Logo
আজঃ বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বিশ্বজয়ের অনুভূতি জানাতে আবেগঘন বার্তা, যা লিখলেন মেসি

প্রকাশিত:বুধবার ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ২৫৪জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক ;এতদিন বিশ্বকাপ ছাড়া সব অর্জনই ছিল লিওনেল মেসির। আরাধ্য বিশ্বকাপের ছোঁয়াও এবার পেয়ে গেলেন। তবে এই অর্জন সহজে আসেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক কঠিন সেই যাত্রার কথাই তুলে ধরেছেন।

৩৬ বছরের আক্ষেপের অবসান ঘটিয়েছে লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়ে আর্জেন্টিনা। এর আগে তারা সবশেষ শিরোপার দেখা পেয়েছিল ১৯৮৬ সালে।

বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার স্থানীয় সময় সোমবার রাতে দেশে ফিরে মেসিরা। দেশের মানুষ তাদের রাজকীয় সংবর্ধনা দেয়। ট্রফি জয় থেকে দেশে ফেরার জন্য বিমানে চেপে বসা, কাপ নিয়েই ঘুমিয়ে যাওয়া- এমন সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছিলেন মেসি।

পরে একটি ভিডিও পোস্ট করে আবেগঘন বার্তাও দিয়েছেন। যেখানে নিজের শৈশব, বিশ্বকাপ নিয়ে স্বপ্ন, ২০১৪ আসরের দুঃখগাথা, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, কোচিং স্টাফসহ অনেক বিষয় উঠে এসেছে।

মেসি লিখেছেন, ‘গ্র্যান্ডোলি থেকে কাতার। প্রায় ৩০ বছর। বিশ্বকাপ জিততে তিন দশকের কাছাকাছি সময় লাগল। ফুটবল আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। কিছু দুঃখও দিয়েছে। আমি সব সময় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। কখনো চেষ্টা বন্ধ করিনি। বিশ্বাস ছিল কখনো হাল ছাড়ব না।’

যোগ্য দল হিসেবেই তারা বিশ্বকাপ জিতেছেন উল্লেখ করে মেসি লিখেন, ‘আমরা বিশ্বকাপ পেয়েছি, কারণ বাকি সবার থেকে আমরা ভালো খেলেছি। আগের বিশ্বকাপগুলোয় আমরা এভাবে খেলতে পারিনি। যেমন ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠেও জিততে পারিনি আমরা। এবার সবাই অনেক পরিশ্রম করেছিল। সবাই আন্তরিকভাবে জিততে চেয়েছিল। এই বিশ্বকাপটা ছেলেদের প্রাপ্য। এ ভাবেই প্রতিযোগিতা শেষ করতে চেয়েছিলাম আমরা।’

এরপর তিনি প্রয়াত কিংবদন্তি ম্যারাডোনাকে স্মরণ করেন, ‘এই বিশ্বকাপটা ডিয়েগোর (ম্যারাডোনা) জন্যও। তিনি আমাদের স্বর্গ থেকে উৎসাহিত করেছিলেন।’

এই বিশ্বকাপ সবার উল্লেখ করে মেসি লিখেন, ‘এই বিশ্বকাপ তাদের সকলের জন্য যারা ফলাফলের দিকে না তাকিয়ে সবসময় জাতীয় দলকে উৎসাহিত করেছেন। তাদের জন্য যারা বেঞ্চে বসে থেকেছে খেলার সুযোগ না পেয়ে। ২০১৪ সালে যারা কাছে পৌঁছেও জিততে পারেনি, এই বিশ্বকাপ তাদেরও।’

‘সবার একটাই আকাঙ্খা ছিল, সবকিছু আমাদের ইচ্ছা মতো হয় না। আমাদের দলটা সত্যিই সুন্দর। কোচিং স্টাফ, টেকনিক্যাল স্টাফ- তাদের হয়তো সবাই চেনেন না। তারাও এই স্বপ্নটা সফল করার জন্য দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছেন।’

অনেক ব্যর্থতার মাঝেই যে আগামীর সাফল্য লুকিয়ে থাকে, মেসি সেটিও মনে করিয়ে দেন সবাইকে। লিখেন, ‘অনেক সময় ব্যর্থতা যাত্রা পথের সঙ্গী হয়। সেগুলো আমাদের শেখায়। হয়তো সেগুলো হতাশা নিয়ে আসে। তবু ব্যর্থতা ছাড়া সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। আমার হৃদয় থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এগিয়ে চলো আর্জেন্টিনা।’

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে গেল রবিববার ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে সমতা থাকার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ের ৩০ মিনিটে। সেখানেও ১-১ গোলের সমতা তৈরি হওয়ায় পরবর্তীতে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে জিতে ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘোচান মেসি-মার্টিনেজরা।


আরও খবর



গলাচিপায় কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

রিয়াদ হোসাইন গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:‘পুলিশ-জনতা ঐক্য করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’ এই প্রতিপাদ্যে পটুয়াখালীর গলাচিপায় কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গলাচিপা থানা পুলিশের আয়োজনে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বেলা ১১টায় গলাচিপা থানা প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোণিত কুমার গায়েনের সভাপতিত্বে ও সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. মহসিন হাওলাদারের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (গলাচিপা সার্কেল) মোর্শেদ তোহা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাসিম রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ দে, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়ানা মার্জিয়া নিতু, গলাচিপা বণিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. শাহজাহান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হারুন-অর-রশিদ, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, গলাচিপা প্রেসক্লাব সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয় প্রমুখ। এছাড়াও জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মান্দায় অ্যাম্বুলেন্স সেবা এবার বন্ধ করে দেওয়া হল অর্থ সংকটে

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মান্দায় সচল অ্যাম্বুলেন্স এবার বন্ধ করে দেওয়া  হল অর্থ সংকটে। ১০ লাখ টাকা বকেয়া পড়ায় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।  এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগি ও তাদের স্বজনরা।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দফায় দফায় পত্র দিয়েও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি কোন অর্থ। এ কারণে বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া পড়েছে ফিলিং স্টেশনে। বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ জ্বালানি সহায়তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। উপায়ান্ত না থাকায় বুধবার (১ নভেম্বর) থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ অ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যক্রম।

রাজশাহীর নওহাটা এলাকায় অবস্থিত রুচিতা ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাঁকিতে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছিল মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটিতে। সময় মতো কোন টাকাই পরিশোধ করা হয়নি।  বর্তমানে বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া পড়েছে। বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও বকেয়ার টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। এই কারণেই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি সূত্র জানায়, এ উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। ২৯ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে মহাসড়ক। রয়েছে কয়েকটি আঞ্চলিক সড়ক। এসব সড়কে প্রায় ঘটে থাকে ছোটবড় নানারকম দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রোগিদের নিতে হয় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ ছাড়া জরুরিসহ বিভিন্ন ঘটনার রোগিদেরও রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হয়। এ কারণে প্রতিদিন বেশ কয়েক বার রাজশাহী যাতায়াত করে অ্যাম্বুলেন্সটি।

সূত্রটি আরও জানায়, মান্দা উপজেলা সংলগ্ন নিয়ামতপুর ও মহাদেবপুর উপজেলার একাংশের বাসিন্দারাও গুরুতর অসুস্থ রোগিদের এ হাসপাতালের মাধ্যমে রোগিদের রাজশাহীতে নিয়ে থাকেন। এসব কারণে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবহার নওগাঁর অন্যান্য উপজেলার চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু জ্বালানির জন্য জেলার ছোট উপজেলাগুলোর সাথে একইহারে বরাদ্দ পাওয়া যায়। যা এ উপজেলার জন্য প্রয়োজনের  তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগি আসলাম হোসেন বলেন, অর্থের অভাবে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এমন সংবাদ শুনে হতবাক হয়েছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে জরুরি রোগি পরিবহনে মাইক্রোবাস কিংবা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের দ্বারস্থ হতে হবে। এতে করে তাদের খরচ দ্বিগুণ হয়ে যায়। অনেক সময় গুনতে হয় আরো বেশি বাড়তি অর্থ।   

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা সিদ্দিকা রুমা সাংবাদিকদের বলেন, ‘অর্থ সংকটে জরুরি রোগিদের জন্য  অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যাবে না এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এতে মুমূর্ষু ও  জরুরি রোগি পরিবহনে চরম বেকাদায় পড়তে হবে রোগির স্বজনদের। সৃষ্টি হবে জনদুর্ভোগের। জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি সমাধানের জোর দাবি করছি।’

রুচিতা ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার পঞ্চম রায় বলেন, মান্দা হাসপাতালের কাছে বর্তমানে ১০ লাখ টাকার ওপরে পাওনা রয়েছে। তাগাদা দেওয়ার পরও তা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বিজয় কুমার রায় বলেন, জ্বালানি বাবদ বছরে দুইবার যে টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায় তা প্রয়োজনের চেয়ে খুবই অপ্রতুল। এ কারণে বাঁকিতে জ্বালানি কিনে অ্যাম্বুলেন্সটি সচল রাখা হয়েছিল। কিন্তু বাঁকির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। অধিদপ্তরে বারবার পত্র দেওয়া হলেও কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া তাদের কোন বিকল্প উপায় ছিল না।  এ  জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করা ছাড়া তাদের আপাতত কিছুই করার নেই। 

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, অ্যাম্বুলেন্স থেকে আয়ের টাকা ১০দিন পর পর সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। এ কারণে আয়ের টাকা দিয়ে জ্বালানির টাকা সমন্বয় করা যায় না। বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন ও স্থানীয় প্রশাসনকে মুঠোফোনে অবহিত করা হয়েছে।


আরও খবর



বিদেশীদের চাপ নেই,নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন- বিদেশীদের কোন চাপ নেই, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমরা আমাদের কাজ পুরোদমেই চালিয়ে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও উৎফুল্ল। কোথাও কোন চাপ বোধ নেই। আমিও তো আমার গ্রামের প্রত্যেক সপ্তাহে আসতেছি। চাপ হলে তো আসতাম না। কাজেই চিন্তার কোন কারণ নেই সময়মতোই সবকিছু হবে।

আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার ঝিলমিল অডিটোরিয়ামের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ওই সময় পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন- সরকার শুধু আইন মানলে হবেনা। সকল রাজনৈতিক দলকেই আইন মানতে হবে। যারা ট্রাকে আগুন দেয়, বাসে আগুন দেয়, ঢিল মারে তাদেরকেও আইনের আওতায় আসতে হবে। তারা যদি আইন মানে তাহলে তো আর কোন সমস্যা নাই। তিনি বিএনপিরকে উদ্দেশ্য করে বলেন- একটি গোষ্ঠী নিজের হাতে আইন তুলে নিয়েছে। তারা মানুষের জানমালের ক্ষতি করছে। যারা বাস, ট্রাক ভাঙ্গার নেতৃত্ব দেয় তারা এমপি হলে কবর আছে। আর সংসদে গেলেতো আরও খবর আছে। মন্ত্রী বলেন- অবরোধের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। নিন্ম আয়ের মানুষের কষ্ঠ হচ্ছে। আর সেই কষ্ঠ লাগবের জন্য আমরা কাজ করছি। সরকার বিশেষ ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। ট্রাকে করে ন্যায্য মূল্যে পন্য বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কমদামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। ১ কোটি কার্ড সারাদেশে সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। আশা করছি অগ্রহায়ণ মাসের পরেই বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা, জেলা প্রকৌশলী মাহবুব আলম, সার্কেল এসপি শুভাশিস ধর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসানাত হোসেন, থানার ওসি খালেদ চৌধুরী, প্রকৌশলী আলনুর প্রমুখ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এফআইভিডিবির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কৃতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প পিবিজিএসআই স্কীম সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রম প্রকল্পের আওতায় অনুদান ও পুরস্কার বিতরণ করেন।


আরও খবর



নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত হবে আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা ডেকেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার আজ (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে, গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, ৪ দিনে ৩০০ আসনের বিপরীতে ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। যার মূল্য ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

এর মধ্যে ঢাকায় ৭৩০টি, চট্টগ্রামে ৬৫৯টি, রাজশাহীতে ৪০৯টি, খুলনায় ৪১৬টি, রংপুরে ৩০২টি, ময়মনসিংহে ২৯৫টি, সিলেটে ১৭২টি, বরিশালে ২৫৮টি ফরম বিক্রি হয়েছে। এছাড়া অনলাইনে ১২১টি ফরম বিক্রি হয়েছে।


আরও খবর



বিরামপুরে বস্তায় আদা চাষে সফল দেলোয়ার

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুরে ইউটিউব দেখে বস্তায় আদা চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন বিরামপুর পৌর শহরের শিমুলতলী গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন। নিজের পরিত্যক্ত জমিতে আদা চাষের সাফল্য অনেকের অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই ছুটে আসছেন তাঁর এই সাফল্য দেখতে।

আদা চাষি দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রথমে ইউটিউবের মাধ্যমে বস্তায় আদা চাষের ভিডিও দেখি। পরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-সহকারির পরামর্শে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হউ। প্রথমে ছাই, জৈব সার ও বালু মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করে বস্তায় রাখি। পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পার্শ্বেই পরিত্যক্ত জমিতে মাটি ভরে গাছের টবের মতো বানাই। এরপর প্রতি বস্তায় দুটি করে আদার চারা রোপণ করি। রোপণের মাত্র এক মাসের মাথায় গাছ বড় হতে শুরু করে। এরপর মাত্র তিন মাসের মধ্যে গাছগুলোর গোড়ায় আদা হতে শুরু করেছে। যা ইতোমধ্যেই অনেকের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে।

তিনি আারও বলেন, এভাবে আদা চাষে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পতিত জমিতে সীমিত খরচ আর অল্প শ্রম। একেকটি বস্তায় প্রায় তিন কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যাবে। তাই এটি লাভজনক চাষ পদ্ধতি। আদা গাছে পানির চাহিদা অনেক কম। আবার সার বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় খুবই কম। মাঝেমধ্যে পাতা মরা রোগ প্রতিরোধে কিছু ওষুধ স্প্রে করতে হয়। এর বাইরে তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। বস্তায় আদা চাষ দেখে স্থানীয় অনেকের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে এ আদা চাষ দেখতে অনেকে আসেন বলেও জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি  কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফিরোজ আহমেদ বলেন, সংবেদনশীল ফসল হওয়ায় আদা মূলত ছায়া ও দো-আঁশ জাতীয় মাটিতে আবাদ করতে হয়। বস্তায় দো-আঁশ মাটি ভর্তি করে আবাদ করলে দেখা যাচ্ছে এর ফলন ভাল হচ্ছে। মাটিতে একটি বীজ থেকে ২৫০ গ্রাম আর বস্তায় ১টি বীজ থেকে এক কেজি আদা পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া পরিচর্যা খরচ নাই বললেই চলে। শুধু আদা নয় মসলা জাতীয় ফসল ও সবজি চাষে উৎপাদন ভাল হবে।


আরও খবর