Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চাকরি লাভের সম্ভাবনা মকরের, আশা পূরণ ধনুর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৮৮জন দেখেছেন

Image

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)

অবিবাহিতদের কারো বিয়ে হতে পারে। প্রেম ভালোবাসার জন্য সময় অনুকূল থাকবে পারে। প্রণয় প্রস্তাবে সাড়া পেতে পারেন। জীবন সাথীর কোনো সাফল্যে আনন্দিত হতে পারেন। কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে ঘুরতে যেতে পারেন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে)

শরীর খুব একটা ভালো না-ও থাকতে পারে। আহারে বিহারে সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কর্মস্থলে ঝামেলা এড়িয়ে চলুন। কারো সঙ্গে মতানৈক্যে জড়াবেন না।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন)

সম্ভাব্য ক্ষেত্রে সন্তান লাভ হতে পারে। প্রেম ভালোবাসার জন্য সময় অনুকূল থাকতে পারে। মনের মানুষকে মনের কথা বলার চেষ্টা করুন। রোমান্টিক প্রস্তাবে সাড়া পেতে পারেন। পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হলে ভালো করবেন।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই)

কোনো প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে। মন ভালো থাকবে। কোনো সূত্র থেকে প্রাপ্তিযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকতে পারে। মাতৃস্বাস্থ্য ভালো যাবে।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট)

কাজকর্মে উৎসাহ বোধ করতে পারেন। কারো সঙ্গে আত্মীয়তা হতে পারে। পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে চলুন। প্রবাসী আপনজনের সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। ব্যক্তিগত যোগাযোগে সুফল পেতে পারেন।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর)

পড়াশোনায় আনন্দ পাবেন। কোনো আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। মূল্যবোধ বজায় রাখুন। প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার চেষ্টা করুন। আর্থিক দিক ভালো যাবে।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর)

নিজেকে যথাযথভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করুন। সেক্ষেত্রে সাফল্য পেতে পারেন। শরীর ভালো থাকতে পারে। কারো প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে পারেন। রোমান্টিক প্রস্তাবে সাড়া পেতে পারেন।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর)

দিনটি খুব একটা অনুকূল না-ও থাকতে পারে। শরীর ভালো যাবে না। অবহেলা না করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। গোপন শত্রু সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। ব্যয় কমানোর চেষ্টা করুন।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর)

বন্ধুদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকতে পারে। প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা পেতে পারেন। কোনো আশা পূরণ হতে পারে। পেশাগত যোগাযোগ চালিয়ে যান। সেক্ষেত্রে সাফল্য পেতে পারেন।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি)

পিতৃস্বাস্থ্য ভালো যাবে। মন ভালো থাকতে পারে। সামাজিক কাজে অংশ নিতে পারেন। সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেতে পারে। নতুন চাকরি লাভের সম্ভাবনা আছে।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)

আধ্যাত্মিকতার প্রতি অনুরোধ করতে পারেন। জ্ঞানস্পৃহা বৃদ্ধি পাবে। ভ্রমণের সুযোগ পেতে পারেন। মন ভালো থাকবে। পেশাগত দিক ভালো যাবে।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)

দিনটি মিশ্র সম্ভাবনাময়। পরধন প্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। ট্যাক্স সংক্রান্ত কোনো ঝামেলা হতে পারে। ব্যবসায়িক দিক খুব একটা ভালো না-ও থাকতে পারে। মূল্যবান কাগজপত্র সাবধানে রাখুন।


আরও খবর



ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল তিনদিনের সফরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে বাংলাদেশে প্রথম কোনো মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফর।

রোববার (২১ এপ্রিল) তাদের বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।

প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে থাকবেন- বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ। এ সফরে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ছাড়াও শ্রম আইন সংস্কার, তথ্য আইনের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২১ এপ্রিল ঢাকায় আসবেন ব্রেন্ডান লিঞ্চ। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র শ্রম অধিকারের বিষয়ে সবচেয়ে জোর দেবে। তাই সেভাবেই ঢাকাও প্রস্তুতি নিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) নিয়ে বৈঠক করবেন বলেও জানা গেছে।

তবে বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস থাকবেন কিনা তা জানা যায়নি।


আরও খবর



নওগাঁয় ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে তৈরি করছে ভেজাল লাচ্ছা সেমাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল লাচ্ছা সেমাই তৈরির করছে নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের তেতুলিয়া বাজারে নূর নেহা লাচ্ছা সেমাই কারখানায় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রং ও ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। ভেজালবিরোধী অভিযান শিথিল হওয়ায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নাম্বার যেটা আছে (বিডিএস ১৬২০) সেই নাম্বার আবার নওগাঁ সদর উপজেলার মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তি নিজের লাকী লাচ্ছা সেমাই নামে ( বিডিএস ১৬২০) দাবী করেন।  এছাড়াও এই কারখানায় নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, যার কারণে কারখানার পরিবেশটাও নোংরা। এই কারখানায় নিম্নমানের পাম অয়েল ও ডালডা দিয়ে তৈরি করছে এসব সেমাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে তৈরি করা সেমাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য চিকিৎসকদের। 

স্থানীয়রা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে তেতুলিয়া বাজারে নুর নেহা ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে বিস্কুটের কাজ বন্ধ রেখে গড়ে তুলেছেন লাচ্ছা সেমাইয়ের কারখানা। মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমান আদাল এসে লিখিত নিয়ে জরিমানা করেন। তারপরেও কারখানাটির মালিক মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক (ফারুক) ইসলামী আন্দোলন দলের নেতা হওয়ায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে  অধিক মুনাফা পাওয়ার আশায় ভেজাল পন্য তৈরি করেন। 

তেতুলিয়া বাজারের স্থানীয় (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক দোকানদার বলেন, প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে ও তদারকির অভাবে ভেজাল লাচ্ছা তৈরির করছেন ফারুক’ এই কারখানার  কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া উচিত তা না হলে এই ভেজাল লাচ্ছা সেমাই খেয়ে শিশু বৃদ্ধসহ সকলেই অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে কারখানাটির মালিক মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক (ফারুক) এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি নিজেকে ইসলামী আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে বলেন, আমার কারখানায় মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমান আদালত আসে তারা এসে ২.৪.৫ হাজার টাকা জরিমানা করে চলে যায় আমার কিছুই করতে পারে না। আমি কিভাবে ব্যবসা করছি এটা আমার বিষয় আপনাদের সমস্যা কি আপনারা থাকেন আমার লোকজন যাচ্ছে আপনার কি করতে আমার কারখানায় আসছেন সেটা আমি দেখছি।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ জানান, পচা ডিম, অ্যানিমেল চর্বি এবং কৃত্রিম ঘি ও সুগন্ধি মিশ্রিত সেমাই তৈরি যাতে না হয়, সে জন্য কারখানাগুলোতে নজরদারি রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে এসব ভেজাল কারখানায় নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে এবং আমরা এই বিষয়ে জেনেছি ব্যবস্থা নিব।

আরও খবর



তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা সাহাবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়মদুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃতিতাস গ্যাস ফতুল্লা অফিসের সহকারাী হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা সাহাবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়মদুর্নীতির অভিযোগস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড জোবিঅ-ফতুল্লা অফিসের  সহকারাী হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা সাহাবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়মদুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।তার বিরুদ্ধে লাগামছাড়া অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থে বিপুল সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার তথ্য মিলেছে অনুসন্ধানে। সহকারাী হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা সাহাবুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়।চাকুরীর সুবাদে বসবাস করেন ঢাকায়।গত কিছুদিন পুর্বেও তিনি ছিলেন তিতাস গ্যাসের সাধারন একজন কর্মচারী।২০২১ সালের শেষের দিকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা (হিসাব) নিযুক্ত হন। তিতাস গ্যাসের জোবিঅ- ফতুল্লা অফিসে ৭ বছর ধরে দাপটের সঙ্গে কর্মরত আছেন। একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন চাকুরীর সুবাদে তার সাথে অবৈধ গ্যাস সংযোগ চক্রের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। 

অবৈধ গ্যাস সংযোগ থেকে মাসোয়ারা আদায় মিল কারখানা থেকে উৎকোচ গ্রহনে সিদ্ধহস্ত এই সাহাবুর রহমান। তিতাস গ্যাসের ফতুল্লা আঞ্চলিক অফিসে বসেই গ্রাহকদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে অর্থ আদায় করেন। পদ পদবী অনুযায়ী তিনি ফিল্ডে যেতে পারেন না কিন্তু নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই নানা গোঁজামিল দিয়ে তিনি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান থেকে অনিয়মের ধুয়া তুলে অর্থ আদায় করেন।

এ ছাড়াও অফিসের বাইরে বসেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবৈধ গ্যাস সংযোগের মাসোহারা আদায় করেন সাহাবুর রহমান।তার এই অফিসের দুর্নীতিবাজ অন্যন্য কর্মচারী কর্মকর্তাদের সাথে রয়েছে দহরম মহরম সম্পর্ক।প্রতিমাসে অবৈধ সংযোগ থেকে বিকাশের মাধ্যমে বিপুল পরিমান মাসোহারার টাকা লেনদেন হয় সাহাবুর রহমানের।এসব অবৈধ উপার্জনের টাকা দিয়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করেন।এছাড়াও সঠিক সময়ে নিয়মিত অফিসে আসেন না বলেও জানান প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাহাবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আমার কোন বক্তব্য নাই, আপনার যা খুশি লেখেন।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি নেতারা বলেন- ২৫ মার্চ নাকি আওয়ামী লীগের নেতার পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাহলে যুদ্ধটা করল কে? বিজয় কে আনল? বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

বুধবার (২৭ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস- ২০২৪ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন প্রশ্ন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিব নগর সরকার গঠন করে শপথ নিয়ে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করলেন। সরকারপ্রধান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার গ্রেপ্তারের পর উপ-রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে সেই সরকারের অধীনে এ দেশে যুদ্ধ হলো। এখন যারা বলছে, পালিয়ে গেলো-তাহলে যুদ্ধটা করল কে? আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান তো বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেছেন। সামরিক অফিসার হিসেবে তিনি এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলেন, সেটা কে দিয়েছেন? আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। এটাও অকৃতজ্ঞরা ভুলে যায়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ এক কদম এগুতে পারেনি। আমি বলি, এক কদম এগুতে দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা প্রতিবেশীসহ অনেক দেশের সহায়তা। আবার পেয়েছি, অনেক বড় বড় দেশের বৈরিতা। অবশ্য, সে দেশের নাগরিকদের সমর্থনও পেয়েছি। যারা আমাদের স্বাধীনতায় সহায়তা করেছে, তাদের আমরা সম্মানিত করেছি, স্বীকৃতি দিয়েছি। একমাত্র বাংলাদেশই এটা করেছে। এতে বাংলাদেশও সম্মানিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, কেউ বলছে, গণতন্ত্র নেই। দেশের কোনো উন্নতিই হয়নি। স্বাধীনতার পরও এমন কিছু কার্যক্রম আমরা দেখেছি। জাতির পিতাকে সময় দেয়নি। স্বাধীন হওয়ার পরই শুরু হয়ে গেলো সমালোচনা। নতুন বিপ্লবসহ নানা ধরনের কথা। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, স্বাধীনতাবিরোধীরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের মন থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলা। তারা সফল হয়নি। যার কারণে তাকে থামিয়ে দিতে হত্যার পথ বেছে নেয়। একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বিজয় এনে দেওয়া জাতির পিতার মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলা, সবই তিনি করেছেন। এ জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি, এর ২৯ বছর ছিল জাতির দুর্ভাগ্যের। স্বাধীনতার পর পরই মাত্র তিন বছরে একটি স্বল্পোন্নোত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন শেখ মুজিব। আইন, নীতিমালাসহ সবকিছু করে দিয়ে যান। একটি সংবিধান আমাদের উপহার দিয়েছেন। এতে আমাদের প্রতিটি অধিকারের কথা বলা আছে।

আজকের আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, দলের স্বাস্থ্য সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি প্রমুখ।


আরও খবর



স্থানীয় কমিউনিটির কল্যাণে আইএসডি শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক প্রচেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সমাজ ও কমিউনিটির কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রাজধানীর সোলমাইদ স্কুল, বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন (বিএসসিএফ) ও ফ্যামিলিজ ফর চিলড্রেনের (এফএফসি) শিশুদের জন্য তহবিল সংগ্রহ, সহযোগিতামূলক কার্যক্রম ও ইফতারের আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার (আইএসডি) শিক্ষার্থীরা। স্কুলের সার্ভিস ডে প্রোগ্রামে এ আয়োজন করে আইএসডি’র শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি আইএসডি ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই প্রোগ্রামে আইএসডি শিক্ষার্থীদসহ সোলমাইদ, বিএসসিএফ ও এফএফসি থেকে মোট ১৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

ইন্টারন্যাশনাল ব্যাকালরিয়েটের (আইবি) শিক্ষাকার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বারোপ করে সমাজ ও কমিউনিটির কল্যাণে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের বিশ্ব-নাগরিক

করে গড়ে তোলা হয়। আইবি লার্নার প্রোফাইলে শিক্ষার্থীদের ‘কেয়ারিং,’ অর্থাৎ যত্নশীল বা সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, যাতে তারা অন্যের প্রতি সহমর্মিতা, সমবেদনা ও সম্মান প্রদর্শনের মতো মানবীয় গুণ অর্জন করতে পারে। এই উদ্দেশ্য অর্জনে শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে বিভিন্ন কমিউনিটি সার্ভিস বা সমাজকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত করে আইবি কারিকুলাম। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমাজ ও কমিউনিটির প্রতি দায়িত্ব অনুভব করতে শেখে এবং তাদের মাঝে প্রতিদানের মানসিকতা গড়ে ওঠে।

ইউনিট থ্রি সামেটিভ অ্যাসেসমেন্টের অংশ হিসেবে আইএসডি’র গ্রেড ৮-এর শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজিএস) প্রসঙ্গে পড়াশোনা করে। এই বিশেষ ইউনিটের অধীনে তারা এসডিজি ৪-কে কেন্দ্র করে কমিউনিটি সেবার সিদ্ধান্ত নেয়। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তারা পোশাক, খেলনা, শিক্ষার অনুষঙ্গ ও খাবার সংগ্রহ করে এবং স্কুল কমিউনিটির সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানায়।

পাশাপাশি, চমৎকার পোস্টার বানিয়ে ও সামাজিক মাধ্যমে ব্লগ লিখেও তারা এ প্রসঙ্গে সচেতনতা গঠনে ভূমিকা রাখে। সফল এই ক্যাম্পেইন থেকে জমাকৃত অর্থ দিয়ে গ্রেড ৮ শিক্ষার্থীরা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষা ও খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয় করে এবং খাবারের আয়োজন করে।

সার্ভিস ডে প্রোগ্রামের সার্বিক আয়োজনে ছিলেন পিওয়াইপি, এমওয়াইপি এবং ডিপি’র সার্ভিস গ্রুপ লিডার ও স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীরা। এর মাধ্যমে আইএসডি শিক্ষার্থীরা সোলমাইদ, বিএসসিএফ ও এফএফসি’র (আইএসডি’র কমিউনিটি স্কুল পার্টনার) শিশুদের সাথে একাত্ম হয়। তারা একসাথে ‘টুমরো’ নামে একটি বাংলা চলচ্চিত্র দেখার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন কার্যক্রমে আগ্রহের সাথে অংশগ্রহণ করে। ইফতারের পরে আইএসডি শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণকারী তিনটি স্কুলের প্রধানদের হাতে অনুদানের অর্থে কেনা উপহার সামগ্রী তুলে দেয়।

শিক্ষার্থীরা নিজেরাই আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পাদন করে। এমন ফলপ্রসূ একটি উদ্যোগ বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেন মিডল স্কুল ইন্ডিভিজুয়ালস অ্যান্ড সোসাইটিজের শিক্ষক আয়াজ কায়ামি। সার্ভিস ডে প্রোগ্রামের মূল কর্মপরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সকলের কাছে আরো স্পষ্টভাবে তুলে ধরার জন্য ভবিষ্যতে একটি ওয়েবসাইটও নির্মাণ করবে আইএসডি শিক্ষার্থীরা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কমিউনিটির জন্য অর্থপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সেবার তাৎপর্য অনুধাবন এবং শ্রেণিকক্ষের বাইরে আরো বেশি মানুষের কাছাকাছি আসার সুযোগ লাভ করে।


আরও খবর