আজাদ হোসেনঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোলকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক (অনূর্ধ্ব ১৭) -২০২২ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা (অনূর্ধ্ব ১৭) -২০২২ এর সমাপনী খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আগামী ২৯ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য এ টুর্নামেন্টের সমাপনী খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বালিকাদের ফাইনাল
ম্যাচ মাঠে বসে খেলা দেখতে এবং পুরস্কার বিতরণ করতে সম্মতি জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বালকদের ম্যাচ শুরু হবে ১২ঃ১৫ মিনিটে। বালিকাদের ম্যাচ শুরু হবে ২:১৫ মিনিটে।
এবারের আসরে উপজেলা পর্যায়ে সারাদেশের ৪৫৭১ টি ইউনিয়ন ও ২৫৭ টি পৌরসভা সহ ৪৮২৮ দলের ৮৬৯০৪ জন বালক অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়। জেলা পর্যায়ে ৪৯৫ টি উপজেলা ২৯ টি সিটি কর্পোরেশন এবং ৬০ টি পৌরসভা সহ ৫৮৪ টি দলের ১০,৫১২ জন খেলোয়ার অংশ নেয়। বিভাগীয় পর্যায়ে ৬৪ টি জেলা ও চারটি সিটি কর্পোরেশন সহ ৬৮ টি দলের ১২২৪ জন অংশ নেয়। জাতীয় পর্যায়ে আটটি বিভাগীয় দলের ১৪৪ জন খেলোয়াড় সুযোগ পায়। প্রতিটি পর্যায়ে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গঠন করা হয়। বালকদের প্রতিযোগিতা উপজেলা পর্যায়ে থেকে শুরু হলেও বালিকাদের প্রতিযোগিতা শুরু হয় জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা থেকে। দেশের ৪৯৫ টি উপজেলা এবং ২৯ টি সিটি কর্পোরেশন এবং ৬০ টি পৌরসভা সহ ৫৮৪ টি দলের ১০,৫১২ জন খেলোয়ার অংশ নেয়। এই টুর্নামেন্টের সর্বমোট ১ লক্ষ ১০ হাজার ৬৬৪ জন খেলোয়াড় বিভিন্ন পর্যায়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়।
জাতীয় পর্যায়ের এই আসর থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রতিনিধি দিয়ে প্রতিভাবান ৪০ জন বালক এবং ৪০ জন বালিকা বাছাই করা হয়। এসব বাছাইকৃত খেলোয়ারদের বিকেএসপিতে দুই মাসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণ থেকে সেরা ১৫ জন বালক ১৫ জন বালিকার জন্য দেশের বাইরে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। ২০১৯ সালের এই আয়োজন থেকে চার জন খেলোয়াড় কে ব্রাজিলে পাঠানো হয়। ২০২১ সালের এই আয়োজন থেকে ১৫ জন বালক কে ব্রাজিলে এবং ১৫ জন বালিকাকে স্পেনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। চুরান্তভাবে বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের অধিকাংশ বর্তমানে দেশের স্বনামধন্য ক্লাবগুলোতে জায়গা করে নিয়েছে। চলমান নারী ফুটবল লীগে অধিকাংশ খেলোয়াড়ই এ প্রতিযোগিতা থেকে উঠে এসেছে