ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:ছাতকে লতিফিয়া আবর আলী এতিমখানার নাম দিয়ে গ্রামবাসীর জায়গা জবর দখলের অভিযোগের ঘটনায় জেলাজুড়েই বইছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শুন্য থেকে কয়েক বছরের এতিমাখানার পরিচালক মোল্লা বশর এখন কোটিপতি হয়েছেন। তার আয়ের উৎস নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবু বিশাল অট্রালিক মালিক বনেছেন্ধসঢ়; হত দরিদ্র বশর। গ্রামবাসীর জায়গা জোরপুবক দখল করে ভবন নিমান ও ব্যাপক চাদাবাজি,প্রতারনা,ধান্দাবাজ.বহুরুপি লোভি প্রতারক ও তৈতইখালি নদী দখলের ও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সোমবার সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার ও উপজেলার নিবাহী কর্মকতার বরাবরে আলমপুর গ্রাম ও এলাকাবাসীর পক্ষে লিলু মিয়া, আব্দুল আউয়াল,মুজিবুর রহমান মুজিব,চেরাগ আলী ও বশির সহ একাধিক ব্যক্তিরা বাদী হয়ে ভুয়া লতিফিয়া আবর আলী এতিমখানার পরিচালক মোল্লা বশরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন। অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার উত্তর খুরমা ইউপির আলপুর ও মানজিহারা গ্রামে আবর আলীএতিমখানার সাইন বোর্ড দিয়ে এতিমখানার নাম দিয়ে গন্ধবপুর মৌজার জেএল নং ২৬৪, খতিয়ান নং ২০৭,১৯৩,১৭১,১৭২,১৭০, ১৭৭, ১৭৯, ১৭৪,১৮৬,১৮৭,১৮৮,১৮০,২৩৭, ১৮৩ ১৮৪ ১৮১,১৮২, ও দাগ নম্বার ১৩৩৫, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৬৭, ৩৮, ১২৬ ১৩৮ দাগের জায়গা দখলের করার পায়তারা চালাচ্ছেন। গ্রামবাসীর মালিকানাধীন জায়গা উপর জোরপূর্বক দখল করে সুনামগঞ্জ সিলেটের প্রবীন আলেম আল্লামা আব্দুল হাই (মুহাদ্দিস) এর নামে ব্যবহার করে ভবন নির্মান করা হয়। তেতইখালি নদী দখলের চেষ্টা, হাজার হাজার মানুষ চলাচলে রাস্তা বন্ধের প্রস্ততি ও এতিমখানার নামে দেশ বিদেশ থেকে লাখ লাখ টাকার চাদাবাজি, ভূয়া কমিটি, গ্রামের নামে ব্যবহার প্রায় ৯ বছর ধরেই প্রতারনাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলে অভিযোগের উল্লেখ্য করেছেন। সে উপজেলার উত্তর খুরমা ইউপিরআলমপুর গ্রামে আশকর আলীর পুত্র বশর। আবুল বশর একজন হত দরিদ্র লোক হওয়া স্বত্বেও বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদ্রাসা, এতিমখানার নামে লাখ লাখ টাকার চাঁদা তোলে নিজে পেটে রেখেছে। এসব টাকা দিয়ে তার বাড়ি পাকা ঘর দালান নির্মান করেছে। সে লতিফিয়া আরব আল্#ী৩৯; নামক এতিম খানা পরিচালনা করে আসছে (আলমপুর মাজিহারা)। সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া মহল্লা থেকে চাদা আদায় করে এতিমখানা নামেই লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ দুটি গ্রামে মানুষদের মধ্যে পরিচালনা কমিটিতে কেউ নাম ও নেই। তার অন্যায় অত্যাচারে গ্রামের মানুষের গরু ছড়ানোতে বাধা দিয়ে চলাচলে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার পায়তারা করে (পায়খানা লেপটিন) দিয়ে নদীর পানির পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। সে সরকার দলীয় এমপি মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে নানা দাপট দেখায় গ্রামের সাধারন মানুষকে। সে ভুয়া এতিমখানার নাম ব্যবহার করে দেশ বিদেশে চাঁদা আদায় করেন। এতিম সন্তানদের দেখাশোনার নামে অন্যদের জমি আত্মসাত সহ নানা কৌশলী প্রতারনা করে আসছে। ভুয়া উলামালীগের নেতা সেজে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারনা,চাদাবাজি করে কয়েক বছরের কোটিপতি হয়েছে। তার নেতৃত্বে গ্রামে একটি সিন্ডিকেট চত্রু লায়েক পতিত সম্পত্তির উপর ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। গত মাসে গ্রামবাসীর উদ্দ্যোগে উভয় পক্ষকে নিয়ে এলাকার গন্যমান্য লোকজন মালিকানার অনুকূলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গ্রামে একাধিক শালিশ বৈঠক অনুষ্টিত হলে ও ভূমির মালিকপক্ষ মালিকানার সব কাগজপত্র নিয়ে বশর মোল্লা হাজির হলেও বিভিন্ন অজুহাতে শালিশ বৈঠকে আসেনি। আবুল বশর একজন ধান্দাবাজ, লোভী, প্রতারক তার নেতৃত্বে একটি লাঠিয়া বাহিনীর গড়ে উঠেছে এলাকায়। গ্রামের নিরিহ লোকজনকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দেয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীর ভূমি দখলকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় দাঙ্গা হাঙ্গামা সহ খুন,ঘটনা সংঘটিত সম্ভাবনা ও শান্তি শৃঙ্খলার চরম আশংকা বিরাজ করছে গ্রামে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরের জামান চৌধুরী অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তদন্ত পুবক আইনাগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।