বিনোদন ডেস্ক:শুরুতে অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আনেন নির্মাতা আদিব হাসান। পরবর্তীতে ঘটনার হাওয়া বইতে শুরু করে ভিন্ন দিকে। ‘দুর্ব্যবহার’র অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে চমক দাবি করেন, তার সুনাম ক্ষুণ্ন করা জন্যই এসব রটানো হচ্ছে। আর পেছনে দায়ী- ‘শ্বশুর বাড়িতে প্রথম দিন’ নাটকে তার সহশিল্পী ও এক সময়ের বন্ধু আরশ খান এবং নির্মাতা।
চমক বলেন, ‘আমি কারও সঙ্গে কোনো অন্যায় করিনি। এখানে নির্মাতা আর আরশ খান চক্রান্ত করে এটা ছড়াচ্ছে। একটা সময় আরশ আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল। তবে সে আমার কাছে বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু চেয়েছিল। আর এ কারণে তার সঙ্গে আমার দূরত্ব বাড়ে। সেই রাগ আর ক্ষোভ থেকেই তিনি এসব কথা ছড়িয়েছেন।
তবে চমকের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আরশ খান। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভালো সম্পর্ক। তাকে আমার মায়ের শাড়ি দিয়েছি কস্টিউম হিসেবে। এই নাটকে একদিন শুটিং করে রাতে চমক আমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে। আগেও দিয়েছে। সে এখন উল্টাপাল্টা কথা বলছে। আমি নাকি তার কাছে বাড়তি সুবিধা চেয়েছিলাম। আমার নাকি ব্যক্তিগত সমস্যা আছে। আমি সুবিধা পাওয়ার জন্য এ রকম করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যদি আসলেই তেমন হতাম, তাহলে আগেই স্বার্থ হাসিল করে শুটিং করতাম। সবই ঠিক ছিল, কিন্তু যখন মাসুম বাশার আঙ্কেল প্রসঙ্গে সবার সামনে মিথ্যা বলছিল, তখন সে চেয়েছিল তার সঙ্গে আমি যেন সায় দিই। না দেওয়ার কারণে সে আমাকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলছে। তা ছাড়া শুটিংয় সেটে সে এর আগেও এমন অনেকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তার প্রমাণ আছে।
‘শ্বশুর বাড়িতে প্রথম দিন’ নাটকের শুটিংয়ে সেদিন কি হয়েছিল জানতে চাইলে আরশ বলেন, ‘সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পরিচালকের সঙ্গে আমার কথা হয়। তাকে সবকিছু রেডি করতে বলি। পরে সাড়ে ১০টার দিকে সহকারী পরিচালক ফোন দিয়ে বলেন, চমক ফোন ধরছে না। আমি যেন একটা ফোন দিই। সে কারণেই আমি তাকে ফোন দিয়েছি। সে ফোন ধরে না। এখন আমি কি তাকে ফোন দিতে পারি না। আমাদের একসঙ্গে শুটিং। সে এলেই তো আমাদের দৃশ্যে শুটিং করতে পারব। এখানে অন্যায়টা কী?’
শুটিংয়ে মেকআপ রুমে দুই অভিনয়শিল্পীর কথা হয় জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘এর মধ্যে আমি হঠাৎ শুনি, চমক চিল্লাচিল্লি করছে। গিয়ে শুনলাম, একজন প্রোডাকশন বয় নাকি তাকে দেখে চমৎকার বলেছে। চমক মনে করেছে, এটা বলে তাকে টিপ্পনী কেটেছে। সেই প্রোডাকশনের ছেলেকে শাসন করে মিটমাট করে দিলাম। পরে আমি ক্যামেরাম্যান নাজমুল হাসানের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম। এর মধ্যে আবার শুনি, চমক চিল্লাচিল্লি করছে। সে শুটিং করবে না। এ নিয়ে পরিচালকের সঙ্গেও কথা হয়।
আরশের কথায়, পরিচালক সরাসরি জানিয়ে দেন, ‘সে চলে গেলে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিতে হবে। দুজনকে ডেকে তিনি বিষয়টি মীমাংসা করতে চান; কিন্তু ঘটনা বেড়ে চলে। চমক অনেক চিল্লাচিল্লি করতে থাকে। পরে সে অভিনয়শিল্পী সংঘে বিষয়টি জানায়। নির্মাতা আদিব হাসানও ডিরেক্টরস গিল্ডে বিষয়টি জানায়।
আরশের দাবি, ‘চমক আমার সামনে অভিনয়শিল্পী সংঘে ফোন দিয়ে বলে তাকে আটকায়ে রাখছে। টাকা না দিলে বের হতে দেবে না। কথা বলা শেষ হলে আমি চমককে বলি, এটা কী বলতেছ। কারণ, তেমন কিছু ঘটেনি। তখন সে আমাকে এ নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করে। এর মধ্যে দেখি পুলিশ। শুটিংয়ের মধ্যে পুলিশ আসায় সিনিয়র অভিনেতা মাসুম বাশার কিছুটা বিরক্ত হন। তাকেও ছোট করা হয়েছে।’