মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধিঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ছাত্রলীগ নেতা কয়েক কোটি নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তকারীর নাম শান্ত কুমার রায়। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭ ব্যক্তি নির্মল রায় ও তার ছেলে শান্ত রায়কে অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার রাতে নবীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। শান্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের নির্মল রায়ের ছেলে।
অভিযোগকারীরা জানান, শান্ত কুমার রায় ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি স্বর্ণের ব্যবসা সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগ নেতা হওয়ায় ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে এলাকায় থেকে ব্যবসার লোভ দেখিয়ে শতাধিক মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে । প্রথম দিকে ব্যবসায় লাভজনক দেখিয়ে ব্যবসায়ী পার্টনার কিছু টাকা দেয়। পরে টাকা না ব্যবসায়ীরা শান্তকে চাপ প্রয়োগ করলে তিনি বিভিন্নভাবে হুমকী প্রদান করেন।পরে সকল ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা একত্র হয়ে চাপ সৃষ্টি করার গত ১৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার অনেকের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু ওই দিন টাকা না দিয়ে শান্ত আত্মগোপনে চলে যান।
পরে ৭জন পাওনাদার নবীনগর থানায় শান্ত কুমার রায় ও তার বাবা নির্মল রায়ের বিরুদ্দে ৭টি অভিযোগ দায়ের করেন।
জানাযায়,নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামের হকসাহেবের কাছ থেকে ৪০ লাখ, মো. সুজন মিয়ার ২০ লাখ, আব্বাস উদ্দিনের ২০ লাখ ৬০ হাজার, সগির মিয়ার ১২ লাখ, শ্যামল চন্দ্র দাসের ৮ লাখ ৬০ হাজার, অক্লান্ত চন্দ্র দেব নাথের ৩ লাখ ও নিখলী গ্রামের খোরশেদ আলমের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। এছাড়া থোল্লাকান্দি গ্রামের বিকাশ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের ৩৯ লাখ, থোল্লাকান্দি গ্রামের আতিকুর রহমান রনি (বিকাশের দোকান) ৩ লাখ, বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের শাহ জালাল (বিকাশের দোকান) ৫৩ লাখ, ধরাভাঙ্গা গ্রামের বাবলু মিয়া ১১ লাখ, বাড়াইল গ্রামের (বিকাশের দোকান) মাহফুজুর রহমান ৩ লাখ, নরসিংদী জেলার মুরাদনগরের বাদল মিয়ার ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ছাত্রলীগ নেতা রিফাত আহম্মেদ গনমাধ্যমকে জানান, তাকে সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পদ পাইয়ে দেবার কথা বলে তার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়েছেন অভিযুক্ত শান্ত। এছাড়া বড়িকান্দি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি পদ দেবার কথা বলে জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ৩ লাখ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শান্ত কুমারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুউদ্দিন আনোয়ার বলেন, মঙ্গলবার রাতে নির্মল রায় ও তার ছেলে শান্ত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-খবর প্রতিদিন/ সি.বা