Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির চুক্তি সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে আইনজীবি সমিতির সদস্যদের যাবতীয় ফিস ও বার্ষিক চাঁদা আদায়ের লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুভাষ চন্দ্র দাস এবং সমিতির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চট্টগ্রামের জেনারেল ম্যানেজার অফিসের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেম, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. আলী আশরাফ আবু তাহের, জেনারেল ম্যানেজার অফিস চট্টগ্রামের জেনারেল ম্যানেজার মো. মুছা খান, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আতিকুর রহমান, ব্যাংকের অন্যান্য নির্বাহী, কর্মকর্তা ও আইনজীবি সমিতির সদস্যরা।

এই চুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্যরা ঘরে বসে অনলাইনে সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে তাদের বার্ষিক বিভিন্ন চাঁদা ও যাবতীয় ফিস পরিশোধ এবং ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, সোনালী ই-সেবা মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসে ২ মিনিটে ব্যাংক হিসাব খোলা যায় এবং সোনালী ই-ওয়ালেট-এর মাধ্যমে দিন রাত যে কোন সময় ব্যাংকিং লেনদেন করা যায়। ফলে অনলাইনের মাধমে যাবতীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে বিএফএফ- সমকাল বিতর্ক ফাইনালে পুলিশ লাইন্স হাইস্কুল চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলায় বিএফএফ – সমকাল বিজ্ঞান বিতর্ক প্রতিযোগিতা  ফাইনাল পর্বে বিচারকদের ফলাফলে সমান নম্বর পাওয়ায় লটারীতে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ বেছে নেতে হয়েছে। এতে খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্স হাইস্কুল চ্যাম্পিয়ন এবং খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রানারআপ হয়েছে।

সুন্দর বাচনভঙ্গি আর উপস্থাপনে শৈলী গুণে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাজমিম সুলতানা শ্রেষ্ট বক্তা হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) খাগড়াছড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক অংপ্রু মারমা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নীলোৎপল খীসা, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, টি-শার্ট এবং সনদপত্র তুলে দেন।


সমকাল প্রতিনিধি প্রদীপ চৌধুরী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দুই পর্বের আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও নিজেদের সংক্ষিপ্ত মতামত প্রকাশ করেন।

প্রতিযোগিতায় মডারেটর ছিলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতী বীরেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে কে. আই. উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন মিঠু, খাগড়াছড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জ্ঞানজ্যোতি চাকমা এবং খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব’র কোষাধ্যক্ষ- নারী সাংবাদিক চিংমেপ্রু মারমা।

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নীলোৎপল খীসা, বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে এখন শিশু থেকে সববয়সী মানুষ এখন মোবাইল আসক্তিতে ডুবে আছে। কম্পিউটার নির্ভরতার কারণে অনেকের সুন্দর হস্তাক্ষর হারিয়ে যাচ্ছে। জ্ঞানের নানা শাখার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে একটি প্রজন্ম পুরোটাই ইন্টারনেট বিনোদনে ঝুঁকে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধিৎসু করে গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য বিতর্ক এবং বইপড়া খুবই জরুরী।

আরও খবর



বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ভূঁইয়া স্মৃতি ফাউন্ডেশন মেধা বৃত্তি পরীক্ষার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার,স্টাফ রিপোর্টারঃ সেনবাগ উপজেলার কানকিরহাট সিদীপ মর্ডান স্কুল কতৃক আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ভূঁইয়া স্মৃতি ফাউন্ডেশন মেধা বৃত্তি পরীক্ষার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান শুক্রবার সকালে কানকিরহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোরশেদ আলম এমপি।  মামুন আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্ন সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা বাবু শৈলেন্দ্র কুমার অধিকারী, বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, এস এ গ্রুপের কো-অর্ডিনেটর,ঢাকাস্থ সেনবাগ পেশাজীবি পরিষদের সভাপতি হাসান মঞ্জুর, ঢাকার রয়েল ইউনিভার্সিটির প্রান্তন পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডঃ আবদুল কাশেম মজুমদার,সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাহার উল্যা,টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আবু তালেব,এজে আর গ্রুপের চেয়ারম্যান সামছু উদ্দিন আহমেদ রিয়াদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব, জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবু ইমাম হোসেন, মহি উদ্দিন মজুমদার প্রমুখ।

আরও খবর



বেইলি রোড ট্রাজেডি // মৃত বেড়ে ৪৫, ৩৯ জনের পরিচয় শনাক্ত, বাকি ৬

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৩৯ টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা গেলেও বাকি ৬ মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। পরিচয় শনাক্ত হওয়া ৩১ লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে ঢাকা জেলা প্রশাসনের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ৩১ লাশের কোনও ধরনের ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ৬টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। তাই তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, লাশ হস্তান্তরের কাজটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ করছে। আমরা তাদেরকে সহায়তা করছি। এ ছাড়া মৃতদের পরিবারের মধ্যে যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নন তাদেরকে আমরা ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা করেছি।

এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, বেইলি রোডে ভবনে আগুনের ঘটনায় কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও খবর



সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন সব প্রকার বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি।

২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করি কালরাতে আত্মোৎসর্গকারী সেই সব শহীদদের, যাদের তাজা রক্তের শপথ বীর বাঙালিদের অস্ত্রধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না, নর-নারী-শিশু হত্যা আমাদের তীব্রভাবে ব্যাথিত করে। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই শান্তি বিরাজমান থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তির নীতি অনুসরণ করি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছর ধরে শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার প্রয়াসে সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন। সেই থেকে ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর একুশ দফা, ’৬২-এর আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সব আন্দোলন সংগ্রামে অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এদেশটির নাম হবে পূর্ব-পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছিলেন এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পুরো জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ’৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু, পাক-সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে। বৈঠকের মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে নিরস্ত্র বাঙালি নিধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন; ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন এবং ১৫ মার্চ থেকে ৩৫ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ সারা পূর্ব-বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সব প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তার আদিষ্ট পথেই পরিচালিত হতে থাকে। বাংলাদেশে ইয়াহিয়ার শাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। ইয়াহিয়া-ভুট্টো বারবার সমঝোতার প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অটল থাকেন। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সারাদেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্য রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিচালনা করে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, বাঙালি পুলিশ ও সামরিক সদস্যদের হত্যা করতে থাকে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে। এর অব্যবহিত পূর্বেই জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান- ‘ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। —চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।’—যা প্রথমে ইপিআর এর ওয়্যারলেস মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে এই বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানিরা বন্দি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়; এমনকি তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। ১৩ জুন পাকিস্তানি সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যুক্তরাজ্যের ‘দ্য সানডে টাইমস’ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘জেনোসাইড’ শিরোনামে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম বর্বরতার বাস্তবচিত্র নির্ভর একটি বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করলে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি ত্বরান্বিত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়, ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারায় এবং গোটা দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

তিনি আরও বলেন, বাঙালি জাতির পিতা, রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের নির্জন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তার প্রাণাধিক প্রিয় স্বাধীন মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। শূন্য হাতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিয়ে ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসন করেন, অবকাঠামো পুনঃস্থাপন ও উন্নয়ন করেন এবং উৎপাদন খাত ও অর্থনীতিকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি প্রদান করে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ’৭১-এর পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাতে থাকে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট আরেক কালরাতে ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন। খুনি মোস্তাক-জিয়া ও তাদের উত্তরসূরিরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ২৫ মার্চে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কুশীলব, মানবতা বিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার খুনিদের মহান সংসদে বসিয়ে ও তাদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র পতাকা তুলে দিয়ে বাঙালি জাতির গর্বিত ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে। দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর আমরা জাতিসংঘের গণহত্যা বিরোধী কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করি। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শান্তির সংস্কৃতির ওপর রেজুল্যুশন গ্রহণের প্রস্তাব করি, যা ১৯৯৯ সালে গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তির সংস্কৃতির বর্ষ’ এবং ২০০১-২০১০ সময়কে ‘শান্তির সংস্কৃতি এবং অহিংস দশক’ ঘোষণা করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৮ সাল থেকে সবকটি নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে গত ১৫ বছরের বেশি সময় একটানা তাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত ‘দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম: নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড এ ফরগটেন জেনোসাইড’ -শীর্ষক গ্রন্থে তৎকালীন ঢাকাস্থ আমেরিকার কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাড-এর স্টেট ডিপার্টমেন্টে লেখা নিয়মিত প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিচালিত বর্বরতম গণহত্যার ভয়াল চিত্র উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছি। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা এড়াতে ভীত-সন্ত্রস্ত ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছি। বিশ্বের যেকোন স্থানে সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমরা ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি; ভবিষ্যত প্রজন্ম এই পরিকল্পনাকে সময়োপযোগী করে বাস্তবায়ন করতে পারবে।


আরও খবর



বাজারে প্রভাব এড়াতে শনিবারেই চিনি রিফাইন ও সরবরাহ শুরুতে আশাবাদী এস. আলম গ্রুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এস. আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের একটি চিনির গুদামের দুর্ভাগ্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিগত ৪ মার্চ বিকেলে ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনা ঘটে। সরকারের উচ্চমহল, ফায়ার সার্ভিস, নৌ ও বিমানবাহিনী সহ মিলের কর্মচারী ও প্রশাসনের সার্বিক প্রচেষ্টায় প্রায় ৬৪ ঘণ্টা পর গুদামের আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়েছে। আগামী শনিবার (৯ মার্চ) থেকে যেন আবারো চিনি উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু করা যায়, তাই মিল পরিষ্কারের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ফলে আগুনে পুড়ে গেছে ১ লাখ টনের মতো অপরিশোধিত চিনি। সৌভাগ্যবশত আশেপাশেই অবস্থিত চিনির অন্য ৩-৪টি গুদাম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আগামী ১০-১২ দিনের পরিশোধিত চিনি প্রস্তুত রয়েছে যা ভোক্তাদের জন্য বাজারের সরবরাহ নিশ্চিত করবে। অধিকন্তু, শনিবার থেকে পুনরায় চিনি পরিশোধন কার্যক্রম শুরু হলে তা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।

এস. আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান বলেন,  “আজ বিকেল থেকে ইতোমধ্যে পরিশোধিত থাকা চিনির মজুত থেকে বাজারে সরবরাহ শুরু হচ্ছে। আগামী শনিবার থেকে মূল কারখানায় উৎপাদন শুরু করা হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এই অগ্নিদুর্যোগের কোনো প্রভাব যেন বাজারে না পড়ে।”

তিনি আরো বলেন, “পুড়ে যাওয়া গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। বাকি গুদামগুলোতে বর্তমানে ৬ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল রয়েছে।”

এস. আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে প্রয়োজন মোতাবেক সব ধরনের ফায়ার ইকুইপমেন্ট ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাই ছিল। তবে আগুনের ভয়াবহতা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় তা তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। দেশের সুগার মিলে সবচেয়ে বড় এ অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে  সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এটি নাশকতার ঘটনা কি না তাও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে কল-কারখানা অধিদপ্তর।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিবেশ দূষণ এড়াতে- গলিত চিনি এস. আলম গ্রুপের নিজস্ব খালি জায়গায় সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। প্রায় ৩০টি ডাম্পট্রাক দিয়ে গলিত র-সুগার ডাম্পিং করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে হচ্ছে যাতে র-সুগার নদীতে না পড়ে। এছাড়া, গুদামের দেওয়াল ধসে পড়ার আশঙ্কায় দেওয়া হয়েছে বালির বাঁধ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছিল সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।


আরও খবর