Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

বিশ্বজয়ের অনুভূতি জানাতে আবেগঘন বার্তা, যা লিখলেন মেসি

প্রকাশিত:বুধবার ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক ;এতদিন বিশ্বকাপ ছাড়া সব অর্জনই ছিল লিওনেল মেসির। আরাধ্য বিশ্বকাপের ছোঁয়াও এবার পেয়ে গেলেন। তবে এই অর্জন সহজে আসেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক কঠিন সেই যাত্রার কথাই তুলে ধরেছেন।

৩৬ বছরের আক্ষেপের অবসান ঘটিয়েছে লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়ে আর্জেন্টিনা। এর আগে তারা সবশেষ শিরোপার দেখা পেয়েছিল ১৯৮৬ সালে।

বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার স্থানীয় সময় সোমবার রাতে দেশে ফিরে মেসিরা। দেশের মানুষ তাদের রাজকীয় সংবর্ধনা দেয়। ট্রফি জয় থেকে দেশে ফেরার জন্য বিমানে চেপে বসা, কাপ নিয়েই ঘুমিয়ে যাওয়া- এমন সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছিলেন মেসি।

পরে একটি ভিডিও পোস্ট করে আবেগঘন বার্তাও দিয়েছেন। যেখানে নিজের শৈশব, বিশ্বকাপ নিয়ে স্বপ্ন, ২০১৪ আসরের দুঃখগাথা, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, কোচিং স্টাফসহ অনেক বিষয় উঠে এসেছে।

মেসি লিখেছেন, ‘গ্র্যান্ডোলি থেকে কাতার। প্রায় ৩০ বছর। বিশ্বকাপ জিততে তিন দশকের কাছাকাছি সময় লাগল। ফুটবল আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। কিছু দুঃখও দিয়েছে। আমি সব সময় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। কখনো চেষ্টা বন্ধ করিনি। বিশ্বাস ছিল কখনো হাল ছাড়ব না।’

যোগ্য দল হিসেবেই তারা বিশ্বকাপ জিতেছেন উল্লেখ করে মেসি লিখেন, ‘আমরা বিশ্বকাপ পেয়েছি, কারণ বাকি সবার থেকে আমরা ভালো খেলেছি। আগের বিশ্বকাপগুলোয় আমরা এভাবে খেলতে পারিনি। যেমন ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠেও জিততে পারিনি আমরা। এবার সবাই অনেক পরিশ্রম করেছিল। সবাই আন্তরিকভাবে জিততে চেয়েছিল। এই বিশ্বকাপটা ছেলেদের প্রাপ্য। এ ভাবেই প্রতিযোগিতা শেষ করতে চেয়েছিলাম আমরা।’

এরপর তিনি প্রয়াত কিংবদন্তি ম্যারাডোনাকে স্মরণ করেন, ‘এই বিশ্বকাপটা ডিয়েগোর (ম্যারাডোনা) জন্যও। তিনি আমাদের স্বর্গ থেকে উৎসাহিত করেছিলেন।’

এই বিশ্বকাপ সবার উল্লেখ করে মেসি লিখেন, ‘এই বিশ্বকাপ তাদের সকলের জন্য যারা ফলাফলের দিকে না তাকিয়ে সবসময় জাতীয় দলকে উৎসাহিত করেছেন। তাদের জন্য যারা বেঞ্চে বসে থেকেছে খেলার সুযোগ না পেয়ে। ২০১৪ সালে যারা কাছে পৌঁছেও জিততে পারেনি, এই বিশ্বকাপ তাদেরও।’

‘সবার একটাই আকাঙ্খা ছিল, সবকিছু আমাদের ইচ্ছা মতো হয় না। আমাদের দলটা সত্যিই সুন্দর। কোচিং স্টাফ, টেকনিক্যাল স্টাফ- তাদের হয়তো সবাই চেনেন না। তারাও এই স্বপ্নটা সফল করার জন্য দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছেন।’

অনেক ব্যর্থতার মাঝেই যে আগামীর সাফল্য লুকিয়ে থাকে, মেসি সেটিও মনে করিয়ে দেন সবাইকে। লিখেন, ‘অনেক সময় ব্যর্থতা যাত্রা পথের সঙ্গী হয়। সেগুলো আমাদের শেখায়। হয়তো সেগুলো হতাশা নিয়ে আসে। তবু ব্যর্থতা ছাড়া সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। আমার হৃদয় থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এগিয়ে চলো আর্জেন্টিনা।’

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে গেল রবিববার ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে সমতা থাকার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ের ৩০ মিনিটে। সেখানেও ১-১ গোলের সমতা তৈরি হওয়ায় পরবর্তীতে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে জিতে ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘোচান মেসি-মার্টিনেজরা।


আরও খবর



দেশের সব বিমানবন্দর থেকে উঠল করোনা বিধিনিষেধ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক:রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দর থেকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। প্রতিষ্ঠানটির ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সদস্য এয়ার কমোডর শাহ কাওছার আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে জারি করা এক সার্কুলারে এ কথা জানানো হয়।

গত বৃহস্পতিবার সার্কুলারটি জারি করা হয়। আজ শনিবার এটি সংবাদমাধ্যমে আসে।

বেবিচকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশ ও বাংলাদেশ ছাড়ার সময় কোনো যাত্রীকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখাতে হবে না। কোনো যাত্রীকে আরটি-পিসিআর কোভিড টেস্ট বা হেলথ ডিক্লারেশন ফরমও পূরণ করতে হবে না। প্রত্যেকের জন্য মাস্ক পড়ার বিধিনিষেধও শিথিল করা হলো।

এতে বলা হয়, সর্বসাধারণের জন্য মাস্কের বিধিনিষেধ তুলে ফেলা হলেও যারা হাসপাতাল বা ক্লিনিকের মতো সংবেদনশীল জায়গায় কাজ করেন, তাদের মাস্ক পড়তে হবে। যাত্রী পরিবহনে বড় বা ছোট এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে যাত্রী আনা-নেওয়ার সংখ্যায়ও কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। তবে যাত্রীরা যেসব দেশের উদ্দেশে যাবেন তাদের সেসব দেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিধিনিষেধ মানতে হবে।

সার্কুলারে হজযাত্রীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিধিনিষেধ মানতে হবে। মার্স ভাইরাসে আক্রান্তের আশংকা থাকায় সবাইকে উট থেকে দূরে থাকতে হবে।


আরও খবর



ফরিদপুরে মাটি ধসে তিন শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

সদরপুর প্রতিনিধি:ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় নির্মাণাধীন সেতুর কাজ চলার সময় মাটি ধসে তিন নির্মাণশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চার শ্রমিক। আহতদের উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের জমাদ্দার ডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, বাগেরহাট জেলার মোল্যারহাট থানার উদয়পুর গ্রামের আলামিন খার ছেলে জাবেদ খা (২৩), ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার কবিরপুর গ্রামের আফজাল শেখের ছেলে অন্তর শেখ (২২), ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার কুফুর দিয়া গ্রামের ইসমাইল মীরের ছেলে জুলহাস মীর (২১)।

এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে, তারা তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করি। প্রাথমিক তথ্য বিবরণী শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর পাঠান হবে।

সদরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার আ. সালাম খান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ারসার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় মাটির নিচে চাঁপা পরা ৩ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আমিরাবাদ ভাষানচর-কৃষ্ণপুর সড়কে ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। প্রজেক্টটি বাস্তবায়নে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছিল এমডি ইমতিয়াজ আসিফ কনাস্ট্রাকশন।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের সুর নিচে নেমে এসেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগের সুর নিচে নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অন্তরীণ অবস্থায় রয়েছেন; মিথ্যায় মামলায় সাজা দিয়ে তাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। আমাদের তরুণ নেতা তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে নির্বাসিত হয়ে আছেন। আমাদের ৪০ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলা দিয়েছে এই আওয়ামী লীগাররা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা সেদিনও (১৯৭২-৭৫ সাল) ক্ষমতায় ছিল। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে সেদিনও বাকশাল করেছিল। তারা আবারও ভিন্ন মোড়কে একদলীয় বাকশাল করতে চায়। কিন্তু কথায় বলে না, মানুষ ভাবে এক; হয়ে যায় আরেক। কয়েকদিন আগেও কত লাফালাফি, কী লাফালাফি এখন লাফালাফি কমে এসেছে। সুর নিচে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে- সংঘাত চাই না (ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে)। আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে সমাধান করতে হবে। আমরা তো বাধা দিচ্ছি না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সেদিনও আমাদের সমস্ত জেলার কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু জেলায় কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি। আমাদের নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কেরাণীগঞ্জে আমাদের নিপুণকে আহত করা হয়েছে। কত চক্রান্ত আমাদের খোকন-শিরীনের নামে নরসিংদীতে মিথ্যা হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। নিজেরা হত্যা করে ষড়যন্ত্র করে আমাদের নেতাদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। গায়েবি মামলা, কিছুই ঘটবে না- একটা মামলা হয়ে গেল। কিছু নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে বাকি অজ্ঞাত হিসেবে এই মামলা দেওয়া  হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি। আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে এই লড়াই করছি। এই লড়াই এখন একটি চূড়ান্ত পর্যায় এসেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ১০টি দাবি দিয়েছি। তার প্রথম দফা হচ্ছে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই দেশের মানুষ তোমাকে ক্ষমতায় রেখে দেশের মানুষ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তা মনে করে না- এটাই বাস্তবতা। এই সংসদ যে সংসদে তুমি সংবিধান পরিবর্তন করেছ, সংবিধানকে বিভিন্ন কাঁটাছেড়া করে পরিবর্তন করে যে সংসদ রেখেছ, সেই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

দলের প্রতিষ্ঠাতাকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন,‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের সবচেয়ে বড় শপথ হবে, যে কোনো মূল্যে আমাদের জীবনের মূল্যে হলেও এই ভয়াবহ ভোটচোর, দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বাঁচাতে হলে, বাস্তবায়িত করতে হলে গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রীকে মুক্ত করতে হলে, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান রাজনীতিবিদ হিসেবে সফল, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেও সফল, সৈনিক হিসেবেও সফল। আজকে যারা ক্ষমতায়, তারা শহীদ জিয়াকে ভয় পায়। তাই তার সম্পর্কে অবান্তর কথা ছড়ানো হচ্ছে। দেশকে চলমান সংকট থেকে মুক্ত করতে শহীদ জিয়ার আদর্শিত সৈনিকদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপির লজ্জিত হবার কোনো ইতিহাস নেই, গৌরব করার মতো ইতিহাস আছে। আমরা সামরিক শাসন জারি করি নাই, গণতন্ত্র হত্যা করিনি। এ আওয়ামী লীগ ১/১১-এর অবৈধ সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। বিএনপিকর্মী হিসেবে বলতে পারি বিএনপি শুধু স্বাধীনতা ঘোষকের দল নয়, গণতন্ত্র রক্ষাকারী দল। বিএনপির শাসনামলেই জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পেয়েছিল। জিয়াউর রহমানকে আজ শ্রদ্ধা করা উচিত।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্ব কি চিন্তা করছে তা সবাই জানেন। আমেরিকায় গণতন্ত্র সম্মেলনে পৃথিবীর ১০৭ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানালেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমেরিকার ভিসানীতি তো আগেই ছিল, তবে কেন বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসানীতি করতে হলো? কারণ, দেশের গণতন্ত্র আজ ভূলণ্ঠিত তা আজ বিশ্ব অবগত।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অত্যাচারের ইতিহাস আজ নতুন নয়। এর আগেও তারা গণতন্ত্র কুক্ষিগত করে রেখেছিল। অবাধ লুটপাটের কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আজ রক্তক্ষরণ হচ্ছে যে গণতন্ত্র ও বাক্‌স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে, তা ভূলণ্ঠিত করেছে এই আওয়ামী লীগ।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।


আরও খবর



মধুপুরে অভিনব কায়দায় ১০লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার চুরি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুরে ক্রেতা সেজে প্রতারণার মাধ্যমে ১০লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে প্রতারক।রোববার (২১ মে) সাড়ে এগারটা থেকে বেলা সোয়া ১২টার মধ্যে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের আপন জুয়েলার্সে এই ঘটনা ঘটে।

আপন জুয়েলার্সের স্বত্তাধিকারী সুজিত কর্মকার জানান, বেলা এগারটার দিকে পাঞ্জাবি পায়জামা পরিহিত এক ব্যক্তি স্বর্ণের গহণা কিনতে আসেন। তিনি গলার হারসহ বেশ কয়েকটি গহনা পছন্দ করে পরিমাপ করে মেমো তৈরি করান। পরে ব্যাংক থেকে টাকা এনে নিয়ে যাবেন বলে একটি ব্যাগে স্বর্ণালঙ্কার রেখে দোকানেই অবস্থান করতে থাকেন ওই ব্যক্তি। পরবর্তীতে অন্য ক্রেতাদের সাথে কথা বলার সুযোগে কর্মচারির নিকট থেকে ব্যাগটি চেয়ে নিয়ে মোবাইল দিয়ে গহনাগুলোর ছবি তুলে কর্মচারিকে ব্যাগটি পুনরায় রাখতে বলেন। কয়েক মিনিট পর ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা আনার কথা বলে বেরিয়ে যান। ওই ব্যক্তিটি দোকান থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের দিকে না গিয়ে বাসস্ট্যান্ডের দিকে রওয়ানা হলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিক গহণার ব্যাগটি চেক করতে গিয়ে দেখা যায় ব্যাগে কোন গহনা নেই। 

পরে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, ব্যাগটি নিয়ে গহনার ছবি তুলে গহনাগুলো ব্যাগে না রেখে তার পরিহিত পাঞ্জাবির বাম পকেটে রেখেছেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি মধুপুর থানা পুলিশকে অবহিত করলে তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। এ সময় মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বিপিএম জানান, আপন জুয়েলার্সের সোনার গহনা খোয়া যাওয়ার ঘটনা জানতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত দোকান মালিক কোন অভিযোগ করেননি। তবে মধুপুর থানা পুলিশ ইতোমধ্যেই স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গাজীপুরে নৌকার প্রচারণায় ফেরদৌস-নিপুণ-রিয়াজ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর প্রতিনিধি:গাজীপুরে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়েছেন চিত্রতারকারা।

আজ রোববার বিকেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার, জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস, সাইমন সাদিক, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, সাবা, চিত্রনায়ক রিয়াজ ভোট চেয়ে নগরীর চান্দনা চৌরাস্তা, জয়দেবপুর বাজার, বঙ্গতাজ অডিটোরিয়াম এলাকা, কৃষি গবেষণা, ধীরাশ্রম, বাইপাস, টঙ্গী এলাকায় গণসংযোগ করেন। খোলা ট্রাকে উন্নয়নের নানা গান গেয়ে ও নেচে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। এ সময় তারা ভোটারদের মধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ করে ভোট প্রার্থনা করেন ।

চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘রাজধানীর শহর গাজীপুরের নানা কারণে গুরুত্ব রয়েছে। এখানে শিল্পকারখানা রয়েছে, লাখ লাখ মানুষ বসবাস করে। নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আপনারা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ বলেন, ‘আপনারা আমার নির্বাচনে আমাকে যেভাবে সহায়তা করেছেন সেভাবেই গাজীপুরের আজমত উল্লা খানকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন।


আরও খবর