Logo
আজঃ শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩
শিরোনাম

‌‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো মানুষ ঠিকানাহীন থাকবে না’

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো মানুষ ঠিকানাহীন থাকবে না বলেও জানান তিনি।

আজ বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সারাদেশের সকল উপজেলায় একযোগে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের মধ্যে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এদিন তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর, বরিশালের বানারীপাড়া ও সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে উদ্যোগটা নিয়েছি বাংলাদেশে একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না। বিশেষ করে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছি ২০২০ সালে, তখন আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল এই দেশের গৃহহীন মানুষকে ঘরবাড়ি করে দেব। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনিই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে গুচ্ছগ্রাম করেন। দেশে কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবারকে ভূমি ও গৃহ দিতে পারছি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারা অনেক আনন্দের।’

আওয়ামী লীগ জনগণের দল উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এ দল মানুষের পাশে থাকে। তাদের জন্য কাজ করে। আমাদের একটাই লক্ষ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে।’

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকে আপনারা তার তালিকা করবেন। আমরা তাদেরও ঘর করে দেব।’

১৯৯১ সালের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে ছিলেন। সে সময় বিএনপি সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

এদিন মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ১৫৯টি উপজেলাকেও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেন। গেল বছর মাগুরা ও পঞ্চগড় জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় এতে গণভবনসহ বিভিন্ন প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঢাকায় চীনের ভাইস মিনিস্টার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

কূটনৈতিক প্রতিবেদক:ঢাকায় এসেছেন চীনের ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং। দুই দিনের সফরে গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা পৌঁছান তিনি। আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি)। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। আর চীনা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন
সান ওয়েইডং। তবে তার এ সফর নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এফওসিতে অংশ নেওয়া ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক এবং সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন সান ওয়েইডং। তবে কার কার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

সূত্র জানায়, শনিবারের আলোচনায় ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, রাজনীতি, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা হবে। এজেন্ডায় সামরিক সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বেইজিং প্রস্তাবিত গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে (জিডিআই) বাংলাদেশের যোগদান নিয়ে আলোচনা চলছে। এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের সর্বশেষ সংশোধিত খসড়া এখন ঢাকার বিবেচনায়। শনিবারের এফওসিতে এ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা এবং সমঝোতাটি চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) পর জিডিআইকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে দেখছে বেইজিং। এর অধীনে বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপের চীনহিতৈষী দেশগুলোকে আরও কাছাকাছি নিতে চায় বেইজিং। সেই সঙ্গে দেশগুলোর কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার আকাক্সক্ষা রয়েছে চীনের।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিন গ্যাংয়ের ঢাকায় নজিরবিহীন যাত্রাবিরতি এবং গত মাসে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূতের বাংলাদেশ সফরের পর দেশটির উচ্চ পর্যায়ের কোনো প্রতিনিধির এটাই প্রথম ঢাকা সফর। তা ছাড়া সান ওয়েইডং ভাইস মিনিস্টারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এবারই প্রথম বাংলাদেশ সফরে আসছেন। ভাইস মিনিস্টারের দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি ভারত ও পাকিস্তানে চীনের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। ফলে এই সফরের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব আছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


আরও খবর



ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কতটি মামলা হয়েছে, জানালেন আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পর আইনটিতে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে ৭ হাজার ১টি মামলা হয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ডিজিটাল মামলা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা জানতে চান। সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

মামলাটিতে গ্রেপ্তারের সংখ্যার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ পর্যন্ত কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সংক্রান্ত প্রশ্নের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সংশ্লিষ্টতা থাকায় ওই অংশ সচিবালয় নির্দেশমালা ২০১৪–এর অনুচ্ছেদ ২১৩ (২) অনুযায়ী জননিরাপত্তা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অধস্তন আদালতগুলোতে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০টি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে দেওয়ানি মামলা ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৬০টি এবং ফৌজদারি মামলা ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৫১০টি।

তিনি বলেন, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩ মামলা চলমান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রামে ২ লাখ ৭১ হাজার ৬০৬ মামলা চলমান। সর্বনিম্ন খাগড়াছড়িতে ৬ হাজার ৬৩০টি মামলা চলমান।

সরকারদলীয় অপর সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটি আধুনিক বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে সারা দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা একটি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কার্যকর ও দৃশ্যমান উন্নয়ন হবে।


আরও খবর



নাসিরনগরে ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে টাকা ছিনতাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান: জমি নিয়ে বিরোধ,পারিবারিক কলহ,পূর্বশত্রুতা ও মামলা মোকদ্দমার জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসির নগরে সফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যাগ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে তার সাথে থাকা ব্যবসার প্রায় সত্তর হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বর্তমানে ওই ব্যবসায়ী ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পঞ্জা লড়ছে।ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি সদর ইউনিয়নের ধনকুড়া গ্রামে।তার পিতার নাম মৃত জারু মিয়া বলে জানা গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল অনুমান চার ঘটিকার সময় উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে সরাইল নাসিরনগর মহা সড়ককের উপর স্মশানের নিকট।

ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় সদর ইউনিয়নের ধনকুড়া গ্রামে তাদের বাড়ি সংলগ্ন একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবেশী আওয়াল মিয়া ও তার লোকদের সাথে বিরোধ আর মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল।গত মঙ্গলবার রাতে আওয়াল মিয়া ও তার লোকজন মিলে সফিকুলের চাচাতো ভাই মোঃ কুতু্ব উদ্দিনের একটি জায়গার উপর অন্যায় ভাবে রাতের অন্ধকারে জোর পূর্বক একটি ঘর নির্মান করে ফেলে।পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আওয়াল মিয়ার অন্যায় ভাবে নির্মিত ঘরটি সরিয়ে ফেলে বলে এস আই শ্রীবাস চন্দ্র দাস জানায়।

ওই ঘটনার পর বুধবার নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার এস আই শ্রীবাস চন্দ্র দাসের মাধ্যমে উভয় পক্ষের লোকজনকে থানায় ডেকে এনে পরবর্তীতে আর কেউ অন্যায় ভাবে কোন ঝগড়া করবেনা মর্মে উভয় পক্ষের লোকজনের কাছ থেকে মুচলেহা আদায় করে নেয়।কিন্তু আওয়াল মিয়ার লোকজন থানায় মুচলেহা দিয়েও পরবর্তীতে মুচলেহার  শর্ত ভঙ্গ করে ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলামেনর উপর সন্ত্রাসী ভাবে হামলা চালিয়ে মারপিট করে মারাত্বক ভাবে আহত করে তার সাথে থাকা ব্যবসার প্রায় সত্তর হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম জানায় বৃহস্পতিবার সকালে তিনি টমটম যোগে প্রায় এক লক্ষ টাকার মাল( ব্যাগ) নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববরাতী লাখাই উপজেলার ভুল্লা,লাখাই,মোড়াকরি,ফান্দাউক বাজারে বিক্রি করে অনুমান সত্তর হাজার টাকা কালেকশন করে আবারা ওই টমটম যোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।এ সময় ফান্দাউক স্মশানের নিকট আসা মাত্রই পূর্ব থেকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ধারলো দা,লাটি, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে ওৎপেতে বসে থাকা মোঃ আওয়াল মিয়া,কামাল মিয়া,সুকন মিয়া,জাবেদ মিয়া,আবেদ মিয়া হেকিম মিয়া,কাউছার মিয়া,রাসেল মিয়া।

সাদেক মিয়া সহ প্রায় চৌদ্দ জন লোক তার টমটমের গতিরোধ করে হর্তকিত ভাবে হামালা চালিয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে সফিকুল ইসলামের মাথা ও ডান পা কুপিয়ে কেটে দেয়।তাছাড়াও রড দিয়ে পিটিয়ে বাম পা ও বাম হাত ভেঙ্গে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক আঘাত করে মৃত ভেবে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।পরে  টমটম চালক আর পথচারীরা মিলে সফিকুল ইসলামকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎস সফিকুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন।সফিকুলের অবস্থা আশংকা জনক হওয়া জেলা সদর হাসপাতাল ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।বর্তমানে সফিকুল ইসলাম ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



নিজেদের অধিকার নিজেদের আদায় করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিজেদের অধিকার নিজেদের আদায় করে নিতে হবে। বাইরে থেকে কেউ এসে দাবি পূরণ করে দেবে না।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাগপা।

সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদত হোসেন, এনপিপির অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, নবীউল্লাহ নবী চৌধুরী, তাঁতি দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

আওয়ামী লীগকে ওয়াদা ভঙ্গকারী দল আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, নিজেদের অধিকার নিজেদের আদায় করতে হবে। বাইরে থেকে কেউ এসে দাবি পূরণ করে দেবে না। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। অবশ্যই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। না হলে কারও অস্তিত্ব থাকবে না।

দেশের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শফিউল আলম প্রধান একটি সাম্য ও মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু আজও সেই দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ এই সরকার দিচ্ছে না। কারণ, তারা তাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। আমরা ক্রান্তিকালে এসে দাঁড়িয়েছি। তারা অন্যায়ভাবে র্যা ব, পুলিশ ও দলীয় গুণ্ডা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমাতে চায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোনো ভালো মানুষ আওয়ামী লীগে থাকতে পারেনি। মওলানা ভাসানীকে তারা বের করে দিয়েছে। আ স ম আব্দুর রব, প্রয়াত শাহজাহান সিরাজ, প্রয়াত ওবায়দুর রহমান, প্রয়াত শাহ মোয়াজ্জেম,প্রয়াত শফিউল আলম প্রধান, মাহমুদুর রহমান মান্না সবাই বেরিয়ে গেছেন। কারণ, ওই সময় তারা দুর্নীতিপরায়ণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। এখনকার আওয়ামী লীগ আরও বেশি খারাপ। তাদের বডি কেমিস্ট্রি হলো কাউকে সহ্য করতে পারে না। দুর্নীতি, চুরি তাদের বৈশিষ্ট্য।


আরও খবর



প্রতারণার মামলায় নোবেল রিমান্ডে

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: প্রায় দুই লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীর এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

আসামি নোবেলকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। নোবেলের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে আজ সকালে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গত ১৬ মে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২০১৬-এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে সিএমএম আদালতে অভিযোগ দেন। আদালত সেটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মতিঝিল থানাকে নির্দেশ দেন। পরে ১৭ মে থানা মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২০১৬-এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সর্বমোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, নিজেকে ‘নোবেল ম্যান’ হিসেবে পরিচয় করানো নোবেল ব্যক্তিগত নানা আচরণের কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত হন। সম্প্রতি কুড়িগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন তিনি। কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নোবেলের আচরণে বিরক্ত হয়ে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন শিল্পীর দিকে। ওই ঘটনাটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।


আরও খবর