
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপের পরিণত হবে।পরবর্তীতে যদি আরো শক্তি সঞ্চয় করে, তবে সেটি হবে ঘূর্ণিঝড়।আবহাওয়াবিদ মাে. আব্দুল হামিদ মিয়া জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এটি আজ (০৩ মার্চ) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২ হাজার ৪৫ কি.মি. দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৮০ কি.মি. দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৮০ কি.মি. দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৯৬০ কি.মি. দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়াে হাওয়ার আকারে ৫০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর মাঝারি ধরণের উত্তাল রয়েছে।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য সাবধানতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। আপাতত দেশের উপকূল ও অভ্যন্তরে ঝড় বৃষ্টির কোনো শঙ্কা নেই।
এদিকে ভারতের ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র জানিয়েছে, নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করছে। এটি কেন্দ্রের বাতাসের গতিবেগ ৬০ কি.মি পর্যন্ত ওঠে গিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে শুক্রবার (০৪ মার্চ)। আরো অন্তত ২৪ ঘণ্টা গভীর নিম্নচাপ হিসেবে থাকবে।
এই সময়ে আরো শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে অশনী (Aasani), এই নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া।