Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম
ইসলামপুরে চার সন্তানের জন্ম দিলেন খুকি বেগম আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধি ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়: ধর্মমন্ত্রী পার্বত্যবাসীর কল্যাণে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল এিপুরা স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক মোটরসাইকেল চলাচলে ১৫৭ উপজেলায় তিন দিনের নিষেধাজ্ঞা অর্থমন্ত্রী করোনা আক্রান্ত জামিন পেলেন ইমরান খান জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সুরা কৃষ্ণ চাকমার ইউসিবিতে যোগদান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলা পুলিশের মহড়া অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর পরিশ্রম করেছে: ডোনাল্ড লু

চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ জনগণকে নগদ অর্থ ও জরুরি উপকরণ প্রদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ২২৩জন দেখেছেন

Image
বান্দরবান প্রতিনিধিঃসৃষ্টির সেরাজীব হয়েও পাহাড় কেটে,ঝিড়ি-ঝর্ণার পাথর তুলে প্রকৃতিকে ধ্বস করছি আর খাল-বিল নালার পানি প্রবাহকে দখল করে অট্টালিকা গড়ে তুলছি। সুতরাং প্রকৃতির বিরূপ আচরণের প্রভাব পরবেই সাথে সাথে অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হবেই। তাই জলবায়ু পরিবর্ত ও দুযোর্গ মোকাবেলায় আমাদেরকে  আরো সচেতন হতে হবে। আজ ৩১ আগস্ট সকালে বান্দরবান সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে  বান্দরবানে কারিতাস বাংলাদেশের উদ্যোগে বন্যা দুর্গতদের নগদ অর্থ ও ত্রাণউপকরণ বিতরণের সময় পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।

কারিতাস বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের  ব্যবস্থাপনায় এবং স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশে এর মাধ্যেমে যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জার্সি সরকার এবং সিআরএস-এরআর্থিক সহায়তায় বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার জেলায় মোট ৩,৭৫০ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করার প্রকল্প গ্রহণ করেছে কারিতাস বাংলাদেশ।

স্থানীয় সংস্থা হিসেবে এতে বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তা প্রদান করছে বান্দরবানে হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন ও রাঙ্গামাটিতে আশিকা। আজ বৃহস্পতিবার বান্দরবান সদর ইউনিয়ন হতে নির্বাচিত ১৫০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তাদের জরুরী প্রয়োজন যেমন খাদ্য ও পানীয়,ওষুধসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য পরিবার ভিত্তিক ৫,৫০০ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কারিতাস বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মার্সেল রতন গুদা, বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার অরুন রতন সিংহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ কাজী রায়হান কাজেমী, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বান্দরবান জেলার সেক্রেটারি অমল কান্তি দাশ, হিউম্যানিট্যারিয়ান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মং মং সিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
উল্লেখ্য, পর্যায়ক্রমে বান্দরবান জেলাসহ নির্বাচিত এলাকায় মোট ৩,৭৫০ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তাও উপকরণ বিতরণ করা হবে।

আরও খবর



বিরামপুরে বন্ধুর ব্যাগ তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃবন্ধুর পড়ে যাওয়া ব্যাগ তুলতে গিয়ে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর রেলষ্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল বকুল হোসেন (১৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে সোয়া ৯টার দিকে বিরামপুর রেলষ্টেশনে পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় বকুল হোসেন (১৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার এ ঘটনা ঘটে।

ট্রেনের ধাক্কায় নিহত শিক্ষার্থী বকুল হোসেন (১৫) বিরামপুর উপজেলার হাবিবপুর দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র এবং হাবিবপুর গ্রামের মেহেদুল ইসলামের ছেলে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বকুল হোসেন বন্ধুদের সাথে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিরামপুর স্টেশনে চিলাহাটি এক্স্রপ্রেস ট্রেনে ওঠে। ঘটনাক্রমে তার এক বন্ধুর ব্যাগ ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যায়। বন্ধুর পড়ে যাওয়া ঐ ব্যাগটি তুলতে নিচে যায় বকুল হোসেন।  এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরামপুর রেলস্টেশন অতিক্রম করাকালে বকুল ট্রেনের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জান্নাতুন ফেরদৌস তাকে মৃত: ঘোষণা করেন।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে এবং মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



৫ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সুবিধাকে আরও এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নিয়ে সরকার কাজ করছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)। আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ২ তৈরির কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ। আর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নির্মাণে একাধিক দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। এই মুহূর্তে সবার প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে।

রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের ৬ষ্ঠ বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এসব তথ্য জানান তারা।

অনুষ্ঠানে কক্সবাজার থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে আমাদের বিজয় কেতন উড়ছে। এই কেতন যেন চিরদিন উড্ডীন থাকে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে দেশকে সংযুক্ত করে যেনো আমরা উন্নত দেশের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যেতে পারি।

বিশেষ অতিথি প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, ‘এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে ১৫০ কোটি টাকার মতো আয় আসছে। এটি আরও বাড়ানোর জন্য সরকার কাজ করছে।‘

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যাদ্বয় বেঁচে যাওয়ার সঙ্গে বেঁচে গেছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। আজ আমরা অর্থনৈতিক মুক্তির দ্বারপ্রান্তে। সাংস্কৃতিক মুক্তির আন্দোলনও শুরু হয়েছে।  

পলক আরো বলেন, সরকার এখন বাড়ি বাড়ি সংযুক্ত ক্যাবল সংযোগও ডিজিটাল করতে চায়। ভবিষ্যতে টেলিভেশন দর্শকদের ভিডিও অন ডিমিান্ড থেকে শুরু করে নতুন নতুন সেবা দিতে চাই ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশর পক্ষ থেকে। অ্যাটকো-কোয়াব সবাইকে নিয়ে এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করবো। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অল্প দিনের মধ্যে সেটটপ বক্স বন্ধে কঠোর অভিযান শুরু হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রযুক্তি মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি করতে চাই।

সভাপতির বক্তব্যে ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, এই স্যাটেলাইট জনসম্পদ সুরক্ষা, অভ্যন্তরীণ নদী ও উপকুলের জলাভূমি, সমুদ্র ও নদীর স্তর স্রোতের গতি প্রকৃতি ও পানির গুণগত মান বিশ্লেষণ, জলীয় সম্পদের পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি, ভূমি গবেষণা, আবহাওয়া গবেষণা, ব্লু ইকোনোমি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইটের সি ব্যান্ড প্রায় শেষের দিকে। স্যাটেলাইটের জন্য প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এর মাধ্যমে দেশের সবগুলো চ্যানেলের পাশাপাশি এখন ২৬টি বিদেশি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। সাড়ে ৪ থেকে পৌনে ৫ বছরে বছরের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আয় হচ্ছে। এটি এতো ভালোভাবে উৎক্ষেপন ও পরিচালনা করা হয়েছে, আমি মনে করি স্যাটেলাইটের মেয়াদ ১৫ বছর থাকলেও, এটি ১৮ বছর পর্যন্ত বাঁচবে। আগামী তিন-চার মাস পর যখন এটি রিপ্লেসমেন্টের কাজ শুরু হবে সেটি আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে পারবো।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, অ্যাটকো সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর



মাটিরাঙ্গায় বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে

বুধবার (১৪ মে )বিকেল ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি বনবিভাগের  বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.ফরিদ মিঞা এর দিক নির্দেশনায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তীর সার্বিক সহযোগিতায় লজ্জাবতী বানরটি মাটিরাঙ্গা বন বিভাগের  কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে মাটিরাঙ্গা রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনে অবমুক্ত করা হয়।

 লজ্জাবতী বানরটি মাটিরাঙ্গা রেঞ্জের বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের  ৮নং ওয়ার্ড হইতে স্থানীয় এলাকাবাসীর  সহযোগিতায় মাটিরাঙ্গা  রেঞ্জের কর্মকর্তা উদ্ধার করেন।গত ছয় মাসে মাটিরাঙ্গা 
রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনে ৪টি লজ্জাবতী বানর
অবমুক্ত করা হয়েছে।

লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা, মো. আতাউর রহমান লস্কর, মাটিরাঙ্গা রেঞ্জের ফরেষ্টার মো. তৌহিদুর রহমান, ফরেস্টার, মো. আক্কাচ আলী, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সহ-সভাপতি মো.জসীম উদ্দিন জয়নাল, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো.মুজিবুর রহমান ভূইঁয়া সহ বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা  উপস্থিত ছিলেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী বলেন, বনজঙ্গল ও গাছপালা উজাড় হওয়ায় প্রায় সময় খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে বেরিয়ে এসে স্থানীয়দের হাতে লজ্জাবতী ধরা পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে। এসব বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করতে হলে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয়দেরও সচেতন করতে হবে।

আরও খবর



ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে,রিয়াজ মাহমুদকে সভাপতি ও সাগর আহম্মেদ শামীমকে সাধারণ সম্পাদক করে।

শনিবার (৪ মে) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতানা বাস্তবায়ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট মহানগর বিনির্মাণের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গা কমিটি ঘোষণা করা হলো।

কমিটিতে সহ সভাপতি হয়েছেন ৬৮ জন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ১১ জন।

এছাড়ার প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শাকিল আহমেদ রকি, দপ্তর সম্পাদক বিজয় সূত্রধর, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদ হাসান সুজন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক আরাফাত হাওলাদার, সমাজসেবা সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান আকাশ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাসিবুল খান আজিম, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আহাদ সিকদার সফল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. রুবেল মিয়া, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক মো. সজিব মিয়া, স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক তাকদীর হোসেন শান খান।


আরও খবর



বিএনপি সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস।

তিনি বলেন, জাতির পিতার নিদের্শে ’৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মাতৃ মৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবারও চালু করি। বর্তমানে সারাদেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র বা পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতি সেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি। মাতৃ স্বাস্থ্য সেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। ‘মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।


আরও খবর