রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃচলতি মৌসুমে অসময়ের বৃষ্টিপাতে মাটিতে পড়ে গেছে অপ্রাপ্ত সরিষার ফসল বিপাকে পড়েছে রাজশাহীর মধু চাষিরা।
এঅঞ্চলের কৃষকরা এমৌসুমে সরিষার আবাদকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। সরিষা উঠিয়ে আবার বোরো ধান রোপন করেন এই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সরিষার ব্যাপক চাষবাদ করেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। ভাগ্য খারাপ হওয়ায় অসময়ের বৃষ্টিতে অপ্রাপ্ত সরিষার গাছ মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ১৪ মনের ¯’লে বিঘায় ফলন পাবে ৪ থেকে ৫ মন কমে গেছে বিঘা প্রতি ৭ থেকে ৮মন করে সরিষার ফলন। এনিয়েই হতাশায় রৌমারী উপজেলার সরিষা চাষি কৃষকরা।
অপরদিকে রৌমারী উপজেলার কৃষকরা যোগ যোগ ধরেই বুকে ধারণ করে আসছিলেন সরিষার আবাদ। এছাড়া অন্যকোন ফসল খুবই কম চাষ করা হয়। কারন এই অঞ্চলটি ভারতীয় সীমান্তঘেষা নিচু এলাকা হওয়ায় এই অঞ্চলে চাষিরা সরিষা উঠিয়ে রোবো ধান রোপন করে থাকেন।এই দুটি ফসলই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন নিচু এলাকার কৃষির উপর নির্ভরশীল কৃষকরা।
দেশের উত্তর পূর্বাঅঞ্চল কুড়িগ্রামের রৌমারী এবং চর রাজিবপুরসহ দুটু উপজেলাই সিমান্ত এলাকা। এই দুই উপজেলার কৃষকরা সরিষা উঠিয়ে বোরো রোপন করে ধান কেটে ঘরে তুলার পর ৬ মাসই পানির নিচে ডুবে থাকে ফসলের মাঠ।
এবিষয় সীমান্ত এলাকার সরিষা চাষি দুদু মিয়া, হাফিজুর রহমান, আলী আহম্মেদ জানায় এবার সরিষার আবাদে ব্যাপক ক্ষতি। যেখানে বিঘায় প্রতিবছর ১৪ মন করে সরিষা পেয়ে থাকি এবার বৃষ্টির কারনে বিঘায় ৪ মন করে সরিষা হবে এতে খরচের টাকা আসবেনা।
অপরদিকে রাজশাহী থেকে আসা মৌচাষিরা প্রতিবছরই আসে এঅঞ্চলে মধু সংগ্রহ করে সরিষার ফুল থেকে এবার কিন্ত অন্যান্য বছরের তুলনায় হ”েছনা। কারন জানতে চাইলে রাজশাহীর মৌচাষি শহিদুজ্জামান বলেন রৌমারীতে আসার পর থেকেই টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে সরিষার ফুল ঝরে পড়ায় মধু সংগ্রহ করা অসম্ভব। সাতক্ষীরার মৌ খামারি নুরুল ইসলাম, বলেন ভাই বৃষ্টির কারনে সরিষার ফুল ঝরে যাওয়ার পাশাপাশি মৌমাছি বাক্সেই মারা যা”েছ। তিনি আরও বলেন আকাশ অনুকুলে না আসলে মৌমাছি টিকানো যাবেনা অনেক বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা পয়েছে। এবিষয় রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী বলেন সারে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষমাত্রাছি সেখানে তা ছাড়িয়ে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে বৃষ্টির কারনে কিছু কিছু সরিষা মাটিতে পড়ে যাওয়ায় একটু ফসল কম পাবে এছাড়া সবকিছুই ঠিক আছে।