Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: নৌকা-ট্রলারকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে সাগরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ সোমবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নিম্নচাপটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

আবুল কালাম মল্লিক বলেন, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

নিম্নচাপের ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



শার্শার সাত মাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়ম, কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের শার্শার সাত মাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানাগেছে।

একাধিক অভিযোগে জানাগেছে, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু অবৈধ ভাবে জোর করে ক্ষমতার দাপটে পশু হাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খাজনা আদায় করে নাম মাত্র টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিচ্ছে। তবে কি কারনে এ বছর এই হাটের ইজারার মেয়াদ ১লা বৈশাখ শেষ হলেও নতুন করে ইজারা দেওয়া হয়নি তা নিয়ে ‌ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।

বিভিন্ন সূত্র হতে জানা গেছে, দক্ষিন বঙ্গের সব থেকে বড় শার্শার সাত মাইল পশু হাট। এখানে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দুই দিন হাট বসে। দুই দিনের এই হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল বেচাকেনা হয়। সরকারী ভাবে প্রতি বছর মোটা অংকের টাকায় এই হাট ইজারা দেওয়া হয়। গত ১৩২৮ বঙ্গাব্দে সাত মাইল পশু হাটের ইজারা ডাক ছিল সাড়ে ৮ কোটি টাকা, ১৩২৯ বঙ্গাব্দে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ও ১৩৩০ বঙ্গাব্দে এই হাটের ডাক ছিল সাড়ে ১০ কোটি টাকা। তবে নতুন বছর ১৩৩১ বঙ্গাব্দে এই হাটের কোন ডাক বা ইজারা হয়নি।যে কারনে পূর্বের ইজারাদারেরা সরকারী আইন অমান্য করে হাটের খাজনা আদায়
করছে।

সূত্রে জানা গেছে, নতুন বছর ১৩৩১ বঙ্গাব্দে সাত মাইল পশু হাটের কোন ডাক বা ইজারা না হওয়ায় শার্শা উপজেলা প্রশাসন হাটের খাজনা আদায়ের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি গঠন করে দেয়। যার স্মারক সংখ্যা ০৫.৪৪.৪১১০.০০২. ১৮৫.০০৫. ২০২৪-৩৪৮(ব)। যা স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য,যশোর জেলা প্রশাসক, শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান ও শার্শা সহকারী কমিশনার(ভুমি) কে অবহিত করা হয়। উক্ত কমিটিতে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক কে প্রধান করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বাগআঁচড়া ইউনিাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শার্শা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, বাগআঁচড়া ইউপি সদস্য আবু তালেব, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য আসমা আক্তার, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভুমি) শার্শা।

একাধিক সূত্রে আরও জানা গেছে, উক্ত হাটের মেয়াদ গত চৈত্র মাসে শেষ হলেও উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া খাজনা আদায় কমিটি আজও হাটের খাজনা আদায় করতে পারেনি। যে কারনে পূর্বের ইজারা কমিটি অনিয়ম ও সরকারী নিয়ম অমান্য করে ব্যবসায়ী ও সাধারন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের হাজার হাজার টাকা পকেট কাটছে। হাটে বিক্রির জন্য প্রতি পশু থেকে ১৫০ টাকা খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও ত মানা হচ্ছে না । যার প্রতিটি পশুর খাজনা আদায় ১৫০ টাকার বিপরীতে আদায় করা হচ্ছে ৫০০/১০০০/১২০০/১৫০০/২০০০/= টাকা করে। এ ছাড়া হাটে ৩ হাজার ব্যবসায়ীকে প্রতি ১ বছরের জন্য ৩ হাজার পাশ দেওয়া হয়েছে। সেখান থে আদায় করা হয়েছে প্রচুর টাকা।

যে কারনে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক সাতমাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বাগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গদের সাথে নিয়ে অবৈধ ভাবে জোর করে পশু হাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খাজনা আদায় করে নাম মাত্র টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিচ্ছে । প্রতি হাটে প্রায় ১২/১৫ লক্ষ টাকা আদায় হলেও সরকারের কোষাগারে জমা পড়ছে ২লক্ষ টাকা। বাকী টাকা পকেটস্থ করছে পূর্বের ইজারাদারেরা।

হাটের একাধিক সুত্রে জানাগেছে শার্শার একজন শীর্ষ জনপ্রতিনিধির মদদে জোর করে ক্ষমতার জোরে সাত মাইল পশু হাট দখল করা হয়েছে। যে কারনে সাত মাইল পশু হাট থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সাত মাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল বলেন সাত মাইল পশু হাট সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। এ ব্যাাপারে কিছু বলতে পারবো না। তবে কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংক বলেন এ বছর সাত মাইল পশু হাট ইজারা হয়নি। আমরা শার্শা উপজেলা প্রশাসনকে হাটের খাজনা আদায়ের ব্যাপারে কিছুটা সহযোগিতা করি। তিনি বলেন হাটের টাকা পয়সার ব্যাপারে আমি জড়িত না।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নতুন বছরে সাত মাইল পশু হাটের ইজারা বা ডাক হয়নি।যে কারনে ৭ সদস্য বিশিষ্ঠ খাজনা আদায় কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারী ভাবে জনবলের অভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে খাজনা আদায় করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া হাটে কোন অনিয়ম বা দূর্ণীতির অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে অপরাধীর বিরুরেদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



অপরিপক্ব লিচুতে সয়লাব ভোলায় বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:জ্যৈষ্ঠ মাসে লিচুর মতো সুস্বাদু ফলে ভরে ওঠে বাজার। শুরু হচ্ছে এই রসালো ফলের মৌসূম। সপ্তাহখানেক পরে বাজারে আসবে পরিপক্ব লিচু। তবে এরই মধ্যে ভোলার বাজারগুলো ছেয়ে গেছে টক-মিষ্টি স্বাদের অপরিপক্ব লিচুতে। বুধবার ভোলার চকবাজার ও নতুন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, চকবাজার ও নতুন বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানে সবুজাভ ও হালকা লাল রঙের লিচু পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুরোপুরি মৌসূমে পাওয়া লিচুর তুলনায় এগুলোর আকার কিছুটা ছোট। মান ও আকারভেদে প্রতি ১০০ লিচুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। অনেক ক্রেতাকেই এসব লিচু কিনতে দেখা গেছে। বিক্রেতাদের দাবি, এসব লিচু রাজশাহী, যশোর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আসে। 

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে বাজারে পাওয়া বেশিরভাগ লিচুই আসছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে। এছাড়া মাদ্রাজি জাতের এসব লিচুর বেশিরভাগই এখনও পরিপক্ব হয়নি। এই কথা বিক্রেতারাও স্বীকার করেছেন। যে কারণে এসব লিচুর স্বাদও টক-মিষ্টি। 

জানা যায়, রাজশাহী, নাটোর ও দিনাজপুরের বোম্বাই ও বেদানা লিচু আরও এক সপ্তাহ পর বাজারে উঠবে। সেসব পরিপক্ব লিচুর আকার এখনকার তুলনায় বড় হবে, তেমনি স্বাদও মিষ্টি হবে। সেসব লিচুর রঙ হবে লাল। তবে পরিপক্ক লিচুর দাম এখনকার মতোই হবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

নতুন বাজারের লিচু বিক্রেতা হারুন বলেন, এখন যেসব লিচু বাজারে আছে সেগুলো পুরোপুরি মিষ্টি না; কিছুটা টক মিষ্টি স্বাদের। মিষ্টি লিচু সপ্তাহখানেক পরে আসবে। চক বাজারের বিক্রেতা ইলিয়াস বলেন, বছরের প্রথম লিচু বাজারে উঠেছে, ক্রেতাও আছে মোটামুটি। আরও ১০ দিন পর আরও ভালো লিচু আসবে। তখন বিক্রিও বাড়বে। 

সুমন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, সোনারগাঁও ও গাজীপুর থেকে লিচু আসছে। এগুলো একটু টক-মিষ্টি স্বাদের। দিনাজপুরের লিচু আরও পরে উঠবে। তবে তখন দাম ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আর চায়না লিচুর দাম হতে পারে প্রতি ১০০ লিচু ১ হাজার টাকা। এখন বাজারে এই ধরনের লিচু নেই। এটা আরও পরে উঠবে। 

এদিকে, বাজারে এখনও পরিপক্ব লিচু না উঠলেও অনেক ক্রেতাকে পরিবারের জন্য অপরিপক্ক লিচু কিনতে দেখা যায়। আবার লিচু পরিপক্ব না হওয়ায় অনেক ক্রেতাকে সেগুলো কেনা থেকে বিরত থাকতেও দেখা যায়। শাহাদাত হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, বছরের প্রথম লিচু উঠেছে। ঘরে ছোট ছেলে মেয়ে আছে। তাদের জন্য বছরের প্রথম লিচু কিনলাম।

চকবাজারে বাজারে ফল কিনতে আসা আবুল কালাম আজাদ লিচু না কিনতে বিরত থাকেন। তিনি বলেন, আমার বাড়ি বরিশাল চাকরির সুবাদে ভোলায় থাকি। বাজারে এখন যেসব লিচু উঠছে সেগুলো পরিপক্ব নয়। ঝড়ে ডাল ভেঙে যেসব লিচু পড়েছে, সেগুলোই বাজারে এনে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার অনেক মুনাফালোভী বিক্রেতা কাঁচা লিচু বাজারে নিয়ে আসছেন এবং তারা এগুলোর সাথে ফরমালিন যুক্ত করে খোলা বাজারে বিক্রি করছে, এগুলোর স্বাদ মিষ্টি নয়। এসব লিচু খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, বিষ যুক্ত এ-সব ফলমূল প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও বাজার মনিটরিং এর অভাবে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যেন কেউ নেই।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও আগ্নেয়গিরির লাভায় নিহত বেড়ে ৩৭, নিখোঁজ বহু

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:আকস্মিক বন্যার পাশাপাশি আগ্নেয়গিরির ঠাণ্ডা লাভার "লাহার" প্রবাহে পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৮ জন। এছাড়া শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, ঠাণ্ডা লাভায় অন্তত পাঁচটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। শনিবার (১১ মে) রাত থেকে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের আগাম ও তানাহ দাতার অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে পুরো অঞ্চলটি লাভার স্রোতে সৃষ্ট কাদায় প্রায় ডুবে গেছে। এতে বাড়িঘর, মসজিদসহ শতাধিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রা দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র ইলহাম ওয়াহাব বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, অনুসন্ধান অভিযানে স্থানীয় উদ্ধারকারী, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবীরা যোগ দিয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধান করতে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে লোকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীদের একটি দল এবং রাবার বোট পাঠিয়েছে।

স্থানীয় সরকার দুটি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় উচ্ছেদ কেন্দ্র এবং জরুরি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি স্থানীয় বাসিন্দা রিনা দেবিনার উদ্ধৃতি করে প্রতিবেদনে বলেন, ‘আমি বজ্রপাত এবং ফুটন্ত পানির মতো শব্দ শুনেছি। এটি মারাপি পর্বত থেকে বড় বড় পাথর পড়ার শব্দ ছিল। পিচ কালো থাকায় আমি আমার মোবাইলটি টর্চ হিসেবে ব্যবহার করেছি। রাস্তা কাদায় ডুবে যাওয়ায় আমি বারবার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি। তিন সন্তানের এই জননী বলেন, বড় পাথরের চাপায় তার চার প্রতিবেশী মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, বর্ষাকালে ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকে ইন্দোনেশিয়া। গত দুই মাস আগেই মারাত্মক বন্যার কবলে পড়ে এই অঞ্চল।

সূত্র:দ্য গার্ডিয়ান


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




যামিনীপাড়া ২৩ বিজিবি জোনের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে খাগড়াছড়ি,র মাটিরাঙ্গা উপজেলার ২৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন যামিনীপাড়া জোনের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী  উদযাপন করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ২৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন যামিনীপাড়া জোনের ৪৮তম  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে  দুপুরে আমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে উপস্থিত হয়ে যামিনীপাড়া জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো.আলমগীর কবির পিএসসির  হাতে ফুলের তোড়া ও উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

পরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে নিয়ে ২৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন যামিনীপাড়া জোনের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিন পূর্ব রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার অতিরিক্ত মহা-পরিচালক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজেদুর রহমান, বিজিবিএম, 

 এসময় গুইমারা ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড এর  রিজিয়ন কমান্ডার,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ,
গুইমারা সেক্টর কমান্ডার,কর্নেল এস এম আবুল এহসান, পিবিজিএম, পিএসসি, খাগড়াছড়ি ডিজিএফআই ডেট কমান্ডার,কর্নেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্যের মাঝে মাটিরাঙ্গা জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো.কামরুল হাসান পিএসসি, খেদাছড়া ব্যাটালিয়ন ৪০ বিজিবি পলাশপুর জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, পিএসসি, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী সহ বিভিন্ন সামরিক, বেসামরিক পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, শিক্ষক, সাংবাদিকবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে  মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিন পূর্ব রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার অতিরিক্ত মহা-পরিচালক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজেদুর রহমান, বিজিবিএম
এসময় তিনি বলেন, বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি দুর্গম পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে সহযোগিতা করছে। দেশকে এগিয়ে নিতে তাদের এ সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।

আরও খবর



চাচির চল্লিশার আয়োজনকে ঘিরে রাতে সংঘর্ষে নিহত১ আহত অনেকে!

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image
জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া:কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে মৃত চাচির কুলখানিকে কেন্দ্র করে সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে স্বজনদের হামলায় বকুল বিশ্বাস (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন ও আহত অনেকে সদর হাসপাতালে ভর্তি ।১৩ মে ২০২৪ইং সোমবার  রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত বকুল হাতিয়া গ্রামের মৃত আফতাব বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় একজন চাল ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ঘটনায় সাত/আট জন আহত হয়েছেন। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে নিহত বকুল বিশ্বাসের চাচি মারা যান। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। চাচির কুলখানি অন্য চাচাতো ভাইয়েরা বড় করে আয়োজন করে সমাজের লোকজনকে খাওয়ানোর দাবি তোলেন। এতে বকুল বিশ্বাস ও তার পরিবারের লোকজন রাজি হয়নি। গত শনিবার বকুল বিশ্বাস তাদের সমাজের লোকজন নিয়ে চাচির কুলখানির কাজ শেষ করেন। এরই জের ধরে রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত বকুলের চাচাতো ভাই হামলায় আহত নিয়াজি খান জানান, গত বৃহস্পতিবার তার চাচি জাহানার খাতুন মারা যান। শনিবার কুলখানির আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের রান্না ও দাওয়াত দেয়াকে কেন্দ্র করে আরেক চাচাতো ভাই শিপন বিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের বিরোধ বাধে। শিপন বিশ্বাস আমাদের জানায় তার সমাজের লোকজন নিয়ে কুলখানির অনুষ্ঠান করতে হবে। এতে আমরা অসম্মতি জানায়। এরই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যার পরে নিহত বকুলসহ আমরা কয়েকজন নিজ বাড়ির সামনে বসে থাকা অবস্থায় শিপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আমাদের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় বকুলসহ ছয়জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকুল মারা যায়। শিপন বিশ্বাস নিজে নিহত বকুলের বুকে ফালা দিয়ে আঘাত করে বলেও দাবি করেন নিয়াজি খান। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদি হাসান বকুল হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সামাজিক দ্বন্দ্বে স্বজনদের হামলায় বকুল নিহত হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বকুল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

আরও খবর