Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচনী সভায় এমপির স্ত্রীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রসিকতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৮০জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদর আসনের দলীয় প্রার্থী ও দলটির জেলা সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর কাছে তাঁর স্ত্রীর পরিচয় জানতে চেয়ে রসিকতা করেছেন। মোকতাদির চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর দুই দফা প্রশ্নে স্ত্রীর পরিচয় দেন। এ ঘটনায় হাসিতে ফেটে পড়েন উপস্থিত নেতাকর্মীরা।গত বুধবার বিকেলে শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই নির্বাচনী জনসভা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের প্রার্থীদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং নতুন প্রজন্মের দু’জন ভোটারের বক্তব্য শুনেন।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।জনসভায় সামনের সারিতে বসা বিশেষ লোকদের একে একে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তবে পাশে বসা স্ত্রীর পরিচয় দেননি তিনি।বিষয়টি খেয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মোকতাদির চৌধুরীকে ডেকে বলেন, ‘এই তোমার পাশে একজন নারীকে বসা দেখি, উনার পরিচয় তো পেলাম না।’তখন মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘উনি প্রফেসর ফাহিমা খাতুন। উনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার নিয়োগ দেওয়া ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উনি আগে মাউশির মহাপরিচালক ছিলেন।’জবাব শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসতে হাসতে বলেন, ‘ওহ্ আচ্ছা, আর কোনো পরিচয় নেই?’এ পর্যায়ে এমপি মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আমার সহধর্মিনী তিনি। এটা আপনি জানেন। আরও পরিচয় জানতে চাইলে বলব, উনি কামরুল ইসলাম সাহেবের (আওয়ামী লীগে নেতা ও সাবেক মন্ত্রী) ছোট বোন। উনি (কামরুল) আপনার প্রার্থী।’ এসময় জনসভায় যোগদানকারী সবাই হাসতে থাকেন। সভায় মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

দলের প্রার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে জনসভার সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আপনি আমাকে পুনরায় মনোনয়ন দিয়েছেন, এজন্যে আপনাকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। এখানে আমরা ৫ জন নৌকা মার্কার প্রার্থী আছি। একটি সিট আপনি অন্যদের ছেড়ে দিয়েছেন।’ এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৪ আসনের অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬ আসনের ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৫ আসনের মো. ফয়জুর রহমান বাদল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া–১ আসনের ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।

মোকতাদির চৌধুরী সামনের সারিতে বসা দলের প্রার্থী ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, নারী সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবিরসহ অন্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।এসময় মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণ মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই দেশের জন্যে রক্তদান করে দেশটাকে মুক্ত করেছেন।

এই নারীরা তখন আমাদের সহযোগিতা করেছিলেন। গ্রামেগঞ্জে সহযোগিতা করেছিলেন। সেই নারীর উপস্থিতি আজকে দেখেন। যারা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে ভিন্নভাবে চিত্রিত করতে চায়, আপনি আজকে সেই নারীদের এত উপস্থিতি; আপনি যতগুলো সভায় অ্যাটেন্ড করেছেন কোথাও এতো উপস্থিতি দেখেছেন কিনা, জানি না। আমাদের নারী নেত্রীরা অত্যন্ত পরিশ্রম করে এখানে উপস্থিতি দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে মাঠে দাঁড়িয়ে আপনার সঙ্গে মিলিত হয়েছি সেটা হলো নিয়াজ মুহম্মদ স্কুল মাঠ। এটার পাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজও।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে আপনি ১০ তলা বিল্ডিং দিয়েছেন, অ্যাকাডেমিক ভবন দিয়েছেন। ৬তলা অ্যাকাডেমিক ভবন দিয়েছেন। আমাদের শ্রদ্ধেয় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে নারীদের একটি হোস্টেল দিয়েছেন। আপনি এই নিয়াজ মুহম্মদ স্কুলের বিল্ডিং করে দিয়েছেন। একটা না অনেকগুলো। আমরা একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চাই এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। আমরা একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ চাই। একটা সরকারি কৃষি কলেজ চাই। আরেকটা স্টেডিয়াম চাই।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদর আসনের নৌকার প্রার্থী মোকতাদির চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে রসিকতা করলে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ইন্দোনেশিয়ায় স্কুলবাস দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাস ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে দুর্ঘটনায় অন্তত ১১ জন নিহত ও বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। পুলিশ রোববার (১২ মে) এ কথা জানিয়েছে।

সংবাদসংস্থা এপিনিউজের এক  প্রতিবেদনে প্রকাশ, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্য ৬টা ৪৮ মিনিটে দ্বীপক থেকে লেমবাঙ যাওয়ার পথে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। বাসটি এ সময়ে ৬০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বহন করছিল।

শিক্ষার্থীরা তাদের গ্রাজুয়েশন উদযাপন উপলক্ষ্যে স্কুল ট্রিপে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র লেমবাঙে যাচ্ছিল। এ সময়ে বাসটি আকস্মিকভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাম দিকে বাঁক নিয়ে একটি গাড়ি ও তিনটি মোটরবাইককে ধাক্কা দেয়।

পশ্চিম জাভা প্রদেশের পুলিশের মুখপাত্র জুলেস আব্রাহামা এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেছেন, বাসযাত্রী যারা নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে নয়জন শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক।

এদিকে দুর্ঘটনায় একজন মোটর সাইকেল আরোহী নিহত এবং ১৩ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। এছাড়া আরো ৪০ জন সামান্য আহত হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ায় বড়ো ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। পুরনো ও ফিটসেবিহীন গাড়ি চলাচল এবং সড়কে নিয়ম না মানার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও সিন্ডিকেটে কমছে ধানের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে অতিরিক্ত টোল বা খাজনা আদায়ের কারনে প্রতি ঘন্টায় কমছে ধানের দাম বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা। এক মন ধানে ৮ টাকা করে খাজনা আদায় করছেন হাট ইজারাদার মাসুদ ও তার লোকজন। পৌর এলাকার তালন্দ হাটে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। এতে করে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন।জানা গেছে, তানোর পৌরসভা থেকে প্রতি বছর হাটটি নিলাম হয়। এবার নিলামে রাজশাহীর গুড়িপাড়া এলাকার মাসুদ পেয়েছেন। পাওয়ার পর থেকেই সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত খাজনা বা টোল আদায় করে থাকেন। 

সপ্তাহে বুধবার ও রবিবার তালন্দ হাট বার। হাটে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ভ্যানে করে ধান বিক্রি করতে আসেন। প্রতি হাটে প্রচুর পরিমানে ধান কেনা বেচা হয়।মফিজ নামের এক কৃষক বলেন, তালন্দ হাটে ধান বিক্রি করতে এসেছিলাম বাড়তি দাম পাওয়ার আসায়। কিন্তু গত হাটে একমন ধান প্রকার ভেদে ১২৭০ টাকা থেকে ১২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ বুধবারে কমে ১২৪০ টাকা থেকে ঊর্ধ্বে ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার একমন ধানে ৮ টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারনেই ধানের দাম কমে যাচ্ছে।

দুলাল নামের এক কৃষক বলেন এক মন ধান বিক্রি করার জন্য এসেছে। ধাম বেশি পাব বলে দুপুর থেকে প্রচন্ড খরতাপের মধ্যে বসে ছিলাম। কিন্তু বাড়তি দাম নেই। যতই বেলা ঘনিয়ে আসছে ততই ধানের দাম সিন্ডিকেটের কারনে কমে যাচ্ছে। একমন ধান বিক্রি করেছি ১২৫০ টাকায়। ধানের দাম কমে গেলেও বাজারে নিত্যপন্যের দাম প্রচুর। একমন ধান বিক্রি করে প্রয়োজন মত বাজার করা যায় না। অবাক করার বিষয় সবকিছুর দাম বেশি হলেও ধানের দাম কম। আবার মড়ার উপর খাড়ার ঘা একমন ধানে খাজনা দিতে হচ্ছে আট টাকা করে।সিদ্দিক নামের আরেক কৃষক জানান, ১২ মন ধান বিক্রি করেছি। একমন ধানের দাম লেগেছে ১১৮০ টাকা। আর কিছুক্ষণ পর এদামও পাওয়া যাবে না।আরেকজন জানান, একমন ধানে আট টাকা তো নিচ্ছেই আবার একটি হাঁসে ২০ টাকা করে খাজনা আদায় করে থাকেন। খাজনা আদায় কারী উত্তম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ৮ টাকা খাজনা অনেক কম নেয়া হচ্ছে। সরকারি রেটে খাজানা আদায় করলে আরো বেশি হবে। সরকারি তালিকা দেখতে চাইলে তিনি দেখতে পারেননি।

সুত্র জানায়, হাটে খাজনা বা টোল আদায়ের তালিকা সাটাতে হবে। সে অনুযায়ী খাজনা আদায় করতে হবে। কিন্তু কোন নিয়মই মানছেন ইজাদার ও পৌর কর্তৃপক্ষ। বাজার মনিটরিং না থাকার কারনে ইচ্ছে মত টোল বা খাজনা আদায় করা হচ্ছে। যদি নিয়োমিত মনিটরিং ব্যবস্থা বা অভিযান দিলে এত বেপরোয়া ভাবে খাজনা আদায় করতে পারত না। সবকিছু সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। 
মুল ইজারাদার মাসুদ জানান,  এক মনে আট টাকা খাজনা আদায় অনেক কম হয়েছে। প্রতি হাটে ২০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাহলে এত বেশি টাকায় হাট নিয়েছেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমি হাটে নেই সাক্ষাতে কথা হবে বলে দায় সারেন তিনি। 

পৌর মেয়র ইমরুল হকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী খাজনা আদায় করা হচ্ছে। বাড়তি টাকা আদায় না করলে বেতনভাতা দেয়া হবে কোথাই থেকে। সরকারি তো বেতন দেয় না। পৌরসভার রাজস্ব থেকেই বেতন দিতে হয়। আর সরকারি নিয়মে আদায় হলে বেতন ভাতা হবে না।

আরও খবর



দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও কমল

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস)স্বর্ণের দাম আরও কিছুটা কমিয়েছে। দুই দিনের ব্যবধানে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬২৯ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বর্ণের নতুন দাম এদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকেই কার্যকর হবে।

এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস। নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে এক লাখ ৮ হাজার ২৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯২ হাজার ৪০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।

তবে অপরিবর্তীত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১০০ টাকা।

২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি প্রতি দুই হাজার ৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপা ভরি প্রতি এক হাজার ৭১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকে ব্যারিস্টার সুমনের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। তিনি ৩০তম পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেছেন এবং ৩৪ বছর ৭ মাস পর অবসরে গেছেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা গেছে, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসম। দৈনিক কালের কণ্ঠ গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজিরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৬টি কোম্পানি, রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকায় দামি ফ্ল্যাট ও বাড়ি, বেস্ট হোল্ডিংয়ে শেয়ার, ফাইভ স্টার হোটেল- লা মেরিডিয়ান ঢাকা-র শেয়ার, গোপালগঞ্জের ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট’, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৪১৮ ডিসিমালের বিশাল জমি। এসব সম্পদ বেনজীর, তার স্ত্রী এবং কন্যাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উপরোক্ত তথ্য ও পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন করার পর ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ এসেছে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে দেখে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমি দুদকে এসেছি। দুদকে আবেদন করে এসবের অনুসন্ধান করতে বলেছি।

তিনি আর বলেন, সাবেক আইজিপির যদি এতো সম্পদ থাকে তাহলে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন তারা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন। যারা সৎ আছেন তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আর যারা অসৎ, তারা অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় নামবেন। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকলে অসৎ কর্মকর্তারা বলবেন- আমরা বেনজীর হতে চাই। যদি দুদক এসব অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হাইকোর্টে যাব।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ গত শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি কিছু স্বীকার করেছেন, কিছু অস্বীকার করেছেন। এখন আইজিপির ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে বেতন হয় প্রায় পৌনে দুই কোটির টাকা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শত শত কোটি টাকার মালিকানা উনার আছে, যা কাগজের হিসাবে এসেছে। আর বেহিসেবে যে কি আছে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েদের আয়ের কোনো উপায় ছিল না। এরপরও ছয়টি কোম্পানি থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন। গোপালগঞ্জে ১৪শ’ বিঘা জমি করেছেন। আরকিছু দিন সময় পেলে মনে হয় তিনি গোপালগঞ্জই কিনে ফেলতেন। বৈধ না অবৈধ তা পরের বিষয়। যে হারে তিনি সম্পদ বানিয়েছেন, আর কিছুদিন হলে হয়ত উনার জমির ওপর দিয়েই আমাদের বঙ্গবন্ধুর মাজারে যেতে হতো।

সুমন বলেন, এতো সম্পদের রিপোর্ট আসার পর ভেবেছিলাম দুদক নিজেই হয়ত একটা উদ্যোগ নেবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এতো বড় দুর্নীতির বিষয়ে কি আর কেউ কোনো কথা বলবে না? দুদক নিজে কাজ না করলে নাগরিক হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব দুদককে একটু নড়েচড়ে বসার কথা বলা। আমরা বলছি না যে, বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি করেছেন। যে অভিযোগটা এসেছে তা বাংলাদেশের মানুষের সামনে, জাতির সামনে পরিষ্কার হোক। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই সম্পদ গড়েছেন। দুদক যদি এই আবেদন আমলে না নেয় তাহলে আমি হাইকোর্টে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়তে হবে। আমি এমপি হিসেবে এই প্রথম দুদকে এসেছি। যেসব জায়গায় দুর্নীতির বিষয়ে অন্যরা কথা বলবে না, আমার সাহস-সামর্থ্য থাকলে আমি কথা বলব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ আইন প্রণয়নের জায়গা। সুযোগ পেলে সংসদে আমি দুদকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরও বলেন, একজন অপরাধী নিজে তার দোষ স্বীকার করেন না। দুদক বলুক যে, বেনজীরের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। কোনো দুর্নীতি করেননি। সব সম্পদ সাদা পানির মতো। দুদক নিজে স্টার্ট নেয় না। দুদককে ধাক্কা দিয়ে স্টার্ট করে দিতে হয়। কিছু পুরাতন গাড়ি আছে যা সেল্ফ স্টার্ট নেন না। দুদকও তেমন। এখন আমরা ও সাংবাদিকরা পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার কাজটা করলে তখন চলতে পারবে। দুদক চেয়ারম্যান এক ইন্টারভিউয়ে বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাঁটে। শুধু এ কথা বললেই উনার দ্বায়িত্ব শেষ হবে না। দুর্নীতিবাজরা যেন বুক ফুলিয়ে হাঁটতে না পারে সেই ব্যবস্থা উনাকে গ্রহণ করতে হবে। আর যদি একেবারেই কোনো ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আমাদের সবার দেশ ছাড়তে হবে।


আরও খবর



লোডশেডিং শূন্যে নেমে এসেছে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কিছু পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ থাকায় গত মাসে দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে লোডশেডিং হলেও বর্তমানে তা শূন্যে নেমে এসেছে বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং করতে হয়েছে। বিশেষ করে, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায়। গত একমাস ধরে এটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।

নসরুল হামিদ বলেন, বন্ধ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেল ও আর্থিক স্বল্পতা ছিল। যারা তেল আনার কথা, যেসব প্রাইভেট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তারা আনতে পারছিলেন না। যে কারণে প্রথমদিকে দেড় হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং ছিল। তবে সেটা কমে এসেছে। পরে ৫০০ থেকে শূন্যে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আমরা আছি। আজ দেখবেন জিরো লোডশেডিং। ধীরে ধীরে কমে আসছে।

একদিকে উৎপাদনের রেকর্ড, অন্যদিকে লোডশেডিং- এটা কেন, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের রেকর্ড সঙ্গে সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। কাজেই এখানে একটা পার্থক্য আছে। এবার বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেটার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।


আরও খবর