Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৩ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুনামেন্ট শুরু হচ্ছে ১৩ মার্চ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৭০২জন দেখেছেন

Image

আজাদ হোসেন: আগামী ১৩ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৩  আন্তর্জাতি কাবাডি’ টুর্নামেন্ট।  বাংলাদেশ কাবাডি  ফেডারেশনের  আয়োজনে  টুর্নামেন্টের তৃতীয়  আসরে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ মোট ১২টি দেশ অংশ নিচ্ছে টুর্নামেন্টে।

 এ-গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। এ-গ্রুপের  অন্য চার দেশ ইরাক, নেপাল, ইংল্যান্ড ও পোল্যান্ড। বি-গ্রুপে রয়েছে কেনিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, চাইনিজ তাইপে ও থাইল্যান্ড। প্রত্যেকটি দল পাঁচটি করে ম্যাচ খেলবে। দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দল খেলবে সেমিফাইনালে।

এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার চার মহাদেশের বাকি ১১ দল ইতোমধ্যেই ঢাকায় পৌঁছেছে। শহিদ নুর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। 

কাল বেলা সাড়ে তিনটায় টুর্নামেন্টের প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন তথ্যও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ। 

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক(আইজিপি) এবং কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আজ  কাবাডি ফেডারেশনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান। এ সময় যুগ্ম সম্পাদক ও পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি গাজী মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডির গত দুই আসরে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। টানা তৃতীয় আসরেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাবিবুর রহমান, ‘আমাদের প্রস্তুতি যথেষ্ট ভালো। গত আসরের মতো এই আসরেও আমাদের লক্ষ্য শিরোপা জয়।’ গত দুই আসরে আমাদের প্রতিপক্ষে অপেক্ষাকৃত দুর্বল  ছিল। এবার তৃতীয় আসরে কাবাডি বিশ্বের সেরা দল আনার চেষ্টা থাকলেও সেটি সফল হয়নি উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান আরো বলেন, ‘ইরান, ভারত, পাকিস্তান ও কোরিয়ার মতো দলকে আনার চেষ্টা করেছি; কিন্তু আন্তর্জাতিক সূচির ব্যস্ততায় তা সম্ভব হয়নি। এশিয়ান গেমসের আগে আমাদের দলকে বাইরে পাঠিয়ে অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হবে।’ 

এ-গ্রুপ: আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, ইরাক, নেপাল, ইংল্যান্ড ও পোল্যান্ড।

বি-গ্রুপ: কেনিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, চাইনিজ তাইপে ও থাইল্যান্ড। 


আরও খবর



১১তম হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’-এর নিবন্ধন শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৪ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার নিবন্ধন শুরু হয়েছে। দেশের স্নাতক তৃতীয় বর্ষ বা এর উপরের পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা তাদের  সিভি পাঠিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।  দেশের শিক্ষার্থীদের আইসিটি জ্ঞান/দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি মজবুত আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তুলতে প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে হুয়াওয়ে।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে শনিবার আয়োজিত একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৪ বাংলাদেশ-এর উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. ইয়াও ওয়েন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদও অন্যান্য অতিথিরাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেংয়ের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।

এই বছর পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশ রাউন্ডের চ্যাম্পিয়ন পাবে হুয়াওয়ে মেটবুক, প্রথম রানার আপ পাবে হুয়াওয়ে প্যাড এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবে হুয়াওয়ে স্মার্ট ওয়াচ। এর পাশাপাশি, এশিয়া প্যাসিফিক রাউন্ডের শীর্ষ দুইটি প্রজেক্ট টিমের সদস্যরা পাবে চীন ভ্রমণের সুযোগ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, “চীন ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে আসছে।“এই প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করার তিনি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানান, এবং এই প্রতিযোগিতা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের সর্বোচ্চ  ব্যবহার করার আহ্বান জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আজকের তরুণ এই ধরণের সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতি হিসেবে এগিয়ে যাবে।  

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. ইয়াও ওয়েন বলেন, “"সিডস ফর দ্য ফিউচার হুয়াওয়ের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম। এর লক্ষ্য হল সামাজিক দায়বদ্ধতাকে আরও ভালভাবে পূরণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে তরুণদেরকে প্রশিক্ষিত করা। এই প্রোগ্রামটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের চাহিদাকে বিস্তৃতভাবে পূরণ করতে পারবে।"

তিনি আরও বলেন, “তরুণরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাতা। সেইসাথে বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরও ভবিষ্যৎ। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, এই প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়ের এই জ্ঞানভিত্তিক প্ল্যাটফর্মকে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করবে, অনেকের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে জ্ঞান বিনিময় করবে ও দেশকে সেবার জন্য দক্ষতা বাড়িয়ে তুলবে।"”

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, “প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে বিশ্বব্যাপী আইসিটি খাত তাতে বাংলাদেশেও অংশগ্রহণ করবে আমরা এমনটা প্রত্যাশা করি। আমরা জানি এই আইসিটি খাত হুয়াওয়ের উপর অনেকটাই  নির্ভরশীল।  আমাদের দেশের আইসিটি ক্ষেত্রের তরুণ প্রতিভাদের অন্যান্য দেশের তরুণদের সাথে যুক্ত করে একটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যেভাবে এগিয়ে যেতে হুয়াওয়ে সাহায্য করছে তা প্রশংসার দাবীদার। । আমি এই আয়োজনের  সফলতা কামনা করি ”

লোকমান হোসেন মিয়া উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এটি খুবই ভালো সময়। বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়া সদর দপ্তর স্থাপনের জন্য তিনি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানান।

হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, “প্রতিবছরের মত এবারও 'সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৪ বাংলাদেশ' শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এটি হুয়াওয়ের একটি অনন্য কর্মসূচি, যা বাংলাদেশের  জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করার প্রতি আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়কে তুলে ধরে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের সুবিধা প্রদানে সফল হয়েছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এই বছর আমরা আরও প্রতিভাবান তরুণকে এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে দেখবো, যারা আগামীতে দক্ষ আইসিটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে  নেতৃত্ব দেবে।”

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের সচিব মো. নুরুল হাফিজ বলেন, “হুয়াওয়ে বাংলাদেশের আইসিটি ক্ষেত্রে অবদান রাখার পাশাপাশি অনেক ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নিয়েও কাজ করছে। হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম হিসেবে সিডস ফর দ্য ফিউচার শুধু কর্পোরেট দায়িত্বের উদাহরণই নয়। এতে বিশ্বব্যাপী প্রতিভাবান তরুণদেরকে দিকনির্দেশনা প্রদানের প্রত্যয়ও প্রতিফলিত হয়। ডিজিটাল যুগের পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য চালু করা প্রোগ্রামটি শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি আন্তর্জাতিক নাগরিকতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও উদ্যোগ গ্রহণের মনোভাবকে উৎসাহিত করে।"

ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৩০ প্রাপ্ত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদেরকে ২০শে মার্চ ২০২৪-এর মধ্যে [email protected] -এ সিভি ইমেল করতে হবে।

২০১৪ সালে বাংলাদেশে শুরু হওয়ার পর থেকে 'সিডস ফর দ্য ফিউচার' দেশের তরুণদেরকে বিশেষ সুযোগ দিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে দিক নির্দেশনা পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ১৫,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে এই প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হয়েছে।


আরও খবর



জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের কাছে ইইউ নেভাল ফোর্সের যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি অদূরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেভাল ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে ইইউ নেভাল ফোর্সের  এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

পোস্ট করা একটি ভিডিও এবং তিনটি স্থিরচিত্রে দেখা যায়, ইইউ নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজের কয়েক নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে। যুদ্ধজাহাজ থেকে একটি হেলিকপ্টার জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়। একটি ছবিতে দেখা যায়, ইইউ নেভাল ফোর্সের দুজন সদস্য যুদ্ধজাহাজটি থেকে এমভি আব্দুল্লাহর দিকে তাকিয়ে আছেন।

এদিকে, বাংলাদেশের অনুমতি ছাড়া সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা জাহাজে কারও অভিযান চালানোর সুযোগ নেই বলে একটি জানিয়েছেন নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।

মাকসুদ আলম বলেন, জলদস্যুদের কবলে থাকা ওই জাহাজের নাবিক ও ক্রুদের উদ্ধারে আলোচনা চলমান। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে আরও বেশকিছুদিন সময় লাগবে লাগবে।

গত ১২ মার্চ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটি ২৩ জন নাবিক ও ক্রুসহ জিম্মি হয়। সর্বশেষ অবস্থান অনুযায়ী জাহাজটি এখন সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রেখেছে দস্যুরা।

ইইউ নেভাল ফোর্স যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করলেও কোনো অভিযানের বিষয়ে জানায়নি। এর আগে ইইউ নেভাল ফোর্স জিম্মি জাহাজটি উদ্ধারে অভিযানের কথা জানালেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মতি দেওয়া হয়নি।


আরও খবর



রমজানে খোলা থাকবে স্কুল: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ জানিয়েছেরমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে।আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর আগে, সোমবার স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে।

মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। পরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল। ওই রিটের শুনানি এখনও হয়নি।


আরও খবর



দস্যুদের কবলে পড়া জাহাজের নাবিকরা নিরাপদে আছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সোমালিয়ান দস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটি ভারত সাগরে আছে.বলেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী । সার্বক্ষণিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের নাবিকরা নিরাপদে আছে। এখন পর্যন্ত এটুকুই খবর। পরবর্তীতে কোনো ভালো খবর পেলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গেই জানাবো।

তিনি বলেন, যে ২৩ জন নাবিক জিম্মি আছে তাদের জীবন রক্ষা করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা আমাদের প্রথম কাজ। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এটা নিয়ে কাজ করছে। যেসব জলদস্যু জাহাজকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এখন পর্যন্ত তাদের দখলেই আছে সেটি।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৪ উপলক্ষ্যে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে এক বৈঠকে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নাবিকদের কত সময়ের মধ্যে ফেরত আনা যাবে, সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। কারণ যারা জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ করছেন, তারা তো মানুষ না। মানুষের সঙ্গে কথা বললে আমরা সময় নির্ধারণ করতে পারব। কিন্তু এটা জলদস্যুদের বিষয়। দস্যু আর মানুষ এক জিনিস না।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের (নাবিকদের) হত্যার হুমকির বিষয়ে কোনো সংবাদ আমাদের কাছে আসেনি। জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সংগঠন আছে। তারা এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারেন। আমাদের সঙ্গে জলদস্যুদের যোগাযোগ নেই। আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের যোগাযোগ আছে।

তিনি জানান, সোমালিয়া থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি আছে। কাজেই সোমালিয়া বলা যাবে না। এটা কারা করেছেন, এই জলদস্যু কারা, তা তো শনাক্ত করা যায় না। তবে ওই অঞ্চলটিকে সোমালীয় অঞ্চল বলা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ'র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিককে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) জিম্মি করে জলদস্যুরা। কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি নৌপথে পণ্য পরিবহন করে। আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়ে।


আরও খবর



স্পেনের আলিকান্তে ও এলচেতে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক অমিত সম্ভাবনা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

কবির আল মাহমুদ,স্পেন:বাংলাদেশ এখন অমিত সম্ভাবনার দেশ। বাংলার কৃষক ও শ্রমিকের শ্রমে-ঘামে, ফসলে তথাকথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ এখন উদ্বৃত্ত খাদ্য ও বৈদেশিক রেমিট্যান্সে ভরে উঠেছে।৫৩ বছরের পথপরিক্রমায় অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বিদেশীদের দৃষ্টিতে স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশ ছিল এক তলাবিহীন ঝুড়ি। আর এখন সমৃদ্ধ-স্বনির্ভর বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশ। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এখন এক উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। যে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল বাংলাদেশ, সেই পাকিস্তানই এখন আর্থ-সামাজিক প্রায় সব সূচকেই পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশের চেয়ে। দিনে দিনে সামাজিক, রাজনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো। এটা আরোপিতভাবে নয়, স্বাভাবিক নিয়মেই ঘটেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্থনীতিতে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। কৃষিনির্ভর অর্থনীতি থেকে ক্রমশ বেরিয়ে এসে শিল্প ও সেবা খাতমুখী হয়েছে আমাদের অর্থনীতি। উন্নয়নের মহাসড়কে ছুটে চলা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ এখন সাহায্য গ্রহীতা নয়, সাহায্য দাতার কাতারে উঠে এসেছে।

সম্প্রতি স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ দেশটির চামড়াজাত পণ্য ও জুতার রাজধানী হিসেবে পরিচিত এলচে ও আলিকান্তে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারের অংশ হিসেবে কতিপয় বৈঠকে যোগদান এবং কারখানা পরিদর্শন কালে এসব কথা বলেন।
এছাড়া, জনকূটনীতি ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের কনস্যুলার ও কল্যাণ কার্যক্রম সহজিকরণ বিষয়ক বৈঠক করেন।এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রেদোয়ান আহমেদ ও স্পেন-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স, ঢাকার সভাপতি আশিক এলাহি চৌধুরী উপস্থিত

রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদল স্পেনের বিখ্যাত জুতার ব্র্যান্ড পিকোলিনোসের কারখানা পিকোকাইজেন পরিদর্শন করেন। পিকোলিনোস গ্রুপ গত প্রায় ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশের উন্নতমানের চামড়া ব্যবহার করে জুতা, ব্যাগসহ বিবিধ চামড়াজাত পণ্য তৈরি করে আসছে।

এ সময় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোসে মিগেল গার্সিয়া বাংলাদেশি চামড়া দিয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন। কোম্পানির প্রেসিডেন্ট খুয়ান ম্যানুয়েল পেরান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।রাষ্ট্রদূত গত প্রায় দেড় দশকে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও গভীর করার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদল এলচের অদূরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত একটি কৃষি খামার পরিদর্শন করেন। খামারের উদ্যোক্তারা জানান, খামারে উৎপাদিত সবজি স্পেনের ভেতরেসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশকিছু দেশে রপ্তানিও করা হচ্ছে।রাষ্ট্রদূত এ ধরনের ভিন্নধর্মী ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য উদ্যোক্তাদের ভূয়ষী প্রশংসা করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের আরও বহুমুখী ব্যবসায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদল আলিকান্ত চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে এক মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেন। সভায় চেম্বারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট খেসুস নাভারো আলবেরোলাসহ আলিকান্তের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল যোগ দেন।বৈঠকে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও অবারিত বাণিজ্য সম্ভাবনার বিষয়ে চেম্বারকে অবহিত করে আলিকান্তের ব্যবসায়ী নেতাদের দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

এ বৈঠকে স্পেনের সুপরিচিত মশলা ব্র্যান্ড কারমেনসিটা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড লোপেজ, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সেন্ট্রাম, আরএমজি কোম্পানি জোসে মনলোর এসএল থেকে খাভিয়ের আর্টেগা, রাসায়নিক কোম্পানি ইনসোকো থেকে আলেহান্দ্রো রিবেলস, লেদার কোম্পানি সানচেজ আগুলোর থেকে খোসে আন্তোনিও সানচেজ ও পিকোলিনোসের রোজানা পেরানসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।আলিকান্ত ও এর আশেপাশে এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে মতবিনিময় করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং সমাধান দেন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর অনুরোধ জানান। এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারের পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য এবং ওয়েজ অর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য পদ গ্রহণের জন্য তিনি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। এ সময় সীমিত আকারে কনসুলার সেবা প্রদান ও ওয়েজ অর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদের আবেদনও গ্রহণ করা হয়।

* কবির আল মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক, ইউরোপ-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব।


আরও খবর