Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
সুনামগঞ্জে মাদক,কয়লা ও মোটর সাইকেলসহ ৩ জন গ্রেফতার সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ জারি আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন

ছাতকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে এক প্রবাসী পরিবার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

আনোয়ার হোসেন রনি ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:ছাতকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছে এক প্রবাসী পরিবার। আসামীরা মামলা তুলে নিতে নিয়মিত ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রবাসী পরিবারকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। প্রতিপক্ষরা মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে গত ১২ ডিসেম্বর বিকালে হাওরের প্রবাসীর উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় হামলাকারীরা প্রবাসীর শামছুদ্দীনকে মারপিট,ধান লুটপাট,প্রতারনা চালানোর অভিযোগ এনে সিংচাপইড় ইউনিয়নের কুমার কান্দি গ্রামের লন্ডন প্রবাসী শামছুদ্দীনের পক্ষে মারুফ মিয়া গত ১৭ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক প্রবাসী পরিবার।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও পুলিশ তাদের ধরতে পারছে না। সরকার দলীয় এক নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকা এসব আসামীরা বার-বার অপরাধ সংঘঠিত করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। প্রবাসী শামছুদ্দীনের সাথে গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র মোহাম্মদ আলীর ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পতি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে গত ১২ ডিসেম্বর প্রবাসী শামছুদ্দীনের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। হামলায় প্রবাসী শামছুদ্দীন ও শরিফ উল্লাসহ ৩ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। আহতদের ভর্তি করেন কৈতক হাসপাতালে।

সুত্রে জানায়, উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের কুমার কান্দি গ্রামে ছত্রিশ মৌজার, জে এল নং, এস এ ৩৩০ দাগ নং এস এ দাগে -৩০৪৯ পরিমান ০.৯৫শতক, ৩০৬১দাগের ৪০ শতক ও ৩০৬৪ দাগের৩.৮৬ একর প্রায় ১৩ কেদার আমন জমি বগাচার্ষ নিয়ে প্রবাসী জৈন উল্লার জায়গা জমি দখলে চেষ্টা করে একই গ্রামে আব্দুল জব্বারের পুত্র মোহাম্মদ আলীসহ একটি ভুমিচত্রæরা। তার বাবা প্রবাসী জৈন উল্লা দেশে বাড়িতে জায়গা জমি রেখেই হঠাৎ করে লন্ডনেই গিয়ে তিনি মারা যান। কয়েক মাস পরই তার পুত্র লন্ডন প্রবাসি শামসুদ্দিন লন্ডন থেকে দেশে আসেন। তার বাবা রেখে যাওয়া বাড়ি ঘর জায়গা সম্পতি একটি ভুমিখোকোরা ভুয়া তথ্য দিয়ে জবর দখলের চেষ্টা লিপ্ত নয়েছে। এ ঘটনায় কুমার কান্দি গ্রামে মৃত জৈন উল্লার পুত্র লন্ডন প্রবাসি শামসুদ্দিন বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আব্দুল জব্বারের পুত্র মোহাম্মদ আলীকে প্রধান আসামী করে আখতার মিয়া (২৫), জাকির হোসেন (২৬), তাজ উদ্দিন (৬০) আরব আলী (৬৫) গফুর মিয়া (৬০)  গফফার মিয়া(৫৫)সহ ৮জনের নামে বিরুদ্ধে গত ২২ নভেম্বর একটি পিটিশন-মামলা দায়ের করেন। (যার নং ১৬০/২০২৩ সুনামগঞ্জ স্মারক নং- ১৯৬১)।

এঘটনায় শামছুদ্দীন বাদী হয়ে গ্রামের আব্দুল গফ্ফার,আবদুস সালাম,মোহাম্দ আলী ও আব্দুল হাকিমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলা করায় আসামীরা ক্ষোব্ধ  হয়ে বাদীর পরিবারের ওপর চড়াও হয়। মামলা তুলে নিতে তারা প্রবাসী এ পরিবারকে বিভিন œভাবে হুমকী-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এঘটনায় প্রবাসী শামছুদ্দীন ১২ জনের বিরুদ্ধে ১৭ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল মাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা(নং-১৯৯/২০২৩) দায়ের করেন। এসব মামলা গুলো বর্তমানে ছাতক থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।

এব্যাপারে বাদী প্রবাসী শামছুদ্দীন জানান, ”জানে বাচতে হলে দেশ ছেড়ে লন্ডন চলে যা,নইলে খুন করে ফেলবো”,এদের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তার ক্ষেতের পাকা কেটে নিয়েছে। বর্তমানে আসামীদের ভয়ে  ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। এব্যাপারে জাউয়াবাজার পুলিশ ফাড়ি এ এস আই রিপন বাবু জানান, প্রবাসী শামছুদ্দীনের হাওরের জমি নিয়ে তার চাচাত্বো ভাইদের সঙ্গে বিরোধ চলছে। এ ঘটনায় ৩টি মামলা সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে দায়ের করেছেন।  মামলাটি তদন্তাধীন আছে। শীঘ্রই আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।


আরও খবর



খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।

বুধবার (১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে, তিনি যদি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন হন, তাহলেও তাকে আমরা ছাড়ি না, ছাড়বও না। সরকার চায়, দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। তাই আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখারও আহ্বান জানান।

আমি এক প্রতিষ্ঠানের মালিককে জিজ্ঞাস করলাম, ‘৮০০’ টাকা বেতনে একজন শ্রমিক চলে কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী, আবারও মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার কথা বলেন। মালিকদের মুনাফা বাড়াতে হলে, অবশ্যই শ্রমিকদের দিকে তাকাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় আমাদের শ্রমজীবী মানুষের মজুরি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। বিলাসিতা একটু কমিয়ে মালিকরা শ্রমিকদের দিকে একটু নজর দেবেন সেটাই আমরা চাই। কিছু ভাড়াটে লোক কথায় কথায় শ্রমিকদের রাস্তায় নামায় আন্দোলন করানোর জন্য। কারখানা ভাঙচুর করায়। কারখানায় আগুন দিলে শ্রমিকদের নিজেদেরই ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে, দেশের মালিকদের ক্ষতি হচ্ছে। কোনো অসুবিধা হলে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য আমার দুয়ার খোলা। আপনারা যোগাযোগ করবেন। কারও প্ররোচণা বা উসকানিতে নিজের রুটি-রুজি যেখান থেকে আসে, সেখানকার ক্ষতি করবেন না।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পণ্যের ক্রয় মূল্য বাড়ালে আমিও মালিকদের বলতে পারি, তারা যেন শ্রমিকদের সুবিধা বাড়ান। এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে বাসে ট্রাকে-আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে তারা। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক-মালিককে আমরা সহায়তা দিয়েছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে মনে করি। মানুষের কল্যাণ করাই আমাদের প্রচেষ্টা। শ্রমিকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। আমরা যতটা আইএলও কনভেশন বা প্রটোকল সই করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ততটা করেনি। আমি যদি এখন জিজ্ঞাস করি, তারা কতটা সই করেছে? তারা জবাব দিতে পারবে না। খুব বেশি হলে দুটা করেছে। আর সেখানে কেউ আন্দোলন করলে, সাথে সাথে চাকরি চলে যায়। আর আমাদের এখানে কেউ আন্দোলন করলে আমরা তার সাথে কথা বলি, আলোচনা করি, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। অথচ আমাদের ওপর খবরদারি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোনো সমস্যা হলে যা করণীয়, আমরা করব। সে জন্য কারও দুয়ারে গিয়ে ধরনা দিতে হবে না। দেশ আমাদের। আমরা চাই, শ্রমিকরা নিরাপদে কাজ করবেন। সব ধরনের সুবিধা পাবেন। এখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলব। আর গরমে সাবধানে থাকবেন, নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখবেন।


আরও খবর



কোরবানির জন্য পশু আমদানির প্রয়োজন নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান জানিয়েছেন,আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে, তাই আমদানির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কোরবানির ঈদের জন্য আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে আমাদের গবাদিপশুর বাজার স্থিতিশীল ও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে।

তিনি আরও বলেন, খামারিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদের আশ্বস্ত করেছি, তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এ বছর গবাদিপশু আমদানি করার প্রয়োজন নেই।

আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের দেশীয় উৎপাদিত যে গবাদিপশু খামারিরা লালন-পালন করেন, সেটাই যথেষ্ট। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে।

তিনি বলেন, আগামী কোরবানির ঈদে বাজার যাতে কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা আগামী কোরবানির ঈদ আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করতে পারব। সেই আনন্দ প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে থাকবে, সেটাই প্রত্যাশা করছি।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, গতবারের তালিকার চেয়ে আমাদের তিন লাখ বাড়তি সরবরাহ আছে। গত বছর আমাদের ১ কোটি ২৫ লাখ গবাদিপশু বাজারে ছিল। কিন্তু অবিক্রীত ছিল ১৯ লাখ। সেই তুলনায় এবার ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি পশুর সরবরাহের আয়োজন রাখা হয়েছে।

পশুর হাটে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ওই সময়ে এক বিশেষ শ্রেণির মানুষ বিশেষ সুযোগ নেয়। যে কারণে অনেক সময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে কোরবানির আগে আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ঠিক করব, কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।


আরও খবর



কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক,গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে তিনি কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হন। এসময় কারা ফটকের সামনে হেফাজত ইসলামের বিপুল সখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি বলেন, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ মে) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান।

সুব্রত কুমার বালা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসের চাকরি পেয়ে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃতিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চাকরীতে সম্প্রতি নিয়োগ প্রাপ্ত এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিতাস গ্যাসে কর্মরত ঐ প্রেমিকের নাম মিজানুর রহমান তৈয়ব। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে। তার পিতার নাম মোজাম্মেল হাওলাদার। 

ঘটনা বিবরনে জানা গেছে সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য ঢাকায় থাকতো। চাকরির এক পরীক্ষার হলে ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মিজানের। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন যাবত প্রেম ও পরে প্রেমিকাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে মিজান। তিনমাস পূর্বে তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকুরি হয় তাঁর। চাকুরির পর থেকে ভুক্তভোগী তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করে তার মোবাইল নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার ব্লক করে দেয়। কোনভাবে যোগাযোগ করতে না পেরে তরুণী গত ১৭ এপ্রিল প্রেমিকের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন। মিজানুর রহমান তৈয়ব নামের তিতাস গ্যাসের কর্মীর গ্রামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৫ দিন যাবত অনশন করছেন ঢাকা মিরপুর-১০ থেকে আসা সাদিয়া জান্নাত নামের এই তরুণী। এ ঘটনায় প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছে প্রেমিক।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, আমি অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকুরি করছি। মিজানের চাকরির পূর্বে তার প্রতিমাসের খরচ আমার থেকে নিয়েছে। আমি ওকে বিশ্বাস করে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে ভালো রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় মিজান আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমাদের সম্পর্ক অস্বীকার করতেছে।

তরুণী আরও বলেন, আমি বিয়ের দাবিতে মিজানের বাড়িতে এসেছি। আমাদের বিয়ে হবে না হয় আমি লাশ হয়ে এই বাড়ি থেকে যাবো।

মিজানের বাবা ও বড় ভাই বলেন, আমরা মেয়েকে নিরাপদে আমাদের বাসায় রেখেছি। মিজান পালিয়ে আছে। তার সকল মোবাইল নম্বর বন্ধ করে রেখেছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে তাকে এনে বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

ওমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমি খবর পেয়ে সেই বাড়িতে গিয়েছি। মেয়ে ও ছেলের পরিবারের বক্তব্য শুনেছি। মিজানকে এনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে তার পরিবারকে কঠোর ভাবে বলা হয়েছে।

চরফ্যাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরিন হক বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম অনশকারী সাদিয়া জান্নাতকে মিজানের বাবার জি

ম্মায় রেখেছেন।


আরও খবর



সৈয়দপুরে হিট ষ্ট্রোকে বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর সৈয়দপুরে হিট ষ্ট্রোকে জামিল হোসেন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল আনুমানিক বিকাল সারে ৫ টায় গরমের তাপমাত্রা সহ্য করতে না পেরে হিট ষ্ট্রোকে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।জামিল হোসেন শহরের নতুন বাবু পাড়ার তিল খাজা রোর্ডের মরহুম মন্জুর হোসের ছেলে বলে জানা যায়। 


স্হানীয়রা জানান,জামিল হোসেন ওইদিন বিকাল আনুমানিক সারে ৫ টায় তার বাড়ি সংলগ্ন এক দোকানে যান সওদা কেনার জন্য। সওদা কিনে বাড়ি ফেরার সময় পথেই হিট ষ্ট্রোক করেন। দোকানী আলী হোসেন সহ বাড়ির লোকজন অসুস্থ বৃদ্ধাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানে কর্মরত চিকিৎসক আফরোজা বেগম সুমি তাঁকে মৃত্যু বলে ঘোষণা দেন।

জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন,হিট ষ্ট্রোকে মারা যাওয়ার কথা শুনে ঘটনাস্থল যাই।তবে মৃত্যুের শরীরে আঘাতের কোন দাগ ছিল না। 

এবিষয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসে কর্মরত লোকমান হোসেন বলেন, বেশ কয়েক দিন থেকে ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করেছে।প্রচন্ড তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। 

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, প্রচন্ড গরমে হিট ষ্ট্রোক থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রচন্ড গরমে অস্থির অস্থির লাগলে ১/২ ঘন্টা পরপর ঘাড় ও মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। পানি খেতে হবে সবসময়। এরপরেও অস্বস্তি বোধ করলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি। 

আরও খবর