Logo
আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

চীনে উইঘুর মুসলিম নির্যাতন বন্ধের আহ্বান

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ২৫২জন দেখেছেন

Image
আমান উল্লাহ, কক্সবাজার:চীনের জিংজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলমানদের উপর চালানো নির্যাতনকে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন দাবী করে করে জাতিসংঘ ও মুসলিম বিশ্বকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছে আলেম মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সংসদ। পাশাপাশি চীনের পণ্য বয়কটের জন্য দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।গতকাল শনিবার (১৫ জুলাই) কক্সবাজার আলীর জাঁহাল সাইমা ওশান সিটি হল মিলনায়তনে মাদক, সন্ত্রাস, মানব পাচার আরাকানসহ বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিপীড়ন, ওইঘুরের কান্না শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং ওইঘুরের মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ ও আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান। সভায় আলেম মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সংসদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন ইসলামী দলের শীর্ষনেতারা বক্তব্য রাখেন। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, চীনা সরকার মিডিয়ার সকল কর্মকাণ্ড স্তব্ধ রেখে বছরের পর বছর ২২ লাখ মুসলিমকে বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রেখে তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্যাতন, যৌন নীপিড়ন, হত্যাসহ অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চীনারা পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছিল। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এদেশের মুক্তিকামী জনতা তাদের সহযোগিতা পায়নি।মিয়ানমারের সরকারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসন বন্ধে চায়নাদের পরোক্ষ যোগসাজশ রয়েছে।চীনা সরকার মানবাধিকার কর্মী, সংবাদকর্মী, জাতিসংঘের কর্মকর্তা এমনকি সংবাদ সংগ্রহে আগ্রহী এমন কাউকে চীনের উইঘুরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, পুরো পৃথিবীকে অন্ধকারে রেখে চীনা সরকার এই সকল অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরেও সামান্যতম সংবাদ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যেমন বিবিসি, আল-জাজিরা বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করে কিছু কিছু সংবাদ সংগ্রহ করে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। যাহা দেখে ও শুনে আমরা হতবাক হয়েছি। পুরো বিশ্বের মানুষ এটা মেনে নিতে পারেনি। আমরা চীনা সরকারের এ ধরনের গর্হিত অপরাধ কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ মিত্ররা চীনের উপর নামেমাত্র অবরোধ আরোপ করে দায়সারা দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু চীনের দানব সরকার এই সামান্য অবরোধ ও চাপে ক্ষ্যান্ত হয়নি এবং হবেও না। তাকে থামাতে হলে বিশ্বের সকল দেশ মিলে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাশ করিয়ে চীনের উপর ব্যাপক ভিত্তিক অবরোধ আরোপ করে চাপ তৈরি করুন। অন্যথায় চীনা দানব সরকার কোনভাবেই গর্হিত কর্মকাণ্ড হতে পিছপা হবে না। তারা অর্থনৈতিকভাবে ধনী দেশ হওয়ার কারণে সারা বিশ্বের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে চায় এবং মুসলিমদের হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, যৌন নীপিড়ন ইত্যাদি অবলীলায় চালিয়ে গেলেও কেউ তাদের আটকাতে সাহস পায় না।

তারা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আদলে সারা বিশ্বের বাণিজ্য করিডোর দখল নেওয়ার ঘৃণ্যতম চেষ্টায় লিপ্ত। এভাবে চলতে থাকলে যেকোন সময় শ্রীলংকার মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চায়না সরকারের থাবায় আক্রান্ত হয়ে একসময় নিঃস্ব হয়ে যাবে। আমরা সারা বিশ্বের সকল সরকারগুলোকে দ্যার্থহীনভাবে জানাতে চাই এখনই চায়না সরকারের সকল অপরাধ কর্মকাণ্ড বন্ধের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিন। নাহলে একসময় তারা বিশ্বের বাঘা বাঘা দেশকেও গিলে ফেলবে,’ যোগ করেন বক্তারা।প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বক্তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে চাই, আপনিতো এখন বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে সমাসীন। আপনার অদম্য সাহস এবং সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে এবং আপনি সারাবিশ্বের প্রশংসা ও কুড়িয়েছেন। আপনার সাহসিকতা সারাবিশ্বে প্রশংসিত, আপনার সাহসিক নেতৃত্ব মুসলিমদের পক্ষে যাবে সেটাই আমরা আশা করি। আপনিতো পারেন চীনের মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলতে। সাহস করে বলুন দেখবেন আপনার পাশে আরও অনেক বিশ্ব নেতা ও দেশ দাঁড়িয়ে যাবে। আর এতেই চীনের উইঘুরসহ বিভিন্ন অংশে বিপদগ্রস্থ আমার ভাইবোনেরা চীনা সরকারের করাল থাবা থেকে মুক্তি পাবে। আপনি নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে কথা বলুন, মহান আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবেন এবং এর প্রতিদান দেবেন।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আসুন আমরা সকলে মিলে দানবের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সারাবিশ্বে চায়না পন্য বর্জনের আওয়াজ তুলি এবং নির্যাতিত সরাবিশ্ব ও উইঘুর মুসলিম ভাইবোনদের জন্য দোয়া করি তিনি যেন চীনের ফেরাউন সরকারের হাত থেকে তাদের মুক্তি দান করেন এবং বিজয়ীবেশে, ঈমানদার হিসেবে তাদের কবুল করেন।আলেম মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি ওসমান গনি চৌধুরীরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, আলেম মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সংসদের চেয়ারম্যান আল্লামা সদরু্দ্দীন মাকনুন। প্রধান বক্তা ছিলেন, ইউসিটিসি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. বেলান নুর আজিজী, সহ সম্পাদক মুফতি তানজিল আমীরসহ, সংদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ইয়াসীন হাবিব, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা আব্দুল জাব্বার ছাত্র নেতা এনামুল হক মঞ্জুর, ইসলামী আন্দোলন নেতা মাওলানা জাহাঙ্গীর রফিক, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা শোয়াইব, কক্সবাজার ৭১ পত্রিকার সম্পাদক রুহল আমীন সিকদার, বিশিষ্ট লেখক, খন্দকার হামিদ উল্লাহ কেন্দ্রীয় সংসদের শিক্ষা সম্পাদক রিদওয়ানুল কাবীর, কক্সবাজার জেলা যুব আন্দোলনের সদস্য সাইফুল্লাহ চৌধুরী, খেলাফত মজলিস কক্সবাজার শহর শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক, আল-ফুরকান ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাওলানা ইলিয়াস নুরু, কক্সবাজার জেলা যুগ্ন আহবায়ক আর এম ফরিদুল আলম, আতা উল্লাহ ত্বকী, মুহাম্মদ সলিম প্রমুখ।

আরও খবর



জামিন পেলেন কেজরিওয়াল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্র্বতীকালীন জামিন দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে।

শুক্রবার (১০ মে) দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া এই আদেশের ফলে চলমান লোকসভা নির্বাচনে সরকার বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রচারাভিযানে অংশ নিতে পারবেন আম আদমি পার্টির (এএপি) এই প্রতিষ্ঠাতা। খবর- দ্য হিন্দুস্তান টাইমস।

একটি আবগারি দুর্নীতি মামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এর হাতে গত ২১ মার্চ গ্রেপ্তার হন কেজরিওয়াল। তারপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন এবং সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে ভারতে গত ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সাত দফায় এই ভোট গ্রহণ চলবে ১ জুন পর্যন্ত। আগামী ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

অর্থাৎ, চূড়ান্ত দফা ভোটের দিন কেজরিওয়াল কারাগারের বাইরে থাকলেও নতুন করে জামিন না পেলে ভোটের ফলাফলের দিন তাকে বন্দিই থাকতে হবে।

ভোটের ফলাফলের দিন তিনি যেন কারাগারের বাইরে থাকতে পারেন তাই তার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংঘভি আদালতের কাছে আগামী ৫ জুন পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আদালত তাতে সায় দেননি। পরে কেজরিওয়ালকে ১ জুন পর্যন্ত জামিন দেন।

বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ২ জুন কেজরিয়ালকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ-

টাঙ্গাইলের মধুপুরে  কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত ব্যবস্হাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকরণ প্রকল্পের আওতায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মুল্যে তালিকা ভুক্ত কৃষকদের নিকট  কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন (আধুনিক ধান কাটার যন্ত্র) বিতরণ করা হয়েছে।রবিবার(৫এপ্রিল) দুপুরে মধুপুর উপজেলা কৃষি পূনর্বাসন কমিটির বাস্তবায়নে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার শিবরামবাড়ী গ্রামের কৃষক আরিফ হোসেনের নিকট চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে  এ  কম্বাইন্ড হারভেস্টার বিতরন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়। 


উপজেলা কৃষি অফিসার শাকুরা নাম্নী'র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠা‌নে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  উপজেলা নির্বাহী অফিসার  জুবায়ের হোসেন।ভর্তুকি মূল্যে উপজেলার শিবরামবাড়ী এলাকার কৃষক আরিফ হোসেনের নিকট এ কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন (আধুনিক ধান কাটার যন্ত্র) হস্তান্তর করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে  উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা, সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন। 


এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবায়ের  হোসেন বলেন, সরকারী ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে । এ কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে অল্প সময়ে অল্প খরচে জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে পারবে এতে শ্রমিক সংকট দূর হবে।মধুপুর  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকুরা নাম্নী  বলেন, কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন সরকারের পরিচালনার বাজেটে কৃষি যন্ত্রপাতি সহায়তা কর্মসূচির আওতায় মেশিনটি  ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকের  মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।কৃষক  আরিফ হোসেন জানান এ যন্ত্র পেয়ে সে  খুশি। এ মেশিনের কারনে  বর্তমানে খরচ কমে অর্ধেকে নেমে আসবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গরমে তৃষ্ণা মেটাতে চাহিদা বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জ সহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। ফলে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন প্রখর সূর্যতাপে ও ভ্যাপসা গরমে ঘেমে অস্থির হচ্ছেন তারা। গরমে তৃষ্ণা মেটাতে অসংখ্য মানুষকে ফলের জুস ও বরফ মেশানো শরবতের দোকানে ভিড় জমাতে দেখা যায়।

তীব্র গরমের ফলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাও বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের দোকান, ঠান্ডা পানিতে লেবুর রস মেশানো শরবতে তৃষ্ণা মেটান অনেক শ্রেণী পেশার মানুষ। স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি তাদের কাছে অনেকটাই অবহেলিত, তাই এই তীব্র গরমে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ ধরনের ফলের জুস ও শরবতের দোকান। প্রতি গ্লাস শরবতের দাম ১০ টাকা ট্যাং মেশানো গ্লাস ১৫ টাকা, ও ফলের জুস ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকার উপরে পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে হাট, বাজারে, শপিং মলের সামনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে খোলা ভ্যানের ওপর ফিল্টারের মধ্যে বরফ মেশানো পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মিশিয়ে তৈরি করা হয় শরবত। মাত্র তিনটি উপকরণের মিশ্রণে এ ধরনের শরবত বিক্রি হচ্ছে প্রতি গ্লাস ১০ টাকা, ট্যাং মেশানো ১৫ টাকা। তীব্র গরমে সামান্য তৃপ্তি মেটাতে বাধ্য হয়ে সেগুলো খাচ্ছেন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় গুলোতে এদের উপস্থিতি থাকলেও হাট, বাজারে ও শপিং সেন্টারগুলোর সামনে এদের বেশি সংখ্যায় দেখা যায়। প্রচণ্ড গরমে জর্জরিত পথচারীদের নোংরা পরিবেশ কিংবা স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা কারও কারও মনে এলেও বরফশীতল লেবুর শরবতের প্রচণ্ড লোভনীয় প্রশান্তির কথা মনে করে সেসব পান করছেন অনেকে। এভাবেই পথের এসব শরবতের দোকানে ভিড়ও লেগে থাকে সারাক্ষণ।

সিরাজগঞ্জ সদরে কয়েক জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, এসব লেবুর শরবত তৈরির পদ্ধতি সবারই এক। কাঠ কিংবা লোহার একটি যন্ত্রের মাঝে অর্ধেকটা লেবু রেখে চাপ দেওয়া হয়। এতে রস গিয়ে পড়বে নিচে রাখা গ্লাস কিংবা মগে। এবার তাতে যোগ করা হবে বরফ শীতল পানি আর বিট লবণ।

এই বিষয়ে শরবত বিক্রেতা আব্দুল গনি বলেন, গত বছরের ব্যবধানে এই শরবতের দাম একটু বেশি হয়েছে। লেবু বিট লবণ বরফ এগুলোর দাম  বৃদ্ধি হওয়ার। কারণে। কেউ আবার শরবতের রং সুন্দর করার জন্য মেশায় কৃত্রিম রং, অরেঞ্জ পাউডার। স্বাদ মিষ্টি করার জন্য স্যাকারিন, টেস্টিং সল্টও মেশানো হয়। কেউ এর মধ্যে আপেল ও মাল্টার কুচি দিয়ে ৩০ টাকায় স্পেশাল শরবত বিক্রি করছেন। কেউ তোকমা দানা, ইসবগুল, মেথির মতো উপাদানও মেশাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, এতো গরমে তৃষ্ণার্ত ও শরীর সতেজ রাখতে লেবুর শরবত ভালো লাগে। আমি মানুষকে প্রতিদিন দেখি শরবত খাই। আজকে আমি নিজে খেলাম অনেক ভালো লাগলো।

আরও খবর



সিরাজগঞ্জে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর গরু বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সিরাজগঞ্জে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প এর আওতায় জেলেদেরকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে-১৮জন জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করার আগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

বৃহস্পতিবার (২৫এপ্রিল) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মৎস্য বিভাগ ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলে পরিবার বেকার থাকায় বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসাবে গরু (বকনা বাছুর) সদর  উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নদীর নিকটবর্তী নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে অক্ষত, স্বাস্থ্যবান ও দেশি প্রজাতির গরু (বকনা বাছুর) ৭-১০ মাস বয়সি ৪০-৫০ কেজি ওজনের বকনা বাছুর১৮জন মৎস্য জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহীনুর রহমান, অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে  সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন  সিরাজগঞ্জ- সদর ও  কামারখন্দ ২  আসনের  জাতীয় সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার  হেনরী । 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী তিনি তার বক্তব্যে বলেন– মা ইলিশ মাছ সম্পদ রক্ষায় দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সহায়তা দিচ্ছে। আপনারা ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। বিধান অমান্য করে জাটকা ধরবেন না। আর মনে রাখবেন এই বকনা বাছুর গরু কেউ বিক্রি করবেন না বা অন্যস্থানে হস্তান্তর করবেন না, ভালোভাবে পালন করতে গরুর যত্ন নিবেন। নিকটস্থ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যোগাযোগ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। এ গরু দেওয়া হচ্ছে আপনার ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। মৎস কর্মকর্তা শাহিনুর রজমান বলেন, ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলে পরিবার বেকার থাকায় বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসাবে গরু (বকনা বাছুর) বিতরন করা হয়েছে।

আরও খবর



রূপগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

মোঃআবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে উপজেলা পরিষদের দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। গতকাল ১১মে শনিবার রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.এ মোমেন। 



সভায় বক্তব্য রাখেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ খান মুন্না, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন, সহ-সভাপতি শফিকুল আলম ভুঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, যুগ্ন সম্পাদক রুবেল মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক ইমদাদুল হক দুলাল প্রমুখ। 



মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, রূপগঞ্জের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি নির্বাচিত হলে মাদক, কিশোরগ্যাং, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, অপহরণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবেন। শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পানি সরবরাহসহ সার্বিক উন্নয়নে তিনি অগ্রণী ভুমিকা রাখবেন।    

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর