথে যোগাযোগ করেন।

সিইও জনাব আহমেত আর্যুমান্ত পোলাট বলেন ‘সম্মানিত ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলারবৃন্দ-ই আমাদের ব্র্যান্ডের অ্যাাম্বাসাডর এবং মূল চালিকা শক্তি, তারাই সরাসরি ভোক্তাদের কাছে আমাদের পণ্যটি পৌঁছে দিচ্ছেন। তাই আজকে তাদের সম্মানে এই আয়োজন করতে পেরে এবং তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আমরা সত্যিই আনন্দিত। ভবিষ্যতে তারা সবসময় আইগ্যাস ইউনাইটেড এর পাশেই থাকবেন আমাদের বিশ্বাস’।

আইগ্যাস ইউনাইটেড বাংলাদেশে পরিচালিত হচ্ছে ইউনাইটেড গ্রুপের ব্যানারে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার চুক্তির মাধ্যমে। আইগ্যাস হচ্ছে তুরস্কের স্বনামধন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং সার্ভিস গ্রুপ অফ কোম্পানি কোচ হোল্ডিংস এর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যাদের বাৎসরিক অবদান তাদের ন্যাশনাল জিডিপির ৯%। আইগ্যাস ইউনাইটেড বাংলাদেশের এলপিজি সেক্টরে পরিবর্তন আনতে চায় তাদের কারিগরি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা, অর্থনৈতিক সামর্থ্য, দক্ষ সাপ্লাই চেইন ব্যাবস্থা এবং ডিস্ট্রিবিউটর এবং রিটেইলার কেন্দ্রিক ব্যাবসায়িক মডেল এর মাধ্যমে।


আরও খবর



মাগুরায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা:বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি" শীর্ষক স্লোগানকে সামনে রেখে   মাগুরা  শেখ কামাল ইনডোর স্টেডিয়ামে ৪৫ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন করেন মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। সোমবার ২২ এপ্রিল বিকেলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)  মো: রোকুনুজ্জামান  সভাপতিত্ব করেণ। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ. মো: শামীম কবির, সিভিল সার্জন, মাগুরা;  মো: কলিমুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মাগুরা;  সানিউল কাদের, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, মাগুরা;  আ.ফ.ম.আব্দুল ফাত্তাহ, সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগ, মাগুরা; প্রফেসর রেজভী জামান, অধ্যক্ষ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ মাগুরা প্রমুখ।

মেলায় সমগ্র মাগুরা জেলার ২৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর এর তত্ত্বাবধানে ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে উদ্ভাবন কার্যক্রমকে উৎসাহিত সেরা উদ্ভাবনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া, উক্ত অনুষ্ঠানে আয়োজিত বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝেও পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। 

আরও খবর



মাগুরায় আগুনে পুড়ে দুই পরিবারের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি!

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের সরইনগর গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুই পরিবারের লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে । আগুনে বসতঘর, থাকা আসবাবপত্র, গোয়ালঘর, রান্নাঘরসহ পুড়ে গেছে পুড়েছে বাড়িতে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র । শনিবার দুপুর ২ টার দিকে আবু বক্কার শেখ ও আকামত শেখের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম দ্রুত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাড়ির মালিক আবু বক্কার শেখ ও আকামত শেখ জানান, দুপুর ২ টার দিকে রান্নাঘরের পাশে থাকা ছাইয়ের গাদা থেকে রান্নাঘরে প্রথমে আগুন লাগে। আগুন দ্রুত আশেপাশের বসতঘর ও গোয়ালঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমাদের দুই পরিবারের লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাষ্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে দুই পরিবারের প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আরও খবর



ফুলবাড়ীতে সংসদ সদস্যের বিশেষ বরাদ্দের ২৪লক্ষ টাকা বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দিনাজপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য এ্যডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপির বিশেষ বরাদ্দ ফুলবাড়ীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছে ।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে এমপির বরাদ্দ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সংসদ সদস্যের পক্ষে চেক বিতরণ করেন ফুলবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক, সহ- সভাপতি আবুল কাশেম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম ডাবলু, উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, কাজীহাল ইউপি চেয়ারম্যান মানিক রতন, খয়েরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, এলুয়াড়ী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মমতাজুর রহমান, দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মোট ২৪ লক্ষ টাকার এই বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এ সময় প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বেনাপোলে চেকপোষ্টে কাস্টমস সুপারের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন শার্শায় কর্মরত দৈনিক যায়যায়দিন ও বাংলাদেশ টুডের সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম।

শনিবার সকালে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ব্যাগেজ তল্লাশীর সময় সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের সাথে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন।

এক পর্যায়ে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের পাসপোর্ট ও মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে কয়েক দফা ধাক্কা দিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং অপ্রিতীকর ভাষা ব্যবহার করেন কাস্টমসের ওই কর্মকর্তা।

এসময় কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিলে কোন সাংবাদিককে পরোয়া করেননা বলে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিক আশরাফুল ভারতে টুরিষ্ট ভিসা'য় বেড়াতে যান গত ২দিন আগে। আজ ফেরার সময় ৫ বোন ও মায়ের জন্য ১২টি শাড়ি আনছিল। এ অপরাধে তাকে ঐ কাষ্টমস কর্মকর্তা সাংবাদিকের শাড়িগুলাে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় ঐ কর্মকর্তার সাথে বাগবিতন্ডা হওয়ার এক পর্যায়ে সাংবাদিককে তিনি শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।

এ ঘটনার পর সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম বেনাপোলে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে ঘটনাটি জানালে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের সাথে বিষয়টি নিয়ে সমাধান করেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পাসপোর্ট যাত্রী জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান ব্যাগেজ তল্লাশির নামে সাধারণ যাত্রীদেরকে নানা রকম ভাবে হয়রানি করেন। কেউ কোন কথা বললে তার পাসপোর্ট ও মালামাল কেড়ে নিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন।

সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীরা বলেন, যদি সাংবাদিককে এভাবে লাঞ্ছিত ও হয়রানি করা হয় তাহলে অন্যান্যদের অবস্থা কতটুকু ভয়ানক হতে পারে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এবং সকলের জীবন ও মালের নিরাপত্তার জন্য অনতি বিলম্বে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানকে এখান থেকে বদলি করা হোক।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেনের কাছে আনিত বিষয় নিয়ে জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।


আরও খবর



নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শুভ নববর্ষ’ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদযাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।

তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। একারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবিগুরুর ভাষায়...

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক। এসো হে বৈশাখ এসো, এসো...’


আরও খবর