Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
ঢাকা দূষিত শহরের তালিকায় ৩ নম্বরে পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী শত্রুতা নয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র, অংশীদারত্ব চান শি জিনপিং ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় আজ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সব স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ তীব্র তাপপ্রবাহ: কর্মীদের সুরক্ষায় রেলের নির্দেশনা বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু

বিয়ে না করেই মা হচ্ছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:মা হতে চলেছেন ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’খ্যাত অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। সামাজিক মাধ্যমে নিজেই তথ্যটি জানিয়ে তিনি লিখেছেন আমি এবং আমার স্বামী যৌথভাবে ঘোষণা করছি যে, আমি মা হতে চলেছি। আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসা একান্ত কাম্য।

ঋতাভরীর এই ঘোষণায় তাজ্জব নেটাগরিকরা! কারণ, এই অভিনেত্রীর যে এখনও বিয়ে হয়নি।  সবার প্রশ্ন, কখন-কাকে বিয়ে করেছেন তিনি? 

শোনা গিয়েছিল, চিকিৎসক তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রেম করছিলেন ঋতাভরী। সেই সম্পর্ক আদৌ আছে কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কয়েকদিন আগে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছিল, সম্পর্কের ইতি টেনেছেন তারা।

তবে নায়িকাদের ব্যাপার-স্যাপার আলাদা। সম্পর্ক এই আছে, এই নেই। তথাগতর সঙ্গে যদি সম্পর্ক না থাকে, তাহলে কার সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন ঋতাভরী? নাকি তাকে গোপনে বিয়ে করেছেন? এসব তো টলিউডে স্বাভাবিক বিষয়। এ রকম নানা প্রশ্ন ঘুরছে অনুরাগীদের মাথার ভেতর। 

যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি। হতে পারে, নতুন কোনো ছবির প্রচারণার কৌশল এটা। আবার সত্যিও হতে পারে। 


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে ১০২ তম বারুনী স্নানোৎসবে লাখ ভক্তের ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image

শেফালী আক্তার রাখি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট):বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শ্রীধাম লক্ষীখালী গোপাল সাধু ঠাকুরের সেবাশ্রামে ১০২ তম বারুনী স্নানোৎসব ও গোপাল চাঁদ মেলায় নারী-পুরুষ পুজারী লাখ ভক্তের ঢল। ঢাক, ঢোল, নিশান বাদ্যযন্ত্র সহকারে “হরিবল, হরিবল” নামে মূখরিত ভক্তদের বসেছে যেন এক মিলন মেলা।

৩ দিনব্যাপী মেলা শনিবার সকাল থেকেই মেলায় স্ননোৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, বেতাগী, বামনা, মির্জগঞ্জ, ঝালকাঠী, কাঠালিয়াসহ বিভিন্ন প্রান্তের মতুয়া ভক্তরা সমবেত হয়েছেন। প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেও এবারে এ উৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজন প্রসাদ বিতরণ, ভক্তদের উৎসবে যেন কোন কমতি নেই। দলে দলে হাজার হাজার মতুয়া ভক্তরা পায়ে হেটে, নৌ ও সড়ক পথে পাড়ি জমিয়েছে লক্ষীখালী বারুনী স্ননোৎসবে।

এ দিকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও শ্রী শ্রী হরিগুরু চাঁদ ঠাকুরের ২০১৩ তম শুভ জয়ন্তী জন্ম স্বরনে বাংলা ১৩২৮ সালে থেকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালী গ্রামে তারই ভক্ত গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুরের শ্রীধামে ৩দিন ব্যপি বারুনী ¯স্নানোৎসবে মতুয়া ভক্তদের মিলন মেলা বসেছে। দিনরাত অবিরাম প্রসাদ বিতরণ চলছে।

ত্রায়দশী তিথি অনুয়ায়ী সোমবার পর্যন্ত চলবে। এ অনুষ্ঠানে ভক্তদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহযোগীতায় প্রশাসন কাজ করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও সহযোগীতা করছে।

এ মেলায় রবিবার সকাল ১০ টায় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, দুপুর ১২ টায় সহকারি হাই কমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর, বাংলাদেশ মতুয়া সংঘের কার্যকরী সভাপতি শ্রী সুব্রত ঠাকুর।

বারুণী স্নানউৎসবে মতুয়া মেলায় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন বলে শ্রীধাম লক্ষীখালীর গদীনশিন সেবাইত সাগর সাধু ঠাকুর জানিয়েছেন।


আরও খবর



কেএনএফের ৯ সদস্য অস্ত্রসহ আটক

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে চলমান যৌথ অভিযানে পাহাড়ী সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের ৯ সদস্যকে ৯টি অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে সেনাবাহিনীর ১৬ ই বেংগল দোপানিছড়া পাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে একটি টহল দল কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পায়। পরে ওই এলাকা ঘেরাও করে ৯ জনকে আটক করে।

এ সময় ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্তুজ, দু’টি মোবাইল ফোন এবং দু’টি আইডি কার্ড উদ্ধার করে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র সদস্যরা এ সময় ব্যাংকে নিয়োজিত গ্রামপুলিশ ও ব্যারেকে থাকা আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ও গুলি লুট করে। এছাড়াও ডাকাতির সময় ব্যাংক ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অভিযানে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। ব্যাংক ডাকাতি ও গোলাগুলির ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।


আরও খবর



দড়িচর ছাত্র ও সমাজকল্যাণ সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:কুমিল্লার হোমনায় দড়িচর ছাত্র ও সমাজ কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সংগঠনের সকল সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রেখে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সংগঠনের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-মহা পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মাহবুব আলম (বিপিএম বার, পিপিএম)। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব এসএম নজরুল ইসলাম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অর্থ ও প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালক উপ-সচিব মো. মোজাম্মেল হক, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ক্ষোমালিকা চাকমা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন, ভারটেক্স বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সৈয়দ মো. জুনাইদ আনোয়ার, বিসিআইসি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মীর মো. মাসুদুজ্জামান, সাংবাদিক মোর্শেদুল ইসলাম শাজু, মো. মোরশিদ আলম ও মো. শফিকুল ইসলাম পলাশ। আরও ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান মুকুল ও মো. আবু হানিফ। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজেস’র ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ সেন্টারের অধ্যক্ষ মুনসুর হাসান খন্দকার। প্রধান অতিথি ডিআইজি মাহবুব আলম দড়িচর ছাত্র ও সমাজ কল্যাণ সংগঠনের উন্নয়নের লক্ষ্যে পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান দেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রধান অতিথিকে সংগঠনের সম্মানসূচক আজীবন সদস্য পদে মনোনীত করা হয়।

শেষে অতিথিরা হোমনা পৌরসভা কার্যালয়ে পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলামের আমন্ত্রণে সংক্ষিপ্ত চা-চক্রে মিলিত হয়ে পৌর ভবনের সামনে এক ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রেজিস্টার্ড এ সংগঠনটি ইতোমধ্যে দড়িচর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল পরিচালনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ এক বছর প্রতি মাসে ১৫ হাজার টকা করে দান, প্রতি বছর ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে এলাকার ৩ শ থেকে সাড়ে ৩ শ’ দুঃস্থ ও দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান, ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে গ্রন্থাগার পরিচালনা, ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে ২৫০ গরীব ও অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা, বিধবা ও দরিদ্র মেয়েদের বিয়ে আয়োজনে নগদ অর্থ প্রদান, অসহায় পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের দাফন কাফনের ব্যবস্থা করে এলাকায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। এছাড়াও এ সংগঠনটি এলাকার যুবকদের খেলাধূলায় মনোযোগী করে শরীর ও সুস্বাস্থ্য গঠনে ভূমিকা রেখে চলেছে। একটি নিজস্ব ফুটবল টিম গঠন করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অনেক পুরস্কার লাভ করেছে।


আরও খবর



বগুড়ায় এবার পিতার চাকুর আঘাতে প্রাণগেল শিশুকন্যার,পিতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image
বগুড়া বিশেষ প্রতিনিধি:বগুড়ার কাহালু পৌর এলাকার মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সাগাটিয়া গ্রামে পিতা আব্দুর রহিমের চাকুর আঘাতে প্রাণ গেল শিশুকন্যা রাহী মনি (৭)। বগুড়ার কাহালু থানা পুলিশ রাহী মনির পিতা আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করেছে।

এলাকা সূত্রে জানা যায়: বগুড়ার কাহালু পৌর এলাকার সাগাটিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র আব্দুর রহিম তার শিশু কন্যা রাহী মনিকে পড়তে বসতে বললে সে পড়তে না বসায় দিনমজুর আব্দুর রহিম রাগান্বিত হয়ে অসাবধানতা বসত তার হাতে থাকা ব্যাগ দিয়ে শিশুকন্যা রাহী মনিকে আঘাত করলে ব্যাগের ভিতর থাকা চাকু রাহী মনির শরীরের উরুতে ঢুকে যায়।গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে কাহালু হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। রাহী মনি কাহালু সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার ১ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। 

বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম-সার্কেল) ওমর আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, রাহী মনির পিতা আব্দুর রহিম উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন তবে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও খবর



আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, ‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে। দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে আমরা পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮শ ৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করেছি। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করেছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমিহীন, গৃহহীন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করেছি এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করেছি।


আরও খবর