Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

চিকিৎসাধীন ১০ জ‌নের কেউই শঙ্কামুক্ত নন ‘শ্বাসনালী পু‌ড়ে গে‌ছে: ডা. সামন্ত লাল সেন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ২২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের দুটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় শ্বাসনালী পু‌ড়ে যাওয়ায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চি‌কিৎসাধীন ১০ জ‌নের কেউই শঙ্কামুক্ত নন ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ বুধবার সোয়া ১১টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে সাংবা‌দিক‌দের সঙ্গে আলাপকা‌লে তিনি এ তথ্য জানান।

ডা. সামন্ত লাল সেন ব‌লেন, ‘গতকালের দুর্ঘটনায় আমা‌দের এখা‌নে ১১ জন রোগী ছিল, তার ম‌ধ্যে একজন‌কে ঢাকা মে‌ডি‌কে‌লে ট্রান্সফার করা হ‌য়ে‌ছে; কারণ তার বার্ন নাই।

ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক বলেন, ‘বর্তমানে যে ১০ জন আছে তার ম‌ধ্যে তিন জন আইসিইউতে, দুজন লাইফ সা‌পো‌র্টে আছে। আর বা‌কিরা আছেন এস‌ডিইউ‌তে।

চি‌কিৎসাধীন ১০ জ‌নের ম‌ধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত নয় জা‌নি‌য়ে এই চিকিৎসক ব‌লেন, ‘যারা আছে তা‌দের কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। কারণ, কারও শরীরের ৮০ পার‌সেন্ট, কারও ৯০ পার‌সেন্ট; কারও ৫০ পার‌সেন্ট দগ্ধ হয়েছে। সবারই শ্বাসনালী পু‌ড়ে গে‌ছে। আমরা কাউকেই শঙ্কামুক্ত বল‌তে পারব না।


আরও খবর



টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে গ্রামের একটি অংশের নাম পরিবর্তনের প্রচেষ্টা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি ঘাটাইল (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার নবগঠিত সংগ্রামপুর (বৃহত্তর সন্ধানপুর) ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শত বছরের পুরাতন বগা গ্রামের পূর্ব   অংশের নাম পরিবর্তন করে বগা তরফদার পাড়া করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ১০ মে (বুধবার) গ্রামের পূর্ব অংশে তরফদার বংশের কিছু লোক একত্রিত হয়ে  গ্রামের পূর্ব অংশের নাম পরিবর্তন করে পাকুটিয়া থেকে দেওজানা রোডে ৩টি আলাদা আলাদা জায়গায়  ব্যানারে 'তরফদার পাড়া' লিখে নাম পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

বগা গ্রামের পূর্ব অংশে তরফদার বংশের বসবাস। আগে বগা পূর্বপাড়া অথবা চটাপাড়া নামে পরিচিত ছিল। তরফদার পাড়ার পূর্ব অংশে মূলবাড়ী গ্রাম, দক্ষিণে সত্তুরবাড়ী গ্রাম, উত্তরে বগা উত্তরপাড়া  এবং পশ্চিমে বগা পুকুরচালা অবস্থিত। ২০১২ সালে স্থাপিত বগা তরফদার পাড়া বায়তুন নুর জামে মসজিদ এর বারান্দার দক্ষিণ রাস্তা মুখী একটি পোস্টার, পূর্বে মজিবর তরফদারের বাড়ীর পূর্ব পাশে ব্রিজ পাড়ে, এবং পশ্চিমে আঃ ছামাদ তরফদারের বাড়ির পশ্চিমে মোট তিনটি " স্বাগতম তরফদার পাড়া, বগা পোস্টার টানানো হয়।

মূলত উত্তরে ওয়াহেদ কারী তরফদার এর বাড়ী,  পূর্বে মজিবর তরফদার থেকে পূর্ব  দক্ষিণে জুলহাস তরফদার, দক্ষিণ পশ্চিমে কামরুল তরফদার পশ্চিম উত্তরে আঃ ছামাদ তরফদার  এর বাড়ী পর্যন্ত তরফদার পাড়া নামে পরিচিত।এ অংশে একটি মসজিদ, মসজিদের পাশেই রয়েছে গোরস্থান এবং মাদ্রাসা নির্মাণের কাজ চলিতেছে। উল্লেখ্য তরফদারদের মূলবাড়ী গোরস্থান সহ ৪টি গোরস্থান থাকলে বর্তমানে মসজিদ গোরস্থান হচ্ছে এদের কেন্দ্রীয় গোরস্থান। সজীব তরফদার সাঈম জানায়, বর্তমানে ৪৫ টির মতো পরিবারের মধ্যে মাত্র ৫/৬ টি পরিবার রয়েছে অন্য বংশের।

সকলের  সন্মতিতে ২০১২ সালে মসজিদ তৈরি করে আমরা বগা তরফদার পাড়া জামে মসজিদ নামকরণ করেছি। এখন আমরা  মহল্লার পুরো অংশের নাম পরিবর্তন করা চেষ্টা চালাচ্ছি। জানা যায়, বগা গ্রামটি শত বছরের পুরাতন একটি গ্রাম। গ্রামে বিভিন্ন বংশের লোক বসবাস করলে পূর্ব পাশের পুরো অংশে একটি বংশের লোক বসবাস করে আর তা হলো তরফদার বংশ। ১৮ শতকের শেষের দিকে গুমান তরফদার ভুয়াপুর উপজেলা থেকে ঘাটাইলের দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে বসবাস শুরু করে।

এবং ১৯ শতকের শুরুর দিকে তার ছেলে চানঁ তরফদার ও তার চার মেয়ে ও তিন ছেলে জুলমত তরফদার, এবার উদ্দিন তরফদার ও রেফাজ উদ্দিন তরফদার কে নিয়ে পাহাড়িয়া বগা গ্রামের পূর্ব অংশে এসে বসবাস শুরু করেন। এরপরে বড় ছেলে জুলমত তরফদার মারা যান স্বাধীনতার পূর্বে, তাকে দাফন করা হয় তার বাড়ির পশ্চিম পাশে পুরনো গোরস্তানে। তার ২ মেয়ে ও ৩ ছেলে মাজম আলী তরফদার, হোসেন আলী তরফদার, শমসের আলী তরফদার। ছোট ছেলে রেফাজ উদ্দিন তরফদার মারা যান ১৯৩৮ সালে, তাকে দাফন করা হয় তার বাড়ির পাশেই।

তার ২ ছেলে তোরাপ আলী তরফদার ও আরশেদ আলী তরফদার। মেজো ছেলে এবার উদ্দিন তরফদার মারা যান ১৯৭৭ সালের ১৭ মার্চ রোজ বুধবার, এবং তার সহধর্মিণী আহাতন নেছা মারা যান ১৯৮৬ সালের ২৩ মে রোজঃ বুধবার। তাদের  দাফন করা হয় রেফাজ উদ্দিন তরফদারের কবরের পাশে।  তাদের ৭ ছেলে আকবর আলী তরফদার, ওয়াহেদ কারী তরফদার, জাফর আলী তরফদার, বর্তমানে জীবিত আছে ছোট চার ছেলে হলো কলিম উদ্দিন তরফদার।

মজিবর রহমান তরফদার, ফজলুর রহমান তরফদার, কাজী আব্দুল আউয়াল তরফদার। তিন কবরের গোরস্থান বর্তমানে মজিবর ও ফজলুর তরফদারের বাহির বাড়িতে অবস্থিত। গুমান তরফদার থেকে শুরু করে বর্তমানে অষ্টম প্রজন্ম এখানে মিলে মিশে যুগ যুগ ধরে গ্রামের অন্য বংশের লোকজনের সাথে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন। এ ছাড়াও তরফদার বংশের কিছু লোক বগা মধ্যপাড়ার মাদ্রাসার পাশে বসবাস করে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি তাজুল ইসলাম মিলন গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image
গাইবান্ধা সংবাদদাতা:গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি তাজুল ইসলাম মিলন ওরফে ককটেল মিলনকে (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ। ১ মে সোমবার দুপুরে পৌরশহর হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত মিলন কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের আজগার আলী মাস্টারের ছেলে।

পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।তিনি আরো বলেন তাজুল ইসলাম মিলন ওরফে ককটেল মিলনের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনাসহ  অসংখ্য সন্ত্রাস নাশকতা জ্বালাও পোড়াও মামলা চলমান রয়েছে।

আরও খবর



নাসিরনগরের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী গাবতলার শিন্নি

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

২৯ শে বৈশাখ প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার  ভাটির রানী নামে খ্যাত গোয়ালনগর ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের উত্তরে আল রামপুর গ্রামের পশ্চিমে নদীর পাড়ে খোলা আকাশের নীচে অবস্থিত হাজার বছরের ঐতিহ্য গাবগাছ তলে অনুষ্টিত হয়ে গেছে বাৎসরিক গাবতলীর সিন্নি।সরেজমিন এলাকা গিয়ে দেখা গেছে নোয়াগাঁও গ্রামের উত্তরে আর রামপুর গ্রামের পশ্চিমে নদীর পাড়ে হাজার বছর বয়সী দুটি গাবগাছ দাড়িয়ে রয়েছে।


একটি গাছে প্রতিনিয়তই গাব ধরে যাচ্ছে আর অপরটি তার সঙ্গী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে।স্থানীয়রা জানায় ওই গাছের গাব খুবই সুমিষ্টি আর সুস্বাধু হওয়ায় গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা গাবপাকার সাথে সাথে সাথেই  গাছ থেকে পেরে নিয়ে খেয়ে ফেলে।প্রচন্ড গরমের সময় পথচারী আর স্থানীয়রা  গরম থেকে রক্ষাপেতে গাবতলার নীচে বসে সু শীতল বাতাস উপভোগ করে।মানুষের পাশপাশি মাঠে থাকা গরু গুলো যখন গরম অনুভব করে তখন গরু গুলোও শীতল বাতাসের আশায় গাবতলায় গিয়ে আশ্রয় নেয়।স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানায়,এই গাব গাছ গুলোর সুনিষ্ট কোন বয়স কেউ বলতে পারছেনা।


তারা জানায় আমাদের মুরব্বিদের কাছ থেকে শুনেছি যুগের পর যুগ ধরে এ গাছগুলো এখানে দাড়িয়ে রয়েছে।এখানে অনেক পীর,অলি আর সাধকরা এসে সাধনা করে থাকেন।দুই গ্রাম আর আশপাশের অনেক লোকজন ওই গাছের নীচে মানত করে থাকে।এলাকার অনেক হিন্দুরাও এ গাছের নীচে বিভিন্ন পুঁজা দিয়ে থাকে।স্থানীয় লোকজন জানায়,এখানে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের ২৯ তারিখে হাজার হাজার নারী পুরুষ ও শিশুদের  সমম্ময়ে শিন্নি অনুষ্টিত হয়।


তারা আরো জানায় রামপুর গ্রামে যার পরিবারে যতজন লোক আছে প্রত্যেকের মাথাপিছু পাঁচ ছটাক করে চাউল তুলে শুধু মানুষ নয় যার যতটি গরু বাছুর,ছাগল মহিষ ভেড়া রয়েছে তাদেরও সমপরিমান চাউল তুলে ওই গাবগাছ তলে গুড় আর চাউল দিয়ে শিন্ন করে বিতরণ করা হয়।ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা হয় হবিগঞ্জ জেলার  সবুজবাগের পীর সৈয়দ নাসির উদ্দিন জুয়েলের সাথে।তিনি জানান,সারা পৃথিবীর কোন দেশে  এমন আর একটি গাছ আছে বলে আমার মনে হয় না ।তিনি বলেন আমার দাদার জীবদ্দশায় ওই গাবতলা বসে আরাধনা করতেন।


শুধু আমার দাদাপীর নয়,অনেক অলিরাই এখানে ধ্যানে মগ্ন থেকে খোদা সাধন করতেন।তবে গাছের বয়স সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওই গাছের সঠিক বয়স কেউই বলতে পারবেন না,তবে অনুমান হাজার বছর বয়সী হবে।আর যুগ যুগ ধরেই এই শিন্নি রেওয়াজ চলে আসছে।পীর নাসিরউদ্দিন জুয়েল সহ স্থানীয় লোকজন আর গাবতলার ভক্তরা জানায়,দিন দিন গাছগুলোর মাঠি সরে মাঠির উপরে শিখর বেরুতে শুরু করেছে।


গাছের গোড়া থেকে মাঠি সরে যাবার কারনে যে কোন সময় গাছ গুলো পড়ে গেলে হাজার বছরের ঐতিহ্য ধ্বংস হয়ে যাবে।তাই  হাজার বছরের ঐতিহ্য রক্ষায় গাছের গোড়া মাঠি দেয়া অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।পীর নাসিরউদ্দিন জুয়েল সহ গাবতলার ভক্তরা গাছগুলোকে রক্ষা করতে গাছের গোড়ায় মাঠির ব্যবস্থা করে দিতে দানশীল ব্যাক্তিবর্গ,নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সরকারী অনুধান কামনা করছেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, কমেছে ওভার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচেও তেমন কিছুর শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় ৩টা ৪৫ এর সময়। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে বৃষ্টির কারণে সেই টস অনুষ্ঠিত হয়েছে সাড়ে ৫টায়। খেলা শুরু হবে ৬টায়।

দেরিতে শুরু হওয়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্যও কমিয়ে আনা হয়েছে। দুই দল ৪৫ ওভার করে ব্যাট করার সুযোগ পাবে। টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। গত ম্যাচের একাদশ নিয়েই এই ম্যাচে নামছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও ইবাদত হোসেন।


আরও খবর



ইসির ক্ষমতা খর্ব হয়নি: রাশেদা সুলতানা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা খর্ব হয়নি। প্রচলিত আইনে ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত গাইবান্ধার মতো একটি আসনের পুরো ভোট বন্ধ করতে পারবে ইসি।

আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, নতুন আইনে ফলাফল ঘোষণার পরও নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছিল ইসি। সেটা সম্ভবত সরকার দিচ্ছে না। তবে কেন্দ্রের ফল প্রকাশের পরও ভোট বাতিল করতে পারবে কমিশন। সুতরাং ইসির ক্ষমতা খর্ব হয়নি বরং কিছুটা বেড়েছে।  

ইসি রাশেদা বলেন, নির্বাচনের ফলাফলের তিনটা পর্যায় আছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা কেন্দ্রে কেন্দ্রে একটা রেজাল্ট দেন, এই রেজাল্ট চারটা কপি করা হয়। একটা প্রার্থীদের জন্য, একটা সাঁটানোর জন্য, একটা রিটার্নিং কর্মকর্তার জন্য, আরেকটা কপি করতে হয়। এগুলো করার পর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠান। সেই রেজাল্ট হলো প্রাইমারি রেজাল্ট, চূড়ান্ত নয়। ওটার ওপর কে জিতল তার কার্যক্রম শুরু হবে না। শুরু হবে তখন, যখন কমিশন থেকে গেজেট হবে।

তিনি বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তারা কমিশনে ফলাফল পাঠানোর সময় কিছু অভিযোগ আসে। কিন্তু এই অভিযোগের বিষয়ে কমিশনের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। সেই অভিযোগের বিষয়ে কমিশন কিছু করতে পারে না। তাকে গেজেটটা করে দিতে হয়। তখন কমিশনের প্রতি অভিযোগকারীদের একটা অনাস্থা থেকে যায়।  একটা ক্ষোভ কিন্তু তৈরি হয়। এই জায়গা আমরা নতুন প্রস্তাবনা পাঠালাম সংশোধনীতে, যেটা মন্ত্রিপরিষদে গেছে। আমরা চেয়েছিলাম কোনো অভিযোগ আসলে কমিশন সেই গেজেট নোটিফিকেশনটা স্থগিত রাখবে। এরপর তদন্ত করে যদি অভিযোগটার সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে  আসনটার ভোট বাতিল করার। মন্ত্রিপরিষদ পুরো আসনের কথাটা বাদ দিয়ে অনুমোদন দিয়েছে। আমরা পুরোটা কপি এখনো দেখিনি।

গাইবান্ধার ভোট প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, ‘গাইবান্ধায় আমরা যখন সিসি ক্যামেরায় নানা ধরনের অনিয়ম দেখছিলাম, গোপন কক্ষের মধ্যে ভোটার ভোট দেওয়ার আগেই অন্য কেউ দিয়ে দিচ্ছেন। তখন আমরা ৯১ (ক) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে নির্বাচন বন্ধ করেছি। এখন আমরা চাচ্ছি, এক বা একাধিক কেন্দ্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার ফলাফল ঘোষণার পর এবং গেজেট হওয়ার আগ পর্যন্ত, এই মধ্যবর্তী সময়ে অভিযোগ এলে যেন তদন্ত করে বন্ধ করতে পারি। তখন সেখানে নতুন করে ভোট হবে। 

সম্প্রতি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ সংশোধনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। তারপরই বিতর্ক ওঠে নির্বাচন কমিশন  পুরো আসনে ভোট বাতিলের ক্ষমতা হারাতে যাচ্ছে।


আরও খবর