
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান বিতর্ক তার পিছু ছাড়ছিল না কিছুতেই। নানান ইস্যুতে আলোচনায় ছিলেন জামালপুর-৪ থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য। এক পর্যায়ে নারীঘটিত কেলেঙ্কারিসহ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে হারিয়েছেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের পদ।
প্রতিমন্ত্রীর পদও ছাড়তে বাধ্য হন ডা. মুরাদ। তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।
এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কী সিদ্ধান্ত নিলো কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ? এমন প্রশ্ন সবার। কিন্তু গেলো ৭ মে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা হলেও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, নারী ও সংবিধান নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য এবং সবশেষ নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে আপত্তিকর অডিও ভাইরাল হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে গত ৭ ডিসেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ডা. মুরাদ হাসান।
ওইদিনই জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ তাকে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। পরদিন ৮ ডিসেম্বর সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আওনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় ডা. মুরাদ হাসানকে।