
নিজস্ব প্রতিবেদক ;আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো মানুষ ঠিকানাহীন থাকবে না বলেও জানান তিনি।
আজ বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সারাদেশের সকল উপজেলায় একযোগে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের মধ্যে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এদিন তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর, বরিশালের বানারীপাড়া ও সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে উদ্যোগটা নিয়েছি বাংলাদেশে একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না। বিশেষ করে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছি ২০২০ সালে, তখন আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল এই দেশের গৃহহীন মানুষকে ঘরবাড়ি করে দেব। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনিই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে গুচ্ছগ্রাম করেন। দেশে কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবারকে ভূমি ও গৃহ দিতে পারছি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারা অনেক আনন্দের।’
আওয়ামী লীগ জনগণের দল উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এ দল মানুষের পাশে থাকে। তাদের জন্য কাজ করে। আমাদের একটাই লক্ষ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে।’
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকে আপনারা তার তালিকা করবেন। আমরা তাদেরও ঘর করে দেব।’
১৯৯১ সালের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে ছিলেন। সে সময় বিএনপি সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এদিন মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ১৫৯টি উপজেলাকেও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেন। গেল বছর মাগুরা ও পঞ্চগড় জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় এতে গণভবনসহ বিভিন্ন প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।